২১ কাদে নিরবে

২১শে ফেব্রুয়ারী (ফেব্রুয়ারী ২০১২)

এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
  • ১৪
  • 0
-সালাম, আমরা সেদিন মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছি, কি বল ?
.ঠিকই বলেছ, বরকত । বেঁচে থাকলে এদের এসব ভণ্ডামি সহ্য করতে হত ।
-কিন্তু সহ্য করতে পারতে কি ? না কি আবার অস্ত্র হাতে নিয়ে এর সমুচিত জবাব দিতে?
.কি জানি । হয়তো তাই ই করতাম। না হয় এসব সাধারণ কর্মীদের মত আমরাও কিছুই বুঝতে পারতাম না। আবেগে আত্মহারা হয়ে এদের মত স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতাম।
-পরিমিত পরিমাণ বখরা পেলে এদের মত তুমিও কি খুশী থাকতে ?
.বিভ্রান্তি—কর প্রশ্ন । জীবিত থাকলে যে কি করতাম, তাই তো বুঝতে পারছি না। তবে তখন যাদের সাথে কাজ করেছি, তাদের স্বভাব চরিত্র এরকম থাকলে মনে হয় না আমরা স্বতন্ত্রভাবে কিছু ভাববার অবকাশ পেতাম।
-আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু আমাদের নেতারাও যে এরকম ছদ্মবেশধারী ছিল না, তারই বা কি গ্যারান্টি আছে? এই যে দেখ, সাধারণ কর্মীরা নেতাদের আবেগময় ভাষণে কেমন বিমোহিত হয়ে আছে। এরা তো এদেরকে মাসুম, ফেরেশতার মত মনে করছে।
.হু । আসলে সব রেকর্ডতো একজনই জানেন। আমরা বেঁচে থাকতে কি এরকম রেকর্ড থাকার বিষয় কখনো জানতাম ? মরেই না জানতে পারলাম ।
-ঠিকই বলেছ। এপারের এ জীবনের কথা মুরুব্বীরা বলতেন। বিশ্বাস করতে কষ্ট হত । আবার একাকী বসে যখন ভাবতাম, তখন এটুকু চিন্তা হত, সবই কি তাহলে ভুল কথা ? মরেই না জানতে পারলাম, জীবন ভর কত ভুল করেছি।
.আমি কেবলই ভাবি, যারা মানুষকে ভালবাসার কথা বলে এত বড় নেতা হন, যারা এত এত লেখা পড়া করে নানা ধরনের জ্ঞান অর্জন করেছেন, তারা কেন এভাবে ভণ্ডামি করে ?
-স্বভাব দোষ, বুঝলে ? এ হচ্ছে স্বভাবের দোষ। মানুষ মাত্রই তার নিজের চরিত্রের নগদ চাহিদার কাছে পরাভূত। মানুষ যদি তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা অন্তত করতে পারত, তাহলে বোধহয় তার চেয়ে বড় কল্যাণকর আর কিছুই হত না। সেই মানুষই আসল নেতা হতে পারত ।
.দারুণ বলেছ বরকত । আচ্ছা, শুনেছ ? এসব ভণ্ডরা নাকি আমাদেরকে শহীদ উপাধিতে ভূষিত করেছে ?
-হ্যাঁ, শুনেছি। ওরা নাকি আমাদের রূহের মাগফেরাতের জন্য শহীদ মিনার বানিয়েছে। সেখানে রাত বারটা এক মিনিটে যখন ঘড়ির কাটা একুশ তারিখে আছড়ে পড়ে তখন তারা খুব ভক্তিভরে ভুরি ভুরি ফুলের তোড়া দিয়ে মিনারের পাদদেশ ছেয়ে দেয়।
.চল, দেখে আসি ওদের কাণ্ড ।
চল, যাই ।
-এটার নাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এই, আমাদের নেতা না ? উনার নির্দেশেইতো আমরা -----
.হ্যাঁ, তাই তো ।
-আসসালামু-আলাইকুম লিডার । আমাদের চিনতে পারছেন ? এ কি ! আপনি কাঁদছেন ?
*তোমরা কারা ?
.আমি সালাম
-আমি বরকত ।
*কোন সালাম, বরকত ?
-বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে মিছিলে গুলিতে----
(ডুকরে কেঁদে) ওদের বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
.চিনতে পেরেছেন, লিডার ?
*ওরে, তোরা এখানে এসেছিস কেন ? পালা । এসব তোরা সহ্য করতে পারবি না। আমি গত ষাট বছর ধরে দেখে আসছি। কতবার ভেবেছি, নতুন কোন জেনারেশন বুঝি আবেগ বিবর্জিত হয়ে আসল কাজটা করার জন্য কর্মসূচী নিয়ে আসবে। অনেক আশা নিয়ে প্রতি বছর আমি আসি। কিন্তু অনেক জ্বালা বুকে নিয়ে ফিরে যাই। ঐ একই ফাইল, একই কর্মসূচী। একই নেকামো, ভান, ভণিতা, ভণ্ডামি । কেবল কর্মসূচী প্রণেতাদের নিজ নিজ অবস্থান পরিষ্কার করা, নিজেকে জাহির করা, নিজের নিজত্বকে উত্তমরূপে উপস্থাপন করে বাহবা কুড়ানো, নিজের স্বার্থ শতভাগ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল - ইত্যাদি, ইত্যাদি । সে নানা রকম ফন্দি ফিকিরের মহরত, মহড়া । ওরা আমাদের বুকের রক্তকে পুঁজি করে ওদেরই নিজস্ব নিয়মের ফিতেয় বন্দী করেছে -নানা রকম কর্মসূচীর নামে। এখন এটাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মানে উন্নীত করেছে। বিষয় একটাই । এ আপডেটকে বলা চলে আপন স্বার্থের আন্তর্জাতিকীকরণ ।
-আমরাও দেখছি কয়েক বছর হল । আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনার সাথে আমরাও একমত লিডার।
* দেখেছ ? এসব মোনাফেকি দেখে তোমাদের কেমন লাগে ?
.কি আর বলব, লিডার। মনে হয় ভণ্ডগুলোর ঘাড় মটকে দেই।
* হ্যাঁ, আমারও তাই মনে হয় । কিন্তু বিধাতা সে ক্ষমতা আমাদের দেন নি ।

দেখ, এ রাতে আবেগ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে কিছু লোক যার যার দলের ব্যানার আর ফুল নিয়ে উন্মুক্ত পদে এসেছেন। মিনারের পাদদেশে বিভিন্ন চ্যানেলের ক্যামেরার আলোয় ঝলসে উঠেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ । অসংখ্য মিথ্যাবাদী , স্বেচ্ছাচারী , আবেগপ্রবণ মানুষের ঢল নেমেছে। কিছু অবুঝ মানুষ এসেছেন। কেন এসেছেন, তা তারা নিজেরাই জানে না। কিছু ছেলে মেয়ে এসেছে বাবা মায়ের কোলে চড়ে। মাসুম বাচ্চারা জানে না, কেন এখানে এসেছে ? কিছু তর“ন-তর“নীরা এসেছে। হাতে হাত ধরে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেধে দেয়া বেষ্টনীর মধ্যে তারা আছেন। এখনো বারটা বাজতে কিছু সময় রয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্তৃক নিয়ম রক্ষার ’নিয়ম’ পালনের পর বেষ্টনীর বাধন খুলে দেয়া হবে। এটুকু সময় বৃথা ব্যয় করতে চাচ্ছেন না কোন কোন তরুণ তরুণী। তারা অনেক দিন অপেক্ষা করে থাকেন এই রাতটার জন্য । এ রাতের অছিলায় তারা তাদের জীবনের কিছু আশা আকাঙ্ক্ষার হিসেব নিকেশ চুকে নিতে সক্ষম হয়। কেউবা সফল হতে পারেন, কেউবা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেন। কেউবা স্বপ্নের বাস্তবায়ন হওয়ায় নিজেদেরকে ধন্য মনে করেন। কেউবা হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এরকম কয়েকটা জাতীয় দিবস এদের জীবনে খুব গুরুতথ্যপূর্ণ। কেউবা বাদাম চিবিয়ে সময়টা পার করছেন। ফুল হাতে দাঁড়িয়ে নিয়ম রক্ষার নাটকের মহড়ার অপেক্ষায় আছেন অনেকেই।
এখন রাত বারটা এক মিনিট । রাষ্ট্র নায়ক এসছেন ছকে বাঁধা নিয়মের ’নিয়ম’ রক্ষর বহর নিয়ে । একই কর্মসূচী। একই বাণী। একই বার্তা। শুধু কপি আর পেস্ট মাত্র । হিপোক্র্যাসীর মাত্রা কত ভয়াবহ, দেখেছ ? কিন্তু এ সবই যে রেকর্ড করা হচ্ছে, এরাও যে একদিন আমাদের কাতারে এসে এদেরই কৃতকর্ম লাইভ দেখতে পাবে, সে ব্যাপারে কোন হুস নেই এদের ।
-আচ্ছা, লিডার । আমরা একটু ওদিকটাতে যাই ।
*এস ।
.বরকত, দেখ, ঐ ঝোপের আড়ালে আধো আলো আধো ছায়ায় একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বসে আছে। দেখতে পাচ্ছ?
-হ্যাঁ । আলোর মত পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি।
-চল, শুনি, ওরা কিভাবে আমাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছে ।
এবারের একুশ তোমার আর আমার জীবনের শেষ একুশ হোক । দেখ, আগে যা হাবার হয়েছে। তুমিও বোঝনি। আমিও বুঝতাম না। এখন আমরা যথেষ্ট মেচিওর্ড। এখন সংসার করার বয়স তোমারও হয়েছে, আমারতো বটেই। বাবা আমার জন্য পাত্রী নির্বাচন করেছেন। আমিও মত দিয়েছি। কেন বুঝতে পারছ না, তুমি আমার সাথে নিজেকে যেভাবে বিলিয়ে দিয়েছ, এভাবে আরো কতজনকে বিলিয়ে দিয়েছিলে, তার কি কোন রেকর্ড আমি জানি? না, কি তার কোন হিসেব আমি রেখেছি ? আমারও যে তোমার মত এরকম আরো কতজন বান্ধবীর চাহিদা মেটাতে হয়েছে, সে খবরও তো তুমি কোনদিন রাখনি , জানতেও চাওনি। তাই এই কি ভাল নয়, আমরা উভয়েই অতীত ভুলে যাই ? আমরা তখনকার অবস্থানে যেমন ছিলাম, সেটা আমাদের উভয়ের সময়ের চাহিদা ছিল। সে প্রয়োজন তোমারও ছিল, আমারও ছিল। এখন সেসব মনে রেখে লাভ কি ? মনে কর সে জীবনটা ছিল থিওরিটিক্যাল। গেঁও মুর্খের মত কথা বল না। দুনিয়া এখন অনেক ফাস্ট । সেখানে তুমি, আমি কেউই পিছিয়ে থাকতে পারি না। প­ীজ, বি প্রাকটিক্যাল । আমিও নতুন জীবন, মানে প্রাকটিক্যাল লাইফে যাচ্ছি, তুমিও চলে যাও। সেটাইতো বুদ্ধিমানের কাজ, তাই না ?
--বাহ ! থিসিস জমা দেবার পর বেশ বড় দার্শনিক হয়ে গেছ দেখছি । কিন্তু আমার পেটে যে তোমার থিওরিটিক্যালটা প্রাকটিক্যাল হতে চলেছে, তার কি হবে ?
- আবার সেই গেঁও সেন্টিমেন্ট ? ওটা আমার, না কার , সেটার আমি কি জানি ? কেন আমাকেই তার দায় নিতে বলছ ?
--মানে ?
-মানে, এতক্ষণ কি বললাম ? ওটা যে আমার, তার কি প্রমাণ আছে তোমার কাছে ?
(একটা চড় মেরে ) ইতর । অসভ্য । এত জঘন্ন , তুমি ?
চড় খেয়ে শুধু একটু খানি মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল,
তুমি আসলে খুব বোকা। বর্তমান দুনিয়া থেকে হাজার বছর পিছিয়ে আছ তুমি। তোমাকে আরো ফাষ্ট হতে হবে, ম্যাডাম, না হলে তুমি আরো পিছিয়েই থাকবে ।
নিজের কান বন্ধ করে আর একটা কথাও বলল না মেয়েটা। এক পা, এক পা করে ওর কাছ থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে মিলিয়ে গেল অন্ধকারে।
******************
একুশে সারাদিনের অনেক কর্মসূচীর একটা মঞ্চের কাছে এল বরকত আর সালাম।
.বরকত, দেখ, সেই লীডার না ? কাল যাকে টেফিফোনে কথা বলতে শুনেছিলাম ?
হু, মনে করে দেখি-
-হ্যা, হ্যা, যা বলছি, সেটাই ফাইনাল। দশ ট্রাকই আমার চাই। দুত্তরি তোর দ্যাশের খেতা পুড়ি । এই দ্যাশ আমারে কি দিছে ? আমি যাগো জন্যি জান কোরবান করলাম, তারা আমারে কি করছিল, তোর মনে নাই ? এ জাতের ভাগ্যে এটাই লেখা আছে ? এরা যেমন কুকুর, এদের জন্য ঠিক তেমন মুগুর দরকার ।
কিন্তু, টুকু, বিল­াল এদের----
- খরচ করে ফেলে দে গাংগে। ভাল করে পেট ফেড়ে পাথর ঢুকিয়ে তবে ফেলিশ । খুব সাবধানে।
নিজেগো দলের লোকরে, এভাবে ?----
-কোন শালাই নিজেগো না। এ জগতে যার যার তার তার । কেউ কারো না।
ধরা পড়লে কি করব ?
-ধরা পড়বি না। সব চেকপোষ্টে আমার লোক আছে। গাড়ির নম্বর দেয়া আছে। নিশ্চিন্ত— কাজ করে যা। মনে রাখবি, সরকারী কোন লোকই আমাদের পথের কাটা না। আমাদের কাটা আমাদের নিজেদের ঘরেই থাকে। চোখ- কান খোলা রেখে সাবধানে কাজ করলেই সেটা থেকে মুক্ত থাকা যায়। বর্ডারে পৌছে আমাকে কল দিবি।
আচ্ছা, বস ।
-হ্যা । মনে পড়েছে ।
এখন সেই নেতার অসাধারণ ভাষনে বিমোহিত পুরো অর্ডিয়্যান্স ।
কিছুক্ষণ ভাষণ শোনার পর -
.ছি ! ছি ! ছি ! কী নর্লিজ্জ মিথ্যাচার, দেখেছ ? এরা আমাদের স্মৃতীকে ধরে রাখবার জন্যই না কি এসব শহীদ মিনার বানিয়েছে। ভাবতে পার, এ কত বড় হিপোক্র্যাসী ?
-ঠিকই বলেছ। তবে আমি এদের কেবল নির্লজ্জই বলব না, এরা চরম নির্বোধও বটে। এরা জানেই না যে, মরে গিয়ে ওরাও আমাদের মত এভাবে ওদের পরবর্তী প্রজন্মের কীর্তি-কলাপ চেয়ে চেয়ে দেখবে আর আহাজারী করবে ।
.কাল সে যা করেছে তা যে হাই প্রোফাইলে রেকর্ড করা আছে, এ মুর্খ তা জানেই না। অথচ দেখ, এখন সে কি বলছে, আর কি না করছে। এসব কি সহ্য করা যায় ? আচ্ছা, তুমিই বল, এদের কি এসব মিথ্যাচার করতে এতটুকু হৃদয় কাঁপে না ?
-ওদের দেহের সাথে হৃদয় থাকলে তো কাঁপবে ? ওটা তো কবেই পচে ওদের মাংসের সাথে মিশে গেছে ।
.হু ! মনে হচ্ছে ষ্টেজে যেয়ে ওর ঘাড়টা মটকে ধরে সবার সামনে ওর মুখোস খুলে দেই । বিধাতা আমাদের এত ক্ষমতা দিয়েছেন, শুধু এই ক্ষমতাটুকু কেন যে দিলেন না , তা বুঝে আসে না।
-আমিও তাই ভাবছি, জান ? আচ্ছা, এদেশের মানুষতো আগের চেয়ে এখন অনেক বেশী শিক্ষিত, সচেতন হয়েছে বলে দাবী করে। তো , এরা এদের এসব ভন্ডমী কেন বুঝতে পারে না ? আচ্ছা, আমরা আর একবার আপীল করলে কমেন হয় ?
.কিসের জন্য ?
-এদের ঘাড় মটকে দেবার বিশেষ ক্ষমতাটা একটুখানি বিকেন্দ্রীকরণ করে দেবার জন্য। তাহলে অনেক নিরীহ মানুষ এদের প্রবঞ্চণা থেকে রেহাই পায় ।
.তা কোনদিন হবে না বাছা । চুপচাপ দেখ, এরা কি করছে আমাদের নাম ভাংগিয়ে ? কাল যেমন জনগনের আমানত খেয়ানত করার কৌশল দেখে সহ্য করেছিলে, আজও তাই করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের আর কি করার আছে, বল ?
কিছুক্ষণ পরে একটা খাটিয়ায় করে একটা লাশ নিয়ে ষ্টেজের খুব কাছে নিয়ে এল কয়েকজন যুবক।
নেতার ভাষণ থামিয়ে দিয়ে এক যুবক ষ্টেজে উঠে মাইকে বলছেন। এখনকার অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ এসবের কোন অর্থ অনুসন্ধান ব্যতিরেকেই সভান্থল ত্যাগ করলেন। যেন খাটের লাশ একটা নিয়মমাফিক কিছু। কিছু রইলেন কৌতুহলী মানুষ। নেতাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যুবকটা লাশের পাশে নিয়ে গেলেন।
স্যার, লাশটার হাতে আপনার ছেলের ছবিটা খুব শক্ত করে ধরা ছিল ।
নেতার চোখটা ছানাবড়া হয়ে গেল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
sakil গতকাল রাতে পরেছি সুন্দর গল্প . আজ মন্তবি করতে এলাম এবং ভোট দিয়ে গেলাম . lekhoker jonno shuvokamonay
ভালো লাগেনি ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
সূর্য শুধু ডায়লগে প্রায় পুরো গল্পটাশেষ করা হয়েছে, আর সেখানে রূঢ় বাস্তবতা কট্টর একটা ভাব নিয়েছে। তার চেয়ে ডায়লগ কমিয়ে লেখকের নিজস্ব বর্ণনায় আবেগ বাড়ানোর সুযোগ নেয়া দরকার ছিল। তার পরেও গল্পটা ভাল লাগার, এটা অনস্বিকার্য............. ☼
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
সূর্য , আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
Lutful Bari Panna যেহেতু সমালোচনা আশা করছেন- আসুন আলোচনার পাশাপাশি কিছু সমালোচনাও করি। প্রথমেই বলি- অনেক গভীরের কিছু বিষয় তুলে এনেছেন। অসংগতি, ভন্ডামী, প্রতারণা অনেক অনেক কিছু। একেবারে নিখুত ক্যামেরায় তোলা ছবি। এবার সমালোচনা। উপস্থাপনে যে আবেগের মিশেলটা দরকার ছিল সেটার অনুপস্থিতি বড় চোখে লেগেছে। যার ফলে আপনার এমন চমৎকার একটা গল্পও অনেকখানি ফ্লাট বলে মনে হয়েছে। কিছুটা রিপোর্টের মত কাটকাটা। একথায়- সমাজ উন্মোচনে ভীষণ সফল একটা গল্প- অন্যদিকে বর্ণনা মাধুর্যের ভীষণ রকম অনুপস্থিতি। এই অনুপস্থিতির কারণে আপনার গল্পের যে ইফেক্টটা পড়া সম্ভব ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেটা আর তেমনভাবে পড়তে পারছে না। খুব কঠিন একটা সমালোচনা করে ফেললাম তাই না ভাই?
ভালো লাগেনি ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
ভাই লুতফুল বারি পান্না, আপনি আজ থেকে হলেন আমার পরম বন্ধু । আমি গত ১৫ বছর ধরে লিখছিলাম। লেখা যখন নিজেই রিভিউ করতে যাই, তখন টেনে ছিড়ে ফেলি। আবার লেখি। এদিকে বয়স থেমে থাকছে না। এখন ধৈর্য অনেক কমে গিয়েছে। তবু আপনাদের মাঝে আপনাদের অনেকের লেখা পড়ে মনে হল, দেই সাহস করে ছেড়ে। যা হয় হবে । খাচ্ছিল তো তেলাপোকায়। সেখান থেকে কুড়িয়ে এনে অনেক নবীনদের মাঝে আমি বৃদ্ধ হাবড়া ঠাই করতে সাহস করেছি। তাই আমি সাহস করেই সমালোচনা ভিক্ষা চেয়েছি। এবাজারে সামলোচনা পাোয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আমার বউটা তাই আমাকে দয়া করেনি। সেখানে এই পাঠক লেখক মেলায় আপনার মত একজন পরম বন্ধুর সমালোচনা পাব, এটা আমি কল্পণাো করতে পারিনি। অনেক ধন্য হলাম । আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন শরীরটা সুস্থ্য থাকতে থাকতে কলমটা হাতে রাখার ধৈর্য ধরে রাখতে পারি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
সূর্যের মন্তব্যে খেয়াল করলাম আপনি গোটা গল্পটা ডায়লগ দিয়েই সেরে ফেলেছেন। শুধু ডায়লগ দিয়ে এরকম ছবি ফোটানো নিঃসন্দেহে মুন্সিয়ানার পরিচয়। তবে বর্ণনায় যে আবেগটুকু ঢালা যায় সেটা ডায়লগে আনা কঠিনই। আসলে এরকম একটা লেখা সবারই পড়া উচিৎ। সেই সংগে যে কাহিনীগুলো এসেছে তার আবেগটুকু যেন পাঠককে ছুয়ে যায় সেটাও দেখতে হবে- নয়ত পাঠক উদ্দীপ্ত হবে না। অনেকগুলো মানুষের মধ্যে যখন একটা উদ্দীপনা তৈরী হয় তখন গোটা সমাজে তার সাংঘাতিক একটা প্রভাব পড়ে। মানুষের চেতনাকে সবসময় সুরসুরি দিয়ে জাগিয়ে রাখতে হয়। লেখকেরা সেই কঠিন দায়িত্বটুকু পালন করেন। আপনার মত চোখধারী লেখকদের কাছ থেকে এটুকু আশা তো করা যেতেই পারে তাই না? আর একটা কথা ভাই আমি নিজেও জুনিয়র নই। সিনিয়রদের তালিকায়ই পড়ে গেছি বলা যায়। আপনি অনেক অনেক লিখবেন আপনার কলম অক্ষয় হোক ভাই।
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আসন্ন আশফাক অসাধারণ ভাই, আর কিচ্ছু বলার নাই, হ্যাটস অফ ম্যান.
ভালো লাগেনি ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
রোদের ছায়া বেশ ভালো লিখেছেন........কাদে বানানে চন্দ্রবিন্দু দিতে হবে মনে হয় ! confused..
ভালো লাগেনি ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
হ্যা চন্দ্র বিন্দু দিতে হবে । আমার কী বোর্ড এর সমস্যার জন্য এটি হয়েছে। মডারেটরকে বার্তা প্রেরণ করে সাহায্য চেয়েছিলাম কিন্তু কোন ফল পেলাম না। আপনাকে ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
নিলাঞ্জনা নীল চমত্কার গল্প......
আপনাকে অনেক---অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
মিজানুর রহমান রানা শুরু এবং শেষটাও চমৎকার। টোটালি গল্পটাও বেশ ভালো হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন। পুরো ৫ দিয়ে দিলাম। শুভ কামনা থাকলো।
ভালো লাগেনি ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । পুরো ৫ না পেয়ে ফেল নম্বর সহ কিছু সমালোচনা পেলে আরো বেশী খুশী হতাম। লেখার খুরে আরো বেশী ধার দিতে সাহস পেতাম ।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
এফ, আই , জুয়েল # চেতনা জাগানো সুন্দর একটা গল্প ।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
সালেহ মাহমুদ UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# ভালো লাগলো গল্পটি। অনেক বাস্তবানুগ গল্প, অনেক অসংগতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আপনার মহামূল্যবান মন্তেব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
মোহাম্মদ শামসুল আলম খুব ভালো লাগলো গল্পটি
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আপনার ভাল লাগায় আমার আরো বেশী ভাল লাগল ।
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

২৯ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪