শুন্যতার ঘেরাটোপে

শুন্যতা (অক্টোবর ২০১৩)

জাকিয়া জেসমিন যূথী
  • ২৬
আজ বার’ই আশ্বিন চৌদ্দশ বিশ সাল। গরমটা যাই যাই করেও এখনো যাচ্ছে না। এখনো গায়ে ফোসকা ফেলে দিতে চায়। এই গরমে না বাইরে যাওয়া যায় না ঘরে বসে থাকা যায়। সারাক্ষণের জন্য এসি দরকার। গায়ের সাথে ফিট করে রাখা গেলে বেশি ভালো হতো। তা কি আর সম্ভব?

“রাহী, এইটা কি করলা? মশায় তো আমারে খাইয়া ফালাইতেছে! কি ডাঁশা ডাঁশা মশা!” মুখে অতটুকু বলে ঠাশ করে একটা মশা মারার নিষ্ফল চেষ্টা করে পায়ের একটা জায়গায় চুলকাতে চুলকাতে মনে মনে বলি, “মশায় তো যেই চুমা দিতেছে তাতে আমার জীবন যায় যায়! এত প্রেম কে চাইছিলো! শুদা গরম হইলেও একটা কথা ছিলো! গরম তবু তাড়াতে পারছি সাথে একটা কাগজের পাখা আছে। ব্যাগে ওটা অনেক দিন আগের সেই পয়লা বৈশাখের! কে জানি দিছিলো!”

সামনে আমার বিবাহ! হবো হবো করছে! এখন এই সময় আমি সারা মুখে চোখে ফোসকা পরা গরম নিয়ে বসে থাকলে চেহারার ছিরি থাকবে কিছু? চোখে মুখে চরম বিরক্তি আমার! কিন্তু, অতটা বিরক্তি কি আর প্রকাশ করা যায়? হাজার হোক, আলোকিত মানুষ! বিরক্তি, নেগেটিভ আচরণ অন্যের সামনে প্রকাশ করাটা অন্যায়! অভদ্রতা!

আমাকে সামনে রেখে রাহী আমার পেছনে উৎসুক চোখেমুখে তাকায়। আমরা দুজন বলদ ছাড়া আর কোন কাক পক্ষীকে এই কাঠ ফাঁটা চান্দি ছিলা গরমের মধ্যে আসতে দেখা যায় কিনা!

বিরক্তি তাড়াতে আমি মোবাইলে নাম খুঁজতে থাকি কারু সাথে কথা বলে যদি মশার কামড় আর গরমের তিক্ততা ভুলে থাকা যায়! একটা নাম্বারে কল দেই। কোন সাড়া শব্দ মেলে না। শম্পাকে কল দেই। ফোনটা বেজে চলে কিন্তু ও রিসিভ করে না!

হঠাৎ আচমকা একটা বেগতিক চিইইইই ধামুশ শব্দে রাহীসহ আমি দুজনেই চমকে উঠি! রাহী ওর জায়গা হতে উঠে আমার পেছনে ছুটে যায়। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি, এক জোয়ান ছেলে তার মোটরসাইকেল নিয়ে ভূপাতিত হয়েছে। আমাদের আশেপাশের আরো কয়েক জন লোক গিয়ে লোকটাকে ভূমি থিকে উঠাতে সাহায্য করলো। রাহীও তাদের মধ্যে আছে।

কিছুক্ষণ সেই মোটর সাইকেল ওয়ালা পোলার ড্রামা দেখে সময় কাটালাম। লোকটার কোমরে নিশ্চয়ই খুব জোরে ব্যথা পেয়ে থাকবে! সামান্য কষ্টে দ্রবীভূত হই।

আমি আর রাহী দুজনেই মশার কামড় আর গরমের তীব্রতা সহ্য করে বসে আছি। তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে সবার পৌঁছে যাওয়ার কথা। আমি নিজেই তো বের হয়েছি সাড়ে তিনটায়। এখন চারটা পেরিয়েছে। সবাইই যদি দেরী করে আসে তাহলে আরো ঘণ্টাখানিক আগের টাইম দেয়ার কি দরকার ছিলো! একটু ঘুমিয়ে টুমিয়ে আরামেই তো আসতে পারতাম! অন্যরা আসে আসুক দেরীতে। আমি তো কাছেই থাকি। অযথা, এত সকাল সকাল আসলাম! চারিদিকে শূন্য বিরান মাঠ আর রাস্তা! হুদাহুদি এত সকাল সকাল আসছি! ধুর!

রাহী না হয় জোয়ান ছেলে! কম বয়স! এই অল্প বয়সেই সংসারী হয়েছে! সে ও তো বউটারে বাসায় একলা ফেলে এত তাড়াতাড়ি আসছে সবার সাথে আজ এতদিন পরে মিলবে বলে। অথচ বাকীদের কোন খবর নেই। আমরা এই দুইজন বাদে বাকী সবাইই হর্তাকর্তা। আসল লোকেরা যদি এত দেরীতে আসে তাইলে কেমনে কি!

আরো আধ ঘণ্টাখানিক বসে থাকার পরে এক দু’জন করে সদস্যের মুখ দেখার সৌভাগ্য হতে থাকে। একে একে আরিজ, জামান, খোরশেদ, শরিফ আর বারী ভাই’রা সব এসে পৌঁছলেন। তারপরে এতক্ষণে চা অর্ডার দেয়া হলো। এতক্ষণে এই শূন্য গগনের নিচে শূন্য মাঠের ভেতরে প্রায় শূন্য কাস্টমর সম্বলিত টং দোকানীও অর্ডার পেয়ে নিশ্চিন্ত হলো। নইলে এতক্ষণ তো শুধু এক দু’জন করে কাস্টমর তার দোকানের বেঞ্চিটাই শুধু দখল করতেছিলো। এইরকম না খাওয়া বেহুদা কাস্টমর দিয়া কি দোকান ভরাইতে ভাল্লাগে! দোকানীও যেন এতক্ষণে এই বেলায় স্বস্তি পেতে শুরু করলো।

আরিজ নাকি জামান ভাই কে যে চায়ের অর্ডার দিলো মনে নাই। চা তৈরি হতে হতে মঞ্জুরুল আর অর্থ ভাই এসে হাজির। অর্থ ভাইয়ের প্রায় মাংসশূন্য স্বাস্থ্যটা বেশ ফুলেছে দেখছি। বাহ! বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে আজ ওনাকে সাদা শার্টে!

অসাধারণ লেবু চা! চা পান শেষ হলে আমাদের আজকের আগমনের মূল বিষয় আলোচনার জন্য একটা ভালো জায়গায় মুখোমুখি বসা প্রয়োজন মনে করে সবাই ছবির হাটের ভেতর দিকে ইটের তৈরি বসার মত একটা গোল চত্বর আছে সেদিকে এগিয়ে গেলাম। সেটা মোটামুটি এখনো প্রায় খালিই আছে। জাস্ট দু’চারজন বসে আছে। এক লোক গিটার হাতে উল্টামুখী হয়ে বসে আছে। আমাদের দু’জনের দলটা ভারী হতে হতে এখন আমরা আটজন। আমরা গিয়ে সেখানে বসে জায়গা দখল করলাম। এত বড় একটা দলের ভেতরে নারী সদস্যের উপস্থিতিও প্রায় শূন্যের কোঠায়। একা আমি। যাই হোক আরো হাফ ডজনখানেক সদস্যের উপস্থিতি এই মিলনসভাকে প্রাণবন্ত ও কার্যকরী করবে বলে আমরা সব বসে বসে মুড়ি চিবুতে চিবুতে অপেক্ষা করতে লাগলাম।

বাদাম ওয়ালাকে ডেকে মটর দানার মত কি যেন গোল গোল দেখতে পেয়ে আমার লোভ লাগলো। গ্রুপের সবার জন্য তিন ভাগে ভাগ করে নিয়ে তিন ঠোঙ্গা সেই আজব মটর দানা কিনে খেতে শুরু করলাম। কিন্তু, দেখে যতটা আকর্ষণীয় লেগেছিলো, খেতে শুরু করে সেইরকম মজা পেলাম না। ষাট টাকা জলে গেলো! তবু, একজন কিনেছে বলে যথেষ্ট বিরক্ত মুখে হলেও সবাই সেই পুঁচকে ঠোঙ্গা গুলো শেষ করে আমাকে সম্মানিত করলেন।

আরিজ ভাই আমাকে বেশ স্নেহ করেন। উনি সেই স্নেহের অধিকার থেকেই চোখে মুখে যথেষ্ট বিরক্তি নিয়ে বলেই ফেললেন, “এই জিনিস কিনছেন কি কর্তে? এর চে বাদাম কিনলেও তো চলতো!”



সত্যি কথা যেটা কেনার সময়ে আমার পাশে ছিলেন মঞ্জুরুল ভাই। ওনাকে শুধাইছিলাম, “বাদাম নেবো?” উনি অমন নাক মুখ মুছে না না করাতে আর কিনলাম না! এখন বাদামওয়ালার টিকিটিও কোঁথাও দেখতে পাচ্ছি না! কি করি!

কিছুক্ষণ পরে গোল চত্বরের বাকি খালি জায়গাগুলো ভরাট করে দেয়ার জন্যেই আমাদের আরো কিছু সদস্য নাহিদ, আরেফিন, পিয়াল, ফাহিম এসে হাজির। এইবার আমরা মোট তেরো জন হয়েছি। কখন যে দুজন হতে আটজন হয়েছিলাম তা বোধহয় হিসাবে ছিলো। কিন্তু সেটা তেরোতে কিভাবে পৌঁছে গেলো বলতে পারবো না।

আমি তো খানিক পরে পরেই একজন করে আসছে আর প্রথম কথাতেই বলে উঠেছি, “ভাই, এইবার কি লেখা জমা দিছেন?” সারা মাস জুড়ে আমি লেখা নিয়ে ভাবি। ভাবতে ভাবতেই প্রায় মাসের সিংহ ভাগ সময় কেটে যায় আমার। লেখা কিছু হয়ে উঠে না।

না সূচক জবাবই বেশি পেলাম। শুধু বারী ভাই কবিতা জমা দিয়েছেন। উনি তো আবার কাব্য স্রষ্টা। মাঝেমাঝে ভোট বন্ধ না থাকলে উনি সবগুলো কবিতার পদকই বোধহয় ছিনিয়ে নিতেন একলাই।

অর্থ ভাইও আরেক কাব্য স্রষ্টা। এত সুন্দর কবিতা যে উনি কিভাবে লেখেন সেটাই আমার মাথায় আসে না। ঝট করে যেকোনো মুডে উনি দারুণ দারুণ কবিতা লিখে ফেলেন। আজব ব্যাপার! বারী আর অর্থ এই দুজনকেই আমি আমার কাব্য গুরু বলে মানি। কবিতার ছন্দের হাতেখড়ি আমার এই বারী ভাইয়ের কাছেই। গদ্য কবিতার আরেক স্রষ্টা রাহী। কি যে সহজ সরল ভাষায় কি যে সুন্দর লিখেন এই তরুণ কবি অবাক লাগে। আর নাহিদ হলো আরেকজন কাব্য প্রতিভা! ওনার উৎসাহেই ইদানীং আমি ফেসবুকে কবিতা চর্চা করছি। অবশ্য এক সময় ওনার উৎসাহ বুঝতাম না। ভাবতাম আমাকে বুঝি বিদ্রূপ করছেন। সবসময়েই একটা কমেন্ট দিতেন এই নাহিদ, “জেমীন আপু, আরো ভালো করতে হবে!” এই আরো ভালো’র নেশায় মাঝে মাঝে চিড় ধরতো। ‘আরো ভালো করতে হবে’ না বলে ‘বেশ ভালো লিখেছেন’ বললেও যে আরো নেশা বাড়ে এটা বোধহয় এই তরুণ জানেন না। যাক গে।

আকাশ মেঘলা। রোদের তীব্রতা হারিয়ে এখন ক্রমশঃ বিষণ্ণ হতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা নামছে ধীর পায়ে। আকাশে অনেক উঁচুতে ইতস্তত উড়াউড়ি করছে দেখছি একটা দু’টা পাখি। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না কোন পাখি, কি তার নাম। গুমোট গরমটা কমেনি এক ফোঁটাও। বাতাস ও নেই। আমাদের এই বন্ধু আড্ডার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ, আমাদের সবার প্রিয় রম্য লেখক আহমেদ ভাইয়ের দেখা নেই এখনো। ওদিকে আমি শিল্পকলা একাডেমীতে একটা চিত্র প্রদর্শনীতে যাওয়ার জন্য উশখুশ করছি। আড্ডার মূল মানুষটার আগমনের আগেই দেখা না করে তো এই প্রাঙ্গণ খালি করে ওঠা যাচ্ছেনা।

এক ফুলওয়ালী বকুল ফুলের মালা বিক্রি করছে। দশ টাকা দাম শুনে আমি দুটো কিনে ফেললাম। তারপরে হাতে জড়ালাম। হলুদ কালো বল বল চক্রাবক্রা প্রিন্টের জামার সাথে আমার ডান হাতে বকুল ফুলের মালা জড়িয়ে অন্যরকম রোমান্টিক আবেশে অভিভূত হলাম। আমাদের এই ছোট্ট ‘শব্দযাত্রা’ নামের লেখক সংগঠনের সমস্ত উপস্থিত সদস্যের মধ্যে আড্ডা বেশ জমে উঠেছে এখন। ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতার ভিন্ন বয়সীর এই মিলনমেলা কোন গরম-শীত, ঝড়-বৃষ্টির জন্য থেমে থাকে না। তুমুল গরমে ঘামাঘামি নিয়েই দু’জন চারজন করে আলাদা আলাদা আলোচনায় জায়গাটা বেশ মুখর হয়ে উঠলো। আমি এই দলের একমাত্র উপস্থিত নারী হলেও আমি প্রায় সবার সাথেই মিশে রইলাম।

আজই কথাগুচ্ছডটকমে লেখা জমা দেয়ার শেষ দিন। আলোকিত মানুষ হয়ে উঠার প্রচেষ্টা হিসেবে আমরা এখানে উপস্থিত প্রায় সবাইই আরো হাজারখানিক লেখনী প্রতিভার সাথে একাত্মা হয়ে প্রতি মাসেই এক একটি ভিন্ন বিষয়ে লেখা উপস্থাপন করি। সেখানে লেখার সমালোচনা হয়। ভোটাভুটি হয়। পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারটিও রয়েছে। যেকোন বিষয়েই একটুকু উৎসাহে অনেক অগ্রগতি হয়। তাই এই জায়গাটায় লিখতে আমার খুব ভালো লাগে।

অনলাইনে হোক বা পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে হোক সারা মাসে আমরা একে অপরের কাছে যে কমন প্রশ্নটা বেশি করি,”এই সংখ্যায় কি গল্প বা কবিতা জমা দিছেন?” আর কেউ করে কিনা জানি না। আমি একা মানুষ। বাপের হোটেলে খাই দাই। ইচ্ছে মতন ঘুরি ফিরি। অবসরের অভাব নেই। আর ভাবি। প্রচণ্ড ভাবি। ভেবে ভেবে আমার একান্ত একাকী সময়গুলোতে ছাতা পাতা যা খুশী লিখি। ফেসবুকে সেইসব লেখা শেয়ার করি, ট্যাগ করি আর যারা ভালো লিখে তাদের কাছে সমালোচনা দাবী করি। কেউ কেউ হুদা’ই লাইক দেয়। কেউ সত্যিকারের উৎসাহও দেয়। যার যেমন ইচ্ছা। আমি চলতে থাকি আমার একান্ত একাকী শূন্য মহলে। আমার শূন্য হৃদয়ে গাছ পাতা লতা আর রঙিন প্রজাপতির পাখায় রঙ ছড়াতে থাকি।

এই যে ছবির হাটে ঘাসে ঢাকা গাছে ছাওয়া মাঠ প্রান্তর দিনের বেলায় খাঁ খাঁ করে সেই মাঠই আমাদের মত বহু তরুণের উপস্থিতিতে মেতে উঠে পূর্নাঙ্গতায় প্রতিটি বিকেলের পরে। প্রতিটি সন্ধ্যাবেলায় এখানে মানুষে মানুষে গিজগিজ করতে থাকে। সন্ধ্যার গাড় অন্ধকার দেখলে মনে কুঁ ডাক দেয়। এখানে হয় তো বা যুবক যুবতীর যৌবনের আগুন নেভানোর সুযোগটা বেশ পোক্ত হবার কথা! কি জানি! জীবনের মাঝ পথে চলে আসতেছি। এখনো জুঁইত মত একটা প্রেম করতে পারলাম না! এইটা একটা কথা হইলো!

জীবনটা কি এরকম শূন্যই রয়ে যাবে! ভালোবাসায় পাগল করে দেবার জন্য কি এই হৃদয় জুড়ে কারো নাম খচিত হবে না! কবে? আর কবে? আর কতটি বসন্ত পেরিয়ে গেলে পাবো এক জোড়া হাত নিজের বাহুতে জড়াতে? কাঁধে কাঁধ রেখে পাশাপাশি চলতে!

আজ যেন সবকিছুই বড় বেশি কমার্শিয়াল!

প্রেমিক হৃদয়ের বড় অভাব,

প্রেমিকের আবেগের বড় অভাব,

ভালোবাসাও আজকাল ঐ দূর পূর্ণিমার চাঁদের মতনই অধরা!

শূন্যতার ঘেরাটোপে বন্দী আমাদের নাগরিক জীবন। বড় বড় পাশ দিয়ে সার্টিফিকেট হাতে করে বসে থাকি। চাকরি মেলে না! হাজারো চাকরিজীবীদের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হতে এক সময় ক্লান্তি নামে। একসময় আগত নবীনে জন্য পথে ছেড়ে দাঁড়াই। যা তোরাই সব কেড়ে নে। আর চাইনা কিছু!

শহুরে কোলাহল হতে মাঝেমাঝেই ছুটি নিয়ে চলে যেতে ইচ্ছে করে দূরে কোথাও। তবে, অত সহজে পার পাওয়া যায় না! এক জায়গায় থিতু হয়ে থাকার অভ্যাসের শেকড় সহজে কোথাও উপড়ে নিয়ে ছুটাছুটি করা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা হয়ে উঠে না!

কথাগুচ্ছডটকমে এইবার লিখতে দিয়েছে ‘শূন্যতা’ বিষয় নিয়ে। এত সহজ এত বাস্তব একটা সত্যকে নিয়ে একটা গল্প বা একটা কবিতা এই হাত দিয়ে এইবার আর লেখা হয়ে উঠলো না! কেন হয়ে উঠলো না সে এক বিস্ময়! শূন্যতায়ই যার বসবাস সে কেন নিজেকে মেলে ধরতে পারলো না? হয়তো বা এটাই সত্য, যে যা পায় না, যে যা জানে না তা নিয়েই বড় বড় লেকচার দিতে পারে।

কিন্তু, অন্য সবার সব ভালো ভালো লেখার সাথে আমারও একটা লেখা না থাকলে কি করে চলে! আমি কি এইবার শুধু পাঠকই হয়ে থাকবো? কত চিন্তা! কত চিন্তা করছি! একটা লেখা যে করেই হোক বের করতেই হবে। কিন্তু, নাহ! বহু চেষ্টা করেও শূন্যতার ভূত মাথা থেকে নামলো না। আর আমিও এইবার কথাগুচ্ছডটকমে কিছু লিখে জমা দিতে পারলামনা! আমার লেখার ঘর, আমার লেখার খাতা, আমার লেখার পাতা এইবার পাঠকশূন্যই থেকে যাবে ভাবতেই বুকের ভেতরে একটা শূন্যতার হাহাকার মোচড় দিয়ে উঠলো! কিন্তু, এই শেষ সময়ে আমি আর কি করবো? আমার ভাবনার জ্বাল ছিঁড়ে আমি যে বেরোতেই পারছি না! ভাবতেই থাকি! ভাবতেই থাকি! আর সময়ের কাঁটা আমার মগজটাকে লেখাশূন্য হতে দেখে ক্রমশঃ ভেংচি কাটতে থাকে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইসহাক খান গল্প চমৎকার ব্যঞ্জনার সাথে ওঠানামা করেছে। শুভেচ্ছা।
শুভেচ্ছা আপনাকেও, ইসহাক ভাই।
এফ, আই , জুয়েল # অনোক সুন্দর ও মজার একটি লেখা । কিছু কিছু সংলাপ খুবই চম?কার ।।
মজা দেয়ার জন্যেই লিখেছিলাম। পাঠক মজা পেলেই আমার লেখা সার্থক, জুয়েল ভাই।
পন্ডিত মাহী মজা পাইলাম...
Lutful Bari Panna হা হা হা। বারী ভাই আসলে কবিতা জমা দেননি। শুনেছি ইদানীং লেখালেখি তাকে ছেড়ে গেছে। ইনস্ট্যান্ট লেখা অথচ চমৎকার লাগল জুই। তোমার নিজস্ব একটা ভাষা গড়ে উঠেছে। ভাল লাগছে ব্যাপারটা।
তাই নাকি?? বারী ভাই কবিতা দেয়নাই?? ওওতাইলে ভুল শুনলাম মনে হয়। :)
ডা: প্রবীর আচার্য্য নয়ন শূন্য জীবন, শূন্য ভূ্বন; তবুও শূন্যের বড় প্রয়োজন। নয়তো অঙ্ক জটিল হতো, সব মানুষ কুটিল হতো। খুব ভালো লেগেছে লেখা
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
জগজিৎ জীবনটা কি এরকম শূন্যই রয়ে যাবে!.......এই লাইনেই জীবনের সব শুন্যতার পরিসমাপ্তি....মানুষ মানেই ছায়াময়
জায়েদ রশীদ গল্পকে প্রবন্ধের পর্যায়ে উপনীত করেছেন। আত্মবিশ্লেষণী মুহূর্তগুলোও চমৎকার ছিল।
প্রবন্ধ্যের পর্যায়ে গেছে নাকি? কি বলেন?
মামুন ম. আজিজ এইু তো..কিছু নেই তো ঘনঘটা স্মৃতির পাতা..বাস্তবতা দিঘী...জলে তোলপাড়....একটু নড়ে চড়ে ওঠে নৌকা...তবুও কিছু একটা তো লেখা। ধন্যবাদ
ঐ আর কি! গুরু, যা বলেন!
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি কি বলবো গল্প পড়ে মুগ্ধ হলাম ..........অনেক ধন্যবাদ জুঁইফুল আপনাকে............
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, জ্যোতি ভাই।

১৭ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪