তুমি ঘরণী, দিশাহীন পথে আঁক প্রেম আলপনা, তাঁর ছেঁড়া জীবনে আনো আবীর ছড়ানো সুখ। আঁধার দিনে রাঙাও ভুবন,দেখি হাসি মুখ।
তোমার মনে আছে, প্রেমের খামে রঙিন সেই দিনগুলির কথা? হিম হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা ছিল হিমাংকের কাছাকাছি, শীতার্ত জনপদে সেদিন শীতের প্রকোপে নতজানু বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে শীত চাদরে আবৃত করে ফিস ফিস করে আমায় বলেছিলে, “তুমি আমার আকাশ। তুমি পেজা তুলোর মতো মেঘ ভাসা নীল নীলাকাশ। অথবা তির তির করে কাঁপা শান্ত ঝিলের বুক চিরে জেগে উঠা ঘাস।“ সত্যি সত্যি আমি তোমার আকাশ হয়ে উঠতে পেরেছি কিনা জানিনা কিন্তু তুমি, তুমি আমার ঘেমে ঘেমে নেয়ে যাওয়া বুকে , মাথা গুজে সুখ পাওয়া সুখী একজন। তুমি আদরে আদরে পল্লবিত সবুজের স্পর্শের শব্দ সুভাষ। শূন্য শূন্য জীবনের তুমিহীনা শূন্যতার ভবিতব্য পরিহাস। তুমি শাসনের শেকড়ে মূলোৎপাটিত অনিয়মের ব্যকরণ। তুমি রাগের রুক্ষতায় রাগিণী হয়ে বাজো , চৌচির কাঁচটায় আহ্লাদে আহত সময়। তুমি অভিমানী ঝিনুকের মতো ঘর ছাড়া ঘরণী হয়ে আমাকে পর করে দেবার ভয় দেখাও, অতল সমুদ্রের বিন্দু বিন্দু ভালবাসা রেখে দিয়ে হৃদয় সিন্ধুতে।
মনে আছে তোমার? স্মৃতি সৌধে বেড়াতে গিয়ে সেবার তুমি বলেছিলে “এ দেশটাই আমার রক্তজবা ঘর, আর আমি ঘরণী, রমণী, পিয়াসে প্রলুব্দ নারী এক ,শুধুই তোমার।“ শুনে তুমি মুচকি হেসে আমার চুলে বিলি কাটো, পাথুরে দুঃখটাকে পাশ কাঁটিয়ে হাত ধরে আমার, টেনে নিয়ে যাও মীমাংসিত সুখের কাছে।
(উৎসর্গঃআমার প্রিয়তমা স্ত্রী সুমাইয়াকে)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ )
ভাই আগেই দুঃখিত বলে নিলাম দেরিতে কমেন্ট করার জন্য । যাই হোক ভাবির জন্য সুন্র লেখা ছিল এটা । ভাবি নিশ্চয়ই পছন্দ করেছে কবিতা টি । আর আপনার লেখার হাত চমৎকার, শুভেচ্ছা অনেক ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
বেশ দারুণ কবিতা, খুব ভালো লেগেছে; কিন্তু তৃতীয় প্যারা থেকে শুরু করলে মনে হয় কবিতাটি আরও সুন্দর ভাবে খাপ খাওয়ানো যেত, কারণ তৃতীয় প্যারা থেকে শেষ পর্যন্ত বেশি ভালো হয়েছে।তবুও বলবো- অসাধারণ। আর ভাবিকে উৎসর্গ করেছেন জেনে খুব খুশি হলাম। ভাবি খুশি হয়েছে কি না জানাবেন কিন্তু..... অনেক অনেক শুভকামনা সহ বসন্তের শুভেচ্ছা রইল
তৃতীয় প্যারা থেকে শুরু করলে মনে হয় কবিতাটি আরও সুন্দর ভাবে খাপ খাওয়ানো যেত,@ঠিকই বলেছেন নুরেআলম সিদ্দিকী ভাই, আমারও তেমনই মনে হয়েছিল,কোথায় যেন একটু অন্যরকম লাগছে।যাই হোক ভাবটা ঠিক রাখতে পেরেছি,সেটাই অনেক। হ্যা আলহামদুলিল্লাহ আপনার ভাবি অনেক খুশি হয়েছে।কিন্তু এই যে রাত জেগে লেখালেখি করি,সেজন্য মাঝে মাঝে আপনার ভাবি খুব রাগ করে।যাই হোক আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় করে আমার কবিতায় গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করুন। শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা রইল একই সাথে বসন্তের ফাল্গুনী শুভেচ্ছা।ভাল থাকুন সবসময়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।