একটি বড় বার্গার

নতুন (এপ্রিল ২০১২)

মবিন সরকার
  • ১১
  • 0
  • ২৫
একটি বার্গার। বার্গারটি বড়। বার্গারটার দাম আনুমানিক ২৫ টাকা। বার্গার খেতে সবাই ভালবাসে। জন স্কুল। স্কুলটি বড়। স্কুলের মাঠটি বিস্তৃত। এই স্কুলের মাঠে স্কুলের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে। স্কুলে আনুমানিক ৫০০ জন ছাত্র ছাত্রি আছে। স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে প্রায় ১০০ জন ছাত্র ছাত্রি আছে। একদিন জন নামের একটি ছেলের দুপুর বেলা খিদা পেল। সে মনে করল যে সে একটি বার্গার কিনে খাবে। তাই সে একটি দোকানে গেল। দোকানটি বেশ বড়। সে দোকানে ৮ টি কর্মচারি আছে। দোকানটিকে একটি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর বলা যায়। জন দোকানটিতে ঢোকার সময় একজন বলল, কি নিবা। জন বলল আমি একটি বড় বার্গার নিব। আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন। লোকটি বলল হ্যা আমি তোমাকে সাহায্য করব। তারপর লোকটি তাকে ডেকে নিয়ে গেল দোকানের একটি কোনায় যেখানে বার্গার রাখা আছে। জন বার্গার গুলো দেখে লোকটিকে একটি বার্গার দিতে বলল। লোকটি জনকে একটি বার্গার দিল। বার্গাটি নেয়ার পর জন বিল পরিশোধ করার জন্য কাউন্টারে গেল এবং কত দিতে হবে তা কাউন্টারম্যানকে বলল। কাউন্টার ম্যান বলল ২৫ টাকা। জন সেই লোকটিকে ২৫ টাকা দিয়ে দিল এবং বার্গারটি হাতে নিয়ে তার বন্ধুদের কাছে আসল। জনের বন্ধুরা বলল কি নিয়ে আসলে। জন বলল আমি একটি বার্গার নিয়ে এসেছি। বন্ধুদের মদ্ধ্যে একজন বলল আমি আজকে স্কুলে আসার সময় টিফিন নিয়ে আসিনি তুমিকি আমাকে একটু বার্গার দিবে? জন তাকে বলল অবস্যই দিব। তুমি আমার কাছে আস । আমরা বার্গারটি ভাগাভাগি করে খাই। জন বার্গার টিকে দুই ভাগ করল। দুই ভাগ করার সময় দেখে যে, বাগারের ভিতরে একটি তেলাপোকা। জন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকল বার্গারটির দিকে। তার বন্ধ্ও অবাক। অবশেষে তার বন্ধু বলল আমরা যেয়ে বার্গাটি ফেরত দিয়ে আসি। দুই বন্ধু মিলে বার্গারটি নিয়ে গেল সেই দোকানদারের কাছে। জন দোকানদারকে বার্গরটি দেখাল। দোকানদার বার্গার টি দেখল এবং বলল বার্গারের ভিতরে তেলাপোকা আসল কি করে? জন বলল আমি বাগারটি ভাগ করতে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। দোকানদার বলল আমার বার্গারে তো তেলাপোকা ছিলনা। জন তাকে জিজ্ঞাসা করল যে , আপনিকি বার্গারটি ভেঙে দেখেছেন? লোকটি বলল যে, সে বার্গাটি ভেঙে দেখেনি। জন বলল বার্গারটি ফিরোত নিয়ে আরেকটি বার্গার দেন। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক বার্গার দিতে অস্বিকার করল। জন বার্গারটি নিয়ে ফিরে আসল বন্ধুদের কাছে। বন্ধুরা বলল যে বার্গারটি ফিরোত নিয়েছে কিনা। জন বলল যে, বার্গারটি ফিরোত নেয়নি। বন্ধুদের মদ্ধ্যে একজন বলল যে, দোকানদারকে একটি উচিৎ শিক্ষা দেয়া উচিৎ। জন বলল বার্গার একটি পুলিশকে দেখাবে তারপর পুলিশ লোকটিকে উচিৎ শিক্ষা দিবে। তিনজন বন্ধু আর জন তারা সবাই পুলিশকে খুজতে লাগল সেই বার্গারটি হাতে নিয়ে। কিছুক্ষণ খোজার পর তারা একটি পুলিশ দেখতে পেল। তারা সবাই মিলে পুলিশটির কাছে দৌড়ে গেল। পুলিশটি তাদেরকে জিঙ্গাসা করল যে, তারা কেন তার কাছে এসেছে। জন বলল যে সে একটি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর থেকে একটি বার্গার কিনেছে কিন্তু বার্গারটি ভাঙতে গিয়ে দেখে যে তার মদ্ধ্যে একটি তেলাপোকা এবং বিষয়টি ষ্টোরের মালিককে জানালে সে সেটা ফেরৎ নিতে অস্বিকার করে। ব্যাপারটা জানার পর পুলিশটি তাদের সঙ্গে করে সেই ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে গেল এবং ষ্টোর কিপারকে জিঙ্গাসা করল যে বার্গারটির ভিতরে তেলাপোকা কেন। কিনতু ষ্টোর কিপার তা স্বিকার করলনা। পুলিশটি ষ্টোর কিপারকে একটি বার্গার নিয়ে আসার কথা বলল। ষ্টোর কিপার একটি বার্গার নিয়ে আসল এবং পুলিশটিকে দিল। পুলিশটি বার্গারটি ভাঙল। ভাঙতে গিয়ে দেখে যে, বার্গারের ভিতরে একটি তেলাপোকা। পুলিশটি সঙ্গে সঙ্গে ষ্টোর কিপারকে এরেষ্ট করল। ষ্টোর কিপারটি পুলিশকে জানাল যে, সে এ বিষয়ে কিছুই জানেনা। পুলিশটি ষ্টোর কিপারকে বলল যে , যে বিষয়টি জানে তাকে ধরা হবে তুমি অপরাধি নাহলে ছাড়া পাবে। তারপর পুলিশটি জনকে বলল যে তুমি অন্য কিছু কিনে খাও। জনকে বলে পুলিশটি সেই ষ্টোর কিপারকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেল। থানায় গিয়ে পুলিশটি তাকে জিঙ্গাসা করল যে, সেই বার্গারগুলো তারা কোথা থেকে কিনে। ষ্টোর কিপার তাকে জানালো যে সেটা সম্বন্ধে তার নিয়োগ কর্তা জানেন সে শুধুমাত্র একজন কর্মচারি। পুলিশটি তাকে জিজ্ঞাসা করে ও একটি কাগজের উপরে তার বক্তব্য লিখে সই করিয়ে নিল। তারপর তাকে ছেড়ে দিল। পরের দিন থানা থেকে একদল পুলিশ সেই দোকানদারের কাছে গেল। দেকানদারকে জিজ্ঞাসা করল যে সেই বার্গারগুলো কোথা থেকে কেনা হয়। দোকানদার বলল এব্যাপারে তার মালিক জানে। তারপর পুলিশগুলো সেই দোকানের মালিকের ঠিকানা চাইল। দোকানদারটি দোকান মালিকের ঠিকানা দিল। পুলিশগুলো ঠিকানা পেয়ে সরাসরি তার মালিকের কাছে চলেগেল। দোকান মালিক জিজ্ঞাসা করল যে, পুলিশগুলো তার কাছে কেন এসেছে। পুলিশগুলো তাকে জানাল যে তার দোকানে যে বর্গারগুলো আছে তার ভিতরে তেলাপোকা পাওয়া গেছে। পুলিশগুলো তাকে জিজ্ঞাসা করল যে বার্গার গুলো কোথা থেকে কেনা হয়। দেকান মালিক পুলিশগুলোকে সেই ফ্যাক্টরির ঠিকানা দিল। পরের দিন। সকালটা বেশ চমৎকার। জন তার বন্ধুদের নিয়ে স্কুলে খেলা করছে। জন ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। তারা দশজন বন্ধু মিলে ফুটবল খেলছিল। ঠিক এমনি সময় পুলিশগুলো সেই বার্গার ফ্যাক্টরিতে গেল। বার্গার ফ্যাক্টরিটি বেশি বড় নয়। এক ফ্লোর বিশিষ্ট। তারা বার্গার ফ্যাক্টরিতে গিয়ে সকল কর্মচারিকে দাঁড়াতে বলল। কর্মচারীরা সকলেই হতভম্ব। হঠাৎ পুলিশকে আসতে দেখে তারা সকলেই ভয় পেয়ে গেল। পুলিশ গুলো তাদেরকে জিজ্ঞাসা করল যে, কোথায় তারা বার্গার বানাচ্ছে। কর্মচারীদের মধ্যে একজন বলল যে এখানে। একজন কর্তব্যরত পুলিশ সেদিকে এগিয়ে গেল এবং দেখল যে যেখানে বার্গার বানান হচ্ছে সে জায়গাটি অস্বাস্থকর। পুলিশটি জিজ্ঞাসা করল যে, এরকম পরিবেশ হওয়ার কারন কি। কর্মচারীটি বলল যে তার মালিকের অবহেলার কারনে।
পুলিশটি তাকে বলল এই দ্বায়িত্ব তো কর্মচারীদের। পুলিশটি বার্গার যে বানায় তাকে এ্যারেষ্ট করল তারপর ফ্যাক্টরির মালিককে এ্যারেষ্ট করল। পরের দিন। সকাল বেলা জন স্কুলে গেছে । একটি ক্লাশ হয়েছে তারপর জন ক্লাশের বাইরে এসে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছে ঠিক এমনি সময় সেই পুলিশটি, যে পুলিশটির সঙ্গে জন কথা বলেছিল সে তার কাছে গেল। পুলিশটি তাকে বলল যে সে বার্গার খাবে কিনা। জন বলল যে সে বার্গার খাবেনা। পুলিশটি তাকে একটি বার্গার দিল এবং বার্গারটিকে ভাংতে বলল। জন বার্গারটি ভাংল এরং দেখল যে সে বার্গারে কোন তেলাপোকা নাই।

সমাপ্ত

ভাল কর্মে ভাল ফল , খারাপ কর্মে খারাপ ফল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য গল্পের থিম এবং উদ্দেশ্য ভাল লেগেছে। তবে বাক্যগঠনে কিছুটা উদাসীনতাও লক্ষ্যনীয়। লেখার পর একটু পড়ে নিলে কিছু ভুল নিজের কাছেই ধরা দিবে। আর গল্পে যে কোন বস্তু, চরিত্র যোগ করতে হলে প্রথমে তার জন্য বাস্তব প্রেক্ষাপট তৈরি করে নিতে হয়। [আদর্শ শান্তি নিকেতন, বেশ বড়মাপের একটি বিদ্যাপিঠ। প্রশস্ত খেলার মাঠ, সুসিজ্জত দৃষ্টিনন্দন বাগানে স্কুলটিকে ছাত্রছাত্রীদের সর্গরাজ্য বলা যায়। প্রায় হাজারখানেক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে এখানে। জন আরো প্রায় শখানেক ছাত্রছাত্রীর সাথে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ছে............. বাক্যগুলো এভাবে সাজালে ছোট-বড় সবার উপযোগী হয়ে উঠবে। আশা করব আলোচনা গঠনমূলক দৃষ্টিকোনেই মাপা হবে।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি কাচা হাতের লেখা....ভালো না লাগলেও বলবো প্রচেষ্টা ভালো...তো ছেষ্টা করে যান...আগামীর অপেক্ষায় থাকলাম......
সেলিনা ইসলাম প্রথমেই স্বাগতম জানাচ্ছি - বেশ শিক্ষণীয় গল্প যদিও শিশু চরিত্র দিয়ে লেখা হয়েছে তবে বড়দের জন্য বিদ্রূপটা বেশ নিখুঁতভাবেই ফুটিয়েছেন । একটা নতুন দিগন্তের প্রত্যয় ভাল লাগল । আপনার লেখার গাঁথুনি একদম খারাপ নয় তবে আরো একটু সচেতন হতে হবে বলে মনে হল । লেখা প্যারা করে দিলে দেখতেও সুন্দর হবে এবং পাঠকেরও পড়তে সুবিধা হবে । পাঠকদের দেয়া পরামর্শগুলো মেনে নিয়ে লিখতে থাকুন এমন শিক্ষণীয় লেখা । নিজে লিখুন এবং অন্যের লেখাও পড়ুন সেই শুভকামনায় ধন্যযোগ
মামুন ম. আজিজ আপনার মধ্যে শিশু সাহিত্যক হবার একটা ব্যাপার আছে।
Israt গল্পটা পড়ে প্রথমেই যে কথাটা মনে এল সেটা হচ্ছে what the ??? এত হতাশ খুব কম হয়েছি। আপনার গল্পটা ছোটদের ছোটগল্পের বইয়ের জন্য খুব ভালো এবং সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে হওয়ায় শিক্ষণীয় একটি গল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বুঝতে পারছি আপনি এই পেজে নতুন এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো মানের লেখা আসবে আপনার কাছ থেকে। এই সাইটের অন্যান্য লেখাগুলো পড়ে দেখলে বুঝতে পারবেন। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইলো।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ....................চমৎকার। কিন্তু এটা কি আমাদের দেশে সত্যিই ঘটে? শুভেচ্ছা রইল।
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ ছোটদের গল্প। সহজ সরল ভাষায় কাহিনী বলা হয়েছে। কাহিনীটা ভাল ,শিক্ষনীয়। প্রচেষ্টা চলুক, সফলতা আসবে । ধন্যবাদ ও শুভকামনা মবিন সরকার।
আরমান হায়দার আমার কাছে গল্পটি ভাল লেগেছে। তবে অন্যান্যদের লেখা একটু বেশী বেশী পড়লে আরো ভাল হবে। শুভকামনা রইল।
পন্ডিত মাহী ভালো লাগলো কথাটি বললে আপনি উৎসাহ পাবেন জানি, কিন্তু মিথ্যে বলতে পারলাম না। ভালো লাগেনি... আরো পরিনত লেখা দরকার। বাক্য গঠন বড় দূর্বল। প্রচুর পড়ার বিকল্প নেই...
Sujon বাচ্চাদের গল্প

১৫ মার্চ - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী