একটি প্রশ্ন

মুক্তিযোদ্ধা (ডিসেম্বর ২০১২)

মো. জসিম উদ্দিন সোহেল ফেনি
  • ৪৩
নিশি রাত মেঘলা আকাশ , রিমঝিম বৃষ্টির আভা, হাল্কা পাতলা বাতাশ, হঠাৎ করেই বিদ্যুত চমকানো.....জানালার পাশে বসে ভাবী একা একা আমী , কত সুন্দর এই রাত , যে রাতে থাকে হাজার কোটি তারকারাজী, বিশাল আকাশে নিলীমা, ছোট্র কোমল শিুশুটির ন্যায় চন্দ্র মামার হাসি যার রুপালী আভায় চিকচিক করে জলে বালুকাময় ময়দান আর অনেক বিস্ত্রিত দ্বিঘীর মিষ্টি কোমল জল , উত্তাল ছোট বড় নদী নালার তরঙ্গের ছল, যেখানে ছুটে চলে সদা ছোট বড় হরেক রকমের মৎস ছানার দল, সে রাতে ভাঙ্গায় কত কোমল মনা রুপরানী চোখ ধাঁধাঁনো অস্পরীর মিষ্ট মধুর ঘুম , সন্ধা হলেয় ঘুমাতে সদা পড়তো যাদের ধুম , ভাঙ্গিয়ে দেয় ঘুমের ঘোরে স্মৃতি জাগড়ুক মিঠামিঠা সপ্ন আর কল্পনা ,নিকৃষ্ঠ কাকের একই রুপী কিন্তু মিষ্টি মধুর সুরেলা বাঁশী হাস্য রসের ছন্দ কবি . মহারানী কোকিল পাপিয়ার হ্রদয় কাঁদানো আহবান ,যার ডাকে দিতে হয় অস্পরীদের বলিদান , কেউখোলে দোর, কেউ ছাড়ে ঘর , কেউবা তার সাথে কথা বলে বলে প্রিয় প্রীতিরস্মৃতিগুলো মনে করে কেঁদে কেঁদে,, করে তার সমাধান , কেউবা তিক্ত অনুভুতির বিষাক্ত জালায় করে দেয় নিজ জীবনের অবশান , এই নিশি তেই জমে উঠে দাদী নাতনী আর ছোট শিশুদের সমাগম , ছুটে এসে সবাই বসে উঠানের মাঝে , মেতে উঠে মিষ্টি গল্পে,কেউসাজে রাজা আর কেউ রানী সাজে , আর কেউ বা মেতে উঠে হাঁসি ঠাট্টা আর বিদ্রুপের কাজে ,এই নিশি তেই কেউ খেলে ছক্কা কেউখাই ধাক্কা আর কেউ হয় পাক্কা ,আবার কেউ ছুটে বৌ ছুই ছুই আর ডানডা গোল্লার মাঠে , কিন্তু এই নিশি তেই আবার কেউ কাঁদে, নিভৃত প্রানে প্রিয়জনের স্বরনে ,কেঁদে কেঁদে বুক ভাষায় অতি গোপনে, হাল্কা করে মনের ব্যথা, জেড়ে পেলে পরম তিক্ততা, বুঝিয়ে মনকে কোন ভাবে বাছতে চাই\\ নতুবা তার মন কাঁদে সদা প্রিয় হারানোর বেদনায় , কেউ হারাই তার মনের মানুষ, কেউবা হারায় তার প্রিয় মানুষ ,কেউ হারাই তার বাবা মা , যার ফলে সে ভুলে বসে জীবন পারাপারের ভঙ্গিমা , জানো হে আমার শুভাকাংখী .এরকম এক নিষ্ঠুর নিশিই ছিনিয়ে নেয়, আমার কোমল বুক থেকে আমার প্রিয় বাবা কে ,যার ভালোবাসা প্রীতি, দুনিয়ার বুকে শ্রেষ্ঠ্যত্যের দাবিদার , যার প্রেম বিরহ সদা কাঁদায় আমাকে জানো বন্ধু, আমার বাবা এক সেকেন্ড না দেখলে আমাকে চিন্তায় অস্থির হয়ে যেত , সামান্য হোচট খেলে মুষড়ে পড়ে যেত , দৌড়ে এসে জড়িয়ে মলম মেখে দিতো আমার ক্ষতে , নিজে নাখেয়ে না পরে আমাকে পেট পুরে খাওয়াতো মনের মতো পরাতো , যিনি অবিরাম কষ্টকরে তিল তিল করে গড়ে তোলেন আমাদের সোনার সংসার । মানুষ করতে চেষ্টা করেন আমাদেরকে , সময় অতীত হতেই থাকে বেডে উঠী আমরাও বেড়ে চলে বাবার বয়ষও, ভেঙ্গে চলে তার শরীর , কিন্তু আদম্যসাহস তার,যা দমবার প্রাত্র নয় ,জীবন যুদ্বে সংগ্রামী একনেতা। যার পরম ইচ্ছে ছিলো একটায়, আমার সন্তান বড় হবে, মানুষ হবে ,মাথা উচূ করে সমাজে দাড়াবে , তখন মানুষ বলবে জানো এ কার ছেলে ? ্এ এক বাঙালীর ছেলে.এ এক মুক্ত কামীর ছেলে ,যারা পরাধীনতা বুজেনা অন্যায় যাদের চক্ষুশুল.রাহাজানি হানাহানি যারা কল্পনাও করতে পারেনা.যারা সহ্যকরতে পারেনা যে কেউ তাদের গোয়ালের গরু ছিনিয়ে নিয়ে যাবে.তাদের মাবোন কে অকাতরেধর্ষন করেযাবে, যাদের নিকট আমাদের অর্থ সম্পদ নিরাপদ নয়, মা বোনের সতীর্ত মুহাফেজ নয়,আমাদের মাতৃ ভাষা. বাংলা ভাষা নিরাপদ নয়, যারা আমাদের মানুষই মনে করেনা .যারা শিক্ষা দিক্ষাই আমাদের প্রধান্ন দেইনা. যারা নারীর সতীর্ত কে মনে করে খেলনা. যারা আমাদের জীবনকে মনে করে গৃহ পালিত পশুর ন্যায় নিকৃষ্ট. যাদের আচরনে আমরা অতীষ্ঠ যাদের দাবাণলে পুড়ে আমরা নিষ্পেতিত,ৃকত দিন আর এভাবে চলতে দেওয়া যায়.না আর এভাবে মেনে নেওয়া যায়না তখন থেকেই হাতে অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া রনাঙনে.. দিন অতীত হয় দিন পেরিয়ে সাপ্তাহ ..সাপ্তাহ পেরিয়ে মাস ... মাস পেরিয়ে বছর .......সময় অতীত হতেই থাকে ,,,হঠাৎ এক নিশিতে আমাদেও বাড়ী ঘর বিপূল মানুষের পদচারনায় ভারী হয়ে যায় ভেষে আসতে থাকে মানুষের আর্তচিৎকার গগনবিদারী কান্নার রোল ...কিছু বাঙালীর অপকর্মে পাক হানাদারের জালে আটকা পড়ে গোলামীন জীবন বেচে না নিয়ে সিংহের মত গর্জন করতে করতে কিছু প্রতারকের .নরপিচাশের হিংসের ভিবিশিকাময় আগুনে সহাস্যে ঝাপিয়ে পড়ে....এক সাথে এতকবর আমার জীবনেও দেখিনি.কাপনের কাপড় কাপুর কোথায়. কে দিবে তাদের?? সবায় দিতে পারে কেবল দু ফোটা চোখের জল..একসময় চলে যান বাবা আমাদের ছেড়ে দূরে বহু দূরে , যেখান থেকে কেউ আর কোনদিন ফিরে আসেনা .. হায়রে বাবাকে দেখাতে পারলামনা আমাদের অবস্থান, তোমাদের আর্তত্যাগ বিথা যায়নি যেতে পারেনা । আপসোস মানুষের সব চাওয়া পুরন হয়না ....উপ এই নিশি কতযে বিনিদ্র গেল আমার জীবনে.. প্রিয়জন হারানোর ব্যথায় ... আমার জিজ্ঞাসা .... হে নিশি তুমি কার ? তুমি এত নিষ্ঠুর কেন ? কেন এত প্রতারক ? কেন তোমার মাঝে সুখ /দুঃখ উভয় বিদ্যমান ? কেন তোমায় নিয়ে কেউ হাঁসে কেউবা কাঁদে অবিরাম ?তুমিকি কাউকে আপন ভাবো ?তা হলে কে সেই ভাগ্যবান দেবতা? কেন কাউকে স্বয়ংসম্পুর্ন করে কাউকে পৌছাও ধ্বংসের শ্রেষ প্রান । কেন তোমাকে নিয়ে সবাই সপ্ন দেখে ? কেউ হয় ব্যর্থ আর কেউবা সফল কাম ?কেন তুমি অপরুপী হয়ে সাড়া জাগাও জগত মাঝে ? কাউকে কাঁদাও নিভৃত প্রানে ? কাউকে হাঁসাও সুললিত গানে ? হাজারো প্রথিক কে বিব্রত করে রয়ে যাও নিজ অবস্থানে অটুট অম্লান? কেন সবায় নিশি কে নিয়ে টাস্কি খেয়ে মরে ??? এই নিশি তে যেমন সোনালী তারা রুপালী চাঁদের আভা মেলে, তেমনি করে কাল বৈশাখী ঝড় তান্ডবতাও আসে ঘুরে ঘুরে। যেমনি গায় কোকিল মিষ্টি মধুর সুরে তেমনি ডেঁকে ডেঁকে জায় পেছারাও উড়ে। তাই বলি তোমাদের সাবধান হও এই নিশি থেকে ,নতুবা জ্বালিয়ে পোড়িয়ে ছারখার করে দেবে তোমাদের । কাঁদবে আমার মতো সদা আপনজন , প্রিয়জন আর শ্রদ্ধাভাজন হারানোর ব্যথায় অবিরাম । কমবেনা একটু দুঃখও মনের মাঝের কালো আঘাত থেকে কারন আমি এক মুক্তকামী মুক্তিযোদ্বার সন্তান। এই নিশি কি জানে ? কত জন কাঁদে তাকে নিয়ে ? কতজনয় বা হাঁসে ? কতজনয় বা জীবন দিতে প্রসু্তুত থাকে তাকে ভীষন ভালো বেসে ?।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর গল্প ।
সূর্য কিছুটা আবেগী, প্রশ্নবান, অস্থির মানব বিবেকের জেগে ওঠার আহবান। গল্প হতে হতেও হয়ে উঠল না। এই আবেগ যখন একটা গতি পাবে, একটা নিশানা পাবে, ভাল গল্প নিশ্চয়ই বেরুবে এ হাত থেকে।
তাপসকিরণ রায় এটা গল্প ও কবিতার এক জগা খিচুড়ি মিশ্রন মনে হলো.ভাবনার পুনপৌনিক ব্যবহার চোখে পড়ল.অনেক ভুল বানান ও ভ্রম শব্দ চোখে পড়ল.তবে লেখার অভ্যাসে অনেক ভালো লেখা আপনার হাত থেকে পেতে পারি--কারণ সুন্দর ভাবনার কমী আপনার মধ্যে নেই এটুকু বলতে পারি.
মোঃ আক্তারুজ্জামান প্যারা করে লিখুন- বানানগুলির প্রতিও একটু দৃষ্টি দিবেন। নিয়মিত চর্চায় অনেক অনেক ভাল করবেন আশা রাখি। শুভ কামনা।
আহমেদ সাবের একাত্তরের বেদনা-বিদুর স্মৃতিচারণ - "একসময় চলে যান বাবা আমাদের ছেড়ে দূরে বহু দূরে , যেখান থেকে কেউ আর কোনদিন ফিরে আসেনা .. "। কাঁচা হাতের লেখা। আশা করি ভবিষ্যতে আরো ভালো লেখা পাবো।
মিলন বনিক এক ঝাক আত্মউপলব্ধির আমিও কথন...প্যারা না থাকতে পড়তে কস্ট হয়...ভালো লাগলো...এগিয়ে যান....
আজিম হোসেন আকাশ প্যারা থাকলে আরো ভাল হতো।
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) লেখায় প্যারা থাকা খুব দরকার!

১৪ নভেম্বর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী