সবুজের মৃত্যু

সবুজ (জুলাই ২০১২)

ছালেক আহমদ শায়েস্থা
  • ১১
  • 0
  • ১৮৭
বাতাস ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকে ভাবলে যুক্তিহীনতা, যুক্তি,বিশ্বাসের আদৌ মৃত্যু ছাড়া কিছুই না এবং তা কোন ক্রমেই সৃকার্য নহে। তবো ও মৃতবস্থায় বেঁচে থাকা বেঁচে যাওয়া আরেক ব্যতিক্রম জীবনের বাস্তবতা। গল্পের তালে বাস্তবতার সংমিশ্রন ও জোড়া লাগানো কাঁচা হাতের সাধ্যাতিত নয়। বিজ্ঞজনের শৈল্পিক বিশ্লেষনে গল্পের কাহিনী নির্ভর রূপায়ন সম্ভব করতে পারেন ও সম্ভব করেন শতভাগ। ‘‘নাচতে না জেনে উঠোন বাঁকা’’ কথার মত আমার স্ব কে স্ব-রই মন্তব্যে আমি নিজেই স্বীকার করছি। আবার কলম কাগজে অনেক লিখে সময়ের অপচয় আর অর্থের গাঢ় ভাঙ্গা কখনো সফলতা আমার মত লেখকের সাফল্য বনে আনবে না হেতু কি করে থাকি এই সত্য যুদ্ধের ময়দান থেকে দূরে সরে বিকেক দেয়না কোন সঠিক সমাধান। যানি কোন দিন ও সেরার তালিকায় স্থান পাব না। অত:পর সেরা প্রাপ্তিতে ও এক ঝাঁক পাঁকা লেখকের ঝাঁঝালো বিচার বিশ্লেষন ও সুনিপূন মন্তব্য তাদের সাথে থাকতে আমাকে আশাতীত করে, করে মাঝে মধ্যে অনুপ্রানিত। এদ্বারাতে যেন থাকি এবং উন্নত লেখকের ভিড়ে তাদের একটু সংস্পর্শ পেয়ে নিজেকে ধন্য করি ঐ কথার মত‘‘ ক্ষতি নাই যদি থাকি অনাদরে’’।
গল্পের শুরুর আগে ভুমিকার দীর্ঘতা পাঠক বিরক্তির কারণ সত্ত্বেও কোন অজানাতে আমি আজ বাস্তবতা উপলদ্ধি করি জানি না। তার পর ও বাস্তবতার জন্যই আমাদের গল্প হোক এই থাকছে প্রত্যাশা।

(১)
প্রকৃতি দর্শন মানবতা প্রসস্থ করে এবং যদি তুমি নিজেকে জানার ইচ্ছা করো তবে তুমি প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা নাও। দেখো, একটি কুকুরের দিকে তাকিয়ে সে ও প্রভু ভক্ত থাকে। আরো শুনো ‘‘অকৃতজ্ঞ মানুষের চাইতে কৃতজ্ঞ কুকুর ভাল’’ ওঠা ও একজন মনিষীর কথা। এই বলে মিজান কথা শেষ করলে জয় বলল আরে রাখো তোমার নেতার মত কথা বলার ভাষন। আমরা তোমার ভাষন শুনতে আসিনি। তুমি যাবে কি না সেটা বল ?
মিজান: কোথায় যাবে তোমরা?
শাকিল: প্রতিদিন যেখানে যাই।
মিজান: না আমি আর আজ থেকে ওখানে যাব না। এবং তোমাদের কোন বাজে কাজ করতে দেবনা।
রিন্ট: মিজান তুই বেশি বাড়াবাড়ি করছিস।
মিজান: এই পাগলের দল, তোমাদের এত করে বলি ওরা আমাদের বোন,ভাগিনি,ওরা আমাদের মায়ের সমান। কেন বুঝিস না, আর কতো বখাটেপনা করবে ? ওসব করতে করতে মান সম্মানের বারোটা কত বাজাবে? আচ্ছা কেন প্রতিদিন ঐ স্কুলের মেয়েদের বিরক্ত করিস ? কি লাভ হয় তোমাদের?
জয়: চোখ রাঙ্গিয়ে বলল দেখো মিজান তুমি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো কিন্তু। হেই হেই তোর এত দরদ কিষের-রে।ওদের সাথে আমাদের যা ইচ্ছা তাই করব। প্রয়োজনে তুকে আমাদের সাথে আসতে হবে না। তোর মেয়ে দরদী বন্ধুদের সাথে চলে যা। আর কখনো আমাদের সাথে মিশবে না। এই বলে জয়, শাকিল, রিন্টু, শনাথ, নূপুর ছালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের দিকে হাটতে লাগলো। মাত্র দশ মিনিটের রাস্থা। জীবন নগর বাজার হতে কলেজ গেইটে পায়ে হেটে দশ মিনিটে পৌছালো জয় ও তার বন্ধুরা।


সুদীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্টানে কত মানুষ মানবতার শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েছে, করেছে সুনাম খ্যাতি অর্জন আর কত জন শিক্ষা নামের সার্টিফিকেটের পিছন ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে হয়েছে অমানুষ,মনুষত্ত্ব্যবিহীন খোলসীয় মানুষ নামের রোবট।

কলেজ সীমানার বাহিরের চার পাশে অসংখ্যা বৃক্ষরাজির মিলন মেলা। দেওয়ালের ভিতর বাহিরে নানা প্রকার ফুল ফল,বনজ ও ঔষধী গাছগাছালিতে ভরপুর।এখানে সাহারা মরুভূমির বালুর উত্তপ্ততা বলতে লেশ মাত্র নেই। রোদের আলোতে ছায়াযুক্ত সবুজ প্রকৃতি আর মুক্ত বাতাসের অকৃপন পরিবেশ। বাতাসের মুক্ত বিচরণ ফুলের সৌরভ আর বৃষ্টির মত ঝর ঝর করে রেন্টির পাতাগুলো মাটির উপর পড়ার দৃশ্য বার বার দেখতে ইচ্ছে করে। জীবন ভরে ঐ পরিবেশে নীড় বাধার স্বপ্ন দেখেন, স্বাদ লালন করেন প্রকৃতি প্রেমীরা। ওখানে সুরমার উজানে কিংবা কুশিয়ারার উৎপত্তিতে মৃত্যুবাধ তৈরির করে কেউ রাখেনি,ছিল না। প্রাকৃতিক উষ্ণতা ঘটাতে অথবা ‘‘টিপাইবাঁধ’’ নির্মাণ ফল স্বরূপ রাজ্যের উত্তরাঞ্চল মরুকরণ সমীরণ মানুষের মাথায় ভোঁতের বোঝা নামের স্পর্শক ছিল প্রতিরোধ্য। অত:পর দুটি পাতা একটি কুড়ি খ্যাত বিলুপ্তি কামনার ধারপ্রান্তে টাই দেবার নয়। ছিল সবুজ বেষ্ঠিত টিলার পাহাড় আর চায়ের বাগান। মাথা উচু করে দাড়ানো নৈসর্গিক শ্যমল উদ্যান। ধ্বংশে আজ অশ্রুভেজা কান্নার জলে পশ্চিমে গড়াচ্ছে আহাজারি, হচ্ছে বহমান। যা হবার কথা নয়,যা সহনের ছিল না কোন প্রয়োজন। কিন্তু সবুজ এই প্রকৃতির মাথায় যেন বজ্রপাত করবে আঘাত কে জানতো। কাল বৈশাখের এক প্রথম বজ্রপাত এই প্রকৃতির সব চেয়ে সুটাম দেহের বড় আকাশি গাছটাতে এক রাতে করে আঘাত। স্কুল এলাকার দেওয়ালের ভিতর ঢুকে কে বা কারা রাত্রিতে গাছটি কেটে নিয়ে গেল।

স্কুল এলাকার দুপাশে উজান থেকে নেমে আসা দুটি খাল নিম্ম সমান্তরালে ভাটিতে গড়িয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানির যোগানে স্কুল সমতলের অঞ্চল সব সময় ছিল পরিমাপ মত উর্বর। পানির স্থর ছিল পর্যাপ্ত। বৃক্ষলতার অধিক বাড়ন ও কম সময়ে খাদ্যশষ্যের উৎপাদন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসি হচ্ছিল বেশ লাভবান।

জয়-দের বাড়ি ছিল সমতল এলাকার উজানে। পাহাড় থেকে নেমে আসা খালের উৎপত্তিতে। মিজানের সাথে শেষ কথা হবার পর দিন থেকে মিজান ছাড়া সবাই স্কুলের ওখানে আসে। তাদের মনের মত করে স্কুল ছুটি বা স্কুলে আসার সময় মেয়েদের সাথে নানান ধরণের রুচিহীন আচরণ, শ্লীলতাহানী, ট্রিজিং, হাত ধরে টানাটানি, প্রেম নিবেদন ইত্যাদি অপকর্ম প্রতিনিয়ত করেই চলতো শাকিল-রা। কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা রাখতো না। দলে বলে শক্তিতে জয়,শাকিল,রিন্টু,থাহিন-রা বেশ শক্তির অধিকারী ছিল।

কলেজের ভিতর একটি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিনার আছে মাথা উচু করে দাড়িয়ে। আকাশ পানে মাথা উচু করা একটি কৃষ্ণচুড়ার গাছ। লাল ফুলে শহীদ মিনার রাঙ্গা হতো প্রতিটি ভোরে। দেখতে দেখতে ঐ বখাটে গুলো এক সময় কলেজের ভিতরে আড্ডার পরিবেশ বানিয়ে নিল। ত্রাসের রাজত্ব এখন বখাটেদের হাতে। অত্র এলাকার ফলমুল খাওয়া থেকে গাছের ডালপালা ভেঙ্গে ফেলা সহ কত অনাচার অবিচার নির্যাতনের শিকার এখানকার পরিবেশ। এক কথায় মগের মুল্লুক নামের অভিধায় করলো আয়ত্ব। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। অনেকে প্রতিবাদ প্রতিহত করতে গিয়ে জীবন নামের শব্দটি কাপনে দাপন করতে হয়েছে।‘‘এই অত্যাচারের মাত্রার পরিমাপ কত’’।

মিজান: এখন বন্ধুহারা হলেও সে নিজেকে শান্তনা দেয় এভাবে। কু-চরিত্রের বন্ধুর চেয়ে বন্ধু না থাকাই অনেক ভাল, একজন বন্ধুর যদি মানবিক ও মানবতা বুঝার মত জ্ঞান না থাকে তাহলে সে বন্ধু হতে পারে না। বিবেকহীন মানুষের দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়না বরং বেশির ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। অবোঝ,বাচাল,দুষ্ট ও বখাটে বন্ধুর সংস্পর্শ এ কজন ভাল বন্ধুর জীবনে ধ্বংশের কারণ ও মান মর্যাদা হানীর কারণ হয়ে দাড়িয়ে যায় শতগুন বাস্থবতায়। যাক আল্লাহ আমাকে বাচিয়েছেন ! এমন সব ভাবনাতে সে বসে আছে কলেজ লাইব্রেরীতে। হঠাৎ লিমা, অর্ণা, শিমু, মোহন, সোনালী, প্রভাত,ও সূর্য্য সহ কয়েকজন ক্লাসমেট লাইব্রেরীতে প্রবেশ করলো। মিজান সবাইকে একসঙ্গে দেখে অবাকের পাশাপাশি সালাম করে বসে পড়ে। এই সহপাঠি দলের সবাই নম্র ভদ্র। মোহন:মিজানকে উদ্দেশ্য করে বলল একা কেন বন্ধু, আর ভাবছ বা কি ?

মিজান: ভনিতা না করে বলল আমরা আর কত মার খাবো,আর কত সইবো অত্যাচার নিপিড়ন।
লিমা: তোমরা কি এর কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে না?
সূর্য্য: সবাই মিলে একতাবদ্ধ হবার একটা সিদ্ধান্ত করি।
শিমু: সবাই একমত হলে আজ থেকে আমরা সকল অন্যায়ের মোকাবেলা করব।
সবাই সমস্বরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো। স্কুল ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ভাল যুবকদের নিয়ে করা হলো একটি প্রতিরোধ কমিটি। কোথাও কোন প্রকার অন্য কেউ করলে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ করে ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতিতে সবার মাঝে সত্য ন্যায়ের অগ্নি উৎপাত বিরাজমান। অনৈতিক কর্মকান্ড প্রতিহত করা মানুষের জাগরন যুদ্ধের বার্তা পৌছে গেল দেশের আনাচে কানাছে। যেমন চিন্তা কেমন কাজ। গুপ্তচর মাধ্যমে ও বাস্থবতায় পরদিনই উজান পাড়ার বখাটেদের সাথে হয়ে গেল সত্য মিথ্যার এক স্বাভাবিক টক্কর। জয়,শাকিলরা ক্ষেপে উঠলো। শুরু হলো স্নায়ু যুদ্ধ। ভাতে মারা, পানিতে মারা, স্থলে মারার মহা ব্যাধির ব্যাপ্তি হলো প্রসারিত। একদিন রাতে উজানি খেকোরা শান্তিনগর এলাকার উপর অঘোষিত ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। কলেজ এলাকার আশপাশ সহ সবত্র গাছ, বাস, ফল ফলাদি, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে লুঠপাট সহ তচনছ করে ফেলে ওরা। প্রকৃতির ডাকে ঘুমন্ত ও ঘুমিয়ে পড়া শান্তিনগর বাসির জান মালের ব্যাপক ক্ষতি করে রাতের অন্ধকারে সীমান্ত এলাকায় বেড়া নির্মাণ করে রাখা হলো। ভাগ হলো দুটি রাজ্যের দুটি দেশের মত। আশ্চার্যজনক হলো নুপুর ছালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের আবাদি বৃক্ষের মাথা একটিরও আকাশের পানে রইল না। সবুজ এই প্রকৃতির পরিবেশ এক রাত্রে বর্ণনাতীত ভাবে ধ্বংশ করে গাছপালা গুলো লুঠতরাজ-রা নিয়ে গেল তাদের ভুখন্ডে। শান্তিনগর হারালো তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং পরিবেশের ভারসাম্যতা। এখন আর কৃষ্ণচুড়ার লাল ফুল ঝরে পড়েনা শহীদ মিনারের বক্কে। উজানি খেকোরা তাতেই ক্লান্ত থাকতে চায় না। তাঁরা আরো ধ্বংশ চায়, চায় আরো সর্বনাশের। তাদের দেশ থেকে বয়ে আসা সুরভী, কুশিকা খালের উপর উজানে বাঁধ নির্মাণ করলো। দূর্বিসন্ধি আরো কতো নিপিড়নের মাত্রা ভবিষ্যতে বাড়াবে তা কে জানে !

প্রর্যাপ্ত পানির অভাবে শান্তিনগর বাসির ভুগর্ভস্থ পানির স্থর নেমে গেল নীচে। উর্বর জমি হলো অনুর্বর। গাছপালার ছায়াযুক্ত পরিবেশ হলো সাহারা মরুভুমির চাইতে আরো কঠিনতর অবস্থার। এ এলাকায় এখন মানুষের অন্নের আহাজারি, বস্ত্রের অভাব। জলবায়ুর পরিবর্তন ও ছয় ঋতুর অকাল মৃত্যুতে আহাজরি করে। মিজানদের জীবনের বর্ণনাতীত কষ্টের হচ্ছেনা কোন সমাধান, কেউ নেয় না তাদের বেচে থাকার খোজ খবর। শুধু সর্বশক্তির মালিকের দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে অপেক্ষা করতে হয় যদি স্রষ্টার পক্ষ থেকে কোন আলৌকিক সমাধান নেমে আসে। তাদের ভাগ্যে যেন আবার সবুজ শ্যামল সুখের উদ্যানে শান্তির পরিবেশে ভরপুর হয়ে উঠে। খাদ্যের অন্নেষনে যেন ঐ গল্পের মত অপেক্ষার অন্তরালে দীর্ঘ পরিসর বাসরের অপেক্ষা করতে না হয়।

(২)
একদেশে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষত বিক্ষত সমস্থ দেশের মানুষ। ভাত নেই, বস্ত্র নেই, ঘুমাবার স্থান নেই, ঔষধ নেই, চিকিৎসা নেই শুধু করুন দূর্ভিক্ষ আর দূর্ভিক্ষ। অসহায় জাতির ভাগ্য নিয়ন্ত্রা এতই নির্মম যে তাদের দেখা শুনার জন্য ও কোন দেশের বা কোন জাতির কেউ ওখানে আসছেনা, আসতে চায়না। ঔষধ ও চিকিৎসার অভাবে মানুষ মরতে শুরু করেছে। এমন সময় এক সুখি দেশের রাজ প্রধান হেলিকপ্টার যোগে ভ্রমনে অন্য কোথায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখেন একটি টিলার উপর জড়ো জনতা তাকে উদ্দেশ্য করে কি বলতে চায় হাত উচিয়ে নাড়ছে। থামুন, থামুন, থামুন। জড়ো হওয়া লাখো জনতার মাঝে তিনি অবতরণ করে জানতে পান এ সময়ের সবচাইতে অসহায় করুন পরিনতিতে ভোগছে ঐ দেশের মানুষগুলো। মানবিক দৃষ্টিতে অতিমাত্রায় তাদের সাহায্য করা প্রয়োজন। বিবেক তাকে নাড়িয়ে তুলে, মানবতা তাকে ঘুম থেকে জাগ্রত করে। ভাবান্তর হয় ওরা কতো কষ্টে আছে। পৃথিবীর মানুষগুলোর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে ওরা বেচে যেত। ‘‘মানুষ তো মানুষের জন্য’’। ভাবান্তরে রাজ প্রধান অসহায় মানুষের সাহার্য্যার্থে তিনি দ্রুত তার নিজ দেশে ফিরে গেলেন। তাদের মত কয়েকটি সুখি দেশের রাজপ্রধানকে জড়ো করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেন। মানুষের এমন দূর্বিসহ জীবন যাপনের কথা শুনে কয়েকজন দেশপ্রধান এগিয়ে এলেন। জরুরী তহবিল সংগ্রহ করে খাদ্য ঔষধ পত্রের একটি বিশাল জাহাজ ঐ দূর্ভিক্ষ কবলিত দেশের উদ্দেশ্যে পাঠানো হল। এর পর জাহাজ ছুটলো বন্দরে বন্দরে নোংগর করতে করতে। বিভিন্ন স্থানে স্থানে টেক্স টোলের নামে প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ সাহায্য পূণ্য পথেই শেষ হয়ে বাকী আছে মাত্র এক ভাগ দ্রব্য অবশিষ্ট। এভাবে জাহাজ আসতে আসতে তিন চার মাস সময় পথে কেটে যাচ্ছে। অল্প কিছু খাবার দাবার নিয়ে জাহাজ যখন বিপদগ্রস্ত দেশে পৌছালো ততক্ষনে ক্ষিধা আর ঔষধ পত্রের অভাবে দেশের সমস্থ মানব মৃত্যু কোলে পরপারে চলে গেছে। শুধু মাত্র একজন জীর্ণশীর্ণ সত্তোরর্ধো এক মহিলা বৃদ্ধা বেঁচে আছেন। তিনি ঐ নদীর পারে বসেছিলেন খবর পেয়ে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে তাদের জন্য সাহার্য্যের বহর আসছে। কিন্তু হতভাগা রাজ্য বাসীর কপালে সাহার্য্যের জাহাজ পৌছাতে পৌছাতে যা হবার হয়ে গেল। হঠাৎ অচেতন বৃদ্ধা মহিলার চেতনা এলে চোখের পাতা টেনে টেনে খুলে সাগর পানে তাকালেন। ঝাপসা ঝাপসা দৃষ্টিতে দেখলেন একটি মস্তবড় জাহাজ নোংগর করেছে নদীর ঘাটে। স্মরণ হলো যে সাহায্য বহর আসার কথা সেটি এসেছে। যার প্রতিক্ষা করতে করতে দেশের সবাই এখন আর বেচে নেই। বৃদ্ধা তখন চিৎকার দিয়ে বললেন: তোমাদের আর সাহার্য্যের দরকার নেই। তোমরা সাহায্য নিয়ে ফিরে যাও। আমরা এখন সুখে আছি মহা সুখে, সুখের উদ্যানে। আমাদের আর ক্ষিধা নেই, বস্ত্রে দরকার নেই, এখানে আর কোন কিছুরই প্রয়োজন হয় না। সব অভাবের সমাপ্তি, সব চাওয়ার শেষ, পথ চেয়ে থাকার অবসান। মহুর্তে বৃদ্ধা মহিলার ও জীবনাবসান হলো। জাহাজের নাবিকগণ জাহাজ থেকে নেমে সাহায্য নেওয়ার জন্য জীবন্ত মানুষের সন্ধান করলেন। কিন্তু কাউকে আর জীবিত পেলেন না। শেষ পর্যন্ত নাবিকরা বলল আহ... আমরা আসতে আসতে বড্ড দেরি করে ফেললাম। আহ...।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সিয়াম সোহানূর অনন্য ভাবনা ও বিস্তার । খুব ভাল লাগল শায়েস্তা ভাই।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ........................একটু জটিল মনে হলেও পুরোটুকু পড়লাম, ভাল লাগল। মনে হচ্ছে কয়েকটা বিষয় একসাথে জড়িয়ে গেছে। একটু সহজ করে লিখলে কি ভাল হত না? শুভেচ্ছা রইল।
ছালেক আহমদ শায়েস্থা যারা আমাকে কমেন্ট করেছেন সবাই কে ধন্যবাদ
স্বাধীন সুন্দর, অনেক ভাল লাগল গল্পটা।
মিলন বনিক গল্পের প্লট ও চিন্তার ক্ষেত্র সুন্দর...ভালো হয়েছে..
আহমেদ সাবের গল্পটায় অনেকগুলো ঘটনা পেলাম - (১) অসৎ ছেলেদের অত্যাচার, (২) প্রতিবেশীর অত্যাচার আর, ফলশ্রুতিতে দেশের এক বৃদ্ধা বাদে সবার মৃত্যুবরণ আর (৩) এক সুখী দেশের উদ্যোগে সাহায্য প্রেরণ - যার "টেক্স টোলের নামে প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ সাহায্য পূণ্য পথেই শেষ"। বানান আর বাক্য ঘটনে গল্পকারের দুর্বলতা লক্ষণীয়।
সূর্য ভাবনার পরিধি বিস্তৃত এবং সুন্দর ভুমিকাটুকু না দিলেই ভাল হতো। ভালো লাগা এবং অনেক শুভেচ্ছা
মাহবুব খান সুরুত ভালো , শেষের দিকে আর একটু গোছানো হলে ভালো হত /ভালো লাগলো
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি valoi tobe aro valo korar khomota apnar achhe suvokamona salok..........
মামুন ম. আজিজ চিন্তার সূত্র সুন্দর। ......ভাষা একটু ইচ্ছাকৃত খটমট করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। আরেকটু সরল করা যায় অনেক বাক্যই। .... তারপর ..মিজান: ভনিতা না করে বলল আমরা আর কত মার খাবো,আর কত সইবো অত্যাচার নিপিড়ন।..এখানে মিজান এর পর ':' চিহ্ণ কেনো?...বা আরও অন্য জায়গায় বোধগম্য নয়। ...লেখার ভাবনা এবং তাড়না অবারিত...সুন্দর

২২ ডিসেম্বর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪