মুঠোয় মুঠোয় বৃষ্টি ফোঁটা

কৃপণ (নভেম্বর ২০১৮)

মাইনুল ইসলাম আলিফ
  • ১৩
  • ৯০৭
কী ছিলাম কী আছি,কে বা আমি আর
স্মৃতির ভীড়ে, জীর্ণ পথে, জমেছে ধুলোর পাহাড়।
তবু আমার আমি সত্যি বলেই, তোমার তুমি মিথ্যে নও।

নগণ্য সময়ের ক্যকটাসে খোদার জমিটা হাতে পেলেই যেন
বনে যাই কলিকালের জমিদার।
ভুলে যাওয়া এসিড টেস্টের মূল দ্রবণে মাখি
ভুল রসায়ন।

এক খন্ড জমি, সময়ের পারদে চাওয়া পাওয়ার ভিন্নতায়,
অনুর্বর জমিতেই শুরু হয় অগণিত স্বপ্ন বুনন।
অর্থের ভাঁজে ভাঁজে পকেট ভারী, তাই
আখেরাতের শস্যক্ষেতে গড়ি সম্পদের উঠোন।
অথবা শূন্যতায় ছুটে মরো কাড়ি কাড়ি অর্থের পিছু,
পাওয়া হয় না,দীনতার আঁচড়ে রক্তঝরা দারিদ্রতা মাখো গায়ে।
তুমি আর আমি পরীক্ষার সবুজ খামে,
অগণিত শব্দের কলম ঘুরাই,
অথবা পরীক্ষার পোড়া পরিখায় পড়ে পড়ে হাবুডুবু খাই।

জান্নাতের বিনিময়ে খোদার রাহে
বিলিয়ে দিয়েছি জীবন আর অর্থের দাম।
সত্যের শিখরে সত্যদাগে শিহরণ জাগা পয়গাম।

জীবন উল্লাসে বৃষ্টি ফোঁটার অবাধ পতন,
মুঠোয় মুঠোয় বৃষ্টি জমাই।
গোলা ভরি, পুকুর গড়ি, হাত খুলি না তবু।
রোজ প্রভাতে এক আকাশের তারার মতো
দফায় দফায় গুনি।
মেজাজ গরম, রাগটা চরম, চাইতে এলে টুনি।

জমি ভরি, আলে রাখি,একটা সময় পাহাড় গড়ি,
ভরা মুঠোয় আকড়ে থাকি বৃষ্টি ফোঁটায় ,
কার্পণ্যের গিট যে তবু তেমনি রয়ে যায়।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) চমৎকার ভাই চমৎকার। কত সুন্দর ব্যক্ষা দিলেন ক্রিপনের। আসলেই এই পৃথিবীতে আমারা এসেছি খনিকের অতিথি হয়ে। মহান আল্লাহ আমাদের পাথিয়েছেন তার ইবাদাত করার জন্য । কিন্তু আমরা টা ভুলে অলিক সপ্নের পিছে ছুটি । যা আমাদের স্বপ্ন ভঙ্গের খেলায় মাতায় । সুন্দর লেখা ।
জাযা-কাল্লাহু খাইরান।
মোঃ মোখলেছুর রহমান অনবদ্য!
জাযা-কাল্লাহু খাইরান।
Lutful Bari Panna আপনার উপমার বুনন দারুণ। ছন্দবোধেও আলাদা ব্যাঞ্জনা আছে। কিছু শব্দ নিয়ে একটু ভাববেন।
জাযা-কাল্লাহু খাইরান।
কোন কোন শব্দ, যদি দয়া করে বলতেন!
শরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ভালোই লিখেছেন।শুভ কামনা।
জাযা-কাল্লাহু খাইরান।
মনতোষ চন্দ্র দাশ মনোমুগ্ধকর লেখনী ভাবনার গভীরে ছুঁয়ে যায় অন্তর।ভালোলাগা ও ভালোবাসা নিরন্তর। সেই সাথে শুভেচ্ছা ও ভোট।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
সোহেল আহমেদ আপনি অনেক ভালো লিখেন ভাই ।। অনেক শুভকামনা রইল আর সাথে ভোট টাও দিলাম ।।
জাযা-কাল্লাহু খাইরান।
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত কবিতাটি কয়েকবার পড়লাম খুব ভাল লেগেছে বলে । ভোট দিলাম আর রইল অনেক শুভকামনা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
নাজমুল হুসাইন জমি ভরি, আলে রাখি,একটা সময় পাহাড় গড়ি, ভরা মুঠোয় আকড়ে থাকি বৃষ্টি ফোঁটায় , কার্পণ্যের গিট যে তবু তেমনি রয়ে যায়। চমৎকার লিখেছেন।ভোট ও শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
জাযা-কাল্লাহু খাইরান।
প্রজ্ঞা মৌসুমী কবিতার অনেক কিছু মুগ্ধ করেছে। বিষয় নির্বাচনও চমৎকার। নেতিবাচক কিছু বলতে হলে বলবো- কিছু শব্দ বাদ দিলেও হতো। যেন, যে, আর, রিপিটিং শব্দ বাদ পড়লেও সৌন্দর্য ম্লান হতো না। ------ কোনদিনও দেখেননি-কথাটা ভুল। আমার তো বেশ মনে পড়ে। তবে না আসাটা আমার কৃপণতা না, অপরাগতা। অনেক শুভকামনা।
একটা নতুন জিনিস শিখলাম।এজন্যই আমার পাতায় আপনাদের আগমন কামনা করি ।অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি আসলে ওভাবে পেছনে খুজে দেখে বলিনি,তাৎক্ষণিক মনে হয়েছে বলে ফেলেছি।ক্ষমা করবেন।ভাল থাকবেন।
ওমর ফারুক Mashaallah khub sundor kobita likhechen kobi.shubheccha roilo.
জাযা-কাল্লাহু খাইরান।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আল্লাহপাক মানুষকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন তার এবাদত করার জন্য আর পরীক্ষা করার জন্য।তিনি মানুষকে অর্থ দিয়ে যেমন পরীক্ষা করেন তেমনি অর্থ সম্পদ না দিয়ে বা কেড়ে নিয়েও পরীক্ষা করেন।কারণ আল্লাহ মানুষের জান আর মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন।কেউ সেই অর্থ আল্লাহর দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক আল্লাহর পথে ব্যয় করেন আবার কেউ তা ধরে রাখে।সেই অর্থ সে জমা করে রাখে আর বারবার গণনা করে।একসময় সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে তবুও হাত খুলে দান করে না বরং কৃপণতা করে।আর কৃপণতার শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ।নিচে কোরআনের কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলোঃ "বল, যদি তোমরা আমার রবের রহমতের ভান্ডারসমুহের মালিক হতে,তবুও খরচ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তোমরা তা আটকে রাখতে,আর মানুষ তো অতি কৃপণ।" (সুরা বনী ইসরাঈল,আয়াত ১০০) "দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে সামনে নিন্দাকারী ও পেছনে গীবতকারী।যে সম্পদ জমা করে এবং বারবার গণনা করে।সে মনে করে তার সম্পদ তাকে চিরজীবী করবে।কখনো নয় ,অবশ্যই সে নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায়(জাহান্নামের একটি নাম)। (সুরা হুমাযাহ,আয়াত ১-৪)। বিঃদ্রঃ শেষ দুই প্যারায় বৃষ্টি ফোঁটা বলতে অর্থ আর সম্পদের রুপক হিসাবে ব্যবহার করেছি। আর উত্তম পুরুষ কে অঢেল অর্থের মালিক আর তুমি বা মধ্যম পুরুষ কে দরিদ্র বা অভাবী হিসেবে দেখিয়েছি।

২৪ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪