একটি অপপ্রয়াস জনিত গল্প

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (নভেম্বর ২০১২)

সাইফুল করীম
  • ২৩
আধো আলোয় হঠাৎ জেগে উঠলাম নিকেল বৃষ্টির শব্দে। মাঝে মাঝে প্রাচীন মানুষদের মত আমার ঘুমানোর ইচ্ছা হয়। তখন আমার সহকারী নম্বর-১কে বলি ঘরটিতে প্রাচীন কিছু আবহাওয়া তৈরি করা হোক- সে আমার পছন্দ অনুযায়ী প্লেয়ারে গান বাজাতে থাকে। ১০০০ বছরের পুরনো পৃথিবীর গানগুলো কোন এক অজানা কারণে এখনো আমার প্রিয়।

সহকারী নম্বর-২ এসে ক্ষুধা নিবারক ট্যাবলেট দিয়ে গেল। খেয়ে আমি বৃষ্টি দেখতে লাগলাম, দেখার মত তেমন কিছু নয়-আমার অ্যালুমিনিয়াম কোটেড সুরক্ষিত বাসার ছাদ অক্ষত থাকবে, কিন্তু বাগানে লাগানো গাছপালাদের পাতা, কৃত্রিম মাটি-র ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যাবে। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো।

ঘর থেকে বের হয়ে দেখলাম আমার কাঁচে ঘেরা বারান্দায় তুষার জমে আছে। নম্বর-২ কে ডাকলাম।

-তুমি জানোনা, তুষার আমার ভালো লাগে না? তবু বারান্দার এই অবস্থা কেন?
-জিন-টিন বাদ দিয়েও আপনার কথার পরিবর্তন হলো না, জানেন না এইটা প্রতি ১ মিনিট পর পর অটোমেটিক চেঞ্জ হয়ে যায়?
-স্যরি, ২। আচ্ছা আজ কি কোথাও ঘুরতে যাবে নাকি?
-কই যাবেন, চলেন বের হই। মেয়ে হয়ে যাব নাকি ছেলে হয়ে যাব?
-তোমার যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবে যাবে, আমি কী বলব?

নম্বর-২ আমার কথায় অবাক হবার মত একটা অভিব্যক্তি করে, আসলে ও জানে- আমার ভাল লাগা-মন্দ লাগার ব্যাপার গুলি। যখন ওকে অর্ডার দিয়ে এনেছিলাম প্রথমে ত চিনতেই পারি নি কোনটা আমি আর কোনটা সে। অর্ডার দেবার সময় বারবার বলেছিলাম- কিছু একটা যেন খুঁত থাকে চেহারায়- যাতে ওর আর আমার পার্থক্য বুঝা যায়, সে যেন আমার সাথে তর্ক করতে পারে। ব্যাটারা তর্ক করার মেকানিজম আমার ক্লোন-এ ঢুকাতে পেরেছে আর চেহারার মিল রেখে দিয়েছে-বড়ই আজব এই সেলফ-মেইড গ্রহ।

যেদিন থেকে এই অন্য গ্রহে আমাদের পূর্ব পুরুষরা এসেছে- সেদিন থেকে তাদের জিনোমিক কাঠামোতে অনেক গুলো বিষয় তারা পুনর্যোজন বা বিযোজন করে নিয়ে ছিলেন তাদের পছন্দ অনুযায়ী। আবেগ-ভালবাসা জনিত যত কিছু আছে তা যুক্তিসংগতভাবে জিন থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকজনরা মুছে নিয়েছিল এবং কিছু কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস যুক্ত করেছিল, যেমন-আমাদের মত এস,এম,বি (সেলফ মেইড বায়োলজিকাল এন্টিটি)-র দৈহিক ক্ষুধা দূর করার জন্য নতুন জিনের সংযোজন, জৈবিক ক্ষুধা মেটানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কাজ করার জিন, ইত্যাদি ইত্যাদি।

সহকারী নম্বর-১ এলো ছুটতে ছুটতে আই,ইউ,সি (ইন্ট্রা ইউনিভার্সাল কমিউনিকেশন সিস্টেম) হাতে নিয়ে।
-শুভ সময়। মাথা নুয়ে অভিবাধন জানাল। সম্মানিত! পৃথিবী হতে খবর এসেছে, আপনার কী সময় হবে?
আমার এই সহকারীটি ভণিতা না করে কিছু বলতে পারে না। আমি বললাম- বলো, কী ব্যাপার?
-আপনার ২২টি ক্রমোজোমের অনুরুপ এবং এক্স-ওয়াই লিঙ্গবাচক ক্রমোজোম বাহক একজন আপনার সাথে কথা বলতে চান, আপনি কি কথা বলবেন?
-বাবা বলতে কি অসুবিধা হয় তোমার নম্বর-১?
-জনাবের সুবিধা অনুযায়ী আমি তৈরি। আমার জীবন ফর্মূলায় বাবা নামের কোন শব্দ যেন না থাকে আপনি তা মনে হয় তৈরি করার সময়েই বলে দিয়েছিলেন। সেইজন্যই হয়ত সেই শব্দটা জানি না, তবু যদি ভুল হয়ে থাকে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী হে সম্মানিত।
-ঠিক আছে, উনাকে নম্বর-২ এর সাথে কথা বলতে বলো।

এই সময়ে পৃথিবী থেকে আমার বাবা কথা বলতে চাইবে-আমার বিশ্বাস হয় না। বাবা তো সেই কবেই দ্বাবিংশ শতকে মারা গেছেন যখন পৃথিবী জুড়ে পানি নিয়ে দেশে দেশে যুদ্ধ লেগে গেল। প্রথম চারশ বছর গেল মানুষদের যুদ্ধ, খুন আর হত্যার মধ্যে দিয়েই। পরের চারশ বছর এক দেশ-এক জাতি তৈরি করার ভয়াল এক ইতিহাস। ততদিনে পৃথিবী থেকে উধাউ হয়েছে সব ধর্ম- বেঁচে ছিল কিছু লৌকিক আচার-আচরণ আর কেতাবী কিচ্ছা কাহিনীর অপলাপ। পরে মানুষ যখন বুঝেছিল এই পৃথিবী আর বসবাসের যোগ্য নেই তখন তারা এই নতুন গ্রহ তৈরি করে।

আমি হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম কবিতা রুমে। এই রুমে আমি কাউকে ঢুকতে দেই না। নিজের মত করে সব কিছু বানিয়েছি। ঘরে ঢুকতে না ঢুকতে দেয়ালের মাঝ থেকে কেউ আবৃত্তি করতে শুরু করলো-

“যখন দুপুরের রোদ নিভে যাবে, ঢেকে যাবে সব
তুমিও কী চলে যাবে মন আমাকে ভুলে?
কৈ যাবে তুমি?

তবে যেখানেই যাও, আমায় ভুলে গেলে
জানবো কখনো ছিলে না তুমি আমার
কোন কালে”

ভালো লাগল না এই দুর্বোধ্য কবিতা। আবার গান শুনতে ইচ্ছা হল। মূহুর্তে শুনতে পেলাম-

“মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মেস্তরি বানাইয়া আছে”

গানের ভেতরেও মন শব্দটি চলে এল। আমি যে দেশে জন্মেছিলাম সেই দেশের মানুষরা হয়ত মন নিয়ে সবাই একেক জন স্পেশালিস্ট। না হলে প্রাচীন সেই যুগে লেখাপড়া না জানা একজন বাউল কেমন করে এমন গায় তা ভেবে পাই না।

আমার নীল ক্যাক্টাসের গাছে ফুল এসেছে। একত্রিশ শতকের জনপ্রিয় এক কবিতার দোলায় ফুলটা যেন আরো দুলছিল-

“কেউ জানে না আমরা কে, কী করছি, শুধু জানি বাঁচতে হয় বলেই বেঁচে থাকা
অনন্ত জীবনে বহু কাজ অথবা সময়, ফড়িং উড়বেই তাকে বাঁধা দিও না।“

প্রথম লাইনটা যেমন ভালো লাগল- দ্বিতীয় লাইনটা সেই রকম জঘন্য। যেই কবি লিখেছে তাকে পেলে বলতাম- আসলে ফড়িংরা কি অনন্ত জীবন পায়? যতদূর জানি ফড়িংরা পরিষ্কার পানিতে বাচ্চা-কাচ্চা দেয়, সেখানে বড় হয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়, তবে কী ফড়িং-এর বাচ্চারা আমাদের মত অসীম জীবনের অধিকারী?

এই সব হাবিজাবি চিন্তা করতে করতে রুম থেকে বের হতেই সহকারী নম্বর-২-এর সাথে দেখা।

খোপায় গোলাপ গুঁজেছে-টকটকে লাল রং-এর। আমাকে দেখেই আমার প্রেমিকার মত বলে উঠলো- এত কী চিন্তা করো তুমি সারাদিন? চলো ঘুরে টুরে আসি কোথাও।
-ভালো দেখাচ্ছে তোমায়।
-নম্বর-১ এর মত ধন্যবাদ দিতে পারবো না কিন্তু......
-আচ্ছা ঠিক আছে। এই গ্রহের সব ত দেখা আছে আমার, কৈ যাবে?
-শুনলাম তোমার বাবা কথা বলতে চাইছে তোমার সাথে, তুমি রাজি হচ্ছ না, সমস্যা কী?
-এত বছর পর বাবা কোথায় থেকে আসবে বলো ত? আর কথা না বলার কারণ ও তুমি জানো নম্বর-২।
-এত সুন্দর করে সেজেছি,তারপরেও ঐ নম্বর-২ বলেই ডাকতে হবে?
-তো কী নামে ডাকতে বলো?
একটু হাসির মত ভান করে সে বেশ ঘন স্বরে বলল-কেন তোমার ইতিহাস হয়ে যাওয়া সেই প্রেমিকার নামে?
-বাদ দাও ওসব, নাম নাহয় দিলাম তোমার, তা এখন কৈ যাবে তাই বলো।
-না আগে নাম দাও একটা আমার।
-তুমিই ঠিক করে নাও নম্বর-২।
-আচ্ছা, তুমি যখন চাচ্ছো না, তখন আমারো দরকার নেই নামের। আমি ভুলে গিয়েছিলাম তুমি আবেগ-টাবেগ ঝেড়ে ফেলে দিয়েছো, তা আমি এই মেয়ের সাজ নিতে দৌড়ে অটোমেটিক অপারেশন রুমে গেলাম কেন? কেন করালাম তাহলে যন্ত্রণাদায়ক সার্জারি?

আমার বাসায় অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অপারেশন রুম আছে। সেখানে মানব দেহের পুরাতন কিছু রোগ নিরুপন আর তা চিকিৎসার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা আছে। সেখানে মাঝেমধ্যে আমি আমার প্রয়োজনীয় নতুন নতুন জিন প্রতিস্থাপন করতে পারি। নম্বর-২ কে তৈরি করার সময় কিছুটা আবেগ দিতে বলেছিলাম কিন্তু ব্যাপারটা বোধ হয় ভুল হয়েছিল। আচ্ছা নম্বর-২ কে বাদ দিয়ে দিলে কেমন হয়? বাদ দেয়া মানে অক্টাগন ক্লোন কম্পানিতে একটা খবর দেয়া-ওরা এসে ধরে নিয়ে যাবে। তারপর বেশ স্বাভাবিক ভাবেই মেরে ফেলবে। মেরে ফেলা আর তৈরি করা এই দুটি ব্যাপারে এস,এম,বি-রা অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে। কেউ কেউ এখানে অসীম জীবন নিজে নিজে পছন্দ করে কিন্তু দুঃখী দুঃখী অভিনয় করে। সেদিন আজাদ সাহেবের সাথে দেখা অপেরা দেখতে গিয়ে। বেচারা অমরত্ব নিয়ে ঝামেলায় পরেছেন আবার মারা যাবেন কোন মৃত্যুদায়ী কম্পানি দিয়ে এটাও মেনে নিতে পারছেন না।

-রবিউল ভাই, মরার সময় কি খুব ব্যথা লাগে নাকি?
আমি একটু কেশে বলি- ভাই, আমি ত মরি নাই, তা আপনি ত অমর, হঠাৎ ফালতু কথা কেন?
আজাদ সাহেব হড়বড় করে তার পুরো জীবনের কাহিনী বলতে লাগলেন যা আমার লক্ষ বার শোনা। আমি শুধু বুঝতে পেরেছিলাম তিনি তার ফেলে আসা আবেগ সর্বস্ব জিনটি ফেলে দেন নাই, তো- একদিকে মধু খাওয়ার শখ অন্যদিকে আগুনের আঁচে আহ-উহ করার শখ থাকলে অমন জীবন না থাকাই বরং ভালো।

-কী আমাকে মেরে ফেলবে নাকি?
বেশ চমকে যাই ওর কথা শুনে। আমরা ত যমজ নই, তবে কেমন করে ও এই কথা টের পেল-বুঝলাম না।
-রীতা চলো পৃথিবী থেকে ঘুরে আসি, বাবাকে দেখে আসি। পৃথিবীতে যদিও তিনি নেই, তবু যদি বেঁচে থাকে তার কেউ-তার সাথে দেখা করে আসি।
-আড়াল করছো না আমার সাথে? ঠিক আছে করো, কিন্তু জেনে রাখো-আমি তোমার ছবি হলেও মাঝে মাঝে ছবি কিন্তু আসলের চেয়েও দামী হয়ে ওঠে।

আমি আর কথা না বাড়িয়ে আমার শোবার ঘরে ঢুকে পোশাক পাল্টাই। তার আগে পৃথিবীর টেম্পারাচার, ওয়েদার, ইত্যাদি সব আমার রুমের কম্পিঊটার থেকে জেনে নেই। এই গ্রহের তুলনায় এখনো যথেষ্ট সহনশীল তাপমাত্রা। পৃথিবীতে হয়ত আর পানির সমস্যা নেই যা ঘটেছিল যুদ্ধের দিন গুলোতে। পানি এই গ্রহে না থাকলেও বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃত্রিম পানি তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু নিকেল বৃষ্টির ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনো কিছু করতে পারছে না-এটাই মূল সমস্যা।

আমি স্পেস শ্যুট, হেলমেট পরে রীতাকে নিয়ে পৃথিবীর পথে রওনা দিলাম। এখানে সব সময় আলোআঁধারি থাকে। দিন-রাতের আলাদা কোন ব্যাপার নেই তাই এই গ্রহের জন্য সময় ভাগ করা হয়েছে এস,এম,বিদের ব্যক্তিগত কাজের উপর। ধরা যাক, একজনের কোন কাজ নেই- সে অসীম সময়ের আবর্তে বাস করে। কাজ পেলে ঐ সময় কে কাজ-১, কাজ-২ ইত্যাদি নামে রুপায়িত করে তারা। আমি পৃথিবীতে যাওয়া কাজ হিসেবে মনে করি। তাই পৃথিবীর মত করে বলতে গেলে বলা হয় কাজ-১ সময়ে সেলফ-মেড গ্রহ ছাড়লাম আমরা।

এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাবার জন্য অ্যাডাম নামের অত্যাধুনিক স্পেস যান ব্যবহার করি। স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে ফেলে দেওয়া প্রথম মানুষের নামে যখন এই যানটি তৈরি করা হলো- ধর্ম নিয়ে কিছু কথা উঠেছিল। এই গ্রহে বিশ্বাসের কোন ব্যাপার নেই যখন সবকিছু যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছে। যারা এই নামের বিরোধিতা করছিল তখন তাদের বলা হয়েছিল যে কোন বিশ্বাসের অধিকারে তারা এই নামের বিরোধিতা করছে সেটি যদি তারা বলতে পারে তবে অ্যাডাম নামটি প্রত্যাহার করা হবে। কেউ তখন সদুত্তর দিতে পারে নি বলেই অ্যাডাম নামের এই স্পেস যান।

চট করে মনে হল স্বর্গে যাচ্ছি নাকি আবার? স্বর্গ আর নরক বিশ্বাসের ব্যাপার। কিন্তু তবু ইচ্ছা করছে “স্বর্গ" শব্দটি ব্যবহার করতে এখন। মাঝে মাঝে ভুল করি এখন আমি আর মানুষ নেই। তাই মানুষের বিশ্বাসের অধিকার কেমন করে হাত দেই?

অ্যাডাম পৃথিবীতে পৌঁছে।

রীতা আর আমি হাঁটছি সবুজ ঘাস ধরে। আমাদের হয়ত অনেক দূর যেতে হতে পারে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য কৃত্রিমতার সুখ থেকে প্রকৃতিতে ফেরা আসলেই স্বর্গে যাবার মতোই। দারুণ একটা সাই ফাই। মুগ্ধতা রইল।
তানি হক দারুন ভালো লাগলো ...গল্পটি ...মুগ্ধ হলাম ভাইয়া ..খুব বেশি বড় নয় ..তবে অসাধারণ সাইন্স ফিকসন ..সুভেচ্ছা রইলো
মোঃ সাইফুল্লাহ সম্পুর্ন বিজ্ঞান ভিত্তিক গল্পটি ভালো লাগলো.ধন্যবাদ জানাই...........
মিলন বনিক সুন্দর, ভালো এবং চমৎকার একটা সাইফাই পড়লাম....এবারের বিষয়টা কঠিন হলেও সবার লেখাগুলোর মধ্যে কি এক অদ্ভুত আকর্ষণ জড়িয়ে আছে...অনেক শুভ কামনা সাইফুল ভাই... ,
সেলিনা ইসলাম এককথায় সফল সাইফাই গল্প ! খুব ভাল লাগল শুভকামনা
আজিম হোসেন আকাশ ভাল লাগল। আমার লেথা বিজ্ঞানের চেতনা কবিতাটি ভাল লাগলে ভোট প্রদান করুন ও পছন্দের তালিকায় নিন, অন্যথায় নয়।
রোদের ছায়া চমত্কার গল্প ......সাই ফাই এর অনেক কিছুই বুঝি না তবে পড়তে খুব ভালো লাগলো কিন্তু আপনাকে আপনার লেখার নাম নিয়ে আরো ভাবতে হবে , সুন্দর সুন্দর নাম দেবার চেষ্টা করবেন সামনে এই আশা থাকলো...
জিয়াউল হক অসম ।চট করে মনে হল স্বর্গে যাচ্ছি নাকি আবার? স্বর্গ আর নরক বিশ্বাসের ব্যাপার। কিন্তু তবু ইচ্ছা করছে “স্বর্গ" শব্দটি ব্যবহার করতে এখন। মাঝে মাঝে ভুল করি এখন আমি আর মানুষ নেই। তাই মানুষের বিশ্বাসের অধিকার কেমন করে হাত দেই । চমৎকার লিখেছেন ।ভিন্ন গ্রহে দিন কাটানো , পৃথিবীতে ফিরে আসা ...সব কিছুই ছিল অসাধারণ রুপে চিত্রায়িত । বাস্তবতার কাছাকাছি ।
মামুন ম. আজিজ বেশ গোছানো সাইফাই..বেশ

২১ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী