ক্রমোজোম লিকার

ভালবাসি তোমায় (ফেব্রুয়ারী ২০১৪)

হাবিব রহমান
  • ২৮
এক.
কেমিস্ট্রি আসলেই এক মিস্টেরি (Mystery) একই মৌলে গড়া যৌগ কয়লা এবং হীরা। গঠন শৈলীর পার্থক্যের জন্য একটি মহামূল্যবান অন্যটি তার তুলনায় মূল্যহীন। এমনই কিছু মৌলের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে প্রাণ নামক যৌগ, ডি.এন.এ এবং তারও আগের স্তরে আর.এন.এ। আবার ডি.এন.এর সমন্বয়ে গড়া ক্রোমোজোম এর জোড় সংখ্যার (বেস পেয়ার) প্রকারান্তরে লক্ষ-কোটি প্রাণের মেলা। সেই মৌল! খুব যদি বিশ্লেষণ প্রসূত ভাবি, তবে মৌলই প্রাণ, আবার মৌল প্রাণ নয়, প্রাণের একক। মৌল হচ্ছে এই পৃথিবীর, সৌরজগৎ এবং এই মহা বিশ্বের একক। আর এই মৌলদের নিয়েই কেমিস্ট্রি।
একই বেস পেয়ারের ক্রোমোজোমের মাধ্যমে গঠিত কোষের সমন্বয়ে গড়া প্রাণীর অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ। মানে হচ্ছে অসংখ্য, অসংখ্য প্রাণের সমন্বয়ে গড়া প্রাণীর দেহ। যেমনটা আমাদের। আমাদের অঙ্গ, প্রত্যঙ্গে সেই একই সংখ্যার ক্রোমোজোম জোড়ার ডি.এন.এ। আমার তেমনই একটা অঙ্গ পচতে বসেছে। আমার হৃদপিণ্ড। চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট অঙ্গটা রক্ত সঞ্চালন ও পরিশোধনের কাজ, যতটুকু পারছে তাতে কোন রকম জীবন ধারণ করে যাচ্ছি। তবে দিনদিন আমার আয়ু ফুরিয়ে আসছে, খুব বেশি দিন হয়তো আর বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না। ডোনার খোঁজা হচ্ছে, কিন্তু সে কি পাওয়া যায় এত সহজেই? কালো বাজারে পাওয়া যায়, কিন্তু তার পিছনের গল্পটা ভয়ংকর। আমি কোন ভাবেই তাতে সায় দিতে পারিনা। এর চাইতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করাই অনেক উত্তম।
আমি পারবো কিনা জানি না। তবে আমি না পারলেও কেউ হয়তো পারবেই, শেষ হবেই এই পথচলা। আমি আমার ল্যাবরটারিতে, থ্রিডি প্রিন্টারটা নিয়ে কাজ করছি। কয়েকটা গবেষণা প্রকল্পে সফল হয়ে পুরস্কার হিসাবে বেশ টাকা পয়সা পেয়েছিলাম। সেগুলো দিয়েই আমার নিজস্ব এই ল্যবটা তৈরি করেছি, আমার গ্রামের বাড়ীতে। অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি, উপকরণ, সর্বাধুনিক আই.টি ফ্যাসিলিটি আমার ল্যাবটাকে সমৃদ্ধ করেছে।
এখন আমি আমার নিজস্ব প্রকল্প নিয়েই কাজ করছি। তবে এই প্রকল্পের ফাইনান্সার আছে। আমার এই প্রকল্পে সফলতা না এলে আমার ফাইনান্সারতো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই আর আমি পরাজিত, বেঁচে থাকার দৌড়ে আমি হেরে যাব। ইতিমধ্যে আমি একটা স্তর অতিক্রম করতে পেরেছি। পরবর্তী স্তরটা পার হতে পারলেই আমি বেঁচে যেতে পারি, যদি সে অব্ধি জীবনী শক্তি অবশিষ্ট থাকে।
বাজারে অনেক ধরনের থ্রিডি প্রিন্টার আছে, এগুলো ত্রিমাত্রিক অবয়ব তৈরি করতে সক্ষম। কিন্তু আমি যে থ্রিডি প্রিন্টারটা নিয়ে কাজ করছি, সেটা ভিন্ন। এটা ক্রোমোজোম লিকার [পাদটীকা - ১] ব্যবহার করে শরীরের যে কোন অঙ্গ তৈরি করতে পারবে। ক্রোমোজোম লিকারে থাকছে কোষ তৈরির সকল উপাদান। আমি ক্রোমোজোম লিকারটি তৈরি করতে পেরেছি, এবং এর উপাদান গুলোকে জীবন্ত রাখতে পারছি। প্রাণীর ডি.এন.এ প্রোফাইল থেকে গঠন শৈলী নিয়ে ক্রোমোজোম লিকার তৈরি করা হয়েছে। এই লিকার দিয়ে এখন পর্যন্ত কোষ তৈরি করতে সমর্থ হলেও কোষ টিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। বেশ অনেক দিন ধরেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার ফাইনান্সার অস্থির হয়ে গেছে। তাদের তাগিদেই আমার একজন সহযোগী নিতে হয়েছিল, ওরাই নিয়োগ দিয়েছিল। অত্যন্ত চালবাজ ধরনের, বেয়াদব একটা ছেলে। আমি বুঝতে পারছিলাম, সে আমার সময় নষ্ট করছে। তাই একদিন গর্দভ টাকে বের করে দিয়েছি আমার ল্যাব থেকে। ছেলেটা যেন সেটাই চাইছিল। এই রকম গ্রামে কে পড়ে থাকতে চায়? এরপর থেকে ফাইনান্সারও আমার উপর চটেছে। আমি ওদের দোষ দেই না, তারা তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সেটাই স্বাভাবিক।
পিলে চমকানোর মত শব্দ করে আমার ফোনটা বেজে উঠল। বাজে রিংগারটা চেঞ্জ করা দরকার, কিন্তু কিভাবে করতে হয় আমার জানা নেই। কোন বাচ্চা ছেলেও এ কথা শুনলে বিস্মিত হবে, কিন্তু সত্যি আমি কয়েক বার রিংগারটা চেঞ্জ করার চেষ্টা করে বিফল হয়েছি। ফোনটা হাতে নিয়ে মনটা বিষিয়ে গেল। আমার ফাইনান্সার, আমি বললাম,
: আসসালামু আলাইকুম, শান্তনু বলছি।
: ওয়ালাইকুম সালাম, রব্বানী। রব্বানী সাহেবের ভরাট কণ্ঠ, আমার সু পরিচিত।
: আপনি ভাল আছেন?
: জ্বি ভাল। শান্তনু সাহেব, আপনি তো জানেন, আগামীকাল আমাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
: জ্বি। চুক্তিটার মেয়াদ আরও কয়দিন বাড়াতে হবে।
: দুঃখিত শান্তনু সাহেব। আমাদের কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই প্রকল্পে আর বিনিয়োগ করবে না।
: কিন্তু আমিতো অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আর ক'টা দিন সময় নিন আমরা সফল হব।
: এর আগেও তিন বার সময় বাড়ানো হয়েছে।
: আপনি জানেন এই ধরনের প্রকল্পে সময় নিতে হয়। তাছাড়া আমিতো আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, এবং সেটা আমার নিজের প্রয়োজনেও।
: আমি জানি, কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে এ সিদ্ধান্তটা নেয়া হয়ে গেছে।
: আপনারা বিষয়টা আরেক বার বিবেচনা করতে পারেন।
: আমরা চেষ্টা করবো, কিন্তু আপাতত কিছুই করার নেই।
: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রব্বানী সাহেব।
: আপনাকেও ধন্যবাদ। চুক্তির শর্ত মোতাবেক আপনি আপনার এ পর্যন্ত কাজের অগ্রগতির একটি রিপোর্ট জমা দিন। আর আপনি যদি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেন, তবে পেটেন্ট কিনে নিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
: আমি আমার উকিলের সাথে কথা বলে চুক্তি মোতাবেক সকল ব্যবস্থা নিব।
: ভাল থাকবেন শান্তনু সাহেব। আপনি সফল হোন শুভকামনা রইল।
: অনেক ধন্যবাদ।

দুই.
রব্বানী সাহেবের সাথে কথা বলার পর থেকে গত দুই দিন কাজে মনোযোগ দিতে পারিনি। আমি হয়তো শেষমেশ ব্যর্থই হয়ে যাব। আমার কাছে জমানো টাকা যা আছে, তাতে এই প্রকল্প শেষ করা যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। নতুন ফাইনান্সার যোগার করার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও আমার কাছে নেই। এ সমস্ত প্রকল্পে কেউ হুট করে টাকা বিনিয়োগ করে না। তবে হুট করে বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয় যেমন, রব্বানী সাহেবের কোম্পানি করল।
আজকে আবার ল্যাবে এসে বসেছি। অস্থির ভাবটা কাটাতে পারছি না কিছুতেই। তাই নেটে বসে অনেক ক্ষণ সময় কাটালাম। শরীরটা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ঔষধ খেয়ে আর কতদিন পচন থামানো যাবে?
রিয়ার কথা মনে পড়ছে আজ বারবার। কেমন আছে রিয়া? কত দিন যোগাযোগ নেই ওর সাথে। আমি নিউ জার্সি সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে চাকরি ছেড়ে চলে আসি বাংলাদেশে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেই, সেটাও বেশিদিন করা হয়নি। নিউ জার্সিতে আমরা সংসার করছিলাম, ভালই ছিলাম। নিজেদের পছন্দেই বিয়ে করেছিলাম আমরা। আমাদের দুই পরিবারই তখন বাংলাদেশে। বাংলাদেশে ঘটা করেই বিয়ে হয়েছিল আমাদের। তারপর চলে যাই ফের নিউ জার্সিতে। এখানে সংসার সাজানোর পর সংসার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। বিধিবাম, পরিকল্পনা, পরিকল্পনাই থেকে গেল। বিয়ের পর চারটা বছর কেটে গেল, কিন্তু আমাদের ঘরে কোন শিশু নেই। আমি ভাগ্য মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু রিয়া অস্থির ছিল। আমাদের সমস্যাটা কি তা বের করতে চাইছিল। আমাদের প্রায় রাতের কথোপকথন ছিল এই রকম,
: আমাদের টেস্ট করা দরকার।
: বারবার বলছি, কি দরকার? সমস্যা হয়তো আমার, বা তোমার সেটা জেনে কি হবে? আমাদের ভাগ্যে নেই। মেনে নিলেই তো হয়।
: না হয় না।
: তার চাইতে চল দত্তক নেই।
: না আমি নিজের সন্তান চাই, নিজের। বলেই কাঁদতে শুরু করতো রিয়া। এমনিতে সে খুবই শক্ত মনের মেয়ে, কিন্তু এই একটা জায়গায় নিজেকে ধরে রাখতে পারতো না। আমিও কিছু বলতে পারতাম না। কোন সান্ত্বনার কথা হয়তো বলা দরকার ছিল সেই সময়, বলা হয়নি। কষ্টতো আমারও ছিল, সন্তান না পাওয়ার কষ্ট। সেটা কি ছেলেদের থাকে না?
এ রকমই চলছিল। একদিন হঠাৎ একটা মেডিকেল রিপোর্ট আমার নজরে এল। আমার মনে হল, এটা যেন আমার নজরে আনার জন্যই রাখা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টটা রিয়ার। সন্তান ধারণ কারর জন্য সে সম্পূর্ণ সবল এবং সুস্থ, রিপোর্ট তাই বলছে। তার মানে হচ্ছে সন্তান না হওয়ার জন্য আমিই দায়ী। আমিই সবল নই। আমার কাছে মনে হল, রিয়া আমাকে সূক্ষ্ম ভাবে একটা অপমান করল। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চাইলো, আমি যোগ্য নই। তাকে সন্তান দেয়ার মত আমার কোন ক্ষমতা নেই।
পরের কয়দিন আমার ভীষণ মন খারাপ থাকল। ভাবলাম, সিদ্ধান্ত নিলাম। রিয়াকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী জীবন যাপন করার জন্য মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত। আমি আমার চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। রিয়ার আত্মসম্মান বোধ অনেক প্রখর। ডিভোর্স লেটারটা হাতে নিয়ে রিয়া আমার সাথে কোন আলোচনায় গেলনা। আমি আমার সবকিছু ওর কাছে দিয়ে চলে আসলাম। আসার সময় শুধু একটা কথাই বলেছিল রিয়া, “তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ”। আমি কোন কথা বলিনি। কেননা আমার বুকের ভেতর তখন আগুন জ্বলছে, অপমানের আগুন, আবার দায়মুক্তির আগুন।
রিয়া দেশে ফিরে আসেনি। নিউ জার্সিতেই আছে। রিয়ার পরিবার অত্যন্ত অর্থশালী, একে একে সবাই ওখানে গিয়ে সেটল করল। আমি জানি না ও এখন কি করে। হয়তো বিয়ে থা করে পুরো-দোস্তর সংসারী মহিলা। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে হয়তো সুখেই আছে। আমি কোন যোগাযোগ রাখতে চাইনি ফলে রিয়াও তাই করেছে। কিন্তু আমি রিয়াকে ভুলতে পারিনি। ওকে ভোলা যায় না।
আজকেও কাজে মন বসাতে পারলাম না। আমি প্রতিদিন আমার কাজের রিপোর্ট করতাম। সেটাই গুছিয়ে রব্বানী সাহেব বরাবর পাঠিয়ে দিলাম। একবার মনে হল, সব কিছু ছেড়েছুড়ে চলে যাই দূরে কোথাও। জীবনের শেষ সময়টুকু কাটিয়ে দেই নিরিবিলি কোন জায়গায়। ল্যাব ছেড়ে বাসায় চলে আসলাম বিষণ্ণ মন নিয়ে।
বাসায় ফিরেও রিয়ার কথা ঘুরে ফিরে মনে আসছিল। রিয়ার সাথে হয়তো সঠিক আচরণ করা হয়নি। ভুলে, ভুলে জীবনটা কাটিয়ে দেয়া হল। ওর সাথে কি যোগাযোগ করা ঠিক হবে? না। তার অন্যরকম জীবনে অযথাই বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করা হবে। যা গত হয়েছে তাকে আর সামনে টেনে এনে লাভ নেই। কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে? আমি কী তবে সোনালি ডানার চিল!
বুকের ব্যথাটা আজ অনেক বেড়েছে। আমাদের এই গ্রামের বাড়িটাতে আমি একাই থাকি। রান্না বান্না করে দেয়ার জন্য একজন লোক আছে সে রান্না করে টেবিলে সাজিয়ে রেখে চলে যায়। আমি বেলা অবেলায় খাই। বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া। আজকে কোন রকমে শরীর টাকে বিছানায় টেনে নিয়ে, শুয়ে পড়লাম। রিয়া আমার উপর ভীষণ ভাবে ভর করেছে, ঘুমের গহীনেও রিয়া। আমার প্রিয় আদরটুকু করছে সে। আমার চুলে বিলি করে দিচ্ছে। আমি ঘুমের ঘোরেই বললাম, রিয়া তুমি এসেছো? রিয়া শুধু বলল, হুম্।

তিন.
অবিশ্বাস্য, রিয়া সত্যিই এসেছে। কত কিছু ঘটে গেল, কত ঘটনা কিন্তু আমরা কেউ পুরানো কথা উঠলাম না, যেন আগে আমাদের মাঝে কিছু হয়নি। যেন এমনই চলছিল সব কিছু। অথচ মাঝখানে কেটে গেছে প্রায় এগারটা বছর। দুই জন নিঃসঙ্গ অভিমানী মানুষ, পার হয়ে এল অভিমানী সময়। আমাদের মনের ভেতর জমে থাকা ধুলো বালি কোথায় হারিয়ে গেল, আমরা বুঝতেই পারলাম না। এখন সেখানে কাঁচা রোদের সমারোহ।


আমি আবার আমার কাজে মনোযোগী হলাম। মেতে উঠলাম আমার ক্রোমোজোম লিকার, থ্রিডি প্রিন্টার নিয়ে। আমাকে শেষ করতে হবে, অসমাপ্ত কাজটুকু, শেষ করতেই হবে। আমার জন্য না হলেও রিয়ার জন্য আমাকে সফল হতেই হবে। কারণ আমি ওকে ভালবাসি, কিন্তু ওকে তো কখনোই বলা হয়নি, তোমায় ভালবাসি? বলার দরকার আছে কি? মনে হয় নেই, তবে ওর জন্যই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে শেষ করতেই হবে, অসমাপ্ত কাজটুকু। ঈশ্বর আমাকে সে সময়টুকু দেবে তো?





পাদটীকা:
১. ক্রোমোজোম লিকার - কাল্পনিক
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তানি হক রিয়ার ফিরে আসার পূর্ণতায় সব কিছু পূর্ণ হোক সফল হোক এই কামনা ... অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়ার গল্পটি ... এই গল্পের আর একটি পর্ব লিখার আবেদন রইল ।। শেষ অবধি কি ঘটবে জানার জন্য মন টানছে :) আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই । ভালো থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
তাপসকিরণ রায় সুন্দর একটি গল্প। ধারাবহতার বাঁধন চমৎকার। ক্রোমোজোম লিকার-কাল্পনিক হলেও বাস্তবিক ভাবতে আমার অসুবিধা হয় নি।
ভালো লাগেনি ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন অনেক সাই-ফাই এখন বাস্তব- এটাও বস্তবে পরিনত হোক- মানবের কল্যাণ হোক। খুব ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ওয়াহিদ মামুন লাভলু আমার জন্য না হলেও রিয়ার জন্য আমাকে সফল হতেই হবে। কারণ আমি ওকে ভালবাসি, কিন্তু ওকে তো কখনোই বলা হয়নি, তোমায় ভালবাসি? বলার দরকার আছে কি? মনে হয় নেই, তবে ওর জন্যই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে শেষ করতেই হবে, অসমাপ্ত কাজটুকু। অসাধারণ ভালবাসা। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু ভালবাসা সব সময়ই নতুন করে স্বপ্ন দেখায়, নতুন করে শক্তি যোগায়, গল্পতে তা সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। দারুন লিখেছেন ভাইয়া। খুব ভালো লাগল ।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মামুন ম. আজিজ পড়েছি দুদিন আগেই ,মোবাইলে মন্তব্য করেছিলাম। দেখি পোস্ট হয় নাই। .....অসাধরণ গল্পবুনট বারবার মন্তব্য করা যায়। নামকরণ দারুণ লেগেছে। থ্রি প্রিন্টার নিয়ে সাইফাই খুবই সময়উপযোগীয়....খুব সুন্দর সাইফাই।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
সূর্য সাই-ফাইয়ের খটমট ভাবটা দূরে সরিয়ে খুব আকর্ষণীয় করে লিখতে পারো তুমি। কেমিষ্ট্রি বা ফিজিক্স সম্পর্কে যাদের ভালো ধারণা নেই তাদেরও তোমার গল্প বুঝতে সমস্যা হয় না শুধু সুক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করো বলে। আর এসব কারণেই গল্পগুলো অসাধারণ হয়ে ওঠে।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ সূর্য দা।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
এশরার লতিফ সত্যিই অসাধারণ, দারুন লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ লতিফ ভাই।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
আল জাবিরী অসাদারন ........................
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১৬ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী