নিরাপদ ! অনিরাপদ !

ভোর (মে ২০১৩)

এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
  • ১২
  • 0
(সম্পূর্ণ কাল্পনকি)
রাহাতের একটা বড় দোষ হচ্ছে, সব কিছুর মধ্যে কিছু একটা না একটা লেখার উপাত্ত আবিষ্কার করতে চায় । মাঝে মাঝে এমন সব অবাš—র বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায়, যা আসলে কোন মানুষের ¯^াভাবিক আচরণ হিসেবে মেনে নেয়া যায় না। একারণে তার অনেক সৃষ্টিশীল কাজের প্রশংসা করলেও তার কাজিন জামান তাকে নিয়ে বেশ বিব্রত । কিন্তু পাগোলে কি কোন ছবক মেনে চলে ?
জামানের ডায়াবেটিসের মাত্রাটা বেশ বেড়েছে। আর এসব বিড়ম্বনার ভার বইতে হতে পারে এমন আশংকায় রাহাত প্রতি কিলোমিটার ৯ মিনিট গতিতে সোয়া এক ঘন্টা হাটছে কয়েক মাস হল । তার হাটার এরকম ¶িপ্র গতি দেখে এক ভাই বললেন,
কি ভায়া, এখন রেইট কত ?
-না ভাই, রেইটের নিয়ন্ত্রণে এখনো তালিকাভুক্তি ঘটেনি ।
যা, বাব্বা, তাতেই এই ! এনলিষ্টেড হলে না জানি কি ----- ।
প্রত্যুত্তর নি®প্রয়োজন মনে করে চলেছে রাহাত আর জামান ---- ।
ব¯ি—-বেষ্টিত সেক্টর পার হয়ে অভিজাত সেক্টরের প্রবেশ দ্বারে ঢুকতে যেয়েই সে অবাš—র পরিস্থিতি সৃষ্টি করল রাহাত, যা জামানের একেবারেই অপছন্দ ।
-কি ব্যাপার, সিকিউরিটি, তুমি আজ আমাকে সেলাম ঠুকলে না যে ?
জামান খুব বিব্রতকর অবস্থায় মাথা নিচু করে দাঁড়াল ।
সিকিউরিটি ব্যাটা আগে কখনো এরকম অবাš—র প্রশ্নের মুখোমুখি হয়নি, তাই সে আচমকা ভ্যাবা-চেকা খেয়ে গেলেও সাহস করেই বলল,
না, আপনেরাতো আম্গো সেক্টরের লোকনা , আম্গো সেক্টরের বাইরের কাউরে সেলাম দেওনের নিয়ুম নাইক্যা ।
-ও, আচ্ছা ! তা, তুমি কি করে বুঝলে যে, আমরা এই সেক্টরের লোক না ?
এইডা স্যার, আমরা বুঝি ।
- তাই বুঝি ? তো , একটু সামনে আস, আমার সাথে ।
কই যামু স্যার ? এই গেট ফালাইয়্যা যাওন যাইবো না স্যার ।
-না, বেশী দূরে না, ঐ তো, ঐ লাল গেইটটার কাছে ।
লাল গেইটটার কাছে আসতেই রাহাতকে দেখে সে গেইটের দারোয়ান টান টান হয়ে দাঁড়িয়ে একটা পা সজোরে মাটিতে গুতিয়ে এক সেল্যুট কষে দিল । রাহাত বলল,
-রহিম মিয়া, আমার বাসায় ফোন করে জেনে দেখতো, বাবু ঘুম থেকে উঠেছে কি না, যদি ওঠে , তবে ওকে নীচে নামিয়ে দিতে বল ।
(আগš—ক সিকিউরিটি রাহাতের পা জড়িয়ে ধরে) স্যার, আমারে মাফ কইর‌্যা দ্যান, স্যার, আমার ভুল অইয়্যা গেছে । গরীব মানুষ স্যার, চাকরীটা গ্যালে না খাইয়্যা মইরা যামু স্যার ।
-আহা ! কি করছ ! পা ছাড় । তোমার চাকরী যাবে না। শোন, আগের দিন আমার মনে হল, তুমি সেলামালিকুম বলেছ । তোমার মুখে আবার সেটা শুনতে চেয়েছিলাম, যাতে এটা তোমাকে শেখানো যায় যে উচ্চারণটা আসলে কি হবে । কিন্তু তুমি আমাকে অন্য কাহিনী শোনালে । তুমি কি মুসলমান ?
জ্বে , স্যার ।
- তাহলে আমার সাথে সাথে বল, আস্সালামু-আ’লাইকুম ।
সালা -মালাই-কুম
-আবার বল, ভাল করে খেয়াল কর, আস্সালামু- আ’লাইকুম। আ” গলার মধ্য থেকে বল।
আস্সালামু- আলাইকুম।
- এই তো, আ¯ে— আ¯ে— ঠিক হয়ে যাবে ।
জ্বে , স্যার ।
- আচ্ছা, তুমি এখন যাও । আর শোন, এখন থেকে পথে ঘাটে ছোট বড় যাকে দেখবে, তাকেই এভাবে সালাম দিবে, এখানে কে সেক্টরের ভেতরের, কে বাইরের এটা তোমাকে ভাবতে হবে না, কেমন ?
জ্বে , স্যার । ( সজোরে মাটিতে পা গুতিয়ে একট্যা সেল্যুট কষে দিয়ে চলে গেল সে )
রহিম মিয়া গেইটের বাইরে এসে জানাল, স্যার, বাবু এখনো ওঠে নাই ।
- আচ্ছা, ঠিক আছে ।
একটা হেচকা টান মেরে জামান রাহাতকে নিয়ে দ্র“ত হাটা শুর“ করল।
এই জন্যই মাঝে মধ্যে তোমার সাথে আমার কোথাও একসাথে বের“তে ইচ্ছে করে না। আরে ভাই, লেখালেখি তোমার অভ্যাস মানলাম। তাই বলে এসব কি ? যত্তসব ! এ কিন্তু তোমার পাগলামী হচ্ছে ভায়া , কথাটা বলেই ফেললাম, কিছু মনে কর না।
-আরে দূ---উ---র ! ও উপাধি কি আজকে নতুন করে তোমার কাছ থেকে পেতে হবে নাকি ! আমার জীবনে এটাতো খু--উ- ব পুরণ উপাধি ।
যাক গে, ওসব বাদ দাও । তোমার কাজ কাম কেমন চলছে , বল ।
- হ্যা, ভাল । কিন্তু, জামান, যতই মশকরা কর না কেন, ইদানিং ¯­ামালিকুম আর আস্সালামু- আ’লাইকুম উচ্চারণের বিষয়টা আমার জীবনের একটা ইমপর্ট্যান্ট ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। এ জন্যই আমি ঐ কোয়ার্টারে গিয়েছিলাম, একটা তথ্য জানতে, বুঝলে ?
ব্যাস ! আবার পাগলামী শুর“ হল তো ? আমি কিন্তু তাহলে আর তোমার সাথে হাটব না, এই আমি বলে দিচ্ছি ।
তুমি বুঝতে পারছ না, জামান । আমাকে ও এস ডি করার পেছনে আমার মুখের এ উচ্চারণ না কি অনেকটাই দায়ী । এ বিষয়টাই আমার বন্ধু আমাকে নিশ্চিত করেছে। যাহ ! বলেই ফেললাম ? বন্ধুটার ¶তি হয়ে যেতে পারে । জামান, ভাই আমার , মুখ ফসকে কথাটা বেরিয়ে গেল , কাউকে বল না। ও আমার খুব বিশ্ব¯— বন্ধু । এই শেষ বয়সে এসে ওর কোন ¶তি হোক, এটা আমি চাই না।
ধুত্তরী, তোমার এসব আজাইরা পেচাল আর কারো কাছে শেয়ার করতে আমার বয়েই গেছে ।
-যাক ! বাঁচালে ।
--------------------------
চাকরীতে রিজাইন দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাবার সময় বন্ধু নেহাল একটা বিচ্ছিন্ন লেখা প্রকাশ করেছে একটা ব­গে । এর কোন আগা-মাথা খুজে পায়া গেল না। তাই মনটা খুব খারাপ । কিছু সংলাপ-
এটা পশ্চিমারা এত সহজে বুঝতে পারে, আর আপনারা বোঝেন না ?
-কিন্তু, স্যার, পশ্চিমাদের দৃষ্টিভংগির সাথে আমাদের দৃষ্টিভংগি এক সমাš—রালে দেখলে ভুল হবে । ওরা টেররিজমের সংগাটাকে একপেশে বিবেচনায় দেখছে। আমাদেরকে সেভাবে দেখলে চলবে না।
আপনার কথার ¯^প¶ে যুক্তি কি ?
-যথেষ্ট যুক্তি আছে স্যার ।
বলুন ?
-আমি নিজেই একজন মুসলমান। আমি মৌলভী সাহেবদের মত সহিহ উচ্চারণ হয়তো এখনো সব শিখতে পারিনি, কিন্তু এটা তো ঠিক যে, আমি নিজেই উচ্চারণ করি “আস্সালামু-আ’লাইকুম” । তাহলে আমার পিছেও কি গোয়েন্দা লাগিয়ে প্রমাণ করবেন যে, আমি টেররিজমের সাথে সম্পৃক্ত কি না ! এটা কোন যুক্তি হতে পারে না।
ব্যাস ! এই আপনার যুক্তি ? আপনার মেধার প্রশংসা করতে হয়, জনাব ! কেবল এটুকুই আপনার মাথায় ধরে রেখেছেন ? তাইতো বলি, এতদিনেও আপনার কোন কেইসে ক্লীন সেইভ্ড টেরোরিষ্ট কেন খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাবিশ !
-নম্বরটা লিখে নিলেন, স্যার ?
এই তো, ঢের বুঝেছেন !
-স্যার , এটা কিন্তু আমার উপর চরম অবিচার করা হচ্ছে।
আপনার সাহস তো কম নয় ? অবশ্য ভালই করেছেন। এই সাহসের পরিচয় দিয়ে আপনি আমাদের কাজটাকে আর একটু সহজ করে দিয়েছেন । কেননা আপনার যুক্তিটাকে আমরা যারা বিশেষ বিবেচনায় আনি, সেটা অনেক পথের মধ্যে মাত্র একটা পথ। আর এতদিন এ প্রফেশনে আমাদের সাথে কাজ করে আপনি কেন আজ পর্যš— তা আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেটাও পরিস্কার হল । তো ? বিশেষ বিবেচনার আলোকে আর দেরী করা যায় কি ? কি বলেন , আপনারা ?
-হোয়াট ! এটা কি হিরক রাজার দেশ পেয়েছেন, আপনারা ?
পাশে উপবিষ্ট অফিসারকে ইশারা করে ডিজি সাহেব বললেন,
উড়হ’ঃ নব ষধঃব ! খবঃ’ং গড়াব ্ ফড় রসসবফরধঃবষু ?
হ্যান্ডকাপ পরানো হল ডেপুটি ডি জি এরফানুল হক সাহেবকে । অবশ্য সিভিলিয়ান হলে তাকে অšতত ও এস ডি করে নজর বন্দী রাখা হত। কিন্তু এখানে সে সুযোগ নেই । খোদ বেড়া তো ! জড় বস্তুর লাইভ থাকাটাই অ¯^াভাবিক, অনিরাপদ ।
সভার সমাপনী ভাষনে ডিজি সাহেব সতর্ক করে বললেন,
সবাই কান খুলে শুনুন। আমাদের প্রতি রেড এলার্ট আছে । টেরোরিজম এখন প্রধান ইস্যু । যে সব ইন্ডিকেটর বা সিগনাল আপনাদের ব্রীফ করা হল তা সবই আš—র্জাতিকভাবে ¯^ীকৃত সফল গোয়েন্দা প্রধানদের সহায়তায় তৈরী করা হয়েছে । তো, সবাই আপনারা সে আংগিকে কাজ কর“ন। যেসব সিভিলিয়ানদের প্রতি আমাদের নজরদারী রয়েছে, খুব সাবধানে হ্যান্ডল করবেন, খবরদার কোন অবস্থায়ই যেন তথ্য ফাঁস না হয় । এ ব্যাপারে যার শিথিলতা ধরা পড়বে মনে রাখবেন, চাকরী থেকে বরখা¯—ই কেবল নয়, তার চেয়ে ভয়ানক শা¯ি— হতে পারে। আর সাধারণ জনগনের কাতারে আমাদের যে সব সোর্স রয়েছে তাদের মনিটরিং এর দায়িত্বে যারা আছেন, তারা বিশেষ যতœবান হোন। আমাদের কাছে তথ্য আছে, আবার কোন সিরিজ বোমা হামলার আয়োজন করা হচ্ছে। মনে রাখবেন, সেটা আমাদের বানচাল করতেই হবে ।
বিনীত,
শেষে লিখেছে- কাপুর“ষের মত পালিয়ে গেলাম । হে মানুষ, সতর্ক থেক ।
***********
রাহাতের মনটা ভীষন খারাপ । অফিসে যে ক’জন অফিসার ও এস ডি হিসেবে আছেন , তাদের অধিকাংশেরই চারিত্রিক বৈশিষ্টের সাথে সেও নিজের মিল খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হল, যে বিবেচনায় এদেরকে ব­াক-লিষ্টে অš—র্ভুক্ত করা হয়েছে, তা মোটেই সঠিক নয় । তাহলে এতবড় শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা কি রিপোর্ট দেয় ? রহস্য কি ? এধরনের কাল্পনিক তথ্যইবা কী উদ্দেশ্যে এরা পরিবেশন করছে, তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। ইচ্ছে হয়, সেসব রহস্যের সন্ধানে নেমে পড়তে । কিন্তু বুঝতেই পারছে, এক ধরনের শৃংখলে আবদ্ধ এখন সবাই ।
গভীর রাতে ঘুম ভেংগে গেল তার। ছোট্ট রেডিওটা হাতে নিল। নিশিথ রাতের প্রোগ্রামে তখন নজর“ল গীতি হচ্ছিল । ছাদে এসে হাল্কা সাউন্ড দিয়ে শুনছে আর খোলা আকাশের নীচে পাইচারী করছে। মেঘের ফাঁকে ফাঁকে চাঁদের লুকোচুরি খেলায় আধো আলো, আধো আধারে সে এক অপুর্ব পরিবেশ! এর সাথে যোগ হয়েছে হাজারো তারার মিটি মিটি হাসি, বেশ উপভোগ্য ! আহা ! সে বয়সটা যদি আবার ফিরে পাওয়া যেত ! কিছু¶ণের জন্য মনটা সত্যিই হারিয়ে গেল।
রাত তখন দু'টো । অদূরে লাল ভবনটা বহুদিনের পূরণ ধর্মীয়শালা । ভোরে সূর্য ওঠার সাথে সাথেই ঢাক-শাখের শব্দ শোনা যায়। ফজরের নামাযের ব্যাঘাত হয় মর্মে এটা নিয়ে এক সময় কিছু অতি উৎসাহী মানুষের আপত্তি থাকলেও যখন প্রকৃত মুসল­ীরা দেখল, তাদের কার্যক্রম যখন শুর“ হয়, তার প্রায় ১৩ থেকে ১৫ মিনিট আগেই মসজিদের ফজরের জামাত শেষ করে মানুষ ঘরে ফিরে। অতএব এটা নিয়ে যারা হৈ-চৈ করছে, তারা জীবনে কোদিন এক্ওয়াক্ত নামায পড়ে না, ফজরের নামায তো দূরের কথা । তাই এ নিয়ে সচতেন কারো মনে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ নেই । বহুকাল শাšি—তে সহাবস্থান চলছে । ¯^ার্থাšে^ষী মহলের মুখে থু থূ পড়ে গেছে । কিন্তু ইদানিং একটা বিষয় রাহাতকে বেশ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ।
আজকের রাতেও রাহাতের চোখে পড়ল , ঐ বিল্ডিংএর ছাদে দু’জন লোক একইভাবে লম্বা এন্টেনা অনেক উঁচু করে বেঁধে দিচ্ছে । এর কোন কারণ অনুসন্ধান করার তার কোন আগ্রহ ছিল না। কেননা কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানোর ¯^ভাবই তার নয়। হাতের রেডিওটা হঠাৎ আর কাজ করছে না। টিউনটা এদিক ওদিক করছে। কিন্তু না , কোন কাজ করছে না। একটু সাউন্ড বাড়িয়ে দিল। খচ্ খচ্ শব্দ হচ্ছিল। সে শব্দের মাঝে মাঝে অস্পষ্ট কিছু কথাবার্তা শোনা গেল ;
হ্যা, বস । ছক মোতাবেকই কাজ এগুচ্ছে । না, না, ওদের লিষ্টে আমাদের নাম সন্দেহের তালিকায় তো নেই-ই বরং আমাদের প­্যানটাই এখন ওদের হাতে। ওটা নিয়েই এখন ওরা মাঠে নামছে।
-কি মনে হচ্ছে, এবার সফল হবে তো ?
১০০ ভাগ নিশ্চিত, বস ।
ঠিক আছে, এ সুযোগটাকেই এবার পুরো কাজে লাগাও ।
ও,কে বস ।
ও, কে ।
আচমকা একটা গুলির শব্দ । অবশ্য শব্দটাও তেমন জোরালো নয় । তাই ঘুমš— মানুষ কিছুই জানতে পারল না।

নিত্য দিনের মত ফজরের আজানের অনেক পরেই উঠলেন তিনি। রাহাত জগিং এর পোষাকে একবারে তৈরী হয়েই মসজিদে চলে যায়। যাবার আগে করিডোরের বাতিটা জ্বালিয়ে রেখে যায়। কিন্তু ঘরে আলো দেখতে না পেয়ে রাহাতের মিসেস একটু বিচলিত হলেন। বাতিটা জ্বাললেন। রাহাত ঘরে নেই। ঘড়িটার তাকিয়ে দেখে সূর্যোদয়ের আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি আছে । খুব দ্র“ত নামায শেষ করলেন। কিন্তু একটু ভড়কে গেলেন, ব্যাপার কি, জগিংএর জুতো নেয়নি, ট্রাউজারও না, তাহলে ? আজ কি হাটতে যাবে না ? ঘুমের ঘোরে বুঝতে পারেন নি, তবে এখন তার খেয়াল হল, বাথ র“মটাও শুকনো ছিল । ব্যাপার কি ? দরজায়তো ঠিকই সিকিউরিটি লক রয়েছে। নিজের চাবিটা দিয়ে খুললেন । জগিংএ যদি না-ই যাবে, তবে এখনো বাসায় আসছে না কেন ? মনটার মধ্যে কেমন যেন করছে । কিছু মিলাতে পারছেন না। আনমনে নিত্যদিনকার মত ছাদে উঠলেন ।
ও আল­া গো ! আমার এ কি সর্বনাশ হল গো !
এক বিকট চিৎকারে আশে পাশের ফ্ল্যাটের সবাই ছুটে এল রাহাতদের ছাদে ।
কতটা অনিরাপদ ছিল, রাহাত ? কতটা নিরাপদ এখন, আমরা ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি ......// ভাল লেগেছে তবে ফিনিসিংটা আরো একটু ভাল হতে পারতো........কাহিনীর জটলা খুলতে কষ্ট হয়েছে ফন্ট বিভ্রাটের কারণে.......তবুও যেটুকু বুঝেছি ভাল রেগেছে....ইমদাদুল ভাই আপনাকে অনেক অনেক থন্যবাদ....
কষ্ট করে পড়েছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
সূর্য অনেক কিছুতেই অস্পষ্টতা থেকে যায়, যেমন গল্পের টেররিস্ট ইনডিকেসন- যার ফলে আপাত নিরীহ একজনও সন্ত্রাসী পরিচিতি পেয়ে যায় অথবা রাহাতের সালাম দেয়ার সহিহ্ উচ্চারণ শেখানোর কায়দা যাতে ইসলামের "এক কাতার" ও আশরাফ আতরাফে বিভক্ত হয়ে যায়। আসলে মানুষের ব্যবহৃত কোন সিস্টেম ই শতভাগ সঠিক নয়, থাকে না। কেউ কেউ দূর্ভাগ্যের শিকার হয় রাহাতের মতো। তবে এমন হওয়া উচিত না। ভালো লাগলো গল্প
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
মিলন বনিক বানান বিভ্রাট গল্পের স্বাভাবিক আকর্ষনকে টেনে ধরেছে...কাহিনীটাও কেমন অস্পষ্ট মনে হলো....গল্পের থিমটা যেটুকু বুজেছি তাতে মনে হলো গল্পটা আরো সুন্দর হতে পারত...অনেক ধন্যবাদ দাদা....
এশরার লতিফ গল্পটি পড়ে মনে হলো টেরোরিজমের ইন্ডিকেটরগুলোই গোলমেলে এবং রাহাত তার একটা শিকার। মুদ্রণজনিত প্রমাদের কারনে গল্পের ৫০% আনন্দ হয়তো মিস করলাম। অনেক শুভেচ্ছা থাকলো।
এত কষ্ট করে পেড়েছেন, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ্ । অনেক ধন্যবাদ ।
ওসমান সজীব ফন্টের জন্য গোলমাল লাগলো তবে দারুন গল্প
Lutful Bari Panna কাহিনীটা উপলব্ধিতে আনার চেষ্টা করলাম। ফন্টের মত কাহিনীতেও কিছু অস্পষ্টতা ছিল। তাও বোঝা গেল। এমনই হয় বোধ হয়। গল্পটার জন্য ধন্যবাদ।
পান্না ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
ছালেক আহমদ শায়েস্থা এক বিকট চিৎকারে আশে পাশের ফ্ল্যাটের সবাই ছুটে এল রাহাতদের ছাদে । কতটা অনিরাপদ ছিল, রাহাত ? কতটা নিরাপদ এখন, আমরা ? বার বার এতো প্রশ্ন ইতিহাসের পাতায় আমরা রেখেই রাবো হয়তো কোন ইলিয়নের গবেষক তার উত্তর দিবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা গল্প লিখার জন্য।
আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
সোহেল মাহামুদ (অতি ক্ষুদ্র একজন) কিছু কিছু যায়গায় পড়তে অসুবিধা হয়েছে। সমস্যাটা বাদ দিয়ে গল্পটা সুন্দর হয়েছে।লেখনীর হাত ভাল।
কষ্ট করে এত ভাংগাচোরা ফন্ট বিশিষ্ট বিরক্তিকর পাতাটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
তাপসকিরণ রায় হ্যাঁ,বেশ কিছু জাগায় পড়ার অসুবিধা হলেও পড়তে আগ্রহী হলাম।লেখার ধারাবাহিকতা ভাল লেগেছে।লেখার ভাব ভাষা--বর্ণনা সাবলীল,সুন্দর।ধন্যবাদ।
শিউলী আক্তার তুমি কি মুসলমান ? জ্বে , স্যার । - তাহলে আমার সাথে সাথে বল, আস্সালামু-আ’লাইকুম । সালা -মালাই-কুম -আবার বল, ভাল করে খেয়াল কর, আস্সালামু- আ’লাইকুম। আ” গলার মধ্য থেকে বল। ----- সালাম ভাইজান । আমাদের সংশোধন হউক । আমীন । খুব সুন্দর গল্প ।
কষ্ট করে এত ভাংগাচোরা ফন্ট বিশিষ্ট বিরক্তিকর পাতাটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

২৯ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪