সরলতা'ই মদন'তা

সরলতা (অক্টোবর ২০১২)

ইমরান আলম
  • ১৮
  • ১১২
---ওই "মদন" হি-হি-হি-হা-হা.......
থমকে দাড়ালো মদন . এবং হাসি হাসি মুখে লোকটির দিকে তাকালো . লোকটি হেসে গড়িয়ে পড়ছে . আসলে লোকটির তাকে ডাকার কোনো কারণ নেই . তাকে শুধু শুধু ডাকা হয়েছে. মদন নিজেও তা জানে . কাজেই মদন পুনরায় হাটতে শুরু করলো . এখানে দাড়িয়ে থেকে শুধু শুধু হাসি দেখার কোনো মানে হয় না.
মদনের নাম আসলে মদন নয় . তার নাম মোহাম্মদ মোক্কাদ্দেস . লোকে সংক্ষেপে ডাকে মদন. কেউ কেউ আবার ডাকে মদন সাহেব . অবশ্য মদনের সাথে সাহেব খুব একটা যায় না. তারপরও এটা তার কাছে ভালো লাগে. নামের সাথে একটা সাহেবী সাহেবী ভাব .বিষয়টি মোটেও খারাপ না . কিন্তু এটা তার কাছে . অন্য সবার কাছে "মদন " নামটি খুবই হাসির. তারা সবাই -"ওই মদন" ডেকেই খিক-খিক..করে হেসে উঠে . বিচিত্র সব মানুষের বিচিত্র সব হাসি . কি যেন কবিতা আছে -"খোকন হাসে , ফোকলা দাতে". সেই ফোকলা দাতের হাসি . পান খাওয়া মানুষের লাল দাতের হাসি . এইসব বিচিত্র সব হাসির সাথে সে খুবই ভালো পরিচিত . এমন পরিচিত যে- তার পাশের বাড়ির কেউ একজন যদি হা-হা-হা...করে জোরে হেসে উঠে , সে তার রুমে থেকে ঠিক-ঠাক তার নাম বলে দিতে পারে . " এই তো কয়েক রাত আগের এক ঘটনা- রাতে মোক্কাদ্দেসের রুম থেকে তার মানি ব্যাগ'টি চুরি হয়ে গেল . সকালে মোক্কাদ্দেস তার পাশের বাড়ির রফিককে ডেকে বলল-
---ভাই একটু হাস তো ?শব্দ করে.
---হাসব কেন?
---হাসতে বলছি হাস.
---তুমি বললেই হাসতে হবে? মগের মুল্লুক নাকি? তাছাড়া এখন আমার হাসার সময় না . কাঁদার সময় .আমি এখন কাঁদাব.
রফিক সত্যি সত্যি কাঁদতে শুরু করলো . মোক্কাদ্দেস খুবই অবাক .হুট করেই একটা মানুষ অকারণে হু-হু করে কিভাবে কাঁদতে পারে? মোক্কাদ্দেসের কেন যেন মনে হলো- লোকটি ফ্লিমে অভিনয় করলে বেশ ভালো করত . নায়ক কিংবা নায়িকার বাবার চরিত্রে . কোনো কারণ ছাড়াই অকারণে এভাবে হু-হু- করে কেদে উঠবে .
হঠাত মোক্কাদ্দেস বোকার মত রফিককে বলে বসলো-
---বল তো -আমার নাম কি?
রফিককে কান্না থামিয়ে বলে উঠলো--
---মদন হি-হি-হি.....মদন না হলে কেউ বলে না-"আমার নাম কি?"হি-হি-....
রফিকের সাথে মোক্কাদ্দেসও হাসতে লাগলো. কি জাদুকরী নাম . নাম মুখে নিলেই হাসি . মোক্কাদ্দেস ভাবলো -'নামটির একটা সত্যতা যাচাই করা দরকার. যেমন- কোনো একজনের বাবা মারা গেছে . সে হাউ- মাউ করে কাঁদছে . ঠিক এমন সময় তার সামনে গিয়ে হাসি হাসি মুখে বলতে হবে-'বল তো আমার নাম কি'? সে যদি "মদন " বলে খিক-খিক করে হেসে উঠে ,তাহলেই বুঝা যাবে নামের ভিতরে আসলেই জাদুকরী কোনো বিষয় আছে.".
মোক্কাদ্দেস খুবই স্বাভিক ভঙ্গিতে রফিককে বলল-
---ভাই আমার মানি ব্যাগটা ফিরিয়ে দাও . টাকা লাগবে না. টাকা তুমি রেখে দাও .
রফিক খুবই ভয়ার্ত চোখে মোক্কাদ্দেসের দিকে তাকালো . এবং খুবই লজ্জিত ভঙ্গিতে মানি ব্যাগটি ফিরিয়ে দিল.
মোক্কাদ্দেস বলল-
---লজ্জা পেয়েছ দেখে খুশি হলাম . তবে লজ্জা পেয়ে বাঁকা হওয়ার মত কিছু হয় নি . সোজা হয়ে দাড়াও . যাকে বলে- লজ্জা পেয়ে সোজা হয়ে দাড়ানো .তাছাড়া মানি ব্যাগ চুরি করা ,বড় ধরনের কোনো অপরাধ না . আচ্ছা এখানে দেখছি টাকাগুলো আছে;
---হু.
---নাও নি?
---না.
---কত টাকা আছে গুনেছ?
---না .
---মিথ্যে বলছ কেন?
---আমি কখনো মিথ্যে বলি না . স্বভাবের দোষে এটা ওটা নেই .কিন্তু মিথ্যে বলি না.
---কিন্তু কাউকে না জানিয়ে এটা ওটা নেওয়াকেই চুরি বলে .আর চুরি করে সত্য কথা বললে তো হবে না . সত্য বলা আর চুরির পেশার সাথে শত্রুতা করা এক কথা . আর এর সাথে শত্রুতা করলে তোমার ক্ষতি হবে . তুমি চুরি করে সবসময় জোর মিথ্যে বলবে . যাকে বলে -'চোরের মায়ের বড় গলা.' তুমি চুরি করে আনবে এবং বড় গলায় যাদের চুরি হয়েছে তাদের বলবে—“গত তিন রাত আগে আমাদের বাড়িতেও গিয়েছিল. প্রায় আনুমানি রাত তিনটার সময় . আমাদের হাস-মুরগির খোপের দিকে যেতেই ,সবগুলো হাস-মুরগি এক সাথে ডেকে উঠে .আমি ঘরের ভিতর থেকে" কে কে "বলতেই ভৌ দৌড়ের শব্দ শুনতে পাই . বাইরে গিয়ে দেখি কেউ নেই .তবে হাস-মুরগিগুলো ঠিক-ঠাক আছে . বোবা প্রাণী চোর বুঝতে পারে”. আচ্ছা; তুমি কি জানো? হাস-মুরগি কি জাতীয় প্রাণী?
---না.
---এরা হচ্ছে সর্বভুক প্রাণী. আমার স্ত্রী বলেছে. ধরো- টাকাগুলো নাও . এখানে খুব বেশি টাকা নেই. পনের টাকা পঁচিশ পয়সা আছে. তোমাকে চা খাওয়ার জন্য দিলাম. তুমি তো আবার চা- টা খাও, নাকি?
---হু.
---হা-হা-হা..........তুমি খুবই অবাক হচ্ছো, ব্যাপারটি আমি কিভাবে বুঝলাম ,তাই না ?
রফিক কোনো কথা বলল না . মোক্কাদ্দেস বলতে লাগলো-
---তুমি কি জানো? রাত্রে তুমি একটা ভুল করেছিলে?
রফিক মাথা নাড়ল. এমন ভাবে নাড়ালো যার অর্থ হয় -জানি আবার জানি না . কিন্তু মোক্কাদ্দেসের জানা না জানার দিকে কোনো নজর নেই .সে তার নিজের গরজেই বলতে লাগলো---
---তুমি মানি ব্যাগ নেওয়ার পর ,আমার মুখের দিকে তাকিয়েছ্লে . এবং "মদন" বলে খিক-খিক করে হেসে উঠেছিলে . আমি কিন্তু তখন সজাগ ছিলাম . কিন্তু আমি চোখ খুলিনি . কেন যেন তখন আমার মনে হয়েছিল-তুমি আমার মুখের দিকে তাকাবে . এবং হাসবে . আর এই হাসির সুত্র ধরেই সকালে গিয়ে তোমাকে ধরব . আমার হাসি বিষয়ক পরীক্ষা নেব . হা-হা-হা....পরীক্ষায় আমি পাশ. আচ্ছা আমি যাই -সবশেষে thank ইউ. মানি ব্যাগ চুরি করার জন্য .
মোক্কাদ্দেস হাটতে লাগলো . মহানন্দে . হঠাত তার এই আনন্দটা দমে গেল .সে তো মদন জাতীয় লোক ; তার তো চোরকে পরামর্শ দেওয়ার মত বুদ্ধি থাকার কথা না . এত বুদ্ধি এলো কোথা থেকে?


---আরে মোক্কাদ্দেস ভাই ; আসেন বসেন .
মোক্কাদেস হাসলো .
---হাসলেন যে?
---"মোক্কাদ্দেস" ডাকলেন তো ;
---আমি তো আপনাকে মোক্কাদ্দেস'ই ডাকি.
---আগে শুনি নি তো; তাছাড়া গতকাল মদন ডেকে ছিলেন . যাক মিষ্টিগুলো প্যাকেট করে রেখেছেন তো?
---হ্যা. এক্ষুনি নিবেন ?
---হ্যা.
---দিচ্ছি ,আপনি বসুন . ছাদেক, প্যাকেট করা মিষ্টিগুলো এখানে নিয়ে এসো. ছাদেক হচ্ছে আমাদের কাজের ছেলে . খুব ভালো মিষ্টি বানায় . ছাদেককে দিয়েই আপনার মিষ্টিগুলো বানিয়েছি . খুবই স্পেশাল ভাবে . সবাইকে তো আর সব রকম দেওয়া যায় না . আপনি তুমি বলে কথা আছে . তাছাড়াও আপনি আবার বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন . কাজেই আপনাকে আবার অত্যাধিক ভালো দেওয়া সম্ভব হলো . হা-হা-হা....জানলাম না তো ভাই, কি উপলক্ষে মিষ্টি নিচ্ছেন ?
---উপলক্ষ টুপলক্ষ কিছু না . আমার wife এর আগামীকাল এস এইচ সি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে . এর জন্যই মিষ্টিগুলো নেওয়া.
---পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে ,এর জন্য মিস্টি ? খুব ভালো .
---মিষ্টিগুলো আমার প্রতিবেশীদের জন্য . তাদেরকে দেব আর আমার স্ত্রীর জন্য দোয়া চাইব .যেন ও পরীক্ষায় ভালো করতে পারে . অল্প ভালো না. খুব ভালো .যেমন ধরেন - ও পরীক্ষায় গোল্ডেন প্লাস পেতে যাচ্ছে কিন্তু অল্পের জন্য পাছে না .তখন হবে কি এই মুরুব্বিদের দোয়াই তাকে গোল্ডেন প্লাস পাইয়ে দেবে . তাছাড়া এমনিতেই ও ছাত্রী হিসেবে খুব ভালো .এস এস সি A + পেয়েছিল . অল্পের জন্য গোল্ডেন প্লাস পায়নি . তখন আমাদের বিয়ে হয় নি . বিয়ের পর শুনলাম, ও গোল্ডেন প্লাস না পেয়ে খুব কান্না করেছিল .কান্নারই কথা . এত ভালো ছাত্রী. এবারও সে গোল্ডেন প্লাসের আশা করে .আর এর জন্য সে খুবই পরিশ্রম করে . রাতভর বই পড়ে . প্রথম প্রথম ও করত কি ? গেস্ট রুমে গিয়ে পড়ত . আমি বললাম -
---ওখানে পড়ছ কেন? বেড রুমে এসে পড়.
ও বলল --
---না , তোমার ঘুমের ডিস্টার্ব হবে.
আমি বললাম ---
---আমার কোনো ডিস্টার্ব হবে না . তুমি এখানে এসে পড় .
কিন্তু ও কিছুতেই রাজি নয় . অবশেষে আমি একটা টেবিল ল্যাম্প কিনে সমস্যার সমাধান করলাম . এখন ও বেড রুমেই পড়ে . গুন-গুনিয়ে . আমি বিছানায় শুয়ে থাকি . ও ভাবে আমি ঘুমিয়ে পরেছি . কিন্তু আমি ঘুমাই না . আমি জেগে থাকি .জেগে থেকে ওর গুন-গুনিয়ে পড়াগুলো শুনতে থাকি . শুনতে খুবই ভালো লাগে . সময় সময় খুবই ইচ্ছে হয়, ওর পাশে বসে পড়াগুলো শুনতে . ও রাতভর পড়বে . আমি রাতভর ওর পাশে বসে শুনব .বিষয়টা খুবই সুন্দর তাই না? একজন কথা বলবে ,আরেকজন নিশ্চুপ পাশে বসে থাকবে. শুধুই শুনবে.কিন্তু এটা সম্ভব নয় . আমি পাশে বসে থাকলে ওর খুব ডিস্টার্ব হয়.ডিস্টার্ব হওয়ারই কথা .কেউ এক জন পড়বে . আরেকজন মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবে. বিষয়টি খুবই বিরিক্তিকর .
মোক্কাদ্দেসের কন্ঠ ভার হয়ে এসেছে . তার কন্ঠে অন্য রকম এক অসহয়্তার সুর বাজছে . যা এই কিছুক্ষণ আগেও ছিল না .
মিষ্টির দোকানদার বলে উঠলো---
---চা খাবেন?
---খাওয়া যায়.
মোক্কাদ্দেস চায়ে চুমুক দিয়েই বলতে লাগলো---
---বুঝলেন ভাই -খুবই লক্ষী বউ .আসলে দীপ্তি নামের মেয়েরা খুবই লক্ষী হয় . আর বিদ্যান হয় . আমার স্ত্রী দীপ্তিও খুবই বিদ্যান .বিজ্ঞান বিষয়ে . বিজ্ঞানের ছাত্রী তো .বিয়ের প্রথম রাতেই আমাকে প্রশ্ন করে বসলো-" নিউটনের গতির সুত্র কয়টি?" আমি এর উত্তর পারি নি . অথচ আমিও এস এস সি তে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম . তবে ছাত্র ভালো ছিলাম না . চার বারের মাথায় পাশ করেছি .আমার ধারণা ছিল এই বিষয়টি ও(দীপ্তি) জানে না . কিন্তু ও ঠিকই জানে .খুবই বুদ্ধিমতি মেয়ে হা-হা-হা....আচ্ছা উঠি ভাই .অনেক কথা হলো .
দোকানদার হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো .সে মানুষটিকে (মোক্কাদ্দেস) সরল বলবে না বোকা বলবে বুঝতে পারল না .সরল - বোকা বলা যায় .সরল মনে হর-গর করে অনেক কথা বলে ফেলল .আবার বোকার মত এক সময় খুবই আবেগপ্লুত হয়ে পড়ছিল . আচ্ছা এরকম একটা মানুষকে কি ঠকানো যায় ? মিষ্টিগুলো ভালো দেওয়া উচিত ছিল:

****************

দীপ্তি তার ভ্রু-টা অত্যাধিক কুচকিয়ে একটি চেয়ারের উপর বসে আছে .তার বসার ভঙ্গিও অদ্ভুত .সে মাথা নিচু করে মেঝের দিকে তাকিয়ে রয়েছে .চোখের পাতাও নড়ছে না .স্থির হয়ে আছে . সে যখন অত্যাধিক রেগে যাবে . ঠিক তার আগের মহুর্তের লক্ষণ এটা .
মোক্কাদ্দেস বসে আছে তার সামনা-সামনি .খাটের উপরে .মিষ্টিগুলো তার পাশেই টেবিলের উপর রাখা আছে .সে অপেক্ষা করছে মিষ্টি বিষয়ক মন্ত্যব শোনার জন্য .তার ধারণা অল্প কিছুক্ষণ পরই দীপ্তি মিষ্টি বিষয়ক মন্ত্যব শুরু করবে .
দীপ্তি চোখ তুলে স্বামীর দিকে তাকালো . খুবই কমন চোখ . রক্ত লাল চোখে . দীপ্তির অত্যন্ত ভালো একটি বৈশিষ্ঠ হচ্ছে যে -সে অত্যন্ত রাগান্নিত্ব হয়ে যে কথাগুলো বলবে -তা বলবে খুবই ঠান্ডা গলায় . সে বলতে লাগলো ---
---শুধু শুধু তুমি মোক্কাদ্দেস থেকে মদন হও নি . তুমি কি জানো ? তোমার সব কাজই মদন জাতীয় কাজ?
জবাবে মোক্কাদেস শুধুই হাসলো .দীপ্তি বলতে লাগলো ---
---এখানে দাঁত বের করে হাসার কিছুই হয় নি .তাছাড়া তোমার দাঁত এমন গুরত্ত্বপূর্ণ কোনো বিষয় না - যে আমাকে বের করে দেখাতে হবে .আচ্ছা তুমি কি জানো? তোমাকে নিয়ে সবাই হাসা-হাসি করে .
মোক্কাদ্দেস মাথা নাড়ল .
---তোমার লজ্জা করে না ?
মোক্কাদ্দেস নিশ্চুপ .দীপ্তি বলে উঠলো ---
---আমি যা বলব .ছোট করা তার উত্তর দেবে . কথা বেশি বড় করবে না . আচ্ছা পরীক্ষা কে দেবে? আমি না তুমি?
---তুমি .
---রাত জেগে পড়াশোনা কে করে ?আমি না তুমি ?
---তুমি .
---তাহলে পরীক্ষা ভালো হবে না খারাপ হবে, এই কনফিডেন্স'টা কার থাকার দরকার?
---তোমার .
---আচ্ছা সব কিছুতেই যখন আমি .তাহলে আমার পরীক্ষা নিয়ে তোমার মাথা নস্ট করার কোনো কারণ দেখি না .আচ্ছা আজ পর্যন্ত কখনো কি শুনেছ যে -পরীক্ষার আগে মহল্লার সবাইকে মিষ্টি দিয়ে দোয়া চাওয়া হয়ছে . আচ্ছা সবাইকে মিষ্টি দিয়ে কিভাবে দোয়া চাইবে? "আমার স্ত্রী পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে ,আপনারা তার জন্য দোয়া করুন." খবরদার ;মিষ্টি এনেছো শেষ . সবাইকে দিতে চাও ok .but আমার নাম ভুলেও মুখে আনতে পারবে না . তুমি নিজে যেমন হাসির পাত্র . আমাকেও তেমন হাসির পাত্রী বানানোর চেষ্টা কর না.
মোক্কাদ্দেস ফেল-ফেল করে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে .সে যেন স্ত্রীর ভাষা বুঝছে না . তার স্ত্রী যেন জাপানিজ ভাষায় কথা বলছে . সে একদম স্ট্রং ভঙ্গিতে বসে আছে .
দীপ্তি আবার বলতে লাগলো---
---তোমাকে আগেও বলেছি . এখনো বলছি .তোমাকে আমার প্রতি এত মমতা দেখাতে হবে না . আমি মমতা পাওয়ার কোনো মেয়ে না .আমি খুবভালো মেয়ে না .ভালো মেয়েরা সবসময় স্বামীর সাথে তর্কাতর্কি করে না . সবসময় বকা-ঝকা করে না. কিন্তু আমি করি .কারণ আমি তোমার কোনো কিছুই সহ্য করতে পারি না .এমনকি তোমাকেও . বুঝি না .কেন যে নিয়তি তোমার সাথে আমাকে বেধে রেখেছে . আজ আট মাস তোমার সাথে ঘর করছি . উহ....please একটু বোঝার চেষ্ঠা কর .আমাকে ঘৃনা করতে চেষ্টা কর .
বলেই হু-হু করে কাঁদতে শুরু করলো দীপ্তি .স্ত্রীর কান্না দেখে মোক্কাদ্দেসের চোখেও পানি চলে এসেছে .কি অদ্ভুত ; সরল মনা মেয়ে .একটুতেই কেদে ফেলে .
দীপ্তি নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠলো---
---আমি বাইরে যাচ্ছি . টেবিলে ভাত আছে খেয়ে নিও .

মোক্কাদ্দেস খুবই আগ্রহ ভরে বলে উঠলো--
---আমি কি তোমার সাথে যাব?
দীপ্তি চোখটা আংশিক বড় করে তাকালো .এবং বলল ---
---না .
মোক্কাদ্দেসের আগ্রহ ভরা মুখটা মলিন হয়ে গেল .অথচ এত বকা-বকিতেও যেটা হয় নি .কারণ স্ত্রীর বকাকে তার কাছে বকা মনে হয় না . মনে হয় জ্ঞানের কথা . কি অদ্ভুত ; বকবে অথচ ঠান্ডা গলায় .সময় সময় তার বলতে ইচ্ছে করে -"একবার চেচিয়ে বোক তো? দেখি কি রকম শোনায়?" কিন্তু বলা হয় না . বলা হয় না অনেক কিছুই .বিয়ের পর থেকেই দীপ্তি চুপ-চাপ থাকে . কথা বলে . কিন্তু তার সাথে কখনো হাসা-হাসি করে না . নিজের স্বামীর সাথে হাসা-হাসি করে না .কি অদ্ভুত . অথচ কেউ একজন ফোন করেছে .তার সাথে কথা বলছে . আর হাসছে .এ হাসি শুধুই হাসি নয় .অন্য রকম হাসি .রাত -দুপুরেও এ হাসি শোনা যায় . দীপ্তিকে যে ব্যক্তি এ রকম হাসায় .সে আর কেও নয়, তার মহা-মানব . মহা-মানব হচ্ছে তার প্রাইভেট শিক্ষক .এই মহা-মানব তাকে ক্লাস নাইন থেকে তাকে প্রাইভেট পরিয়েই যাচ্ছে .মোক্কাদ্দেসের খুবই বলতে ইচ্ছে করে "এই মহা-মানবের কাছে আর প্রাইভেট পড় না .যে শিক্ষক ছাত্রীর সাথে শুধুই হাস-হাসি করে . জ্ঞানের কথা বলে না .সে মোটেও ভালো শিক্ষক নয় ." কিন্তু এটাও তার বলা হয় না .বলা হয় না -তুমি আমার সাথে হাসা-হাসি কর না কেন ?তুমি কি আমাকে পেয়ে খুশি নও ? কাউকে জিগ্গেসও করা হয় না .এত ভালো ছাত্রীর কেন এত শিগ্রই বিয়ে দেওয়া হলো ? কেউ একজন বুদ্ধি করে তাকে বলেও না . বলার কথাও না . সে তো মদন .মদনদের এত কথা জেনে লাভ নেই . কিন্তু তার মা-বাবা বেচে থাকলে নিশ্চই জানতে চাইতো ?






মোক্কাদ্দেসের হাতে দশ কেজি মিষ্টি .তাকে খুবই আনন্দিত মনে হচ্ছে . আনন্দিত হবারই কথা . আর অল্প কিছুক্ষণ পরই এস এইস সি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবে .সবাই কত্ত চিন্তিত . কিন্তু মোক্কাদ্দেস চিন্তিত নয়. এমন কি তার স্ত্রীও .আজ সকালেই তারা দুজনে খুবই হাসা-হাসি করেছে .বিবাহিত জীবনের এটাই তাদের গভীর হাসা-হাসির প্রথম পর্ব .হাসা-হাসির পর্বটাও শুরু হয়েছে খুবই অন্য রকম ভাবে .
সকালে মোক্কাদ্দেস ঘুমাচ্ছিলো .হঠাত আলত হাতের স্পর্শে তার ঘুম ভাঙ্গে .স্ত্রীর হাতের স্পর্শে .স্ত্রী তার মাথায় হাত বুলাচ্ছে .তাকে চোখ খুলতে দেখেই সে মৃদু হেসে বলল --
---উঠে বস . চা রেডি .
মোক্কাদ্দেস উঠে বসলো .এবং খুবই আগ্রহ ভরে স্ত্রীকে দেখতে লাগলো .দীপ্তি বলে উঠলো-----
---কি দেখছ?
---কিছু না .তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে .
দীপ্তি হাসলো .এবং বলল---
---ধন্যবাদ . তোমাকেউ খুব সুন্দর লাগছে .
মোক্কাদ্দেসও হাসলো . এই প্রথম স্ত্রী তার প্রশংসা করলো .জবাবে thank you বলা দরকার . মোক্কাদ্দেস বলতে পারল না . সে সংকোচ বোধ করলো .সে আমতা-আমতা করে বলে উঠলো--
---একটা কথা বলব?
---হি-হি-হি....বল?
---তোমাকে একটা চিমটি দেব . তোমার গালে .
দীপ্তি হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ল .এবং তার গালটা এগিয়ে দিয়ে বলল --
---দাও.
আজ এরকম একটা সুন্দর সকাল দিয়ে দিনটা শুরু হয়েছে . তার খুবই আফসোস লাগছে . এরকম সুন্দর সকাল এত দেরিতে আসলো কেন?
এই সুন্দর দিনটাকে আর একটু সুন্দর করা দরকার ছিল . কোনো পার্টি -ফার্টি দিয়ে .ভুরি-ভোজ জাতীয় কিছু একটা . কিন্তু এটা সম্ভব নয় .স্ত্রীর পারমিশন নেওয়া হয়নি .অবশ্য তার পারমিশন ছাড়া সারপ্রাইজের মত একটা বিষয় করা যায় . হুট করেই মহা-মানবকে তার সামনে এনে দার করিয়ে দেওয়া . কিন্তু এটাও সম্ভব নয় . কারণ মহা-মানবের কোনো ঠিকানায় তার জানা নাই .আচ্ছা দীপ্তির কাছে চাইলেই তো পাওয়া যেতে পারে ? দীপ্তি কি দেবে তার ঠিকানা ? কেন দেবে না ?সে তো শুধুই তার মাস্টার . মহামানব মাস্টার .
---দীপ্তি .....দীপ্তি . কোথায় গেলে . এখানে আসো. মিষ্টিগুলো নাও .
দীপ্তি আসলো না . আসার কথাও না . কারণ দীপ্তি ঘরে নেই . দীপ্তি কোথায় যেতে পারে? মোক্কাদ্দেসের মনে এ ধরনের কোনো প্রশ্নও নেই .প্রশ্ন থাকার কথাও না. কারণ মাঝে মাঝেই দীপ্তি এভাবেই বাইরে যায় .তার সেই মহা-মানবের কাছে . নয়তো কোনো বান্ধবীর কাছে . আজও হয়ত তাই . হঠাত মোক্কাদ্দেস খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ল .চিন্তার বিষয় রেজাল্ট ."'আচ্ছা এবারও যদি ও(দীপ্তি) গোল্ডেন প্লাস না পায় ? ও কি খুব কাঁদবে? সুন্দর দিনেও কান্না-কাটি?". মোক্কাদ্দেস মনে প্রাণে চাইছে -এবার যেন কান্না-কাটি বিষয়ক কোনো রেজাল্ট না হয়? তবুও তার মনের ছোট-ফোটানি বেড়ে যায় .
মোক্কাদ্দেসের মোবাইলে রিং বেজে উঠে . কে ?দীপ্তি ?না দীপ্তি নয় . কলেজ থেকে মোসলেম চাচা ফোন করেছে ---
---হ্যালো .ভাতিজা ? তারা-তারি মিষ্টির ব্যবস্থা কর . বৌমা তো নাম করে ফেলেছে ভাতিজা হা-হা-হা... গোল্ডেন প্লাস পেয়েছে . এবং কলেজ থেকে একটাই গোল্ডেন প্লাস হা-হা-হা.....মিষ্টিগুলো প্লেটে রাখো . সাথে রস-মালাই এক্ষুনি আমরা চার-পাচ জন শিক্ষক আসছি .বৌমাকে সারপ্রাইজ দেব হা-হা-...মফস্বলে থেকে এত ভালো রেজাল্ট? হা-হা-হা.....
মোক্কাদ্দেস চুপ হয়ে গেল .সে কোনো কথা না বলেই ফোনটা কেটে দিল .এমন খুশির খবরে ইয়া-হু বলে চেচিয়ে উঠা যায় .কিন্তু সে তা করতে পারল না .সে ভীষণ আনন্দে কেদে ফেলল . কি অদ্ভুত ?কান্না দু-প্রকারের হয় ?আনন্দে আমি কাঁদছি ?মোক্কাদ্দেস এবার হাসতে চেষ্টা করলো .কি আশ্চর্য : হাসির মধ্যেও চোখে পানি চলে আসছে ? কেন ? এত আনন্দ মানুষের মনে? অথচ যাকে নিয়ে আনন্দ করার কথা সেই নেই ? এটা কি করে হয়? এমন একটা দিনে ও থাকবে না : বাইরে ঘোরা-ঘুড়ি করবে .দুষ্ট মেয়ে একটা . দুষ্ট না বোকা . শুধু বোকা না, বোকার হাড্ডি . মোক্কাদ্দেসের মনে অভিমান জমে গেল . সে ভাবলো- আজ স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বাঁকা হয়ে থাকবে .সহজে সোজা হবে না . স্ত্রী হাজার ডাকা-ডাকি করলেও কোনো জবাব দেবে না . ঘুমের ভান করে পড়ে থাকবে .
মোক্কাদ্দেস শুয়ে আছে . চিত হয়ে . তার ডান পাশেই চিঠির মত একটা কাগজ পরে আছে . মোক্কাদ্দেসের ইচ্ছে হচ্ছে না সেটা তুলতে .কারণ সে দেখতে পাচ্ছে লেখাগুলো দীপ্তির . নিশ্চয় কোনো কবিতা ? সে (দীপ্তি) মাঝে মাঝেই এরকম কবিতা লিখে এখানে সেখানে ফেলে রাখে . কোনো দিন রবীন্দ্রনাথ ,কোনো দিন কাজী নজরুল ইসলাম. আবার কোনো কোনো দিন হয়ত বা জীবনান্দ দাসের কবিতা . আজকেরটাও হয়ত বনলতা-ঠনলতা সেন জাতীয় কোনো কবিতা . মোক্কাদ্দেস হেসে উঠে. বিজ্ঞানের ছাত্রীর কবিতা প্রেম: অনিচ্ছা সত্বেও মোক্কাদ্দেস কাগজটি তুলে নেয়-
"ক্ষমা কর .সাধারণত শুরুতেই কেউ এ ধরনের কথা লেখে না . আমি লিখলাম .কারণ কেউ যেটা করতে পারবে না . সেটা আমি করতে যাচ্ছি . আসলে তোমাকে তুমি সম্বন্ধন করতে আমি ভয় পাচ্ছি .কারণ কাউকে তুমি বলতে গেলে তার খুবই আপন হতে হয় . কিন্তু আমি তোমার আপন হতে পারি নি . তোমার সাথে আট-নয় মাস সংসার করার পরও .
আচ্ছা তুমি বলতে পারো ? মানুষের ভিতরটা এত খারাপ হয় কেন? আমি তোমার সাথে রাতের পর রাত কাটাই . খাওয়া -দাওয়া করি . এক কোথায় সংসার করি . তার পরও আমার ভিতরে তুমি ছাড়াও যেন অন্য কেউ একজন বাস করে .আচ্ছা আমার তো একজন সক্ষম স্বামী আছে .সব কিছুই আছে .তারপরও আমার ভিতরে অন্য একজন বাস করবে কেন?তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানি না. আমি খুবই চেষ্টা করেছি . তাকে আমার ভিতর থেকে বের করে দিতে .কিন্তু পারি নি. আমি হেরে গেছি আমার নিজের কাছে .আর মাঝ রাতে ফুপিয়ে- ফুপিয়ে কেদেছি .তোমার কপাল ছুতে চেয়েও ছুতে পারি নি .তখন মনে হয়েছে আমার পাপ হচ্ছে . আচ্ছা নিজের স্বামীর কপাল ছোয়া পাপ হয় কি করে ? আমি নিজেকে এধরনের প্রশ্নও করেছি .কিন্তু এর উত্তর পাই নি . যার কারণে প্রত্যেক দিন আমি তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি .যাতে তুমি আমকে ঘৃনা কর .কিন্তু তুমি তা না করে সরল মনে আমাকে আরো গভীরভাবে ভালোবেসেছ .আচ্ছা এ যুগে মানুষ এত সরল হয় ?
সময় সময় তোমার এই সরলতার প্রতি আমার খুব রাগ হয় .তোমার এই সরলতার জন্যই তোমার নাম আজ মদন হয়েছে .অবশ্য মদন নাম ঠিক আছে . কারণ যারা খুব সরল হয় .তারা খুব বোকা হয় . আর বোকারাই হয় মদন . আর তোমার এই সরলতা কে সরলতা বলব না .বলব মদনতা .তোমার ভিতরে এত মদনতা যে -আমি কথাও যেতে চাইলে তুমি মদনের মত বলতে- "আমি কি তোমার সাথে যাব?" কেন তুমি বলতে পারো না - "তুমি কোথায় যাও ? ওখানে যেও না , ওটা ভালো না. এটা ভালো ".কেন ? কেন তোমার ভিতরে এত মদনতা .আমি আমার মহা-মানবের গল্প তোমার কাছে অকপটে বলে যাচ্ছি .তুমি তা আগ্রহভরে শুনে যাচ্ছ . কোনো প্রতিবাদ করছ না . কেন ?আমার প্রতি তোমার এত বিশ্বাসের মানে হয়?আমি তো কোনো সময়ও বিশ্বাস করার মত কাজ করি নি . সবসময়ই মহা-মানবের প্রসঙ্গ নিয়ে তোমার সাথে লেগে যাচ্ছি .তারপরও তুমি বিশ্বাস করেছ . এটা কি তোমার মদনতা নয় ? আচ্ছা তুমি এত মদন কেন? এবার তোমাকে আরেকটু মদন বানিয়ে দিয়ে যাচ্ছি .তোমার ড্রয়ার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছি .জানি এই টাকার কথা তুমি কাউকে বলবে না . তোমার মদনতা তোমাকে বলতে দেবে না . আর কি ?ভালো থেক . এই জাহান্নামী'কে ভুলে যাও.
পরিশেষে :তুমি আমাকে অভিশাপ দিয়ে দাও .খুব খারাপ অভিশাপ .আমার মহা-মানব যেন খুব খারাপ হয় .প্রত্যেক দিন সকালে আমার চুলের মুঠো ধরে যেন দু-গালে দুটো চর মারে . আর বিকেলে একটা লাথি .please ,অবশ্যই আমাকে অভিশাপ দেবে . তোমার মন খুবই সরল .পবিত্র মন .দেখবে তোমার অভিশাপ সত্যি সত্যি লেগে গেছে .আমি মহা-মানবের চড়-লাথি খেয়ে কাঁদছি . আর তোমাকে মিস করছি . ঠিক তোমার ওখানে যেমন মহা-মানবকে মিস করেছি .এখানেও তেমনি তোমাকে মিস করতে চাই . বেশি বেশি করে তোমার সরলতাকে .
বিশেষ করে তুমি এত সরল থেকে না . চালাক হওয়ার চেষ্টা কর .”
মোক্কাদ্দেসের চোখে পানি গড়িয়ে পড়ছে . সে কি কাঁদছে ? কিন্তু কাঁদছে কেন? সে তো মদন . মদনারা তার সরলতার জন্য অবাক হবে .কাদবে না . কিন্তু সে কাঁদছে.বালিশে মুখ গুজে গুমরে-গুমড়ে কাঁদছে .এমন সময় বাইরে থেকে কেউ যেন গলা ঝেড়ে ডাকছে.
----ভাতিজা ...ও ভাতিজা . দরজা খোল ..
মোসলেম চাচা ডাকছে . মোসলেম চাচা তার আপন কেউ নয় .সে নিশ্চয় এই ঘটনাটি সবার কাছে ঢোল দিয়ে বেড়াবে .শিক্ষিত লোকেরও অনেক খারাপ গুন থাকে .তার গুন হচ্ছে মানুষের লজ্জাকর ঘটনাগুলো সবার কাছে প্রচার করা .আচ্ছা বউ পালানো কি লজ্জাকর ঘটনার মধ্য পড়ে ?
মোক্কাদ্দেসের কান্নার বেগ বেড়ে গেল .
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আবুযর গিফারী ভালো গল্প উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আবুযর গিফারী ভালো গল্প উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আবুযর গিফারী ভালো গল্প উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইমরান আলম অনেক ভালো লাগলো
মামুন ম. আজিজ আরেকটু রিভিউ দরকার তাতে মোনোটোনাসটা কমবে...নামকরনটা খুব চোখে লাগছে..তবে আপনার রম্য ভাব আছে ..লেখার হাতও আছে বোঝা যায়। অভিনন্দন
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া .
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ............................সরল মানেই বোকা নয়। খুবই ভাল লেগেছে গল্পটা। শুভেচ্ছা রইল।
সরল মানেই বোকা নয় কথাটা খুবই সত্য ভাইয়া. তবে আমার কাছে মনে হয় -মানুষকে অনেক ক্ষেত্রেই তার সরলতা তাকে খুবই বোকা বানিয়ে দেয় .মাফ করবেন ভাইয়া এটা আমার ধারণা .আর গল্পটি পড়ার আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ .
প্রিয়ম অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে |
জিনিয়া আমার মনে হয় আপনি হুমায়ন আহমেদের বই খুব বেশি পরেন..আপনার গল্পের চরিত্র গুলোতে হুমায়ন এর প্রভাব খুব ই প্রকট. ধন্যবাদ.
ঠিক ধরেছেন.অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য.
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ আজ আট মাস তোমার সাথে ঘর করছি . উহ....please একটু বোঝার চেষ্ঠা কর .আমাকে ঘৃনা করতে চেষ্টা কর . ----- বাহ অসাধারন আবেদন ইমরান ভাই ! ভোট বন্ধ বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না ! শুভ কামনা ।
ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় করে গল্পটি পড়ার জন্য.
আহমেদ সাবের "আমার মনে হয় না ,ভোট পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে" - আপনার 'এ কথাটা মেনে নিতে পারলাম না। যে সুন্দর ভাবে একজন সরল মানুষ "মোহাম্মদ মোক্কাদ্দেস" 'এর চরিত্র আঁকলেন, তাতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। সাবলীল লেখা সাথে কিছুটা হিউমার। আমার অনেক পছন্দের গল্পটা।
ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ .তাছাড়া একটা বিষয়ে আমি খুবই অবাক হচ্ছি_আপনারা সবাই আমাকে আপনি আপনি করে বলছেন.আসলে আমাকে আপনি আপনি বলার কোনো দরকার নেই .সবাই আমাকে তুমি তুমি করে বলবেন. Karon আমার চেহারাটাই তুমি তুমি জাতীয় চেহারা.

০২ সেপ্টেম্বর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪