অ এ অসৎ সংগ ত্যাগ কর । আ এ আলস্য দোষের আকর । দাদু ! ও দাদু ! তুমি কি আমায় দেখতে পাচ্ছ ? তোমার সেই আদর্শ লিপি আমি আজো খুঁজে ফিরি ! হায় ! দাদু ! শুনতে পাচ্ছ তো ? আমার ঘরে নতুন সুর ! অ এ অজগর ঐ আসছে তেড়ে । আ এ আকাশে আমি যাব উড়ে । শুনতে পাচ্ছ দাদু ! কী ভয়ংকর ! সাপের ভয় দিয়ে শুরু ! স্পাইডার ম্যান হবার কল্পণা-বিলাস ! কত শিশুর হল অকাল মৃত্যু ! হায় ! দাদু ! বলতে পার, মানুষ কেন এমন নির্বোধ হল ? কি বলছ তুমি দাদু ! ওরা কি তবে নির্বোধ নয় ? সত্যিই ওরা এত ব্রিলিয়্যান্ট নীল নকশাকার ! ভয়ানক হায়না ! আমরা কেন ওদের চিনতে পাই না? কেনই বা হায়নার মুখে ঠেলে দিলাম- আমাদেরই আগত ভবিষ্যৎকে ?
এ কি আমাদের কর্ম ফল ! আর আসবে না, নজরুল, রবি, ফররুখ ? আর আসবে না জগদিশ ! আর আসবে না শের ই বাংলা , ভাষানী ? আর আসবে না কোন ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রমথ চেীধুরী ? তুমি দেখেছ দাদু ! আমার মায়ের ভাষা আজ বাংলিশে অপমানিত ! যে ভাষার জন্য বলি হল তাজা প্রাণ , হিন্দি ছুরিকাঘাতে হত আমার সেই মা !
ওহ ! দাদু ! চেয়ে দেখ- ঐশির হাতে রক্তাক্ত ছুরি । কী বিভৎস ! অপসংস্কৃতির বলি : তারই আপন নিরাপত্তার বলয় । নিজেকে সপেছে ভয়ানক অনিরাপদ হায়নাদের কাছে । কেন ? কেন ? কেন ? তোমার আদর্শ লিপি নেই বলে ? তোমার সিপারা আজ বিলুপ্ত বলে ? হায় ! দাদু ! ফিরিয়ে দাও আমার হারানো শৈশব , ফিরিয়ে দাও আমার সেই অরণ্য , ফিরিয়ে দাও আমার সেই মাটির চেরাগ-বাতি ! সেই শীতল সমীরন ! কাদা-মাটির পুঁতি গন্ধ ! ঝেটিয়ে দাও ঝাড় বাতি, কাঁচঘরের অলীক সভ্যতা ! মুক্তি দাও হায়নার থাবা থেকে ।। দাদু ! ও দাদু ! তুমি কি আমায় শুনতে পাচ্ছ ? ? ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ সাইফুল্লাহ
খুবই সুন্দর। আমার মা গলব্লাডারে ক্যান্সারে আক্রান্ত। আল্লাহর কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন ও আমার মায়ের শাররিক অসুস্থতার বিষটি মানবিক দিক দিয়ে বিচার করে যে যতটুকু পারেন আর্থিক সাহায্য করবেন । সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মোঃ সায়ফুল্লাহ ,সঞ্চয়ী হিসাব নং -১০১৭৪০৪, সোনালী ব্যাংক,মাগুরা শাখা মাগুরা। যোগাযোগের ঠিকানা :০১৯১১-৬৬০৫২২।
আপনাকে ধন্যবাদ । আপনার আম্মার জন্য আমি সমভাবে ব্যথীত । আপনার লেখা আবেদন কপি করে ফেইসবুকে আমার সব বন্ধুদের পোষ্ট করে দিলাম । আমিও সাধ্যমত চেষ্টা করব । কোন হসপিটালে আছেন, বেড নম্বর সহ জানতে পারলে আরো ভাল হত ।
সূর্য
"শুরুটাই বলে দেয় দিন কেমন যাবে" এমন কিছু প্রবাদ আমরা পড়েছি, শুনেছি। আসলেই তাই শুরুটাই যদি হয় ভয়, আতঙ্ক আর ছিনিয়ে নেয়ার (ই তে ইদুর ছানা ভয়ে মরে, ঈ তে ঈগলটি ঐ আসছে তেড়ে....) তাহলে বোধ হয় কচিঁ মনে এর একটা প্রভাব অগোচরেই পড়ে যায়। কঠিন একটা জায়গায় আঘাত করেছেন। ভালো লাগলো সে আঘাত করাটা।
হিমেল চৌধুরী
ওহ ! দাদু ! চেয়ে দেখ-
ঐশির হাতে রক্তাক্ত ছুরি । কী বিভৎস !
অপসংস্কৃতির বলি : - ........ সুন্দর করে বর্তমান সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন কবিতায়। যা অপসংস্কৃতি। অনেক ভালো লাগলো।
এশরার লতিফ
শৈশবকে যে ছাঁচে ফেলা হবে ভবিষ্যৎ তো সেই ছাঁচেই ঢালাই হবে- এ কথা জানে কর্পোরেট দুনিয়া। তাই কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার বদৌলতে আমরা বড় বড় ব্র্যান্ডের লোগো দেখেই শনাক্ত করতে ( এবং করতে পেরে গর্ব বোধ করি) অথচ ফুলের নাম গাছের নাম কিছুই জানি না, দেখেও চিনি না। অবশ্যই এটা একটা গভীর নীল নকশার অংশ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।