নমপেন টু মিশিগান

২১শে ফেব্রুয়ারী (ফেব্রুয়ারী ২০১২)

Noor E Alice
  • 0
  • ৩৭
ট্রে ভর্তি খাবার নিয়ে সোজা বারান্দা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল সোডালিন। পেছন থেকে হালকা ধাক্কা লেগে ট্রে ভর্তি খাবার যেয়ে পড়লো ভদ্রলোকের পুরো শরীরে। কোর্ট প্যান্ট টাই পরা ৬৫ বছর বয়স্ক সাদা চামড়ার ভদ্রলোক। তরকারীর ঝোলে ম্যাছাকার হয়ে গেল ভদ্রলোকের পোশাক। অবস্থা দেখে সোডালিন হা হয়ে দাড়িয়ে আছে। চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে যাচ্ছে। ভদ্রলোক সোডালিনের এ অবস্থা দেখে অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। সোডালিনকে জিজ্ঞেস করলেন, 'Are you okay?
সোডালিন প্রতিত্তুরে বললো, 'I am sorry, very sorry.
ভদ্রলোক সোডালিনকে বললেন, 'That’s okay, I am fine I will laundry this one.'
সোডালিন ইংরেজ ভদ্রলোকের কথা শুনে আশ্বসত্দ হতে পারছিলো না কারণ পাশে দাঁড়ানো তার ম্যানেজার। একেতো ম্যানেজারের বিদেশী কাস্টমারের দুরাবস্থা তারপর আবার ট্রে ভর্তি দামী খাবার ফেলে দেওয়ার অপরাধ দুটো মিলে সোডালিন ভয়ে জবুথবু হয়ে কাঁদতেই থাকলো। ভাবছে এবার মনে হয় চাকুরীটা যাবে। অনেক কষ্টে মামাতো ভাইয়ের সুপারিশে চাকুরীটা জোগাড় করতে পেরেছিলো। এই অপরাধে ম্যানেজার যদি তাকে চাকুরী থেকে বাদ দেয় তাহলে তার এক বছরের শিশু সনত্দানের দুধের টাকা জোগাড় করতে পারবে না। এক সাইড অবশ হয়ে পড়ে থাকা অসুস্থ মা হয়তো ঔষুধের অভাবে মারা যাবে, ছোট ভাই বোনদের মুখে তুলে দিতে পারবে না খাবার।
এক মুহূর্তের মধ্যে অনেককিছু তার মাথার মধ্যে ঘুরপাক করতে থাকে। কাঁদতে কাঁদতে ও মেঝেতে পড়ে থাকা খাবারগুলো তুলছিলো। পাশ থেকে ম্যানেজার বললো ঠিক আছে সোডালিন, 'তুমি এগুলো পরিষ্কার করে কিচেনে যাও'।
পরের দিন সকাল ১১ টার দিকে আবারো দেখা হলো ইংরেজ ভদ্রলোকের সাথে সোডালিনের। ভদ্রলোক নিজে থেকেই ওর সঙ্গে আলাপ করতে চাইলেন। নিজের সম্পর্কে জানালেন তিনি আমেরিকার মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ান। কম্বোডিয়ার নমপেনে এসেছিলেন ছাত্রদের নিয়ে ংঃঁফু ঃড়ঁৎ এ। সাতদিন থেকে আবারও ফিলে যাবেন। সোডালিন সম্পর্কে জানতে চাইলেন তোমার ঘরে কে কে আছে। সোডালিন বুঝতে পারছিলো না ভদ্রলোকের আমেরিকান ইংরেজি উচ্চারণ। তারপরও আধা আধা ভাঙা ইংরেজিতে বোঝাতে চেষ্টা করলো তার পরিবারে কথা। ভদ্রলোক শুনে দুঃখিত হওয়ার ভান করলেন সেটা সোডালিনের বুঝতে অসুবিধা হলো না।
এরপর ঐর, ঐবষষড়, মড়ড়ফ সড়ৎহরহম, ঐড় িধৎব ুড়ঁ এসব সামান্য ভদ্রতার কুশলাদীর মধ্যে দিয়ে সোডালিনের সাথে ভদ্রলোকের মাঝে মধ্যে দেখা, কথা চলতে থাকে। ৭ দিনের মাথায় ইংরেজ ভদ্রলোক ওকে জানায় ভদ্রলোক আজকের ফ্লাইট ধরে চলে যাবেন। হাতে একটা চিরকুট ধরিয়ে দেয় যেটাতে লেখা আছে ওনার ফোন নম্বর আর ই-মেইল এডড্রেস।
তারপর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে সোডালিনের দিন চলতে থাকে। মাস দুয়েক যেতেই হঠাৎ ওর মা এত অসুস্থ হলো যে মাকে হাসপাতালে নিতে বাধ্য হলো। কিন্তু বুঝতে পারছে না কিভাবে মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে। এদিকে ৫ দিন হয়ে গেল মায়ের হাসপাতালে আসার। ঔষুধের দোকানদারকে অনেক বলে কয়ে বুঝিয়ে বেশ কিছু টাকার ঔষুধ নিয়েছে। কিন্তু মায়ের চিকিৎসা তো এখনো অনেক বাকী। বুঝতে পারছে আরো বেশ কিছুদিন থাকতে হবে হাসপাতালে। সকালে হোটেলে কাজে যায় আর সন্ধ্যায় ফিরে হাসপাতালে মাকে দেখতে। ছোট বোন দুইটার পড়ালেখার খরচ জোগাড় করতে না পারায় ওরা স্কুল পাশ করার পরও বাসাতেই থাকে। সোডালিন ভাবে ভাগ্যিস ওরা ছিল তা না হলে বাসায় ওর বাচ্চাকে দেখতো কে, আর হাসপাতালে মাকে দেখতো কে। সোডালিন হাতে কাজ করে আর মনে মনে চিনত্দা করে মায়ের চিকিৎসার খরচ কিভাবে জোগাড় করবে। চিনত্দা করতে করতে হঠাৎ মনে পড়ে ইংরেজ ভদ্রলোকের কথা। ভদ্রলোক যাওয়ার সময় ফোন নম্বর দিয়েছিল। এ দুঃসময়ে ওনাকে ফোন করলে নিশ্চয়ই কিছুটা সাহায্য পাওয়া যেতে পারে। ভাবতে ভাবতে মনে কিছুটা আশার আলো জ্বলতে থাকে। সোডালিন মনে মনে ভাবে, ভদ্রলোককে দেখে দয়াশীল মনে হয়েছে, আর একটা বার চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতি কি? কাজের মধ্যে সারাদিন ওর মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে ভদ্রলোককে ফোন করে সাহায্য চাওয়ার বিষয়টা। সন্ধ্যায় হোটেল থেকে হাসপাতাল ফেরার পথে ফোন ফ্যাঙ্ এর দোকানে ঢুকে পড়ে। সোডালিন দোকানীর কাছ থেকে আমেরিকার কোড নিয়ে ভদ্রলোকের দেয়া নম্বর টিপতেই সে শুনতে পায় রিং হওয়ার শব্দ। ভয়ে বুক টিপ টিপ করতে থাকে। ওপাশ থেকে হ্যালো ঐড় িধৎব ুড়ঁ? ইত্যাদি কুশলাদির পরে ও বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে ওর পরিস্থিতি। ভদ্রলোক মনে হয় বুঝতে পেরেছেন সোডার পরিস্থিতি। তিনি সোডাকে জানালেন তার একাউন্ট নম্বরে ২/৩ দিনের মধ্যে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিবেন। টেলিফোন রেখে স্বসত্দির নিঃশ্বাস ফেললো সোডালিন।
দুই দিন যেয়ে তিন দিনের মাথায় তার নামে ৩০০/- ডলার এসে পৌছালো। সোডালিন এবার এই টাকাটা ভাঙিয়ে মায়ের চিকিৎসার খরচ, ফলমূল, বাবুর জন্য কিছু খাবার, খেলনা কিনতে পারলো। এ ঘটনার পর থেকেই সোডালিন মাঝে মধ্যেই ফোন করে আমেরিকান ভদ্রলোককে। দুই চার মিনিট কথা বলে রেখে দেয় ফোন। কিছুদিন যেতে না যেতে সোডার মা আবারও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। ওর মাথায় এবার আকাশ ভেঙে পড়ে। ভেবে কুল কিনারা পায়না। এবার কিভাবে মায়ের চিকিৎসার খরচ বহন করবে। এবার তার মা হার্ট এ্যাটাক করেছে। আসলে বৃদ্ধা মহিলার মাথায় সব সময়ই অনেক দুশ্চিনত্দা ঘুরতে থাকে। অল্প বয়সে বিধবা হয়েছে, তারপর এক নার্সিং হোমে আয়ার কাজ করে কোনভাবে ছেলে মেয়েদের বড় করেছে, সামান্য কিছু লেখাপড়াও শিখিয়েছে। এখন বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে আয়ার কাজটা আর নেই, তাই সংসারের সব দায়ভার গিয়ে পড়েছে বড় মেয়ে সোডালিনের ওপর। মেয়েটার একেতো অল্প বয়সে এত পরিশ্রম তারপর আবার কত বড় শোক সামলাতে হয়েছে তাকে। এসব কিছু ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সোডালিনের মায়ের মাথাটা ঘুরে ওঠে। আর সেই সময়ই হার্ট এ্যাটাকটা ঘটে।
সোডালিন পরিচিত ফার্মেসী থেকে ঔষুধ নিয়ে মায়ের বিছানায় বসলো। মা সোডালিনকে বললো- 'এবার কি করবি রে মা? এবার কিভাবে আমার চিকিৎসার খরচ চালাবি'? সোডালিন মায়ের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো, 'এত চিনত্দা করো না মা, একটা ব্যবস্থা হয়েই যাবে।'
একটা ব্যবস্থা হওয়ার কথা সোডালিন বললো ঠিকই কিন্তু সারাক্ষণ ওর মাথায় এই বিষয়টায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সোডা কিছুক্ষণ চিনত্দা করার পর মাকে জানালো 'আচ্ছা মা মামার কাছে কিছু টাকা ধার চাইলে হয় না?'
মা বললো- 'তোর মামা কি দিব? আর তোর মামারও তো অনেক সমস্যা তারপরও তুই চেয়ে দেখতে পারিস।'
সোডালিন বললো- 'দেখি একবার চেয়ে, মামা কিছু করতে পারে কিনা!'
পরের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে হাতমুখ ধুয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে মামার বাড়ি গেল, ওর মামা ঘরে ছিল। সোডালিনের কাছে সব কিছু শুনে বললো- সব কিছুই তো বুঝলাম, 'কিন্তু মা আমার হাতে এখন কোন টাকা পয়সা নাই যা দিয়ে আমি তোকে সাহায্য করতে পারি। তবে তুই একটা কাজ করতে পারিস তোর বড় খালার ছেলে র্যাকবের কাছে যেতে পারিস।'
সোডালিন মামার কথা শুনার পর আর বেশি দেরি করে না। সোজা রিকসা করে চলে যায় খালাত ভাই র্যাকবের কাছে। র্যাকব তো সাত সকাল বেলা সোডালিনকে দেখে অবাক। সে বলে,
'কি ব্যাপার সোডালিন এত সকাল বেলা আমাদের বাসায়?'
সোডালিন র্যাকবের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে এবং কান্নায় ভেঙে পড়ে। র্যাকব তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে,
'মন খারাপ করোনা, কিছু একটা ব্যবস্থা হবে।'
সোডালিন বুঝতে পারে না কি ব্যবস্থা হবে। র্যাকব তাকে যে টাকা দিতে চাইলো তা দিয়ে হয়তো তার মায়ের একদিনের চিকিৎসার খরচ চলবে বাকী টাকা সে কোথায় পাবে। সোডালিন বাসায় ফিরে আসে। সামান্য কিছু মুখে দিয়েই ছুটতে থাকে হোটেলের দিকে। সারাদিন কাজ কর্ম করে আবারও মায়ের কাছে। মা জানতে চায়- 'কিরে কিছু ব্যবস্থা হল? কি বললো তোর মামা?'
সে চুপ করে থাকে। বুঝতে পারে না কি বলবে মাকে। সত্যটা শুনলে হয়তো মায়ের চিন্তা আরো বাড়বে। তাতে মায়ের শরীরটা আরো বেশি খারাপ হবে। কিন্তু মেয়েকে চুপ থাকতে দেখে মায়ের আর বুঝতে বাকী রইলো না পরিস্থিতি সম্পর্কে। মা সোডালিনের হাতটা টেনে বুকের কাছে নেয়। হাতে স্নেহের পরশ বুলাতে বুলাতে বলে, 'মা রে আমেরিকান ভদ্রলোকের কাছে একবার ফোন করলে হয় না।'
শুনে সোডালিন বলে, 'কি বল মা? আবার উনাকে ফোন করতে আমি পারব না।'
মা মেয়ের উত্তর শুনে আর কথা বাড়াতে সাহস করে না। সোডালিনও এ নিয়ে আর দ্বিতীয় কোন কথা বলে না। সোডালিন মায়ের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসে। রাসত্দা দিয়ে হাটতে হাটতে মায়ের পসত্দাবটা ভাবতে থাকে। এরমধ্যে দুই-একজন বন্ধু-বান্ধবের কাছেও হাত পেতেছে সে, কিন্তু কোন সুবিধা করতে পারেনি। সোডালিন ভাবে তাই বলে তো মায়ের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না। এত কিছু ভাবতে ভাবতে সে মনের অজানত্দে কখন ফোন ফ্যাঙ্রে দোকানে এসে পৌছেছে বুঝতে পারেনি। হঠাৎ চোখ তুলে দেখে সে ঠিক ফোনের দোকানের সামনে। সোডালিন ব্যাগ খুলে ভদ্রলোকের নম্বরটা ডায়াল করে। যথারীতি কথাবার্তা হওয়ার পর সোডালিন আবারও মায়ের অসুস্থতার কথাটা বলে ভদ্রলোককে। ভদ্রলোক ওপাশ থেকে সবকিছু শুনলেন কিন্তু সোডালিনকে কোনরূপ আশ্বস্ত করলেন না। সোডা ফোন রেখে চিন্তাক্লিষ্ট মনে ঘরে ফিরলো।
দুই দিন যেতে না যেতেই সোডালিনের ঠিকানায় আবারও ২৫০ ডলার এসে পৌছালো। কিন্তু এবার ভদ্রলোক টাকার সাথে একটি চিরকুট চিঠি পাঠালেন। যাতে লেখা 'তুমি আমার কাছে তোমার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বারবার টাকা নিচ্ছো।' সোডালিন চিরকুটটা পড়ে মর্মাহত হল কিছুটা কিন্তু কিছুক্ষণ পর প্রাণ ফিরে পেল। যাক এবারও মায়ের চিকিৎসার খরচের ব্যবস্থা করা গেল তাহলে। সোডালিনের মা সম্পূর্ণ সুস্থ হলে মাকে হাসপাতাল থেকে ঘরে নিয়ে আসলো। দিন এভাবেই চলতে থাকলো আবারও কিন্তু সোডালিনের মনে একটা দুশ্চিন্তা দানা বাধতে লাগলো। দিন যত যাবে তত সমস্যা বাড়তে থাকবে। মায়ের বয়সের সাথে সাথে অসুস্থতার পরিমাণ বাড়বে, বোন দুটো না হয় পড়ালেখা ছেড়ে আজ ঘরে বসে আছে কিন্তু দুটিন পর বয়স থেমে থাকবে না, ওদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে, নিজের শিশু সন্তানকে পড়া লেখা শিখিয়ে মানুষ করতে হবে, এত কিছু ভাবতে ভাবতে সোডালিন দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। নিজের জীবন নিয়ে আর ভাবে না।
কলেজ পড়তে পড়তে পরিচয় অর্থব এর সাথে। তারপর পরিচয় থেকে পরিণয়। এক পর্যায়ে বিয়ে করে ওরা। ভালোই চলছিল ওদের সংসার বিয়ের দুই বছরের মাথায় সোডালিনের গর্ভে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। সোডালিন নিজের নামের সাথে নাম মিলিয়ে নাম রাখে সোডারামিন। কিন্তু অর্থবের মা প্রথম থেকেই ওদের বিয়েটাকে সহজভাবে মেনে নেয়নি। সব সময়ই ছেলেকে খোঁচা দিতে থাকে চাল-চুলোহীন গরীব ঘরে মেয়েকে বিয়ে করার জন্য। অর্থবের মা ছেলেকে বোঝায় সোডালিনকে ত্যাগ করে কোন ধনীর মেয়েকে বিয়ে করে নতুন জীবন গড়তে। প্রথম প্রথম অর্থব মায়ের কথায় কান দিত না কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর সোডালিন দেখলো তার স্বামীও কেমন যেন বদলে যাচ্ছে। আর আগের মত সোডালিনের সাথে হেসে কথা বলে না, কারণে অকারণেই সোডালিনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে। সোডালিন কোন সমস্যার কথা বলতে গেলেই চিৎকার করে ওঠে। কিছু দিন যেতে না যেতেই সোডা আবিষ্কার করলো ওর স্বামী অন্য এক মেয়ের প্রেমে পড়েছে। সে মেয়ের বাবার অনেক অর্থ-সম্পদ থাকার কারণে এ সম্পর্কে অর্থবের মায়ের কোন আপত্তি তো নেই বরং সম্পর্কটা চালিয়ে যেতে নানাভাবে সাহায্য সহায়তা করে।
সোডালিন সব কিছু বুঝতে পারে কোন প্রতিত্তুর করে না। দিন গড়াতে থাকে। সময় চলতে থাকে। একদিন কথা কাটাকাটি। তারপর থেকে অর্থব সোডালিনের গায়ে হাত তোলে। তারপর মাঝে মধ্যেই সোডালিনকে এভাবে মারধর করতো। সোডালিন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব নির্যাতন সহ্য করে। কিছুদিন যেতেই দেখা গেল এবার অর্থবের সাথে সাথে ওর মাও সোডালিনকে মারতে দ্বিধা করে না। একদিন অসহ্য হয়ে স্বামীর ঘর থেকে সোডালিন শুধু পরে থাকা কাপড় আর কোলে সন্তান নিয়ে বের হয়ে আসে। মায়ের কাছে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং সব খুলে বলে। দিশেহারা সোডার মা বলে কিছুদিন থেকে যেতে তার কাছে। সোডালিন স্বামীর ঘর থেকে বের হয়ে আসার ১৫ দিন পর শুনতে পায় তার স্বামী ঐ ধনীর দুলালীকে বিয়ে করেছে। সোডালিন প্রতিজ্ঞা করে সতীনের সঙ্গে সে সংসার করবে না। আত্মীয় স্বজন সবাই তাকে পরামর্শ দেয় স্বামীর নামে মামলা করার জন্য। সোডালিন মামলা করে, কোর্টে ওঠে উকিল। বিচারককে জানায় সোডালিনের অত্যাচারের কাহিনী। বিচারক জানতে চায় সোডালিনের কি কি অভিযোগ আছে। সোডা জানায়, 'তার কোন অভিযোগ নেই।' বিচারক আরো জানতে চায়, তার কি কি চাওয়ার আছে। সোডা বলে, 'কোন কিছু চাওয়ার নেই।' জাজ আবারও জিজ্ঞেস করে ঘরে ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজ, কোন কিছু? সোডালিন জানায়, 'কোন কিছুই আমার দরকার নেই, আমি শুধু আমার সন্তানের ভাগ কাউকে দিতে চাই না। ওকে আমি আমার স্বামীর সাথে ভাগ করব না।' শুনে আদালত ভর্তি মানুষ মুখ চাওয়া-চায়ি করতে থাকে। বিচারক সোডালিনের স্বামীকে জিজ্ঞেস করে এ বিষয়ে তার কোন আপত্তি আছে কিনা। অর্থব জানায় তার কোন আপত্তি নাই। সোডালিন ঠিক এভাবেই রায় নেয় যে আর কোনদিন সন্তানকে দেখতে চাওয়া, সন্তানের কাছে আসা অথবা সন্তানের দাবী করার কোন অধিকার অর্থবের থাকবে না।
সোডালিন রায় পেয়ে ছয় মাসের সন্তানকে বুকে নিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে আসে আর কখনো স্বামীর কোন খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টাও করেনি। তারপর থেকেই হোটেলের কাজ জোগাড়। আর এভাবেই দিন-যাপন। সোডালিন নিজের জন্য না ভাবলেও এবার তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ভাবনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
একদিন হঠাৎই আমেরিকান ভদ্রলোক উইলসন সোডালিনকে ফোন করে। কুশলাদি জানতে চায়। সোডালিন ভদ্রলোককে তার মায়ের শারীরিক কিছুটা উন্নতির কথা জানায় এবং ভদ্রলোকের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানায়। দশ দিন পনের দিন পর উইলসন সোডাকে ফোন করে। সোডাও মাঝে মধ্যেই উইলসনকে ফোন করে। সোডালিন এবার নিজের চিন্তা ভাবনাকে অন্যদিকে মোড় দেয়। ভাবে, আচ্ছা এই লোকটাকে যদি সে বিয়ে করে তাহলে তো তার পুরো পরিবারটাও আর্থিক সঙ্কটের হাত থেকে বেঁচে যায়। যেই ভাবনা অমনি মাকে বিষয়টা বলে, মা বলে, 'তা কি করে হয় তোর বয়স সবে ২৮ আর তার বয়স ৬৫?'
সোডালিন মাকে বোঝায় মা বয়সটা আমার কাছে বিষয় না; আমার কাছে এখন তুমি, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ, আমার বোনদের সমস্যা অনেক বড়। মা মেয়ের মুখের দিয়ে নিশ্চল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
পরেরদিন সোডা ফোন দেয় উইলসনকে। উইলসনকে জানায় সে তাকে ভালবাসে এবং বিয়ে করতে চায়। ভদ্রলোক সোডালিনকে বলে, প্রথম দিনই তোমাকে আমার ভাল লেগেছে কিন্তু তোমার আমার বয়সের পার্থক্য অনেক।
সোডা বলে, 'আমি বয়স বুঝি না, আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি এবং তোমাকে বিয়ে করব বলে মন স্থির করেছি।'
উইলসন সোডালিনের কথা শুনে মনে মনে খুশি হয় কারণ বেশ কিছু বছর আগে থেকেই ওর স্ত্রী ওর সাথে থাকে না। সে থাকে ঙষফ ঐড়সব-এ। দুই ছেলে তারাও যার যার মতো আলাদা থাকে। একাকী নিঃসঙ্গ জীবন তার কাছেও ভাললাগে না। মেয়েটা যখন তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে সমস্যা কি? ভদ্রলোক ভাবে তার বাকী জীবনটা নিঃসঙ্গতার হাত থেকে বেঁচে যাবে। তাছাড়া সোডালিনকে বিয়ে করে তার পরিবারকেও কিছুটা সাহায্য করা যায়। সাতদিনের মাথায় সোডা আবারও ফোন করে উইলসনকে। জানতে চায় তার প্রস্তাব সম্পর্কে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এবার আর দেরী করে না ইউলসন। সোডাকে জানায় আমি রাজী আছি তোমার প্রস্তাবে। আমি কিছুদিনের মধ্যে তোমার দেশ কম্বোডিয়ায় আসব।
সোডালিন এবার যেন কিছুটা হালকা বোধ করতে শুরু করলো। ভাবলো, আমার একটা জীবনের ত্যাগের বিনিময়ে কয়েকটা জীবন যদি প্রাণবন্ত হয় তাহলে ক্ষতি কি? সোডালিন বাড়ি ফিরে মাকে সব কিছু বুঝিয়ে বললো। ওর মা সম্পূর্ণ রাজি না হলেও বেকে বসলো না। আসলে বৃদ্ধা নিজেও ভেবে দেখেছেন বিষয়টা কিন্তু মনের দিক থেকে কিছুটা হলেও দ্বিধা কাজ করছিল। মেয়েকে একজন ৬৫ বছর বয়স্ক লোক বিয়ে করতে বলাটা খুব বেশি স্বার্থপরতা হয়ে যায় কিন্তু এবার যখন মেয়ে নিজ থেকে আবার বিয়ের বিষয়টা বললো তখন আর জোরালোভাবে না বলার মানসিক জোড় ভদ্র মহিলার ছিল না।
মাস দুয়েক পর একদিন উইলসন সোডাকে জানালেন, সামনে সোমবার আমি তোমাদের দেশে আসছি। সোডালিন সেই ভাবে মাকে জানালো এবং ওর অপেক্ষা করতে থাকলো। যথা সময়ে উইলসন আসলেন এবং পরেরদিনই কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সোডালিনের ধর্মের (সোডার ধর্মে ছিল বৌদ্ধ) কালচার অনুযায়ী বিয়ে সম্পূর্ণ হলো। সোডালিন এতকাল ধরে ওর ছোট শিশু সন্তানকে বলে আসছে তোমার বাবা অনেক দূরে থাকে। এবার সোডা তার ছেলেকে বুঝালো তার বাবা এবার দূর থেকে তাদের কাছে এসেছে। উইলসন কম্বোডিয়ায় সোডালিনকে রেখে কয়েকদিন পর দেশে আসলো। কিন্তু বুড়োর মন আর আমেরিকায় টিকতে চাইলো না। একে তো বুড়ো বয়সে বিয়ে তারপর আবার যৌবনাবতী স্ত্রী, দুয়ে মিলে বুড়োর মন চঞ্চল হয়ে উঠলো। দুই মাস না যেতেই আবারো উইলসন কম্বোডিয়ার দিকে রওনা দিল। এমনিতে প্রতি মাসে টাকা পাঠানো, প্রতিদিন ফোনে কথা বলা এসব চলছিল কিন্তু তাতে বুড়োর মন ভরছিলো না। দ্বিতীয় বার যেয়ে ভদ্রলোক সোডালিনের নামে একটা সুন্দর বাড়ি কিনলো এবং সেই বাড়িতে সোডার পুরো পরিবার বাস করতে শুরু করলো। এভাবে বছর দুয়েকের মধ্যে মোটামুটি দশ/বারোবার আমেরিকা-কম্পোডিয়া করার পর গ্রীন কার্ড রেডি করে দুই বছর পর সোডালিন আর সোডারামিনকে নিয়ে উইলসন রওনা দিল আমেরিকার উদ্দেশ্যে। মা বোনদের ছেড়ে থাকার কষ্ট সোডালিনের বুকে বাজছিল ঠিক কিন্তু সবকিছু ভেবে স্বামীর হাত ধরে রওনা দিল অজানা জীবনের উদ্দেশ্যে।
উইলসন নিজের সন্তানের মতো করেই ভালোবাসে সোডারামিনকে। ওর আবদার ওর আহলাদ কোন কিছুতেই বিরক্ত হয় না বরং খুব আগ্রহসহকারে সোডারামিনের প্রয়োজন আর ইচ্ছাগুলো পূরণ করে। সোডালিন সব কিছু দেখে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ভাবে নিশ্চয় ভুল হয়নি ওর হিসাবে। সোডারামিন এখন মিশিগানের একটা ভালো স্কুলে পড়ালেখা করে। উইলসনের চেষ্টায় একটা ভাল রেস্টুরেন্টে চাকুরী পেয়েছে সোডালিন। মাস গেলে বেশ ভাল অংকের বেতন পায়। এক মাসের বেতন পুরোটায় পাঠিয়ে দেয় দেশে মায়ের ঠিকানাতে। সোডালিনের স্বামী অবশ্য স্ত্রীর টাকার সাথে আরো দুইগুন যোগ করে শ্বাশুড়ির জন্য পাঠায়। এখন সোডালিনের দুইবোন কলেজে যায়। ওরা বেশ ভাল আছে বলে জানায় প্রতিদিনই। সোডালিন এখনো গাড়ি ড্রাইভ করতে শিখেনি ও স্বামী ওকে ড্রাইভ করে কাজের জায়গায় দিয়ে যায় আবার কাজ শেষে ফোন করলে নিয়েও যায়। কাজ শেষে যখন সোডালিনের স্বামী নিতে আসে সোডালিন প্রতিদিন গাড়িতে উঠে চট করে একটা চুমা দিয়ে দেয়। উইলসনকে মাঝে মধ্যেই বলে, 'অমব ফড়বং হড়ঃ সধঃঃবৎ, ও ষড়াব ুড়ঁ্থ. উইলসন আমেরিকার কালচার মতো মাঝে মধ্যে বারে যায়। এরৎষ ভৎরবহফ দের সাথে হয়ত সঙ্গ দেয়। সোডার মাছ ফ্রাই এর গন্ধ উইলসনের সহ্য হয় না। তারপরও সোডালিন হয়তো ভালবাসে উইলসনকে। হয়তো আত্ম প্রবঞ্চনা করে। আর যাই হোক এখন আর ভাবতে হয়না মায়ের ঔষুধের দাম নিয়ে, সন্তানের সখের খেলনা কিনে দিতে না পেরে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে না সোডালিনের।
এভাবেই গতিশীল হতে পারতো সোডালিনের জীবন। জীবন মানেই তো বিচিত্রতা। তাই হয়তো সোডালিনের জীবন প্রবাহ একই গতিতে প্রবাহমান হতে পারেনি। তার গতি মাত্রা নিয়েছে ভিন্ন। বছর দুয়েক ভালভাবেই স্বামীর সাথে চলতে থাকে সোডালিনের বিবাহিত জীবন। কিন্তু এবার সে দেখলো তার আমেরিকান স্বামীর আমেরিকান খরভব ংঃুষব. তার স্বামী প্রায় রাতেই ইধৎ-এ যায়, বিয়ার খায়। স্বামীর সাথে তাল মেলাতে সোডা নিজেও বিয়ার হাতে তুলে নেয়। বিভিন্ন ধরনের সর্ট স্কার্ট। বুকের সামনের আকর্ষণীয় অংশের অর্ধেকের বেশি বের করে পোশাক পরা কোন কিছু করতেই দ্বিধা করে না সোডা। কিন্তু এসব কিছু করেও বুড়োর সাথে ঠিক খাপ খাইয়ে চলতে পারছিলো না। নতুন করে আবিষ্কার করে তার স্বামীর দীর্ঘদিনের গার্ল ফ্রেন্ডকে এবং তার সাথে মেলামেশার বিষয় ও অর্থিকভাবে সাহায্য করা। এ নিয়ে এখন সোডার স্বামীর সাথে সোডার মাঝে মাঝে রাতে ভীষণ বাক-বিতন্ডা হয়। সোডা নিষেধ করে তার স্বামীকে গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে না মেশার জন্য। উইলসন তাকে আমেরিকান কালচারকে মেনে নিতে বলে। এক রাতে দু'জনের মধ্যে ভীষণ ঝগড়ার এক মুহূর্তে সোডা ৯১১ এ ঈধষষ করে পুলিশ ডাকে। সোডাকে এডজাষ্ট করে চলার জন্য পুলিশ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়। নিয়তির বিধান নিয়ে মাঝে মাঝেই এখন সোডার অভিমান। প্রায় রাতেই অভিমানে আত্ম-গ্লানিতে সোডা দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকে রক্ত বের করে। কিন্তু সংগ্রামী সোডা তার সন্তান, তার জীবন নিয়ে এখানেই থেমে থাকতে চায় না। তার সংগ্রামী মন এগিয়ে চলতে চায় সামনের দিকে। ছেলেকে লেখাপড়া শেখাবে, নিজে পড়ালেখা শুরু করবে এবং ভাল একটা ঔড়ন করবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে সোডা আগামীর স্বপ্ন দেখে।
উইলসন সোডার সন্তানকে আর সহ্য করতে পারে না, বোডিং স্কুলে পাঠিয়ে দিতে বলে। সোডা বলে, 'এশিয়ান মেয়েরা সন্তানকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে।' উইলসন জানায়, 'সন্তান বাবা মায়ের নয়, দেশের। ও আমেরিকান।' সোডা দেখে সত্যিই তো এদেশের কোন বাচ্চাকে বাবা-মা গায়ে হাত তুলতে পারে না, ধমক দিতে পারে না। প্রতিবেশী আফ্রিকার ঘানার দম্পতির কথা মনে হলো তার। খেলতে খেলতে বারান্দায় পড়ে রক্তাক্ত হয় পাঁচ বছরের বাচ্চাটি। প্রতিবেশী কেউ ৯১১ এ ফোন করে। তাই তাদের ছেলে কোলাকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে দত্তক দিয়েছে অন্যত্র কোথাও, কেউ জানে না। এদেশের সন্তানরা গর্বিত আমেরিকান হিসেবে, বাবা-মার জন্য নয়। সোডারামিনকে বোডিং এ দেয়া নিয়ে মাঝে মাধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে। সোডার গায়ে হাত তোলে উইলসন; বলে, '্ ঘর আমার, বের হয়ে যাও।' মাইনাস ১৮/২০ ডিগ্রী তাপমাত্রার রাতে কোথায় যাবে সোডা। আমেরিকান প্রফেসর তার রিডিং রুম এর একটি বই খুঁজে না পেয়ে ফুঁসতে থাকে জ্বলন্ত অগি্নর মতো। এর জন্য দায়ি সোডারামিন। সোডা প্রতিবাদ করলে ফুলদানি দিয়ে ঢিল মারে সোডারামিন-এর মাথায়। ফিনকি দিয়ে রক্ত গড়িয়ে যায়। আর ৯১১ নয়। এবার যুদ্ধ নিজের জন্য নয়, একমাত্র সন্তানের জন্য। তুষার ঝড়ের এই রাতে সোডা সন্তানকে নিয়ে ঘর হতে বেরিয়ে যায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আনিসুর রহমান মানিক ভালো লাগলো ...
ভালো লাগেনি ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন . . . . . . . . . . সুন্দর একটা গল্প। আরো ভাল গল্প আশা করছি। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি mondo na valoi laglo golpota ...........dhonnobad.........NooooooR apnake..........
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
রোদের ছায়া জীবনের এক কঠিন যুদ্ধ , নারী জীবনের করুন বাস্তবতা গল্পের ওসব কিছুই ঠিক আছে কি বিষয়ের বাইরে গল্পটি ........আর কনভার্ট জনিত কারণে কিছু জায়গায় বুঝা যাচ্ছে না ...তো সামনে আরো ভালোর প্রত্যাশা রইলো ....
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

১৬ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪