শেষের কথা

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১১)

তানজির হোসেন পলাশ
  • ১৯
  • 0
  • ১৩৬
বাড়ির নামটা আমার মোটেও পছন্দ হয়নি। যদিও আমি এই বাড়ির সামান্য একজন সদস্য। আমার ইচ্ছার কোন মূল্যই নেই এদের সমাজে। এমন কি এই বাড়িতেও। মানুষ নাকি মানুষকে ভালবাসে; সবার সাথে পরামর্শ করে যে কোন কাজ করে। কিন্তু আমার বেলায় সম্পূর্ণটা এর বিপরীত। আমাকে মানুষ বলেই কেউ গণ্য করে না। আমিও কারোর ধার ধারি না। তাই বাড়িটার নামের ব্যাপারে আমার মাথা না গলানোই ভাল। তবে আমি হলে ঠিকই এর উল্টোটা রাখতাম।
শান্তি মঞ্জিল। আশ-পাশের কয়েকগ্রামের লোক সবাই শান্তি মঞ্জিল নামে এই বাড়িকে চেনে। সবাই জানে ধনী আফতাব চৌধুরীর বাড়ি এটা। বাইরের লোকেরা শান্তিপুরী বললেও আমার কাছে নরকপুরীর মতো লাগে। শান্তির বিন্দু মাত্র আছে বলে মনে হয় না। এই বাড়িতে অশান্তির বেড়াজালে আমার জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। যদিও আমি এই বাড়ির কোন স্থায়ী সদস্য নই। তবে উনারা আমাকে খুব ভালবাসেন। এদের জন্য বাবার অস্তিত্ব আমার কাছে ম্রিয়মাণ। আর মা তো অনেক আগেই আমাকে ছেড়ে পালিয়েছে ওপারে। তবে ওসব ব্যাপারে আমি মোটেও ভাবি না। নিজের জন্য চিন্তা করারই সময় পাই না।
শান্তি মঞ্জিলের পূর্ব দিকের একটা রুম আমার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্টটাইম সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলাম বলেই সমস্ত অশান্তির বোঝাকে হজম করে কাগজে কলমে প্রকাশ করতাম। কিন্তু আজ আমার কি হয়েছে? আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। মনের কাছে কিছুই লুকাতে পারছি না। মনে হচ্ছে সমস্ত মেঘযুক্ত আকাশ হতে এখনই অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামবে। সকালে অবশ্য শান্তি মঞ্জিলের এক কোণা থেকে প্রবল কালবৈশাখী ঝড় উঠেছিল। এই তাড়নায় আমি সম্পূর্ণরূপে আহত হয়েছি। আমার ডানা ভাঙ্গা পাখি এখন আর উড়তে পারছে না। এমনি এক মুহূর্তে আমি কিছুই ঠিক করতে পারছি না।
হাঁটছি শুধু হাঁটছি। পায়ের নিচে বিশাল বিল। পানির বিন্দুমাত্র স্থান নেই এখানে। মাটি ফেঁটে চৌচির। মাথার উপর বর্ষণমূখর রোদ। আকাশে মেঘের কোন ঘনঘটা নেই। এ সময় মানুষ নামের কোন প্রাণী আছে বলে আমার মনে হয় না। একতারপুর হাট উদ্দেশ্য করে হাঁটতে থাকলাম। ছোট একটা নদী আছে। যার নাম হাওড় নদী। নামকরণের সার্থকতা না থাকলেও একে নদী বলে স্বীকার করতেই হবে। আমার অবস্থান হলে একে খাল হিসাবে পরিচয় দিতাম। নদীর ওপারে একতারপুর হাট। নদী পার হওয়া কষ্টের ব্যাপারে নয়। কারণ পানি থাকলে তো কষ্ট হবে?
অনেক আগের থেকেই আমার চোখটা বহু দূরে আর মনটা উদাস। তাই তো হুচোট খেলাম বড় আকারের। এখন আমি স্বাভাবিক অবস্থায় আছি। অনেকক্ষণ ধরে শুনছিলাম কিসের কলহ হচ্ছে। এবার দেখতে পেলাম হাটের উপর অনেক লোকের সমাগম। বুঝতে পারলাম না ওখানে কি হয়েছে। এমন কোন মানুষও নেই, যার কাছে জিজ্ঞাসা করব। খুব তাড়াতাড়ি গেলাম। এক রকম দৌড়ে যাওয়ায় বলে। যেমনটি করতাম ঈশ্বরদী স্কুলে পড়া অবস্থায়। এ জন্য মায়ের কাছে কত রাগ শুনেছি। আজ তো আমার রাগ করার কোন মানুষই নাই। শেষ পর্যন্ত ভীড় ঠেলে খুব কষ্টে ভিতরে ঢুকলাম। যা দেখলাম এক লোকহর্ষক ঘটনা। দেখলাম ওরা সবাই এক বৃদ্ধকে মারছে। লোকটিকে দেখে মনে হচ্ছে ভদ্দরলোক। কিন্তু রক্তাক্ত শার্ট লুঙ্গি দেখে চোর, বদমাঈশ ছাড়া আর কিছুই কল্পনা করা যায় না। তাছাড়া এরা কেন মারবে লোকটিকে? ওদের মধ্যের একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম,
ঃ এই যে ভাই, কী হয়েছে?
লোকটি যেন আমাকে দেখে একেবারে চটে গিয়েই বলল,
ঃ এই শালা আমাদের রাজাকার বলে। আর ও খুব ভাল।
ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম। আর তখনই শুরু করলাম আমার অভিনয় ক্ষমতা। ছুটে গেলাম বৃদ্ধর কাছে। কান্না জড়িত কণ্ঠে বললাম,
ঃ বাবা! বাবা, আপনার কী হয়েছে? কে করল আপনার এই অবস্থা?
পেছনে তাকিয়ে দেখলাম ওরা সবাই চলে গেছে। বৃদ্ধ যেন খুব সতেজ হয়ে উঠেছে। সাহস ফিরে পেয়েছে। ওরা এত মারা মেরেছে যে তার কণ্ঠ সপষ্ট হচ্ছে না। বৃদ্ধ ফিস ফিস করে বলল,
ঃ বাবা, তুমি আমাকে বাবা বললে। আর ঐ রাজাকারের দল আমাকে .......।
বৃদ্ধের কণ্ঠ থেকে আমি আর কিছুই শুনতে পেলাম না। মনে হল বৃদ্ধ জ্ঞান হারিয়েছে। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।
এখন সন্ধ্যা রাত পেরিয়ে গভীরে যাচ্ছে। বসে আমি একা রেলিংয়ের উপর। ইতিমধ্যেই ডাক পড়ল খোকসা হাসপাতালের ১৩ নং বেডে। বৃদ্ধ বর্তমানে সুস্থ। আমাকে দেখে আরো বেশ সতেজ হল তার মন। বেডের এক পাশে বসলাম। রাত আনুমানিক ১০ টা হবে। এক নার্স এসে ওষুধ খাওয়ায়ে গেল রোগীদের। তারপর শুরু হল আমাদের পরিচয় পর্ব। আমি বললাম,
ঃ বাবা আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার পরিচয় কী?
ঃ আমার তো কোন বাড়ি ঘর নেই। যা ছিল ঐ রাজাকারের দল খেয়ে ফেলেছে।
ঃ তবুও কোন ঠিকানা আছে তো।
ঃ না না। আমার কোন ঠিকানা নেই। দেখছো না আমি এক পঙ্গু অসহায় মানুষ। আমাকে তো কেউ গ্রহণ করবে না। আমার স্ত্রী সন্তান সবাইকেই ওরা কেড়ে নিয়েছে।
ঃ নিজেকে অসহায় ভাববেন না। আমি আছি আপনার পাশে। কিন্তু বাবা, ওরা কেন আপনাকে দেখতে পারে না।
ঃ আমার জীবন ইতিহাস বড় কঠিন। তুমি কি সয়তে পারবে বাবা।
ঃ হঁ্যা। যতবড় কঠিন হোক না কেন আমি তা শুনতে চাই। আমি তাদের খুঁজে বের করতে চাই। আমি জানতে চাই কেন তারা আমাদের অধিকার বঞ্চিত করছে?
ঃ এটা তুমি কখনও পারবে না। আমি চাই না আমার ছেলের মতো তুমিও হারিয়ে যাও। আসলে দেশটা স্বাধীন করাই ছিল আমাদের অপরাধ।
ঃ দেশ স্বাধীন করা অপরাধ হবে কেন? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
ঃ তোমার যখন শুনতে এতই আগ্রহ। তবে শোন।
ঃ বলুন।
পলাশপুর গ্রামে ছিল আমাদের বাড়ি। ছেলেবেলায় আমি ছাত্র হিসেবে একদম খারাপ ছিলাম না। তাই গ্রামের সবার মন কেড়ে নিতাম লেখাপড়ার মাধ্যমে। একদিন মনের অজান্তেই আমি একটা মেয়েকে ভালবেসে ফেললাম। সমস্ত বাধা পেরিয়ে আমাদের ভালবাসার দ্বার প্রান্ত সংসার জীবনে এসে পড়ল। কিন্তু আফতাব চৌধুরীর হাত থেকে ঝুমুরকে রক্ষা করা খুবই দুষ্কর ছিল। তাই ঝুমুরকে নিয়ে ঢাকা গেলাম। অনেক বছর কেটে গেল ঢাকাতে। এর মধ্যে আমাদের একটা সন্তানও হয়েছিল। ও বেঁচে থাকলে হয়ত তোমার মতোই বড় হতো। কিন্তু এরপর ঘটে গেল অনেক ঘটনা।
গল্পটা বলার সময় বৃদ্ধ চুপ করে থাকল। আমি দেখলাম তার চোখে কয়েক ফোঁটা জল। আফতাব চৌধুরীর নামটা শোনার সাথে সাথে আমি চমকে উঠেছিলাম। তবে ভয় পেলাম না। বললাম চুপ করে আছেন কেন? আপনার বুঝি খুব কষ্ট হচ্ছে।
ঃ না না কষ্ট হবে কেন? আমি বলছি। চোখের জল মুছে আবার বলতে শুরু করল বৃদ্ধ।
১৯৭১ সাল। শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা শহর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেল। তাই ওদের নিয়ে আমি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসি। ওদেরকে রেখে আমি চলে যাই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেবার জন্য। আমার ঝুমুরের কান্না আর সন্তানের আর্তনাদ সেদিন আমাকে থামাতে পারে নাই। আমি ছুটে গেছি আমার দেশকে বাঁচাতে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে হারিয়েছি আমার পা। তারপর আমি ফিরে আসি আমাদের গ্রামে। গ্রামের কেউ আমাকে দেখল না। আমাকে ওরা কিছুই জিজ্ঞাসা করল না। আমি ছুটে গেলাম আমার বাড়ির দিকে। কিন্তু কি পেলাম জান? আমার বাড়ির কোন অস্তিত্বই খুঁজে পেলাম না। গ্রামের অনেকের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম ঝুমুরের কথা। কিন্তু কেউই বলতে পারল না ওরা কোথায় আছে? পাগলের মত ছুটাছুটি করতে লাগলাম। হঠাৎ দেখলাম মফিজ পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। মফিজ সর্বস্ব হারিয়ে পাগল হয়েছে। ওর কাছ থেকেই জানতে পারলাম ঐ আফতাব চৌধুরী জানে। তখনই আমি ছুটে গেলাম আফতাব চৌধুরীর বাড়ি। আমার বুঝতে বাকি রইল না আফতাব চৌধুরী রাজাকার।গরীব থেকে এতবড় ধনী আমি পৃথিবীর ইতিহাসে আর দেখি নাই। ওকে খুন করার জন্য ছুটে গেলাম ওর বাড়ি। কিন্তু আমার সব আশাই ব্যর্থ করে দিল নিয়তি। ডাকাতের অভিযোগে ২০ বছরের জেল হয়ে গেল আমার। সেদিন আমি আবার গিয়েছিলাম রাজাকারকে খুন করতে। তখনও ওরা আমাকে মেরে পাঠিয়ে দিল হাসপাতালে। এটাই ছিল আমার জীবন ইতিহাসের এক বিরহী আত্মার সংক্ষিপ্ত রূপ কথা। এখন বল তুমি পারবে ঐ রাজাকারকে মারতে? পারবে আমার সেই পূর্বের জীবন ফিরিয়ে দিতে? আমার ঝুমুর, আমার সন্তান সোহেলকে ফিরিয়ে দিতে পারবে?
ঃ বাবা, কেউ কখনও তার অতীতকে ফিরে পায় না। তবে তা স্মরণ করে ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করে।
ঃ হঁ্যা, বাবা। তুমি ঠিকই বলেছ। এই রহমত আলী এতদিন পর একটু শান্তি পেল। তা বাবা,তোমার তো কোন পরিচয়ই জানা হল না।
ঃ আমার আর পরিচয় কী? আমি আপনার মতোই এক হতভাগা মানুষ।
ঃ তোমার নাম?
ঃ মনে করুন আমার নাম সোহেল। বাবার নাম রহমত আলী। এতদিন জানতাম বাবা-মা দু'জনই মারা গেছে। এখন বাবাকে ফিরে পেলাম।
আমার এ কথা শুনে বৃদ্ধ খুব খুশি হল। কিন্তু মনের কাছে শান্তি পেলাম না আমি। এতক্ষণে বৃদ্ধ ঘুমিয়ে গেছে। একটু পরেই ভোরের পাখি ডেকে উঠবে। মনের মধ্যে এক বুক ভালবাসা আর জ্বালা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম রাস্তায়। মনের মধ্যে নানা প্রশ্ন আনাগোনা করছে। সমাধান একটাই। ফিরে যাব না আর শান্তি মঞ্জিলে। আমি হাঁটছি তো হাঁটছি। পাখিরা কিচির মিচির করে শব্দ করছে। পূর্ব আকাশে লাল আভা উঁকি দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই আসবে পৃথিবীর বুকে। জাগ্রত হবে সকল প্রাণী। কিন্তু আমি? শেষের কথা রয়েই গেল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য রহমত আলী, ঝুমুর, আফতাব চৌধুরী যোগ সূত্র মানতে গেলে গল্পের বক্তাকে রহমত আলীর ছেলে বলেই মনে হলো। যেহেতু মফিজ পাগলা বলেছে আফতাব চৌধুরীই জানে রহমত আলীর পরিবারের খবর তাই এ ধারনা করা। পরিসরটা ছোট বলে হয়তো আফতাব চৌধুরিরর দরিদ্র থেকে ধনী হবার উপায়টা গল্পে আসেনি। গল্পটা ভাল হয়েছে।
প্রজাপতি মন অনেক ভালো লাগলো। সাবলীল লাগলো গল্প বলার ঢং।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি পলাশভাই গল্পের আবেগ ধর্মী এই কাহিনী দিয়ে মুক্তি যুদ্ধ ভিত্তিক শর্টফিল্ম বানালে বাংলা দেশের মানুষের (বিষেশ করে তরুন প্রজন্ম) এর কাছে আরো একটা সত্য উদঘাটন হয়ে যেত। আরো একটা বর্ণচোরা রাজাকার বাহিনীর কুকর্মের মুখোশ উম্মোচন হোত। খুব খুব ভালো একটা সত্য কাহিনী। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য আপনাকে দিয়ে গেলাম।আর প্রিয়তে রাখছি আপনাকে..............................
sakil প্রথম দিকের খাপছাড়া ভাবটা গল্পের শেষে কেটে গেছে . অনেক সুন্দর . শুভকামনা রইল
তানভীর আহমেদ ভালো একটি আবেগী গল্প। প্রকাশটাও ভালো লাগল।
বশির আহমেদ গল্প বলার সাবলীলতায় আমি মুগ্ধ । শ্রদ্ধেয় সাবের আহমেদ ভাইয়ের মত আমার মনেও নানান প্রশ্ন ?
আহমেদ সাবের লেখকের লেখায় সাবলীলতা আছে। “আসলে দেশটা স্বাধীন করাই ছিল আমাদের অপরাধ।“ – এই খেদোক্তি আজ অনেকের, যারা নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করে দেশ শত্রু মুক্ত করেছিলেন। কিছু প্রশ্ন থেকেই গেল – ১) ঝুমুরের সাথে আফতাব চৌধুরীর সম্পর্ক কি? ২) গরীব থেকে ধনী হবার জন্য কি রাজাকার হতে হবে? ৩) সোহেল কি করে আফতাব চৌধুরীর বাড়ীর অনিয়মিত সদস্য হল?
M.A.HALIM সুন্দর খুব ভালো লাগলো। বন্ধুর জন্য শুভ কামনা রইলো।
মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চমত্কার গল্প...........অসাধারণ.............
ধীমান বসাক খুব ভাল লাগলো ।

২২ নভেম্বর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪