খোঁচা খাঁনের সাঁড়াশি

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১৩)

এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
  • ১৫
-তোর এত বড় সাহস ! তুই আজ আবার আমার রুমের লাইট, এসি, ফ্যান- সব বন্ধ করে রেখেছিস ? তোকে এর আগেও আমি বলেছি, এসি রুমের এসি বন্ধ করলে রুম ভ্যাপসা গরম হয়, লাইট বন্ধ করলে মশার উপদ্রব হয়, তার পরো তুই ?
স্যার, আপনার মিটিং থেকে আসতে বিকাল হবে বলেছিলেন, প্রত্যেকবারইতো আপনি ফিরে আসার কিছুক্ষন আগেই আবার সব চালু করি। কিন্তু আজ আপনি এত আগে ---
- চো-উ-প ব্যাটা বেয়াদব ! তাইতো ভাবি, মিটিং থেকে এসে রুমে ঢুকলেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসে কেন ? পন্ডিত গিরি কর ? আমার সাথে ফাজলামি ?
স্যার, আমি তো বিদ্যুতের অপচয় রোধে -------
কথায় বাঁধা দিয়ে সচিব সাহেব ঠাস করে তার পিয়নের গালে চড় কষতে যেয়েই লটকে গেলেন। কে যেন পেছন থেকে তার ঘাড় সাঁড়াশি দিয়ে আটকে ধরেছে আর উদ্ধত হাতটাকেও একই সাথে উল্টো দিক দিয়ে টেনে ধরেছে । একটু ছেড়ে ছেড়ে আবার কষে ধরছে ।
- এই ? কে রে ? কে ? কে ধরেছে এভাবে ? উহ! লাগছে তো ?
পিয়ন তার স্যারের এ কান্ড দেখে হঠাৎ ভড়কে গেল ।
স্যার, আপনার কি হল ? কে ধরেছে আপনাকে ? কাউকে তো দেখতে পাচ্ছি না।
-(চেঁচিয়ে) দেখতে পাচ্ছিস না, মানে ? আহ্ ! লাগছে তো? আমার পেছন থেকে কে ধরল এভাবে , দ্যাখ ?
কৈ, আমি আর আপনি ছাড়া কেউতো নেই এখানে ?
- কি ফাজলামো করছিস ? কে ধরেছে আমাকে পেছন থেকে , দেখ না ? - আহ! আহ! লাগছে তো ?
সচিব সাহেবের চিৎকার শুনে আরো কয়েকজন এগিয়ে এল ।
আগন্তক একজন স্যারের একেবারে কাছে এসে বলল, স্যার , আপনার কি হয়েছে?
শফিক সাহেব, দেখেন তো আমাকে এভাবে কে ধরল ? আহ! আহ!
- কৈ স্যার, কাউকে দেখছি না তো ?
-(চেচিয়ে) সবাই এক জোট হয়েছেন ? মশকরা করছেন আমার সাথে ?
শফিক সাহেব অবাক হয়ে বললেন , এই, সরে যা সবাই । স্যার বোধহয় পাগোল হয়ে গেছে ।
কি ! আমি পাগোল হয়ে গেছি ?
সবাই তার চিৎকার শুনে আরো দূরে সরে গেল।
আহ! লাগছে তো ?
অদৃশ্য ভয়ংকর আওয়াজ এলো । ভরাট কন্ঠে টেনে টেনে সচিব সাহেবকে বলছে-
* না..., না...., সচিব সাহেব তুমি পাগোল নও....। তুমি ঠিকই আছ.... । কেমন লাগছে.... ?
আহ! কে তুমি ? উহ ! লাগছে তো ? কেন এভাবে ধরেছ আমাকে ?
* আমি খোঁচা খাঁন.... !
কি চাও তুমি ? কেন ধরেছ আমাকে ? আর ওরা যে বলল, কাউকে দেখতে পাচ্ছে না, তাহলে তুমি কে ?
* ওরা ঠিকই বলেছে...., ওরা আমাকে দেখবে না...., এমনকি তুমিও না....। আমাকে তুমি দেখতে না পেলেও শুনতে পাবে.... এবং তা কেবল তুমি একা....। আমি যাকে ধরি সে ছাড়া আমার কথা কেউ শুনতে পায় না....।
আমাকে বাঁচান, এই, কে আছেন আমাকে বাঁচান !
আশে পাশের কক্ষে যারা উনার চিৎকার শুনেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই এসেছেন, কিন্তু উনার এ অস্বাভাবিক আচরন দেখে সবাই উনাকে পাগোল ভাবছেন । কেউ আর ধারে কাছে আসতে সাহস করলেন না। কিন্তু বিষয়টা ভেবে অবাক হচ্ছেন সবাই- লোকটা পাগোল যদি হবে- তো এখান থেকে নড়ছে না কেন ? একজন বলল, স্যার আপনি রুমে যেয়ে বিশ্রাম নিন।
- আরে ভাই যাব যে, নড়তে পারছি না তো !
শুনে সবার চোখ ছানা বড়া হয়ে গেল । ব্যাপার কী !
সচিব সাহেবের পি এ সাহেব সমস্যাটা জানিয়ে তার মিসেস এবং হসপিটালে ফোন করলেন ।
* তোমাকে কেউ বাঁচাবে না....। একমাত্র তুমি নিজে বাঁচতে চাইলেই কেবল বাঁচতে পারবে....। আজ তোমাকে দিয়ে শুরু করলাম....। আমি প্রতিদিন তোমার মত জানোয়ারদের একটা একটা করে ধরব আর এভাবেই ট্রিটমেন্ট করব ....।
- আমাকে ছেড়ে দাও, বল , আমাকে কি করতে হবে ? আহ! লাগছে তো ?
* তোমার লাগছে খুব.... ? লাগছে তো ....? এটা বোঝ তুমি.... ? তাহলে তোমার পিয়নকে কেন চড় মারছিলে বাপ ধন.... ?
সে তো বেয়াদবী করেছে ---- আহ! লাগছে তো ?
* কি বেয়াদবী করছিল ....? রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধ করছিল ....? যে অনাচার তুমি রোজ কর....। সে রোজ তোমার কৃত অনাচার থেকে তোমাকে শুদ্ধ তোমার জাতিকে রক্ষার কাজটা করছিল- এটাই তার অপরাধ.... ? বল, .... হু...., কেমন লাগছে.... ?
- আহ! আহ্ ! আহ ! লাগছে তো ?
*এ পর্যন্ত কত কোটি টাকা ঘুষ খেয়েছ.... ? কত বিদ্যুত আর গ্যসের অপচয় করেছ - আমার কাছে যোগ অংক করে তার হিসেব কষা আছে.... । তোমাকে ছেড়ে দেব একটা মাত্র শর্তে ....। তোমার পাপের হিসেবের খাতা থেকে সব অংক তুমি নিজে হাতে বিয়োগ করবে...., ভাগ করবে...., কাটা কাটি করবে এবং ফলাফল শুন্য করবে, তার পরে তোমার মুক্তি.... । যাও.... ! আমি এখন তোমাকে শেষবারের মত সুযোগ করে দিলাম.... । ছাড়া পেয়ে আবার ভুলে যেওনা....। আমি তোমার পাশে আছি সারাক্ষন...., বুঝলে.... ?

******

পি এ সাহেবের ফোন পেয়ে সচিব সাহেবের মিসেস হন্ত দন্ত হয়ে ছুটে এসেছেন।
- কৈ, আপনার সাহেব কৈ ? কি হয়েছে তার ?
ম্যাডাম, আপনি ব্যস্ত হবেন না, ভেতরে যান, এখন স্যার ভাল আছেন। বিশ্রাম নিচ্ছেন । ডাক্তারকে খবর দিয়েছি, কিছুক্ষনের মধ্যেই ডাক্তার চলে আসবেন।
- ওগো, কী হয়েছে তোমার ?
# এ কি ? তুমি ? তুমি এখানে ? অফিসে এসেছ কেন ? বুড়ো বয়সে কি শুরু করেছ তুমি ? কনফার্ম করতে এসেছ ? হিন্দি সিরিয়াল দেখে দেখে তোমার মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে ।
- কি বলছ , তুমি ? তোমার পি এ বলল, তুমি নাকি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছ ? তার ফোন পেয়েই তো----
# ও , তাই বুঝি ? ইন্টার কমে চাপ দিয়ে পি এ কে চটে গিয়ে বললেন, শোনেন, যখন তখন এভাবে বাসায় ফোন করবেন না বুঝলেন ? এরকম সমস্যা দেখলে কেবল ডাক্তারকে ফোন করলেই চলবে। মনে থাকে যেন ।
- কি হয়েছে তোমার ?
# কিচ্ছু হয়নি, আমি ঠিক আছি। তুমি বাসায় যাও।
- অসুস্থ্য হয়েও বীরত্ব দেখাচ্ছ ? কি আমার বীর পুরুষরে -----
# (চেচিয়ে) এটা বাসা নয়, অফিস। সংযত হয়ে কথা বল ।
- অসংযত আমি ? না তুমি ?
# চুপ ! আর একটা কথা নয় । আমার মাথা কিন্তু রক্ত উঠে যাচ্ছে। যাও, বাসায় যাও ।
- অবাক কান্ড! এত অহংকার তোমার? তোমার পি এ সাহেব ফোন করেছেন তাই আসা, না হলে তোমার মত মানুষের সংস্পর্ষে কোন সুস্থ্য মানুষ থাকতে পারে ?
# ওহ! শাট-আপ. .. . এন্ড নাউ গেট লস্ট । রাগে ফোস ফোস করছেন।
( এরকম উদ্ধত আচরনের মাঝেই খোঁচা খাঁন ধরল তাকে আবার )
# এই ? এই ? আবার ? আবার তুমি আমাকে ধরেছ ? আহ! লাগছে তো ?
* তুমি আসলে সুস্থ্য হতে চাওনা. . . .। আমি বলেছিলাম না. . . ., আমি তোমার কাছা কাছি থাকব সারাক্ষণ. . . ., বিশ্বাস করনি. . . ., তাই না. . . . ?
# আহ! আহ! আহ! লাগছে তো ?
সচিব সাহেবের মিসেস তার এ অস্বাভাবিক আচরন দেখে ভড়কে গেলেন । বললেন, কি হল তোমার ? তুমি কি পাগোল হয়ে গেলে ?
# আহ! আমার কিচ্ছু হয়নি, যাও তুমি ।
* এত ঔদ্ধত্ব তোমার. . . . ? কিছু হয় নি . . . .? জোরে তার ঘাড় সাঁড়াশি দিয়ে এমনভাবে আটকে ধরল যে, এবার তার জিহ্বা বের হয়ে গেল ।
# আহ! আহ! আহ! মরে গেলাম, বাঁচাও ?
* এ ধরায় তোমাকে আর থাকতে দেয়া যায় না. . . .। চল , আমার সংগে. . . ।
এ পর্যায়ে ডাক্তার সাহেব কক্ষে ঢুকেই এ অস্বাভাবিক আচরণ দেখে থমকে গেলেন।
# আহ! আহ! , ডাক্তার, আমাকে বাঁচান । আমি বিশ্বাস করি না একে । আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। এসব কুসংস্কার আমি মানি না। আহ! , ডাক্তার আমাকে ধরুন ।
কিন্তু আমি তো আপনার কাছেই যেতে পারছি না। এই যে দেখেন , হাত দিয়ে আপনাকে ধরতে এগিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু কিসে যেন আমার হাত টেনে ধরছে ।
# আপনিও মশকরা করছেন ? আমার সাথে সবাই মশকরা করছেন ?
* চল , আমার সংগে. . . . । আজ এখানেই তোমার শেষ দিন ।
সচিব সাহেব শুন্যে উড়ে ছাদের সাথে মিলিয়ে গেলেন । তার কোন চিহ্নও আর দেখা গেল না। আর কোন চিৎকারও শোনা গেলনা।
ঘটনা দেখে তার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। ডাক্তার সাহেব হা করে চোখ ছানাবড়া করে ছাদের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া রোগীর দিকে মনোযোগী হলেন ।

মুহুর্তের মধ্যে এ খবর সমস্ত সচিবালয়ে ছড়িয়ে পড়ল ।

******
বাউলাদেশের সরকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের পেছনে যে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব এবং উন্নয়নের অর্থ ব্যয় হয় তা কিভাবে হচ্ছে? কি উদ্দেশ্যে প্রকৃত ব্যয় হয় ? সে ব্যয়ের ফলে জনগনের যে সেবা বা জনউন্নয়ন সংঘঠিত হওয়ার কথা তা হচ্ছে কি? জনকল্যানে এসব অর্থ ব্যয় হয় অথচ জনগন যে তিমিরে থাকার সেখানেই রয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কি? তাহলে সে অর্থ আসলেই কোথায় ব্যয় হচ্ছে? চল্লিশ বছরেও এত কড়ি ব্যয়ের কোন আউট পুট নেই কেন? কেন এ হাহাকার? কেন এখনো শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে ? যেখানে এত মানুষ দরিদ্র সেখানে কোটি কোটি টাকা দামের লিমোজিন গাড়ি সহ এত এত দামী গাড়ি এত বিশাল অট্টালিকার বাহার কিভাবে বিস্তার ঘটছে ? ৫% সুবিধাভোগী মাত্র তথাকথিত এ এলিট শ্রেণী এরা কারা ? আর নিুমধ্যবিত্ত অন্যান্য শ্রেণীর লোকেরাইবা কেমন আছেন, চলুন দেখি এব্যাপারে খোঁচা খাঁন কি কিছু ভাবছেন ? না, কি কিছু করছেন ?
বাউলাদেশের অডিটর জেনারেল এর দপ্তরে জরুরী মাসিক সভা। তার সব অডিট ডিরেক্টরেটের ডি জিদের নিয়ে বসেছেন। বিষয়ঃ- গত ৪০ বছরে রাষ্ট্রের যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তার যথার্থতা নিরুপণ সংক্রান্ত বিশেষ অডিট রিপোর্ট আগামী ৬ মাসের মধ্যে জাতীয় আইন সভায় তুলে ধরতে হবে। এ বিষয়ে পত্র পত্রিকার রিপোর্ট এর সাথে বিগত সময়ের বার্ষিক অডিট রিপোর্টের অনেক ফারাক । কারা এসব অডিট করেছেন ? তাদের অডিট মূল্যায়নে কোন ত্র“টি বিচ্যুতি ছিল কিনা, থেকে থাকলে দায় দায়িত্ব নির্ধারণ সহ আগামী ৫ মাসের মধ্যে অডিটর জেনারেল এর কাছে পেশ করতে হবে। যথারীতি চা চক্র শেষে সভার সমাপনী ঘোষনার মধ্য দিয়ে বিশেষ সভা শেষ হল।

* ( সভা শেষে এক ডিজি আর এক ডিজি এর সাথে মত বিনময় করছেন) আরে ভাই উনি তো বলেই খালাস। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর চেয়েছিলাম লাগাম টেনে ধরতে কিন্তু পারলাম কৈ? যে দেশের রাষ্ট্র নায়করা ওপরে বসেই সব চেটেপুটে খেয়ে ফেলে বা খেতে সাহায্য করে সেখানে আমাদের এসব কাজের কি মূল্য আছে ? দেখুন না, গেল অডিট রিপোর্টের কি হাল হল ! শেষতক আজগুবি সব সাফাই গেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তি রাইট অফ করা হল । আপনি জানেন তো। কি অদ্ভুৎ যুক্তি ! শিশু রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয় কাজের স্বার্থে গণতান্ত্রিক রাজনীতির উপর বার বার প্রতিবন্ধকতার কারণে এসব ত্র“টি বিচ্যুতি হয়েছে । তাই কোন একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর দায় দায়িত্ব বর্তানো যাচ্ছেনা বিধায় জনগনের কল্যানের স্বার্থে রাইট অফ করা হল। লুট পাট হয়ে গেল -সব জনগনের কল্যানেই ? কি হাস্যকর ! এখন পত্রিকা তো রিপোর্ট দিয়ে বসেছে। এরা সাংবাদিক তো না, সাংঘাতিক ! তথ্য- উপাত্ত জানা নেই, রিপোর্ট করে বসেছে। সে কি জানে এর ভেতরের খবর ? এর সমাধান কি ? অকারণেই আমাদের উপর টর্চারিং । এরকম জটিল এক বিশেষ অডিট রিপোর্ট যে করবেন - লোকবল কৈ ?
- তা ভাই, এ কথা মিটিংএ তুলে ধরলেন না কেন?
* দূত্তরি ভাই, উনাকে চেনেন না ? উনি তো যুক্তি মানেন না, নিজে যেটা বোঝেন, সেটাই জোর করে চাপিয়ে দেন। তার কথার উপর কথা বলতে গেলেইে প্রথমে দুটো বেশী কথা শুনিয়ে দেন। কি দরকার তর্কে জড়িয়ে। কতইতো দেখলাম ! ছাল নাই কুত্তার, বাঘা তার নাম। আজ পর্যন্ত উনার এসব হম্বি তম্বি কম তো দেখলাম না। কি করতে পেরেছেন ? সেই উপর তলায় যেয়ে ঠিকই লেজ গুটিয়ে ফিরে আসেন। এখানে গর্জেন কেমন, আর ওখানে বর্ষেন কেমন, দেখেন নি গত আইন সভার কমিটিতে ? সেইতো চোরেরা যা করেছে তার পক্ষেই উনাকে সাফাই গাইতে হল । তো লাভ কি ?
- দেখা যাক কি হয় ?
* আমি এ কাজ করার জন্য লোকবল চাইব। আর আমার রুটিনওয়ার্ক করে যাব, তার পর যা হয় , হবে।
-হুম ! আমিও তাই ভাবছি ।
******

মিটিংএর কার্যবিবরণ্ ীপড়ে ডিডি রহমত সাহেব সত্যিকার অর্থে কিছু করতে চাইলেন। তিনি একটা অডিট প্ল্যানও তৈরী করলেন। নিজেই কম্পিউটার কম্পোজ করছেন। এমন সময় পিয়ন মাথা ঢুকিয়ে-
স্যার, ডিরেক্টর স্যার আপনাকে সেলাম দিয়েছেন।
- স্যার, আমায় ডেকেছেন ?
. রহমত, এরকম একটা প্ল্যান করে পার্টি ফরম করে নিয়ে আসুন।
- (একনজর দেখে) কিন্তু স্যার, এটাতো গতানুগতিকই হল। কার্যবিবরণ্ ী ফলো করে আমি একটা -----
. (বাঁধা দিয়ে) যা বলছি তাই করুন। ওভার স্মার্টনেস আমি মোটেই পছন্দ করিনা।
- স্যার আমি বলছিলাম ------
. (একটা ধমক মেরে বললেন) বলছি তো, আপনার যা বলার তা পরেই বলবেন। আগে আমার কথাটা শুনুন। এই কে ? - এই ? কে রে ? কে ? কে ধরেছে এভাবে ? উহ! লাগছে তো?
ডিডি সাহেব তার স্যারের এ দৃশ্য দখেে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন । চোখের নিমেষে কোথায় উধাও গেলেন তিনি । অবাক কান্ড !
সেদিনের পর থেকে ডিরেক্টর সাহেবকে আর কোনদিন কেউ দেখতে পায়নি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য প্রতিটি মানুষ যদি ভিতর থেকে বিবেক বোধ, নীতি আর মনুষত্বের দ্বারা তাড়িত না হয় পৃথিবীর এবং পৃথিবীর বাইরের কোন শক্তির সাধ্য নেই সমাজ, রাষ্ট্র বদলে দেয়ার। খোঁচা খান গল্পে যেমন নীতিহীনদের ভ্যানিস করে দিলো বাস্তবে এমন হলে এ দেশে কোন মানুষ থাকবে বলে মনে হয় না। মানুষ এমন গল্প পড়ে ভালো হোক প্রত্যাশা করছি...
ভালো লাগেনি ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
ভালো লাগেনি ১ জানুয়ারী, ২০১৪
আশা আপনার কল্পনাটা খুবই দারুণ। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হলেই কেবল দেশ-মাটি-ও মানুষের কল্যাণে এমন কিছু লেখা যায়। আপনার খোঁচা খাঁনের সাঁড়াশি বাংলাদেশে বাস্তবেই দরকার। কিন্তু কে হবেন সেই খোঁচা খাঁন? কার আছে সেই বিবেক?
আপনিও হতে পারেন সেই বিবেকের একজন । আসলে আপনাদের মত তরুনদের মাঝেই লুকিয়ে আছে সে । আমরা যদি নিজেকে এভাবে কল্পণা করেতে পারি, সেভাবে নিজেকে, পরিবারকে গঠণ করতে পারি, তাহলে একদিন হতেও পারে তেমন, তাই না ? আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১ জানুয়ারী, ২০১৪
সাদিয়া সুলতানা গল্পের নামটির আকর্ষণেই একটানে পড়ে শেষ করলাম। শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩
অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু এরকম একজন খোঁচা খাঁনের বাস্তবিক ভাবেই বতর্মানে দরকার আমাদের দেশের জন্য। খুব ভালো লাগলো গল্পটি , অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩
একই সাথে প্রতিটি ব্যক্তি চরিত্রের জন্যও দরকার । কেননা মানুষ বড়ই বেপরোয়া চলতে চায় । আত্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে আমরা প্রত্যেকে নিজেরাই নিজেকে একটি করে খোচাখান দ্বারা ধরতে পারতাম, তাহলে না জানি কত সুন্দর হতে পারতাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো লাগেনি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর চেতনা জাগানিয়া একটি গল্প ।।
ভালো লাগেনি ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩
তানি হক আহ সত্যি খোঁচা খান যদি আমন খোঁচা দিয়ে নীতিহিন বিবেকহীন মানুষদের ... বিবেক টা নারিয়ে দিত !! অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ... গল্পটি পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো । আপনাকে সালাম ।
ভালো লাগেনি ২০ ডিসেম্বর, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩
মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস সাঁড়াশি হাতে খোঁচা খাঁন বাস্তবে থাকলে সত্যিই দেশের অনেক মঙ্গল হতো। ভালো লিখেছেন গল্পটি, তবে শেষের দিকে তেমন জমেনি মনে হলো।
আপনার উপদেশমূলক মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণীত করল । অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন যেনারা এসব করছেন তেনারাই এদেশে এক এক জন খোঁচা খাঁন...। তাদের যাঁরা খোঁচাতে যাবেন...। আর সংবাদ প্ত্র? খোঁচা খাঁনদের মাতব্ব্র ঠিক করে দেবে কোনটা ছাপা হবে আর কোনটা হবেনা। পড়ে মজা পেলাম আর আশা করতে থাকলাম...। শুভেচ্ছা রইল।
আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ওয়াহিদ ভাই, ভাল থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩
রোদের ছায়া এরকম একটা খোঁচা খান যদি সবার পিছিনে থাকতো তাহলে দেশের আজকে এই করুন দশা হতো না । এটা গল্প নয় একদম বাস্তব একটা বিষয় । আপ্নাএ এই সাহসি লেখাকে সাধুবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩
মোঃ আক্তারুজ্জামান বিবেক খোঁচা খান হয়ে আমাদেরকে সকল অন্যায় অপকর্ম থেকে দূরে সরিয়ে রাখুক। নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দেয়ার এই অশুভ লগ্নে সুন্দর বার্তা আপনার লেখা গল্পটি। খুব ভাল লিখেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২৯ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী