স্বাধীনতা চাই

মুক্তির চেতনা (মার্চ ২০১২)

SM Mishkat
  • ১৫
  • 0
গল্পের অধিকাংশ বিষয়বস্তু কাল্পনিক। কেউ বাস্তবের সাথে মেলাতে চেষ্টা করবেন না।বাস্তবের সাথে গল্পের কোন মিল নেই।যদি কেউ মিল খোজার চেষ্টা করেন তাহলে দায়ভার তাকে নিতে হবে।–লেখক

সাজিদ, তানজিব, তাহসান, রবি, সাদি এরা ৫ বন্ধু। তারা একই সাথে একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকে। এদের মধ্যে সাজিদ, তানজিব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়ে। আর তাহসান, রবি ঢাকায় একটি কলেজে অনার্স পড়ছে। সাদির কথা কি বলব ওতো বাউন্ডুলে।কোথায় যে পড়াশুনা করে তা সে নিজেও নাকি জানে না।প্রতিদিন বিকালে সময় পেলে একসাথে দারুন একটা আড্ডার আসর জমে।তাদের আড্ডার বিষয় তো একটাই তাহলো টিনা, মিনা, ইনা, জরিনা….. আশ্চর্য বিষয় হল এই পাঁচ জনের কারোর গালফ্রেন্ড নেই তাইতো এতো মজা করার সময় পায়। সাদি বলে দোস তোরা কেউ প্রেম করিস না করলে আমাদের মধ্যে এমন ভালো বন্ধুত্ব থাকবে না কারন সবাই তার গার্ল ফ্রেন্ডকে সময় দিতে দিতে বন্ধুদের আর সময় দিতে পারবে না।একদিন এই পাঁচ বন্ধু রমনা পার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছে হঠাৎ একটা মেয়ে এসে সাদিকে বলল সাদি তুমি এখানে, তোমার না আজ আমার সাথে দেখা করার কথা। সবাই হা হয়ে গেল।
সাজিদ: কিরে সাতি ( ইয়াকি করে সাদি কে সাতি ডাকে) এইডা কে?
সাদি: (একটু গুটিসুটি হয়ে স্বর নিচু করে) দোস তোদের তো বলিনি এই হোল আমার গার্ল ফ্রেন্ড রিয়া।
পার্কে কোন রকম চেপে গেল সবাই ।সবাই সৌজন্য সাক্ষাত করলো রিয়ার সাথে। তারপর সাদিকে পার্কে রেখে সাজিদ, তানজিব, রবি, তাহসানবাসায় ফিরে এলো।
সাজিদ: আজ বেটা বাসায় আসুকওর ছাতির বাট যদি না খুলেছি তো আমার নাম সাজিদ না
রবি: হারামজাদা সাতি!! আমরা কখনো প্রেম করবো না, তাহলে বন্ধুত্ব থাকবে না, দেখিস তোরা কেউ ভূল করেও প্রেমে পড়িস না,আমরা সব সময় এক থাকব।তোর ডায়ালগ দাড়া ছোটাচ্ছি আজ বাসায় আয়।
তানজিব: হারামি রে আজ বাসায় ঢুকতে দেবনা । তাহসান, ছাতির বিছানায় এক জগ পানি ঢাল।দেখি আজকে কোথায় শোয়।তাহসান, তাহসান (জোরে কয়েক বার ডাকদিল) কি ব্যাপার তাহসান কৈ?
সাজিদ: তাহসান মোবাইল ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে বারান্দায় দাড়িয়ে।
রবি: আচ্ছা আমি প্রায় লক্ষ্য করেছি তাহসানের ফোন আসলে ও বাইরে চলে যায়। কারন টা কি চলতো একটু দেখি।
রবি, সাজিদ, তানজিব আস্তে আস্তে বারান্দায় গেল।তাহসান আস্তে আস্তে ফোনে কি যেন বলছে।হঠাৎ করে সাজিদ তাহসানের কাছ থেকে ফোন টা কেড়ে নিয়ে কানের কাছে ধরল অপর প্রান্ত থেকে একটা সুরেলা কণ্ঠ ভেসে আসল “জান আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না”।তাহসান আচমকা চমকে উঠল।
তাহসান: দে দে আমার ফোনটা দে আমি আমার চাচা সাথে কথা বলছি
সাজিদ: তা তোর চাচা কি মেয়ে কন্ঠে কথা বলে।
তাহসান: তাহলে আমার চাচতো বোন মনে হয়। আমি চাচার সাথে কথা বলছিলাম হঠাৎ করে ও ফোন কেড়ে নিয়ে কথা বললে শুরু করল।
সাজিদ: চাচা। চাচাতো বোন। হারামি আহা কি মিষ্ট করে (একটু ভেঙ্গিয়ে ) জান আমি তোমাকে ছাড়া বাচব না।
রবি: তাহলে এই ব্যাপার। আমি ও মাঝে মাঝে লক্ষ্য করেছি হালা ক্লাস ফাকি দিয়া কৈ যেন যায়।
সাজিদ: এ্ইডারে বাইন্দা থো।আর ঐ হালায় ছাতি আসুক।ঐডারে ও বাইন্ধা রাখুম।গোপনে প্রেম করিস।রবি, তোর আবার এই কেস আসে না কি থাকলে কইয়া দে।
রবি: আমি কি এদের মত ভস্কা নাকি যে মাইয়া দেখলে জিব দিয়া জল বারাইয়া যাব।তোরে ও আমার সন্দেহ হয় সাজিদ।
সাজিদ: আমি কি কাঁচা বাজারের টমেটো যে কেউ এসে কেজি দরে কিনে নিয়ে যাবে।
তানজিব: নিজেরা ঝগড়া বাধাইস না । এই দুইডারের কি করবি।
রবি: মায়াগো ভুলে যেতে হবে তানা হলে লাথ্থাইয়া বাইর কইরা দিমু।
তানজিব: শোন এক বার মায়াগো স্বাদ পায়াগেছে সহজে ভুলবেনা। তার চেয়ে পাঁচ পাঁচ দশ হাজার টাকা
জরিমানা করে দেই।জব্বর একটা পার্টি হয়ে যাক।
সাজিদ: ঠিক বলেছিস। অনেক দিন পার্টি হয়না। তাহসান দে পাঁচ হাজার টাকা দে।
তাহসান: এক হাজার দেই
(সাজিদ, রবি, তানজিব তাহসানের উপর তেড়ে এসে কিল ঘুসি দিতে লাগল)
তাহসান: আচ্ছা আ্চ্ছা পাঁচ হাজার নিস।এবারের মত ছাড়। তোদের জালায় প্রেম করেও শান্তি নেই।
ইতিমধ্যে সাদি ও চলে আসল। ওকে ও ধোলাই দেওয়া হল এবং পাঁচ হাজার টাকা আদায় করা হল।


ক্লাস শেষে সাজিদ ও তানজিব বাড়ি ফিরছে। এরই মধ্যে সাদি ও রবির সাথে দেখা হয়ে গেল।
তারা এক সাথে রুমে ফিরল।রুমে একা তাহসান বসে পেপার পড়ছিল।ওরা রুমে ঢুকল। তাহসানকে চিন্তিত মনে হল।
সাজিদ: কিরে মন খারাপ কেন তোর বাগদাশা কি অন্য কারোর সাথে উইড়া গেছে।
তাহসান: ইয়ারকি ছাড়।প্রতিদিন যেভাবে বিএসএফ বাংলাদেশিদের একের পর এক নির্মম ভাবে হত্যা করছে। আজ ও তারা এক বাংলাদেশিকে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।এই দেখ নিউজ।
(তাহসানের কথা শুনে সবাই নিরব হয়ে গেল, তারা যে হাস্যউজ্জল চেহারা নিয়ে রুমে ঢুকেছিল তা মুহুর্তে বিলীন হয়ে গেল)
সাজিদ: আসলে দিন দিন ভারত যেভাবে বেয়াড়া হয়ে উঠছে। আমাদের সরকার ও কিছু বলছেনা।
তাহসান: কিছু দিন আগে ফেলানি নামের মেয়েটাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তারকাটার বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখল।এই কয়েক দিনের ব্যবধানে কতগুলো মানুষ মেরে ফেলল।
সাদি: দোস্ মনটা খারাপ হয়ে গেল। আসলে যে ভাবে তারা দিনের পর দিন অন্যায় ভাবে মানুষ মারছে এসব কথা ভাবলে চোখ থেকে জল ঝরে পড়ে। কত বড় পাষন্ড, হৃদয়হীন বিএসএফ।
তানজিব: এদের অত ভদ্র ভাবে বলছিস কেন? বল হারামির বাচ্চা, বেশ্যার সন্তান।প্রতি দিন এত মানুষ মারছে। অথচ আমাদের সরকার চুপ হয়ে বসে আছে।ফাক ইন্ডিয়া।।
রবি: সরকার কি বলবে।আমাদের চারিপাশে ভারত।তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে তো যুদ্ধ বেধে যাবে। আর একবার যুদ্ধ বেধে গেলে ওরা তো ফু দিয়ে বাংলাদেশ উড়িয়ে দেবে।
তানজিব: অত ভয় পাশ কেন? ত্রিশ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে একবার এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রয়োজন হলে আবার যুদ্ধ হবে।আবার আমরা স্বাধীন করব বাংলাদেশকে।
তাহসান: ভারত প্রতিদিন একের পর এক হত্যা করে যাবে আর আমরা ঘরে বসে থাকব?এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না।
রবি: তাহলে আমরা কি করতে পারি?
তাহসান: হুমম.. ভাবতে হবে।আচ্ছা আমরা ভারতীয় যেসব পন্য ব্যবহার করি সেগুলো ব্যবহার করা বাদ দিতে পারি।
সাজিদ: ঠিক বলেছিস।আমার স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম গ্রহন করেছি। আমরা কেন ভারতের পন্য ব্যবহার করব!! আজ খেকে সব বাদ।সাদি দে তো ফোনটা দে
(সাজিদ ফোন থেকে এয়্যারটেল সিম টা বের করে ভেঙ্গে ফেলল)
সাদি: আরে আরে করিস কি ভাঙ্গিস না ওতে আমার ডার্লিং এর নাম্বার রয়েছে
সাজিদ: নাম্বার কাল তার কাছ থেকে নিবি। এছাড়া আমরা যে সব ইন্ডিয়ান পন্য যেমন ব্লেড, শ্যম্পু, লোশন, সাবান, বডি এস্প্রে, শেভিং কিট ব্যবহার করি সেগুলো নিয়ে আয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেব।
তাহসান: বাংলাদেশে কিছু মুরগি আছে যারা সারা দিন বাসায় বসে তা দেয় আর ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখে তাদের কি করবি।
সাজিদ: যারা সত্যিকারের দেশকে ভালবাসে তারা আর দেখবেনা। এটা আমার আ্ত্মবিশ্বাস।কিন্তু আমাদের সবাইকে কে এই বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে।
তারা আলোচনা শেষ করে যে যার মত পড়তে বসল।তানজিব বসল কম্পিউটার নিয়ে।সে একজন ভালো প্রোগ্রামার। ক্লাসে ভালো সুনাম আছে তানজিবের।সাজিদ ও ভালো প্রোগ্রামার।এছাড়া রবি, তাহসান, সাদি এরা তানজিব, সাজিদ এদের সাথে থেকে ভালো কম্পিউটার অপারেট করতে জানে।
কিছু দিন পর রাত দুইটার দিকে হঠাৎ তানজিব ইউরেকা ইউরেকা বলে চেচিয়ে ওঠে। সবাই আগ্রহের সাথে জিজ্গাসা করে কি হয়েছে।এত আনন্দ কিসের?
তানজিব: বিএসএফ এর ওয়েব সাইট হ্যাক করে ফেলেছি।আমি আর সাজিদ কিছু দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম।আজ সফল হলাম।কি মজাটাইনা লাগছে।
তাহসান: দোস জটিল কাজ হয়েছে।
তানজিব: এখন ভাবছি ওয়েব সাইটে কি লেখা যায়।
রবি: আমরা আমাদের কিছু দাবি কথা লিখতে পারি যেমন: সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে। টিপাইমুখ বাঁধ দেওয়া যাবে না, বাংলাদেশের উপর ভারতের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
সাজিদ: আমরা ভারতের আরো ওয়েব সাইট হ্যাক করব্ এবং সব গুলোতে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।
তানজিব: যেখানে দিনের পর দিন ভারতীয়রা বাঙালিদের হত্যা করছে অথচ আমদের দেশের সরকার মুখ বুজে বসে আছে। তারা ভারতীয়দের তামাসা দেখছে। টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে পঙ্গু করতে চাচ্ছে ।এগুলো করতে দেওয়া যাবেনা।
সাজিদ: আমি জানি আমরা আজ যদি এই যুদ্ধে নামি তাহলে আমাদের জীবন হুমকিরসম্মুখীন হতে পারে।এমনকি আমাদের জীবন বিপন্ন হবার সম্ভাবনা আছে।
সাদি: (বড় একটি নি:স্বাস নিয়ে, শরীরের সমস্ত উত্তেজনা এক করে, সাহস আর আত্মবিশ্বাশ সঞ্চয় করে) আামাদের এই যুদ্ধ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। এতে যদি প্রান চলে যায়, তবুও এক বিন্দু পরিমান পিছপা হবনা।
রবি: স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমরা আজ এই কঠিন কন্টকময় পথে চলতে গিয়ে যদি জীবন দিতে হয় দেব।
তাহসান: ভাষা আন্দোলনে সালাম,বরকত,জব্বারের আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণা, স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখো শহীদ ও মা বোনের রক্তের রঞ্জিত বাংলার লাল সবুজ পতাকা আমাদের উৎসাহ । আমাদের এই সংগ্রাম স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম।আজ থেকে ভারতের নির্মম কালো থাবা আর বাঙ্গালিদের অকাতরে জীবন দেওয়া বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
তানজিব: এই যুদ্ধ সেই সব কুলাঙ্গারের বিরুদ্ধেও যারা দেশের মাটি তে জন্ম নিয়ে ভারতীয়দের দালালি করছে।
সুজলা সুফলা আমার এই মায়ের দেশ, যেখানে কৃষক মাঠ করেছে সবুজের সমুদ্র, যেখানে প্রতিদিন ভোরে সূর্য শহীদের আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি ভালোবাসাকে স্যালুট দিয়ে পূর্ব আকাশে উদীয়মান হয়, সেখানে সেই দেশে এভাবে দিনের পর দিন নির্মম ভাবে ঘাতকদের আক্রমন আর সহ্য করবনা।
সাজিদ: আয়, আজ আমরা শপথ নেই।
তানজিব, সাজিদ, তাহসান, রবি, সাদি যাদের রক্তে বইছে স্বাধীনতার সুবাতাস, হৃদয়ে বইছে প্রতিশোধের আগুন, তারাদৃঢ় সংকল্পবদ্ধ দেশমাকে রক্ষা করার।আজ তারা শপথ নিল এই অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার, দেশের উপর থেকে কালো ছায়া মুছে ফেলার। দেশের জন্য তারা শুরু করল নতুন এক সংগ্রাম যার নাম সাইবার ওয়ার।

নাবিলা সাথে তাহসানের কয়েক দিন দেখা হয়না, কথা হয়না।তাই নাবিলা তাহসানের বাসায় দেখা করতে আসল।
নাবিলা: কি ব্যাপার তাহসান, আজ কয় দিন তোমার কোন খবর নেই। ফোন দিলে ফোন ধরনা। ক্যাম্পাসে আসনা।আমি কেমন আছি এটা কি একবার জানতে ও ইচ্ছা হয়না।
তাহসান: তুমি এখানে এসেছ কেন? যাও চলে যাও।
নাবিলা: তুমি আমার সাথে এমন ব্যবহার করছো কেন?
তাহসান: কেমন ব্যবহার করব? তুমি এখান থেকে চলে গেলে খুশি হব।
নাবিলা: তোমার কি হয়েছে?
তাহসান: তুমি এখান থেকে চলে যাও,তোমার সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই।
নাবিলা: তুমি এসব কি বলছ? আমি কি কোন অন্যায় করেছি?
তাহসান: শোন, আমি স্পষ্ট ভাবে বলছি তুমি এখান থেকে চলে যাও। আমি তোমাকে কোন দিন ভালোবাসিনি।তাছাড়া আমি আর একজনকে ভালবাসি।
নাবিলা: সত্যি করে বল তোমার কি হয়েছে? এবস কথা বলছো কেন?
তাহসান: (একটু উত্তেজিত হয়ে) তোমাকে না বললাম এখান থেকে চলে যেতে।আর আমি তোমাকে কখনো ভালবাসিনি।এখনি এখান থেকে চলে যাও। আমি যেন আর কথনো তোমাকে আমার সামনে না দেখি।
নাবিলা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
সাজিদ: তাহসান, তুই না নাবিলা কে অনেক ভালবাসিস, তাহলে ওকে এভাবে কষ্ট দিলি কেন?
তাহসান: এটা করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না।আমি নাবিলাকে অনেক ভালোবাসি, আর আমি ওর ভালোবাসার কাছে দূর্বল। আমরা আজ যে সংগ্রামে নেমেছি এতে আমি নিজেকে কোন বিষয়ে পিছুটান রাখতে চাই না।আমি জানি নাবিলা ও আমাকে অনেক ভালবাসে। সে আজ অনেক কষ্ট পাবে।তারপরও আমাকে এই কাজ টি করতে হল।ওখুব জেদি একবার আমি আমার হাত কেটে নাবিলার নাম লিখেছিলাম, এটা জানতে পেরে পরদিন ওর হাতের কয়েকটা শিরা কেটে ফেলেছিল, অনেক রক্তক্ষরন হয়েছিল প্রায় ১৫ দিনের মত হাসপাতালে ছিল। আমি আজ এই কথা গুলো বললাম যেন ও জেদ করে অন্যকাউকেপছন্দ করে।তোদের কাউকে ফোন দিলে দয়া করে তোরা একই কথা বলিস।
সাজিদ: দেখিস আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হব।তোর ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানাই।

সাজিদ, তানজিব, তাহসান, রবি, সাদি তাদের যুদ্ধ শুরু করল। একের পর এক ভারতের ওয়েব সাইট হ্যাক করা শুরু করল এবং তাতে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরা হল। কয়েক দিনের মধ্যে ভারতীয় কয়েক হাজার ওযেবসাইট হ্যাক করা হল এবং তাতে তুলে ধরা হল আমাদের দাবিদাওয়া। সীমান্তে হত্যা বন্ধ, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মান বন্ধ, তিস্তার পানি ঠিক ভাবে সরবরাহ করা, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের নামে বাংলাদেশের সম্পদ গ্রাস না করা এগুলো তাদের প্রধান দাবি।
কয়েক দিনের মধ্যে টনক নড়ে গেল ভারত সরকারের। সারা বিশ্ব পৌছে গেল বাংলাদেশের এই যুদ্ধের সংবাদ। এটা কোন অস্ত্র বা গোলাবারুদের যুদ্ধ নয় তারপরও এটা স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এক প্রকার যুদ্ধ। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় ২০ হাজারের মত ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করা হল। ভারত ও বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করতে সক্ষম হয়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সারা বিশ্ব ব্যাপক সাড়া পড়ে গেল, বাংলাদেশের বিভিন্ন হ্যাকার গোষ্টি এক হল,বিদেশি অনেক হ্যাকার গ্রুপ ও যোগদিল। বাংলাদেশে সবার মাঝে এখন একটিই উত্তেজনা। দেশের তরুণ সমাজ সমর্থন করল, তাদের পাশে এসে দাড়াল। কিন্তু দেশের কিছু শির্ষস্থানীয় নেতারা হ্যাকার দের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করল। যেখানে তাদের উচিৎ এই অবস্থা নিরসনের জন্য ভারতের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা সেখানে তারা দেশের হ্যাকারদের দোষী করছে বিভিন্ন ভাবে।

সাজিদ: তানজিব যা একটু ঘুমিয়ে নে দুদিন একটানা ঘুমাস না। শরীর খারাপ করবে, শেষে অসুস্থ হয়ে পড়বি।
তানজিব: তুই ওতো ঘুমাসনি দুদিন। চল ঘন্টা দু এক ঘুমাই। রবি কোথায়?
সাজিদ: ও শালা, হ্যাকিং নিয়ে ব্যস্ত আছে।অল্প কয়েকদিনে অনেক দক্ষ হয়ে উঠেছে।
তানজিব: ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয়, তখন সাধারন জনগনের তো কোন প্রশিক্ষন ছিল না, জানতনা কিভাবে অস্ত্র ধরতে হয়, কিভাবে গুলি করতে হয় তারপর ও যুদ্ধে নেমে ছিল কেন জানিস? তাদের ছিল দেশের প্রতি অগাধ ভালবাসা, শ্রদ্ধা, শত্রু মোকাবেলা করার দৃঢ় সংকল্প তাই অস্ত্র সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে ছিল।নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও তারা একপাও পিছু হটেনি। তাইতো আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
সাজিদ: যখন শুনি দেশের জন্য কিছু করতে হবে, দেশকে রক্ষা করার জন্য কিছু করতে হবে, তখন হৃদয়ের মধ্যে এক সংগ্রামি চেতনা জাগ্রত হয়, শরীরে মধ্যে এক শিহরণ সৃষ্টি হয়, রক্তের মধ্যে উম্মাদনার সৃষ্টি হয়, মনের মধ্যে বাজতে থাকে একটা সুর , জীবন দিয়ে হলেও স্বাধীনতা পথে একপা ও পিছাবো না।দেশের প্রতি ভালবাসা মানুষকে সংগ্রামী করে তোলে।

(রবি তার রুম থেকে বেরিয়ে এসে সাজিদের রুমে এল)
রবি: সাজিদ আমাদের সরকার আমাদের পিছনে যে ভাবে লেগেছে তাতে আমরা আর কত দিন যদ্ধু চালাতে পারব জানিনা।
সাজিদ: কেন কি হয়েছে?
রবি: ভারতীয় গোয়েন্দা এসেছে বাংলাদেশের হ্যাকার ধরার জন্য।
তানজিব:যতই আমাদের ধরতে আসুক না কেন, শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাব।

সাদি বাইরে গিয়েছিল বাজার করতে। বাজার না করে ফিরে এল। ওর চেহারায় কি যেন একটি কষ্টের ছাপ ফুটে উঠেছে।তাহসান পাশের রুমে ছিল।
সাজিদ: কিরে সাদি কি হয়েছে ?কি ব্যাপার কথা বলছিস না কেন?
তানজিব: এই কি হয়েছে?
সাদি: তাহসানকে যে মেয়েটা ভালোবাসতো নাবিলা, ও আজ ভোরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সাজিদ: কি বলিস! একি হয়ে গেল। আমাদের যুদ্ধের কারনে ওর আজ এভাবে মরতে হল।এখন তাহসানকে কি করে বলব?
তানজিব: তাহসান নাবিলাকে অনেক ভালবাসত আমি দুতিন দিন ধরেলক্ষ্য করেছি।তাহসান একা একা ছাদে গিয়ে কাঁদত।শুধু মাত্র আমাদের এই যুদ্ধের কারনে কখনো ওর দুঃখ আমাদের সাথে শেয়ার করতনা।তাহসান যদি একবার জানতে পারে নাবিলা ওর কারনে আত্মহ্ত্যা করেছে, তাহলে ওতো পাগল হয়ে যাবে।এমন কি ওনিজেকে শেষ করে দিতে পারে।
রবি: গতকাল নাবিলার সাথে আমার দেখা হয়েছিল সে আমাকে একটা চিঠি দেয়। আর বলে এটি যেন আমি না পড়ি এবং কাল বিকালে তাহসানকে যেন দেই ।আমি তখন বুঝতে পারিনি এমন কিছু হবে।
একথা বলে চোখ থেকে পানি ছেড়ে দিল রবি। এদিকে এই রুমের থমথমে অবস্থাদেখে তাহসান দেয়ালের পাশে অবস্থান নেয়।সে রবির সব কথা শুনতে পায়।সে অশ্রু সিক্ত চোখে এগিয়ে আসে রবির দিকে। সবার মধ্যে থমথমে ভাব। কেউ মুখ খুলছে না।তাহসানের মুখের দিকে তাকাতে সাহস পা্চ্ছে না।তাহসান রবির দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।ওরমুখে কোন কথা নেই।রবি বুঝতে পারল তাহসান আমাদের সব কথা শুনেছে্ এবং ও চিঠি টি চাইছে। রবি তার পকেট থেকে চিঠি টি বের করে তাহসানের হাতে দিল।তাহসান চিঠি নিয়ে পাশের রুমে চলে গেল।
তাহসান,
আমার মনে পড়ে প্রথম যেদিন তুমি আমাকে ক্যাম্পাসে দেখেছিলে সেদিন আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে।আমি তোমার কাছে এসে বলেছিলাম এই ছেলে মেয়েদের দেখলে কি এভাবে হা করে তাকিয়ে থাক। জবাবে তুমি আমাকে প্রশ্ন করেছিলে, আপনি গোলাপকে ভালবাসেন? আপনি তাজমহল ভালবাসেন?আপনি সমুদ্র ভালবাসেন?আপনি মেঘ ভালবাসেন? আমি সবগুলোর উ্ত্তর হ্যা বলেছিলাম।তুমি জিজ্ঞাসা করেছিলে কেন এইগুলো ভালবাসি, আমি বলেছিলাম ভালো লাগে, দেখতে সুন্দর তাই।তুমি আবার বলেছিলে এই সবগুলো যদি একসাথে কাছে পাও তাহলে কেমন লাগবে? আমি বলেছিলাম খুব ভাল লাগবে। জবাবে তুমি বলেছিলে আমি সব কিছু একসাথে আপনার মাঝে পেয়েছি। তাহলে ভাবুন আমার কতটা ভালো লাগছে।আমি কতটা আনন্দিত।সেই থেকে আমাদের পরিচয় এবং ভালোবাসার শুরু।তুমি অনেক মজা করতে।এজন্য তোমাকে অনেক ভালবাসতাম। তুমি আমাকে একটা দিন দেখতে না পেলে সেদিন আর ঘুমাতেনা।অনেক ভালবাসতে আমাকে।একবার আমার জন্মদিনে উইশ করবে বলে রাত বারটার সময় আমার বাসার সামনে দাড়িয়ে ছিলে।পুলিশ তোমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।আমাকে তুমি অনেক অনেক ভালবাসতে।জানিনা হঠাৎ কিভাবে তোমার মন পরির্বতন হল।তবে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, অনেক।আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারব না। আমার হৃদয়ে প্রতিটি স্পন্দন তোমার কথা বলে। তোমার হাসিটা ছিল আমার প্রান, তোমার সাথে পথ চলা ছিল আমার শক্তি, তোমার হাতের স্পর্শ ছিল আমার হাজার বছর বেঁচে থাকার প্রেরণা, তোমার মুখের কথাগুলো ছিল আমার খাদ্য।কোথায় আজ তুমি ? তুমি এভাবে আমাকে ভূলে যেতে পারলে? আমি তোমাকে ভূলে যেতে পারব না। কোন দিন না। তুমি অন্য কাউকে ভালবাসবে এটা আমি বেচে থাকতে সইতে পারব না ।তাই আমি চলে যাচ্ছি।তোমার জন্য আমার ভালবাসা রইল।
নাবিলা

তাহসান চিঠিটি পড়তে পড়তে মেঝেতে গড়িয়ে পড়ল।তার মুখে কোন কথা নেই।চোখ থেকে পানি ও ঝরছে না।তাহসানের এই অবস্থা দেখে সবার চোখে জল এসে গেল।কি হতে কি হয়ে গেল।দিনগুলো কত মজার ছিল, কত আনন্দ হত।সেই দিনগুলো ফেলে আজ দেশের জন্য সব ত্যাগ করতে হয়েছে।
তাহসান সবার দিকে একবার তাকাল দেখল সবার চোখে জল।সবাই ভেঙ্গে পড়েছে।এই অবস্থা যদি চলতে থাকে যুদ্ধ স্থগিত হয়ে পড়বে।তাই সে নিজের দুঃখ মনের মধ্যে চেপে রেখে সবাইকে সাহস জোগাল।আবারো আক্রমন হবে।সবাই আবার শপথ নিল।এবার জোরালো আক্রমন চালাল ভারতীয় ওয়েবসাইটের উপর।হাজারের উপর হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করছে তারা এবং প্রত্যেকটিতে একই বার্তা দেওয়া হচ্ছে।সারা বিশ্বে পৌছে গেছে ভারতীয়দের সীমান্তে নির্মম হত্যাকান্ডের কথা, তাদের শোষনের কথা।বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকে ভারত সরকারের উপর হুমকি আসছে। ভারত সরকারের টনক নড়েছে।বাংলাদেশে তরুনরা বিভিন্ন সোসাল কমিউনিটির মাধ্যমে দেশ প্রেমি হ্যাকারদের সমর্থন জোগাচ্ছে।বাংলাদেশের সরকার নিরব ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশ বাংলাদেশের কিছু দালালদের সহযোগিতায় হ্যাকারদের খুজে বের করতে সক্ষম হয়েছে। সেদিন সাদি একা বাসায় ছিল।সাজিদ, তানজিব, রবি, তাহসান গিয়েছিল অন্য হ্যাকারদের সাথে কথা বলতে। ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশ তাদের বাসার চারিদিকে ঘিরে ফেলেছে। গোয়েন্দারা ধীরে ধীরে সাদির রুমে দিকে যায়।সাদির রুমের দরজা খুলতেই ওরা সবাই রুমের মধ্যে ঢুকে যায়।দুজন দুদিক দিয়ে সাদিকে ধরে রাখে।সাদি দেশপ্রেমিক, সে দেশের জন্য জীবন দিতে দ্বিধাবোধ করেনা।ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশ তাদের সাইবার যুদ্ধ থামাতে বলল তা না হলে সব হ্যাকারদের হত্যা করার হুমকি দিল।সাদি আরো উত্তেজিত হয়ে বলল এই যুদ্ধ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ, যখন একবার যু্দ্ধ শুরু করেছি বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে।গোয়েন্দা পুলিশের একজন রেগে গেল।পিস্তল বের করে সাদির মাথার মধ্যে গুলি করে দিল।আস্তে আস্তে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ল সাদি।অবস্থা বেগতিক দেখে ভারতীয় গোয়েন্দা দ্রুত প্রস্থান করল।এদিকে সাজিদ, তানজিব ওরা বাসায় ফিরে দেখে রক্তেমেঝে লাল হয়ে আছে আর এক পাশে সাদি নিথর হয়ে পড়ে আছে। সাজিদ, তানজিব, তাহসান, রবি দ্রুত সাদির কাছে গেল, দেখে সে আর নেই।সাদি কে জড়িয়ে চিৎকার করতে লাগল সাজিদ। স্বাধীনতার কথা বলতে হলে কি এভাবে জীবন দিতে হয়।স্বধীনতা রক্ষা করার জন্য কি এভাবে জীবন হারাতে হয়।কেন এই নির্মম হত্যাকান্ড? কার এত বড় সাহস দেশের মাটিতে এসে একজন দেশপ্রেমিককে হত্যা করে। সবার বুঝতে বাকি রইল না এটা ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশের কাজ। তারা কিভাবে সাহস পায় দেশের মাটিতে এসে দেশের সন্তানকে হত্যা করার। সাজিদ, তানজিব, তাহসান, রবি এদের হৃদয়ে বইছে প্রতিশোধের আগুন। এবার হবে মহা যুদ্ধ। সাদি কে তারা কাধে করে শহীদ মিনার নিয়ে গেল। সেখানে তাকে শুইয়ে রাখল। রাস্তার মানুষ জড়ো হতে লাগল। অনেক তরুনের সমাবেশ হল। তানজিব সবার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে কিছু বলল।কেন এই হত্যাকান্ড? দেশের জন্য কিছু করতে চাইলে কেন অকাতরে জীবন দিতে হবে?দেশকে ভালোবাসা কি অন্যায়?দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাইলে সেটা কি দেশদ্রোহীতা?দিনের পর দিন ফাকার ইন্ডিয়া দেশের মানুষকে হত্যা করছে, হে বাঙালি তোমাদের সেই বীরত্বের দিনগুলো কোথায় গেল? যে সাহস আর দেশ প্রেমের কারনে ঝাপিয়ে পড়েছিলে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে, রক্ষা করে ছিলে মাতৃভাষা। একাত্তরের সেই ভয়াল দিনগুলোতে খালি হাতে ঝাপিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে এনেছিলে, স্বাধীন করেছিলে এই দেশ। কোথায় আজ তোমরা? কোথায় তোমাদের সেই দেশ প্রেম? কোথায় ?আর কত জীবন দিলে তোমাদের হৃদয়ে সংগ্রামী চেতনা জাগ্রত হবে?আর কত লাশ চাও?মাদার ফাকার ইন্ডিয়া আর কত মায়ের বুক খালি করলে তোমাদের ঘুম ভাঙবে?তোমরা কিছু বল?
এই কথা গুলো বলতে বলতে তানজিব মাটিতে বসে পড়ল। উপস্থিত তরুনদের মধ্যে একপ্রকার সংগ্রামী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। তারা এই সংগ্রামকে সমর্থন করল। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল শহীদ মিনার প্রঙ্গান।মুহুর্তের মধ্যে মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে গেল সারা দেশে সাদি হত্যার কথা। সারা দেশ আজ প্রতিশোধের নেশায় জ্বলছে। সকল স্তরের মানুষ আবারো এক হয়েছে। তাদের দাবী ভারতের আগ্রাসন চলবে না, চলবে না।।সরকার নিরব কারন যখন জনগন একবার সংগ্রামী হয়ে ওঠে তখন তাদেরকে থামানো কোন শক্তি থাকেনা।
সাজিদ সকল সংগ্রামী দেশ প্রেমিকদের উদ্দেশ্যে বলল “কোন যুদ্ধ নয় আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান চাই। আর নয় কোন রক্তের বন্যা। আমরা তাদের শুধু জানিয়ে দিতে চাই বাঙালি যদি একবার জ্বলে উঠে তাহলে কেউ থামাতে পারবে না।আমাদের গর্জন পৌছে যাবে সারা বিশ্বে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
হোসেন মোশাররফ সচেনতা বাড়বে বৈকি.......
মিলন বনিক সমসাময়িক একটা বিষয়কে এত সুন্দর আবেগ আর অনুভুতি দিয়ে জাতিকে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ করার এক বিশাল দায়ভার নিজের উপর নিয়েছেন..খুভ ভালো লাগলো..শুভ কামনা....
মাহবুব খান দেশপ্রেম অনন্য /ভালো লাগলো /৫ দিলাম
ধন্যবাদ স্যার। আমি আসলে পুরস্কারের আশায় লেখিনি, নিজের মধ্যে খেকে এই লেখাটা বের হয়েছে । হয়তো দেশকে ভালবাসি তাই।
বশির আহমেদ "কোন যুদ্ধ নয় আমরা শান্তি পূর্ণ ভাবে সমাধান চাই। আর নয় কোন রক্তের বন্যা । আমরা শুধু তাদের জানিয়ে দিতে চাই বাঙালী যদি একবার জ্বলে উঠে তাহলে কেউ থামাতে পারবে না" । এমন দৃঢ় প্রত্যই চাই সকল নবীনের মাঝে । সুন্দর সাবলিল লেখা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ সার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Abu Umar Saifullah onek valo laglo
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
SM Mishkat ----------------&&&&&&&&&&------------- আমি গল্পটি জমা দেয়ার সময় ভোটিং অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে দেখি সেটা চালু আছে। আমি পুরস্কারের জন্য গল্পটি লিখিনি। আমি একটি বিষয়ে সবাইকে উৎসাহ দেয়ার জন্য লিখেছি। আমাদের সকলে এক হবার প্রয়োজন। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সকল অপশক্তি রুখে দাড়ানোর দ্বায়িত্ব আমাদের সকলের। গল্পের ভোটিং পুনরায় বন্ধ করার কোন উপায় থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি চাই সবাই আমার এই গল্পটি পড়ুক। --------------&&&&&&&&&&&&--------------------
Lutful Bari Panna প্রথম কথা গল্পটা সাবলীল গতিময় ছিল। দ্বিতীয় কথা এই বিষয় নিয়ে সালেহ ভাইর সাথে আমারো লেখার কথা হয়েছিল ফেসবুকে। সালেহ ভাই লিখেছেন। পরে দেখলাম একই বিষয়ে আশফাকও লিখেছে। আমারই লেখা হয়নি। দেখছি আরো একজন পেয়ে গেলাম।
শাহ আকরাম রিয়াদ ধন্যবাদ SM Mishkat , ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইলো
প্রজ্ঞা মৌসুমী হ্যাকিং খুব একটা এথিকেল বলে আমি মনে করিনা। কিন্তু গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে যদি মানুষদের এভাবে সচেতন করা যায়, তবে... আবার কিছু লোকের অন্যায়র শাস্তি পুরো দেশ বা কমিউনিটি পাবে এটাও মানতে নারাজ। কজন মুসলিম সন্ত্রাস বলে ঘৃণাটা সমগ্র মুসলিম জাতির উপর চলে আসাটা যেমন অন্যায় সেরকমভাবেই...তবে সীমান্তের এসব ঘটনা আত্নসচেতন করে। প্রতিবেশী দেশের সাথে বন্ধুত্ব আছে, থাকবে কিন্তু তাই বলে আমরা কারো দাস নই। দরকার আর বিলাসিতার মধ্যে তফাত দেখতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভারতীয় পন্যের সাথে পরিচিত না তবে হুট করেই সব পন্য বয়কট করা বোধহয় ঠিক না। এসব কোম্পানীর উপর অসংখ্য বাংলাদেশীর জীবীকা আর পরিবার নির্ভর করে। সামগ্রিকভাবে যেটা ভালো হয় তাই করতে হবে। তবে এখন থেকে নিজেদের পোডাক্ট,সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে হবে। এতেই আমাদের সম্মান। গল্পের শুরুতে যেরকম বলা হলো মেয়েরা বন্ধুত্বে বাঁধা এই মনোভাবতো ভালো লক্ষণ না। ছেলে-মেয়েদের একসাথে কাজ করতে হবে। নাবিলা কি পারতোনা তাহসানদের সাথে এ যুদ্ধে অংশীদার হতে?সেটা আরও সুন্দর হতো। দেশপ্রেম কি আমাদের কম? আমরা ছেলেদের দুঃখ-কষ্ট কিংবা সুখের পথের সঙ্গী হতে চাই। সে যাই হউক,শুরুতে মনোযোগ একটু ছিটকে যাচ্ছিল কিন্তু পরে গল্পে ডুবে গেলাম, অসাধারণ কিছু কথা দিয়ে গল্প শেষ করলেন। লেখকের জন্য শুভ কামনা।
কিন্তু পরে গল্পে ডুবে গেলাম, অসাধারণ কিছু কথা দিয়ে গল্প শেষ করলেন। লেখকের জন্য শুভ কামনা।

০৩ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী