ভালোবাসার অনুভূতি আর রনীল

গর্ব (অক্টোবর ২০১১)

পন্ডিত মাহী
  • ৬২
  • 0
  • ১০১
ড্রইং রুমে বত্রিশ ইঞ্চি টিভিতে টম এন্ড জেরী কার্টুন চলছে। লতিফ সাহেব বোকা বিড়ালটার কান্ড-কারখানায় বেশ মজা পাচ্ছেন। একটু পর পরই হাসির দমকে তার ছোটখাটো ভূড়িটা বারবার নেচে উঠছে। তার স্ত্রী মমতার এসব ভালো লাগছে না, রান্নাঘর থেকে একটু পর পর বাসন-চামচের জোড়ালো শব্দ আসছে। খুব বিরক্তির সাথে সে রাতের খাবারের আয়োজন করছে। বাড়িতে এসব কি হচ্ছে তিনি বুঝতে পারছেন। এক মাসও হয়নি তার বড় ছেলেটা কার এক্সিডেন্টে মারা গেছে। অজান্তেই সে কেঁদে উঠল। আচ্ছা কারো কি একটুও মায়া নেই, এত সহজেই সবাই ভুলে যেতে পারে। ছোট ছেলেটার দিকে তাকাতে পারেনা। মাত্র কয়েক মিনিটের ছোট, রনীলের মুখটা কেমন যেন শুকিয়ে থাকে সবসময়। কি যেন ভাবে, সারাক্ষন মন মরা হয়ে পড়ে থাকে। নিজের ভাইয়ের মৃত্যু কেউ নিজের চোখে দেখলে কে বা স্বাভাবিক থাকতে পারে।কিন্তু মমতা বেগম কিছুতেই তার স্বামীর কর্মকান্ড মেলাতে পারছেন না। এই কালকেও তো ঠিক মতো খেতে চাইতো না, কথা বলতো না। ছেলে হাড়ানো শোক কি একদিনেই এই ছাইপাশ দেখেই কাটানো যায়।
মমতা বেগম ড্রইং রুমে এসে চোখ-মুখ কুচঁকে তাকিয়ে আছেন লতিফ সাহেবের দিকে।
-আচ্ছা এগুলো কি হচ্ছে? তোমার কি জ্ঞান-বুদ্ধি সব লোপ পেয়েছে?
বেশ জোরের সাথেই চিৎকার করে উঠলেন।লতিফ সাহেবের হাসি তখনও থামেনি। মুখে ঝুলে থাকা হাসি নিয়ে বেশ অপ্রস্তুত ভাবে তাকালেন। চোখে-মুখে দ্বিধা
-কই আমি আবার কি করলাম, টিভি দেখছি। দেখো বুড়ো বিড়ালটাকে কেমন নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে নেংটি ইঁদুরটা… হে হে হে
পৃথিবীতে এতবার শোনা গেল চোখের আগুনে পোড়ানোর কথা, মমতা বেগমের তাই ইচ্ছে হচ্ছিল। ক্ষোভে-দূঃখে আর দাড়ালেন না।
দরজার পাশে রনীল দাঁড়িয়ে। এতক্ষন সবই দেখছিল আর শুনছিল। বাবা কে কাল পর্যন্ত খুব বিষন্ন দেখেছে, মা আজকে যেমন তেমনই। কিন্তু আজ বাবা অনেক হাসি-খুশি। তার মনটাও অনেক খারাপ। কোন কিছুতে মন বসাতে পারে না, কোন কিছু ভালো লাগে না। কোনদিন তার এমন অনুভূতি হয়নি। ধীর পায়ে সিড়ি ভেঙ্গে রনিল ছাদে উঠে এলো।
আকাশের দিকে তাকিয়ে রনীল তারা আর ছায়াপথের মাঝে বড় ভাই রিফাতের মুখ খুজেঁ বেড়ালো। মা গল্প শোনাতো মানুষ মরে গেলে নাকি আকাশে চলে যায়। রনীল এসবে বিশ্বাস করে না, তবু আজ খুব করে খুজঁছে। একবারো যদি ভাইয়ের মুখটা দেখা যেত।ভাইটা কত আপন তা না বুঝতেই কেমন যেন সব ওলট-পালট হয়ে গেল। পৃথিবী থেকে হাজার হাজার কোন আলোকবর্ষ দূরে আর কোথাও কি ভাইটা কি লুকিয়ে আছে। ক’দিন ধরেই ঐ তারাদের বড় আপন মনে হয়, মনে হয় ঐ তারাদের মাঝেই ভাই আছে। রনীলের দু’চোখ বেয়ে জল নেমে আসে, বর্ণহীন জল। রনীল খুব অবাক হয়ে ভাবে সে কাদঁছে।


২য় পরিচ্ছেদঃ
মমতা বেগমের মেজাজ এখনো ঠিক হয়নি। বুকের মাঝে চাপা কষ্টের সাথে এখন যোগ হয়েছে ক্ষোভ। তার মনে হচ্ছে তারা মৃত সন্তানকে অপমান করা হচ্ছে। টেবিলে খাবার গুছিয়ে সে বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল না খেয়েই। কেন রিফাতের বাবা এমন করছে সে বুঝতে পারছে না। কেন করছে? আপন মনে সে গুমড়ে কেদেঁ উঠল।
লতিফ সাহেব আর রনীল একই সাথে খেয়ে উঠলেন। কেউই মমতা বেগম কে ডাকলেন না। রনীল খাওয়া শেষ করে তার রুমে চলে গেল তাড়াহুড়ো করে। আজ সে একটি কথাও বলছে না। আগেরদিন গুলোর চেয়ে সে আজ আরো অস্বাভাবিক আচরন করছে।
লতিফ সাহেব খাওয়া শেষে ঘরে এসে বিছানার পাশে বসলেন
-জানো মমতা বহুদিন পড়ে আজ অনেক মজা করে খেলাম
মমতা বেগম ঘুরে শুয়ে চাপা স্বরে কি কি বললেন বোঝা গেল না, লতিফ সাহেবের মনে হলো যা বলছেন তা ঠিক হয়নি বলা। তার বিকাল থেকেই কেমন যেন ঘোর কাটছিল না। শুধু হাসি পাচ্ছিল, পাগল হয়ে যাচ্ছেন নাকি। ছেলেটে চলে যাবার পর এই বাড়িতে কেউ হাসেনি, আজ কি আমিই সব শোক ভাংলাম, আপন মনেই বলে উঠলেন তিনি। এখন খুব কষ্ট হচ্ছে। ছোট ছেলেটাও কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে, সাথে ওর মাও। হবে না, মা কি ছেলে হাড়ানোর শোক ভুলতে পারে, না কোন মা পেরেছে। কিন্তু তার আজ কি হলো, কেনো হলো? লতিফ সাহেব কিছুতেই কিছু মেলাতে পারছেন না।
-মমতা আমি স্যরি, আজ আ্মার কি হয়েছে আমি বুঝতে পারছি না। পাগল হয়ে যাচ্ছি মনে হয়। কি যে হচ্ছে, আমার কিছু মনে নেই কি হয়েছে…
মমতা… মমতা… যাহ! ঘুমিয়ে গেলে। আমার যদি এত সহজে ঘুম আসতো।
লতিফ সাহেব বারান্দায় চলে আসলেন। পায়চারি করতে করতে ভাবতে লাগলেন আজ বিকেল থেকে তার হাসি পাবার কারন কি। কেন?



৩য় পরিচ্ছেদঃ
রনীল ঘরে এসে বিছানায় পা তুলে বসেছে। আজ বাবার হাসির ব্যপারটা ভুলতে পারছে না। কাজটা কি ঠিক হলো, ভাবতে খুব খারাপ লাগছে রনীলের। কালই তো বাবা অনেক আদর করে কাছে ডেকে বলেছিলেন, আমার হৃদয়ের এক টুকরো হাড়িয়েছি। তোকে আমরা হাড়াতে চাই না। তুই আমদের রিফাত-রনীল। তোর মাঝেই আমরা রিফাতকে দেখতে পাই বাবা। তুই এখন আমাদের সব। রনীলের কান্না পাচ্ছিল অনেক। অনেক কষ্ট করে সে চোখের জল আটকাতে পেরেছে। আগে সে এমনটা পারতো না। কেমন করে জানি সে শিখে গেছে। রনীল দেখলো তারা মস্তিষ্কের নানা জটিলতার মাঝে এই অনুভুতি গুলো জমা হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মা তাদের দুই সন্তান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতো, আজ আমিই তাদের দুই সন্তান। তাদের স্বপ্ন দেখার, তাদের গর্ব করার একমাত্র অবলম্বন আমিই, ভাবতেই রনীলের মাথা হ্যাং হয়ে যেতে চায়।
রনীলের খুব কষ্ট হচ্ছে, নির্দোষ দুটি মানুষ কি অমানুষিক কষ্টই না পাচ্ছে। সন্তান হাড়িয়ে পাগল প্রায় এই মানুষ দুটি কে দেখার আর কেউ নেই। এত কিছুর পরও তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে বাচাঁর, এমন প্রাণ শক্ত দেখে রনীলের কেমন যেন লাগে। অনুভুতিটা ব্যাখ্যা করতে পারছে না, অজানা এই অনুভূতিটা স্মৃতিতে জমা হতে থাকে। রনীলের ভালো লাগে, সে বাবা-মা’র জন্য অনেক কিছু করার চিন্তার করে ফেলে এক মুহুর্তেই।
তারপরও তার অনেক মন খারাপ এখনো। বাবার সাথে কি অবিচার করা হলো! রনীল বুঝতে পারছে না, এ বোধ যেন তার নেই। আচ্ছা বাবার হাসির ঔষধটা যদি সেও একটু পেত, তার খুব হাসতে ইচ্ছে করছে এখন। একবার দেখতে চায় হাসতে কেমন লাগে, আর এই মন খারাপ করে থাকা ভালো লাগে না। রনীল খেয়াল করলো তার চোখে আবারো সেই বর্নহীন জল চলে এসেছে। অদ্ভুত!
রনীল হঠাৎ মাথার সুক্ষ সেল গুলোতে কম্পন অনুভব করতে থাকে। সে ভয় পায়। মাথায় হাত দিয়ে পাগলের মত ছটফট করতে থাকে, চিৎকার করে বলতে থাকে,
-না, আমি যাবো না। আমাকে থাকতে দাও… আমি যেতে চাই না…


৪র্থ পরিচ্ছেদঃ
পৃথিবীর মতো প্রানী বসবাসের উপযুক্ত গ্রহটি। পৃথিবীতে থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের এই গ্রহটি সূর্যের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট লোহিত বর্ণের এক নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এ গ্রহটির নাম “টিরে৮৪৫”। সেখানের দুই বিজ্ঞানী এখন রনীলের রুমে তার মাথার চারপাশে অনেক গুলো প্লাগ লাগিয়ে পর্যবেক্ষন করছে। কিছুক্ষনের মাঝেই রনীলের সামান্য চেতনা ফিরে এলো।
দুই বিজ্ঞানী এক অদ্ভুত ভাষায় আলাপ করছিল। রনীলের এই ভাষাটি ডাউনলোড করতে কিছু সময় লাগলো।
১ম বিজ্ঞানী বলছে- আমাদের এই তৃতীয় জেনারেশনের সাইবোটটি এই পর্যন্ত সব মিশনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল দিয়েছে। এটাতো কয়েক লক্ষ টেরাবাইট গতির সুপার কম্পিউটার পরিমাপই করতে পারে নাই।
২য় বিজ্ঞানী বললো- হ্যাঁ, দেখেছো কি টাটকা সব অনুভুতি গুলো মেমোরাইজ করলো। একেবারেই ন্যাচেরাল। এখানে হাসি, কান্না, ক্ষোভ, অভিমান, ভালোবাসা সব অনুভূতিই আছে। আমাদের এই সাইবোট-২১৯৭’র জন্য আমাদের গর্ব করা উচিত।
- হ্যাঁ তুমি ঠিকই বলেছো। তবে আমদের সাবজেক্টের কথা ভুলে গেলে হবে না, সাবজেক্ট গুলোই আসলে গর্ব করার মত। কার এক্সিডেন্টে দুই ছেলে মারা যাবার পর আমাদের সিমুলেশন ছাড়াই আমাদের সাইবোট-২১৯৭ কে কি ভাবে কাছে টেনে নিলো দেখেছো। ভাবতেই আমার মাঝে ৫১২ মাত্রার ত্বরন অনুভব করি। খেয়াল করেছো আমরাও গর্ব করতে পারছি....
- কি অদ্ভুত! আমি তোমার সাথে একমত। আরো খেয়াল করেছো এই সাইবোট-২১৯৭ কিন্তু এখানে থেকে যেতে চায় না। তুমি কি এই সম্পর্কে কিছু ভেবেছো?
- আমি ভাবছি… এই দেখো আমাদের সকল মেমোরি লোড করা হয়ে গেছে। আচ্ছা… আমি ভেবেছি, সাইবোট-২১৯৭ এখানেই থাক। আমদের এই সফল মিশনকে চলো আমরা এভাবেই উৎযাপন করি।
-ঠিক আছে, চলো তাই হোক।

৫ম পরিচ্ছেদঃ
রনীল উঠে দাড়াল। মাথাটা একটু টলছে। মাথার পিছনে হাত দিয়ে পিচ্ছিল তরল পেল। খুব পরিষ্কার চিন্তা করতে না পারলেও, অল্প যেটুকু পারলো তাতে রনীল চমকে উঠল, কি আশ্চর্য! টিরে৮৪৫ এর দুই বিজ্ঞানী সব জমানো অনুভুতি নিয়ে গেলেও বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসার সবটুকু রেখে গেছে! রনীল বাবা-মা’র প্রতি তীব্র টান অনুভব করছে যা আগে কখনো করেনি। এরই সাথে নতুন আরেকটি অনুভুতি পেল যা আগে সে পায়নি। রনীল দুই বিজ্ঞানীর জন্য কৃতজ্ঞতা অনুভব করলো যারা তাকে এমন ভালোবাসা অনুভব করার সুযোগ দিয়ে গেল। রনীল জানালার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকাল, তার চোখে আবারো সেই বর্ণহীন জল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
minarmasud শুেভচ্ছঅ। চমৎকার গল্প। পাঠক আটেক থােক। িফকশন জায়গাটােত একটু েখালােমলা দরকার িছল, কারণ, শব্দগুেলার ব্যবহািরক জায়গা সব পাঠেকর কােছ জানা িবষয় নয়। তবুো অেনক অেনক সুন্দর একিট গল্প আমার এই সকালটা সেতজ ক ের তুেলেেছ। একজন েলখেকর এই পিরপূণর্তা দরকার। ধন্যবাদ। িলখেত থাকুন আমােদর জন্য।
kamal khan সুন্দর সায়েন্স ফিকশন। ভাল লেগেছে।
আদিব নাবিল মাহী ভাই। প্রথম চেষ্টা হিসেবে কিন্তু ভালই করলেন। তবে সাইবট (সাইবোট) যে এক ধরণের রোবট এটা বুঝিয়ে দিলে ভাল করতেন। বিভিন্ন ধারায় আপনার সাহসী পদচারণা আরো দেখতে চাই।
খন্দকার নাহিদ হোসেন মাহি ভাই, গল্প ভালো হয়েছে। চমৎকার আইডিয়া। শেষটুকু আর একটু আস্তে চাই। তবে science fiction লিখার জন্য একটা ধন্যবাদ গল্পকারের প্রাপ্য। সামনে আরো গল্প পাবো এই কামনায় থাকলাম।
Azaha Sultan মাহি, ভোটটা কেড়ে নিতে পারলাম না, অনেক ভাল লাগল....ভাবনা অসাধারণ! তবে ২১৯৭ ত অনেক দূরে; ২১০০ সালের ভিতরে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে? পৃথিবী যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে! লক্ষ টেরাবাইট বেশি কিছুও নয়......
Israt অনেকেই বলেছে, তাও বলি তাড়াতাড়ি শেষ হওয়াতে বুঝতে সময় লাগলো . তবে অন্যরকম. science fiction জাতীয় লেখা এই সাইটে আগে পরিনি. এজন্য ধন্যবাদ.
ফারজানা রুকমা ভালো হয়েছে......!
সুন্দর সকাল হম, আরো ভালো হবে ... আশা রাখি .........
Azaha Sultan মাহি, এখন যাচ্ছি...ঢাকা যেতে হবে...প্রস্তুতিপর্ব.....কিছুদুর পড়েছি.....অসাধারণ লাগছে....তাই ভোট দিয়ে গেলাম.....সাধারণত আমি পুরাটা না পড়ে কখনও ভোট দিই না....ভাল লাগছে বিধায় দিয়ে গেলাম......আবার আসব....ভাল না লাগলে ভোটটা কেড়ে নেব.......হা হা হা হা.....
খোরশেদুল আলম চমৎকার গল্প ''ভালোবাসার অনুভূতি আর রনীল'' “টিরে৮৪৫”, মন্ডিত মাহী ঠিকঠিক ভাবে ডাইনলোড করে নিলাম। শুভ কামনা লেখক কে।

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী