আঁধারি

ভয় (এপ্রিল ২০১৫)

মবিন সরকার
  • ১০
  • ৫৯
অমানিসার অন্ধকারে নিভু নিভু বাতি জ্বলছে ঠিক এমনি সময় জিয়া বলল আমার ভাইয়ের বিয়ে, তোকে বিয়ের জিনিস-পত্র কিনে আনতে হবে; আমি এমনি সময় বাজারে গেলাম বাজারে গিয়ে বিয়ের ঘর সাজানোর জন্য কিছু জিনিস পত্র কিনে নিলাম। জিনিস পত্র কেনার পর আমাকে যেতে হল অনেক দূরে। বাস থেকে নামার পরে কোন বাস পেলাম না যাওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে, রাত্রি তখন প্রায় সারে ১০ টা বাজে বাস এবং অন্যান যানবাহন না পাওয়ায় পাকা রা¯—া ধরে হাঁটতে শুর“ করলাম। হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর এগিয়ে গেলাম তারপর একজন সাইকেল আরহী আমাকে বলল কোথায় যাবেন, আমি তাকে বললাম আমি পানিহার যাব; লোকটি বলল সে তো অনেক দূরে, আমার সাইকেলে বসেন। আমি তার সাইকেলে বসলাম। সে তার কথা বলতে শুর“ করল, আমি তার কথা শুনতে থাকলাম, তার মুখ দিয়ে গন্ধ বের হচ্ছিল আর বাতাসে সে গন্ধ গুলো আমার নাকে এসে লাগছিল। আমি অনুমান করতে পেরেছিলাম যে সেটা তাড়ি খাবার গন্ধ। যা হোক তিনি আমাকে কিছু দূর এগিয়ে দিয়ে বললেন,“এখানে আমার বাড়ি, আপনি হেটে চলে যান”, আমি তার সাইকেল থেকে নেমে গেলাম, নামার পরে আবার হাঁটতে লাগলাম। আঁধার ক্রমশই বাড়ছে আর আমার মনে মৃদু মৃদু ভয় হচ্ছে; ভয় টা হলো শৃগালের। শৃগাল যদি বুঝতে পারে যে, আমি একাকি হেঁটে যাচ্ছি তা হলে তারা আমাকে তাড়া করবে এবং খেয়ে ফেলবে। মনে একটু করে সাহস যোগাচ্ছি আবার ভয়ও করছি। পাকা রা¯—া পার হওয়ার পর আমি আঁকা বাঁকা পথ ধরলাম, আঁকা বাঁকা পথ মানে হল জমির আইল পথ। কিছু দূর যেতেই দেখলাম একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে আমার ঠিক সামনে! আমি হঠাৎ করে চমকিয়ে উঠলাম, তার কাছে না গিয়ে তাকে ডাকতে থাকলাম,“কে আপনি, এই যে শুনছেন? তার কথার কোন উত্তর পেলাম না। ক্রমশই আমি তার দিকে যেতে থাকলাম, তাকে যতবার প্রশ্ন করছি কিন্তু কোন উত্তর পাচ্ছিনা, ভয়ে আমার গাঁ শিউরে উঠলো তারপরেও আমি হাঁঠতে থাকলাম। আবার কিছুদূর যাবার পর দেখলাম সেটা মানুষ নয় আবার ভূতও নয় সেটা ছিল একটি ছোট তালগাছ। আমার মনের ভয়টা ভেঙ্গে গেল। আমি আবার পাথ হাঁটা শুর“ করলাম। জনমানবহীন একটি প্রাš—র আর আমি একাকি পথ হাঁটছি কোন সঙ্গীহিন। কিছু দূর যাবার পর একটি বড় চওড়া নালা পড়লো সামনে সেই নালায় শৃগালের আখড়া। কিছু পানি ছিল তাতে। আমি সাহস করে সেই নালাটি পার হলাম, তার পর একটি খড়ের বাড়ি ছিল তাও জনমানবহীন, সেটাকে বাড়ি বলা যায় না, অস্থায়ী বাড়ি বলা যায়। ধান বা অন্যান ফসল তোলার সময় সেখানে মানুষ থাকে এবং পাহারা দেয়। ঠিক তার সামনে একটি বড় পুকুর ছিল কিন্তু কি অদ্ভুত ব্যাপার সেই পুকুরে মাঝে মাঝে কিছু আলো জ্বলছিল, আবার নিভছিল আমি দৃশটা দেখে একটু বিস্মীত হয়েছিলাম। একটু দাড়িয়ে দেখলাম যে সেগুলো কি আসলোই আগুন না জোনাকির আলো কিন্তু সেগুলো জোনাকির আলো নয়। শুনেছিলাম যে, জ্বিনেরা বা ভূতেরা এ রকম আলো জ্বালায় আমার মনে ভীতির সৃষ্টি হলো; আমি একমূহুর্ত না থেমে আবার হাঁটতে লাগলাম। অনেক ভয়ভীতির পরে, প্রাš—র পেরিয়ে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছলাম। বাড়িতে গিয়ে সব জিনিস পত্র গুলো বুঝিয়ে দিলাম। বাড়ির লোকজন বলল, ভয় পেয়েছিস নাকি? আমি বললাম যে, না ভয় পাইনি কিন্তু ভয়টা আমার মনে বাসা বাধেঁ। যা হোক ঘর সাজাতে লাগলাম, ঘর সাজানোর সময় আমরা সবাই খুব আনন্দ করলাম; তারপর বিয়ে হয়ে গেল। অনেক দিন পর জানতে পারলাম যে, পুকুরে এক ধরনের গ্যাস তৈরী হয়, যে গ্যাস বাতাসের সংস্পশে আসলে জ্বলে ওঠে একথা জানার পর আমার ভয়টা ভাঙ্গল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাসরিন চৌধুরী লেখাটি ভাল হয়েছে। কিন্তু প্যারা করে লিখতে পাঠকের জন্য পাঠ করা আরও সহজ হত। কিছু বানান ছুটে গেছে। শুভকামনা জানবেন
এস আহমেদ লিটন ভয় ভেঙ্গেছে, আশা করি আর ধারের কাছেও আসতে পারবে না। অনেক সুন্দর ধন্যবাদ।
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো একটি লেখা ।।
ফরহাদ সিকদার সুজন ভালো লাগলো ভাই চালিয়ে যান........ ভোট রইল। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো ভাই।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ আচ্ছা, যখন আপনি বাতি জ্বলে ওঠার রহস্যটা জানতে পারলেন তখন আপনার হাসি পায় নি ? আমি কিন্তু গল্পের লেখককে নয় “আমি” কে বলছি । ছোট্র পরিসরে সুন্দর গল্পটা বেশ ভাল লাগল ।
শামীম খান বেশ ভৌতিক একটা আবহ তৈরি হয়েছিল । তবে ভয় পেতে দিবেন না পরিকল্পনা করেই লিখেছেন । ভাল লেগেছে আপনার গল্পটি । শুভ কামনা আর ভোট রইল ।
ফারুক নুর ভয়কে জয় করার কি সুন্দর বর্ণনা !
আখতারুজ্জামান সোহাগ ছোট পরিসরে লেখা গল্প, বর্ণনা করেছেন কিভাবে ভয়কে জয় করে পৌঁছে গেছেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। ভালো লেগেছে গল্প। শুভকামনা আপনার জন্য।

১৫ মার্চ - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪