চি---কুত---কুত---থা

ঈর্ষা (জানুয়ারী ২০১৩)

এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
  • ২৫
  • ৭৯
দেখলেন তো ? সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। ছোট বাচ্চা বলে এভাবে লাই দিয়ে দিয়ে এদেরকে মাথায় তুলেছেন । এখন সামলান ? আমি আর পারছি না বাপু ।
- কেন, আবার কি করেছে ?
আবার বলছেন কী ! এ তো রোজই করছে । কাল চুলোচুলি করেছে উকুন বাছা নিয়ে , আজ করছে চি কুত কুত খেলা নিয়ে । এদের কি বাহানার শেষ আছে ?
-সে কী ! এ অধুনা যুগে উকুনের বাস ! তাও আবার ছোট বাচ্চাদের মাথায় ? তার মানে তোমরা বউমারা তাহলে -----
না, বাবা , আপনার বড় বৌমার মাথায় থাকতে পারে, আমাদের চৌদ্দ পুরুষের কোনকালে কারো মাথায় শুনিনি উকুন বলে কিছু ছিল। আমি বাবা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম বি এ করেছি। পাড়াগেঁয়ে ইন্টারমিডিয়েট না ।
ব্যাস । হয়েছে । আর বলতে হবে না।
আপনি তো আমাকে কেবল চুপ করিয়েই দেন । কথা শেষ করতে দেন না। দেখেন তো, ইরার মাথা থেকে আমার মেয়ের মাথায়ও উকুন ধরেছে। সেবার একবার গ্রামে গেল, এই একই কম্মটা হয়েছিল । কত কষ্ট করে সাফ করলাম ! আবার হল। তাই বলছিলাম কি, বাবা, এভাবে হয় না। আমরা আলাদা একটা ফ্ল্যাটে যাই । আপনারা বড় বৌমাকে নিয়ে এখানে থাকেন । ইরাকে যখনই দেখতে মন চাইবে , যেয়ে দেখে আসবেন । আপনার নাতিন দু'জনই আপনার চোখে সমান হতে পারে। কিন্তু আমি কোনভাবেই আর মেনে নিতে পারছি না। দেখেন, ইভা ওর মা'র সাথে গ্রামে যায়, আর কী সব খেলা শিখে আসে । উকুন বাঁধিয়ে নিয়ে আসে । এখানেই শেষ নয়, আবার গ্রামের মেয়েদের মত বসে বিলি কাটতেও শিখেছে। আমার মেয়েটাকেও এসব শিখিাচ্ছে । ওর সাথে মিশে আমার মেয়েটা যে গেও ভুত হয়ে যাচ্ছে - এ আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারছি না। আমি সোজা কথার মানুষ। যা বলার সরাসরি বললাম। এখন আপনি যেভাবে গ্রহণ করেন, করতে পারেন। তবে, আমি আপনাকেই মানি । আপনি যা ভাল মনে করেন, তাই করবেন ।
-থাক । আর বলতে হবে না। ঢের বুঝেছি । পানির মত পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি ।
বুঝতে যখন পেরেছেন, তখন ----
-হ্যাঁ, ভাবছি, উকুনের কী শক্তি ! এতটা বছর গড়িয়ে গেছে । কত বড় বড় ঝড় তুফান বয়ে গেছে আমার এ ক্ষুদ্র জীবনের উপর দিয়ে। কোন ঝড় তুফানই আমাদেরকে বিচ্ছনি্ন করতে পারেনি। অথচ সামান্য উকুনের কত ক্ষমতা ! আচ্ছা, বৌমা, তুমি বললে, আমি শুনলাম । আমি ভেবে দেখি, রাহাত, রিফাতের সাথে কথা বলি, তার পরে না হয় জানাব , কেমন ?
ঐ, দেখেন । বাবা, জানালা দিয়ে বাইরে একটু তাকান ।
ইভা আর ইরা দু'জনে তর্কযুদ্ধ করছে ।
এ ঘর তো আমি কিনলাম , তাহলে আমার দানটা মার যাবে কেন ?
আরে, গাধা । তুইতো বার বার একই ভুল করিস । চি---কুত--কুত--- ঠিক আছে , কিন্তু থা দিয়ে তোর কেনা ঘরে দু' পা ফেলার সময় খেয়াল করিস না কেন ?
কেন, কোন ঘরে ? গত দানে আমিই তো কিনলাম এ ঘর ।
এটা ? না , ডান পাশের টা ? খেলার সময় তোর এত ডান, বাম ভুল হলে আমি আর কী করতে পারি, বল ?
কষে এক চড় বসিয়ে দিল ইরার গালে ।
উহ ! তাই বলে তুই এত জোরে মারবি ?
বলে ইরাও মেরে দিল ইভার গালে একটা। উহ ! গাল তো না, যেন কাঠের তক্তা একখানা। তোর গালে চড় মারলে উল্টো আমারই ব্যথা করে ।
-তার জন্য আমি কি করতে পারি ? আমি কি তোকে আস্তে চড় মারতে বলেছিলাম ? তোর হাতে শক্তি কম, তা এর জন্যও কি আমি দায়ী ?
কী, আমার হাতে শক্তি কম ? দেই , আর একটা ?
দে ?
-ধ্যাত, তাহলে তো আমি উল্টো আবার ব্যথা পাব ।
দে, না জোরসে কষে ।
দিল আর একটা । উহুরে ---
হ্যাঁ, তোর চড় খেলাম । এবার আমারটা খা । তুইতো আমাকে খামোখাই মারছিস, কিন্তু আমি তোকে ঠিক কারণেই মেরেছি।
-উহ ! রে , তোর এটা হাত না পাথর ?
তোর যা খুশি তাই ভাবতে পারিশ । তবে আমার এটা তোর হাতের মতই হাত । দেখছিস না, একই রকম তো দেখতে । তুইও আঙুল ঘুরিয়ে ভাত খাস, আমিও খাই । পাথর হলে কি তা পারতাম ?
-কথাও জানে , আল্লাহ যে তোর মাথায় -----
হ্যাঁ, যা এসেছে, তা সব তোর মাথা থেকেই । আজ যেয়ে চাচীর মাথাটা পরীক্ষা করে দেখিস । আমি দেখেছি, ভাল করে খুঁজে দেখেছি, আমার অশিক্ষিত গেও মায়ের মাথায় একটাও পাইনি। অতএব -----
-কথায় কথায় এসব খোটা দিস কেন ?
সে কি ? আমি দিলাম, নাকি ? এটা তো চাচীর একমাত্র উত্তরাধিকার । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম বি এ । আমার মা গ্রামের ইন্টার--
-থাক না, বাদ দে । বড়দের বিষয়টা নিয়ে আমাদের কথা বলা ঠিক না । আয় ভাব করি।
হ্যাঁ, কর । আমার আপত্তি নেই ।
দু'জনে বুড়ো আঙ্গুল মিলিয়ে নিলো ।
-বসবি আবার ?
কিন্তু , তুই শুধু মিথ্যা কথা বলিস । আর তাছাড়া আমার মাথায় মনে হয় আর একটাও নাই । তোর মাথায় তো ---
-ঠিক আছে, আয় তো ।
এবার কিন্তু তোর কানের কাছে নিয়ে চেপে তোকে শব্দ শুনিয়ে দেব। তুই গুনে নিশ । কিন্তু আমার বেলায়ও আমাকে কিন্তু শব্দ শোনাতে হবে , শব্দ না হলে কিন্তু কাউন্ট করা যাবে না।
-আচ্ছা, তাই হবে । কিন্তু তোর মাথায় তো নিক বেশী। নিকের তো সেরকম শব্দ হয় না।
না হোক, কিন্তু আমাকে দেখাতে হবে । তোকে আর বিশ্বাস করা যায় না। তুই আগেরবার আমার মাথার ৫ টা মেরে লিখেছিস ৫০ টা অথচ আমাকে দিয়ে ঠিকই তুই ৫০ টা মারিয়ে নিয়েছিস।
-আবার সে কথা ? এই দ্যাখ, এটা কিন্তু তোর মনের সন্দেহ ।
ঠিক আছে , সন্দেহ যাতে না হয়, সেজন্যই তো বলছি,আমাকে নিক মেরে দেখাবি । অকারণে এসব ফালতু বিষয় নিয়ে . . . . ? ভাল্লাগে না।

দেখলেন, বাবা ? মেরে মেরে ও আমার মেটোকে শেষ করে দিচ্ছে ।
-হ্যাঁ, দেখলাম । দু'জনে ঠিক সমান সমান মেরেছে। ইনসাফ করার মত যোগ্যতা ওদের অন্তত আছে । তো ? তোমাদের তো লজ্জা পাওয়া উচিত। ওরা একজন আর একজনকে চড়িয়েছে, আবার একসাথে খেলতে বসেছে। এটাকেই বলে পরিবার । এটাকেই বলে রক্তের বাঁধন । এ বাঁধন ছিঁড়তে নেই। সে শিক্ষাটা কিন্তু ওরা দিয়ে দিয়েছে। তাই বলছিলাম কি, বাচ্চাদের স্বাধীন জগতে ওদেরকে ছেড়ে দাও। এসব নিয়ে নিজেরা খামাখা বাড়াবাড়ি কর না। বাচ্চাদের বিষয় নিয়ে বড়রাই ঝগড়া করে ঝামেলা পাকায় । এ নিয়ে লিও টলসটয়ের লেখা গল্পটা পড় নি ? এত শিক্ষিতের বড়াই কর ? যাও, আমার শেল্ফ থেকে ওটা নিয়ে একটু পড়ে দেখ ।
না, বাবা আমি মানতে পারছি না। ওরা বাচ্চা ? কিন্তু কতদিন পর্যন্ত বাচ্চা ? আমাদের তো বাপু এ সময়ে ছেলেপুলে হয়েছিল ।
- আহা ! সেকাল আর একাল কি এক হল ? তুমি যাও তো । অবুঝের মত কথা বল না। আমি দেখছি।
দেখেন, দেখতে দেখতে বেলা তো সব গড়িয়েই গেছে । শেষ বেলায় না জানি কী আছে কপালে ।
-নাহ ! সকালে যে খবরের কাগজগুলোতে একটু চোখ বুলাব, তোমাদের অত্যাচারে সে আর হবে না, দেখছি । তুমি এখন যাও, আমি টি ভি নিউজটা একটু দেখে আসছি ।

ছোট বৌমা খুব একটা সুবিধে করতে পারল না। বাচ্চারা আবার খেলা শুরু করে দিয়ে সব পণ্ড করে ।

এদিকে সাত সকালে নিউজটা একটু দেখব, শুনব । সেখানেও বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা ? এ অত্যাচার তো আর সহ্য করা যায় না । আরে বাবা , অর্থ কড়ি তোদেরও দরকার , মানছি । তাই বলে বিজ্ঞাপন প্রচারের তো একটা সীমা থাকা দরকার । সব কিছুতেই বড় বেশী বাড়াবাড়ি ।
ট্রত্তু ু---তু---তু----তু ---তু ---তু্ততু্ততু তু তু--তু ----------
'চ্যানেল তাই' , অন্তরে বাউলাদেশ ----- ।
এখন দেখবেন, ইসলাহী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড 'চ্যানেল তাই' সংবাদ ।
ট্রত্তু ু---তু---তু----তু ---তু ---তু্ততু্ততু তু তু--তু ----------
সুধী, দর্শক শ্রোতা , শুরু করছি আজ সকালের সকাল ৭ টার 'চ্যানেল তাই' সংবাদ । পুরো সংবাদ জুড়ে আপনাদের সাথে আছি আমি নাইদুর রহমান ।
আর শুরুতে জেনে নেয়া যাক আজ সকালের 'এ বে তে ড়ে মে - টি এম টি বার ' সংবাদ শিরোনাম -
ধ্রিম---ধ্রিম-- ধ্রিম - ঠ্যা---ঠ্যা---ঠ্যা----ঠ্যা---ট্যা---ট্যা ট্যা---ট্যা - --অ্যা---- অ্যা----
* একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নীল দলকে বিজয়ী করার জন্য দলের সভাপতি জনগনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। শীঘ্রই তিনি তার কেবিনেট ঘোষণা করবেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন ।
তু---তু----তু ---তু ---
*লাল দল সভাপতি নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সূক্ষ্ম কারচুপি করে তাকে নির্বাচনে পরাজিত করিয়ে দেয়া হয়েছে ।
তু---তু----তু ---তু ---
*সুশীল সমাজের একটি অংশ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু বলে মন্তব্য করেছেন এবং পরাজয় মেনে নিয়ে সকলকে কাধে কাধ মিলিয়ে দেশ সেবায় নিযোজিত হবার তাগিদ দিয়েছেন ।
তু---তু----তু ---তু ---
* নির্বাচনকে ঘিরে কিছু দেশী, বিদেশী ষড়যন্ত্র হলেও সুশীল সমাজের অপর একটি অংশ গণতন্ত্রের স্বার্থে এটিকে মেনে নিতে সুপারিশ করেছেন পরাজিত পক্ষকে ।
তু---তু----তু ---তু ---
*টাইগার ফোর্সের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত মুরগী ভুলনের লাশ তার পরিবারকে প্রদান করা হয়েছে ।
তু---তু----তু ---তু ---
*রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোতেও চলছে অসামাজিক কর্মকান্ডের রম রমা ব্যবসা ।
তু---তু----তু ---তু ---
গুহার দু'পাশে বোমা মেরে মোলস্না ওমরের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে যৌথ বাহিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তার সাথে লাদেনও ছিল , হয়তো সেও একই সাথে নিহত হয়েছে।
এতক্ষন আপনরা শুনছিলেন 'এ বে তে ড়ে মে - টি এম টি বার' সংবাদ শিরোনাম । এখন, চলুন, যাওয়া যাক পুরো সংবাদে । এছাড়াও রয়েছে গতকালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর । আশাকরি, পুরো সময়টাতে আপনারা আমাদের সংগেই থাকবেন ।
ওহ ! অসহ্য !
সুইচ অফ্ ।
কি ব্যপার , বাবা, বন্ধ করে দিলেন কেন ? খবর শুনব বলে নাস্তার প্লেট হাতে করে চলে এলাম, আর আপনি বন্ধ করে দিলেন ?
-এই নাও রিমোট । তোমরা এখন শোন ।
কেন, আপনি শুনবেন না ? কত গুরুত্বপূর্ণ খবর !
লেহাজউদ্দিন সাহেব ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে দিলেন । কোন কথা না বলে তিনি সোজা চলে গেলেন ডায়নিং টেবিলে ।
১০ মিনিট পর ।
রিফাত চলে এল ডায়নিং টেবিলে ।
আচ্ছা , বাবা, আপনি খবর শুনবেন বলে সব তাড়ালেন । অথচ খবর না শুনেই চলে এলেন যে ?
-তুমি চলে এলে কেন ?
আর বলবেন না, আবার বিজ্ঞাপন । এই দশ মিনিটে খবর পড়েছে ২ মিনিট । আর সব----
আবারো একটু মুচকি হাসলেন ।
তবুও খবর না শুনে তো উপায় নেই । আপনি----
-কি শুনব ? খবরের আগে পরে কর্কশ সুরে যে ভাবে ধুম ধাড়াক্কা সব আওয়াজ , আর প্রত্যেকটা নিউজের সাথে একটা করে বিজ্ঞাপনের লেজ জুড়ে দেয়া , শিরোনামের ফাকে ফাকে বিশ্রি মিউজিকের কর্কশ সুর আর সংবাদ পাঠক সংবাদ পাঠের চেয়ে নিজেকে অতিকথনের মাধ্যমে যেভাবে উপস্থাপন করে- তাতে আর এসব নিউজ শোনার কোন আগ্রহ থাকে কি ? সীমাহীন বিজ্ঞাপনের জ্বালা তো আছেই । যে জ্বালায় জ্বলে তুমিও এখানে এলে । তাই না ?
এটা এখন যুগের চাহিদা , বাবা । এসব দিকে কান দেবার দরকার কি ? আপনি নিউজ শুনবেন, সেটা শুনতে পেলেইতো হল ।
-তাই বা কি শুনব ? শোনার মত কোন নিউজ, এগুলো ? কি সব শিরোনামের বাহার ! আরে বাপুরা, এত চুলোচুলি করার পর , এত মানুষ নিধনের পর , এত জ্বালাও পোড়াও করার পর সবাই মিলে একটা ব্যবস্থার মাধ্যমে তোরা নির্বাচন করলি, নির্বাচন চলাকালে কেউ কেউ বললি, 'হ্যা, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ হয়েছে . দেখবেন, কেউ যেন হেরে গিয়ে আবার কারচুপির অভিযোগ না তোলে" । তা বাবা, সেই একই মুখ দিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর , এটা কোন ধরনের কথা হল ? "সূক্ষ্ম কারচুপি করে আমাকে হারানো হয়েছে ? " আরো যে কয়টা শিরোনাম বলল, কোনটা সহ্য করার মত ? সুশীল সমাজও বহুধা বিভক্ত ? ক্রস ফায়ার কি এখন গল্পের মত শোনায় না ?
কী আর করবেন, বাবা । এটাই এখন আমাদের গা সহা হয়ে গেছে । বেশী ভাবনার দরকার কী ? এসব ভাবনার দায়িত্ব যাদের, তারা ভাবলেই চলবে। আমার কাজ আমি করি, ওদের কাজ ওরা করবে ।
-এসব ভালস্নাগে না। সেদিন দেখলাম, সেনাবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অন্তবর্তী সরকারের দাওয়াতে দুই দলের দুই সভাপতি এক তাবুর তলে বসলেন । কেউ কারো সাথে করমর্দন করে সৌজন্য সাক্ষাৎ দূরে থাক, একে অন্যের চেহারাটা পর্যন্ত দেখলেন না ! ভাবতে পার, আমরা কোন ধরনের এক বর্বর যুগে বসবাস করছি ! এত ঈর্ষা ? দেশটা কি উনাদের দু'জনের চি -- কুত- কুত -- খেলার মাঠ মনে করছেন ?
কিন্তু এটাই যে এখন আমজনতা উপভোগ করছে । এটাকেইতো তারা স্বাভাবিক আচরণ বলে মেনে নিচ্ছে ? তো ? সবাই পারছে, আপনি কেন সহ্য করতে পারছেন না ?
-দেশটার বয়স কি এখনো আমার নাতি দু'টোর বয়সে দাঁড়িয়ে থমকে আছে ?
হ্যা, আছেই তো ? মাত্রতো ৩০ বছর ।
-তাহলে আমার নাতি দু'টোর আর দোষ কি, বল ? তবুও ওদের দু'জনের মানসিক অবস্থা অনেক বেশী শক্তিশালী । ওরা অনেক বড় জ্ঞানী। কেননা এখনি ওরা চুলো-চুলি, চড়া-চড়ি করল, আবার এখুনি ভাব করে খেলতে বসে গেল । কিন্তু উনারা দায়িত্বের চেয়ারে বসে কি করছেন ?


------- এ গল্পের এখানেই শেষ । তবে ----

৩৬ বছর পর ------
একই সংলাপ ।
"আমাকে স্থূল কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে দেয়া হয়েছে ।"
অতএব, আমিও তার পথ অনুসরন করব, কোনভাবেই তাকে ক্ষমতা চেয়ারে সহ্য করব না।

৪১ বছর পর -----
আবার চলছে ঈর্ষার চুড়ান্ত হোলী খেলার প্রসত্ততি । ভাবতেই শরীর শিউওে ওঠে । আমাদের সোনার বাউলাদেশটা আবার কেঁদে উঠবে, নবজাত শিশূর মত ?

------ এবং যথারীতি সকাল ৭ টা 'চ্যানেল তাই' সংবাদের এই হল আপডেট সংস্কার ! ! ! !

সকাল ৭ টা 'চ্যানেল তাই' এর 'আলু থালু সিরামিক লিমিটেড' সংবাদ শিরোনামের শুরুতে সবাইকে সকালের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমি নাইরুল বাশার ।
তু---তু----তু ---তু ---
৪৬ তম 'এলমানাই ' (?) অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারনে মুখর দেশের বরেন্য প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা ----
-ধ্যাত্তুরী ----
হ্যালো, এটা কি 'চ্যানেল তাই' ?
এইমাত্র যিনি খবর পাঠ করছিলেন, উনি যে 'এ্যালামনাই' শব্দটাকে 'এ্যালমানাই' বললেন, আর সে ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ না করেই গড় গড়িয়ে খবর পড়তে থাকলেন, এসব হচ্ছেটা কি ? না কি , এ শব্দটার সাথেই পাঠক পরিচিত নন ?
সরি, এ প্রশ্নের উত্তর দেবার দায়িত্ব আমার না । আপনি " কাইন্ডলি ", দয়া করে এডিটরের সাথে যোগাযোগ করুন । ধন্যবাদ ।
উহ -----!

------------------
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী দারুন লাগলো। অনেক অনেক অনেক মজা পেলাম। সুক্ষ হিউমারের কাজ গুলো মুগ্ধ করেছে।
ভালো লাগেনি ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ পন্ডিতজীকে ।
ভালো লাগেনি ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩
তানজিয়া তিথি গল্পের বিন্যাস এবং চমৎকার কাহিনী খুব ভাল লাগলো ইমদাদুল ইসলাম ভাই । শুভ কামনা নিরন্তর ।
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩
মামুন ম. আজিজ কিছূটা প্রহসন...কিছুটা সামাজিক রিয়েলিটি..সুন্দর বেশ সুন্দর
ভালো লাগেনি ২১ জানুয়ারী, ২০১৩
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভাবনা বৈচিত্রের সুন্দর মিলন মেলা হয়ে উঠেছে গল্পটি| আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো| অনেক অনেক শুভ কামনা লেখকের প্রতি|
ভালো লাগেনি ১৭ জানুয়ারী, ২০১৩
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০১৩
সিয়াম সোহানূর প্রাণবন্ত ও সুখপাঠ্য গল্প । ভাল লাগল ।
ভালো লাগেনি ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩
অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০১৩
সূর্য আপনার গল্পগুলোতে দেশপ্রেমের একটা ছোয়া প্রায়শই পাই। এটা ভীষণ আনন্দের। গল্পটার কয়েকটা ভাগ আছে তবে সেগুলো জুড়ে আছে জীবনেরই সাথে। গল্পে খবর দেখার অংশটা বাস্তব হলেও পড়ায় কিছুটা আনন্দ কমিয়েছে। তবে আমরা এখন যেভাবে চলছি, যেভাবে ভাবছি তাতে এ গল্পের আবেদন সহসাই কমছে না। দু নেত্রী সংসার মায়া ত্যাগ করলেও তাদের বংশধররা আছেন স্ট্যান্ডবাই। দারুন স্যাটায়ার। ওহ্ হ্যা এখন শুধু টিভি অনুষ্ঠান না সবকিছুই বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। দলগুলো এখন ঘোষণা দিয়েই এমপি হওয়ার টিকিট বিক্রি করে সংসদের ৬০ভাগের উপর নাকি ব্যবসায়ী.........
ভালো লাগেনি ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩
আপনার পরামর্শ এবং বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য আমি খুব- খুবই কুতজ্ঞ । অনেক ধন্যবাদ গল্পের ভেতর থেকে এর নাড়ি শুদ্ধ টেনে এনে আমাকে ঝালাই করে দেবার জন্য । ভাল থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩
তানি হক ভাইয়ার প্রতিটি গল্পই সব গল্পের চেয়ে অন্যরকম ..মনে রাখার মত ...বউ ..শশুরের ..দুই ভিন্ন হৃদয়ের কথা ..বাচ্চাদের খেলা নিয়ে ঝগড়া ..কথাবার্তা ..এবং শেষের অংশ টুকু ..সব কিছুই ভালো লাগলো ...ধন্যবাদ ও সালাম ভাইয়াকে এই গল্পটির জন্য
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩
আহমেদ সাবের জানা কথাগুলো আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন ইমদাদুল ইসলাম ভাই। এসব দেখলে বড় কষ্ট লাগে। পৃথিবী কতো এগিয়ে গেছে আর আমরা দুই সতীনের কাছে দেশ জিম্মি দিয়ে বসে আছি। বাস্তবনিষ্ঠ বক্তব্যপ্রধান লেখাটার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলো গল্পটা।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৩
সাবের ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৩
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি অনেক ভাল একটা গল্প....রাজনৈতিক ভাবে সমকালীন বা বিগত দিনের কটাক্ষ, বিবেককে নাড়া দেয়ার মতো কিছু উল্লেখযোগ্য আবহ প্রশংসার দবীদার....ইমদাদুল ভাই আপনাকে অনেক অনেক শুভকামনা......
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৩
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৩
মোহাঃ সাইদুল হক ভালো লাগলো আপনার গল্পটি। শুভ কামনা রইলো।
ভালো লাগেনি ১১ জানুয়ারী, ২০১৩
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১১ জানুয়ারী, ২০১৩

২৯ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী