সরলতার নির্মম পরিহাস

সরলতা (অক্টোবর ২০১২)

Mohammad Jobaed Khan
  • ২২
কিছুদিন আগেও একটা ছেলে পৃথিবীতে সুন্দর করে বাচঁতে চেয়েছিল।কিন্তু একটা সময় এসে সব তছনচ করে দিল।ছেলেটির নাম তুষার।খুব ভাল একটা ছেলে।নামাজ পডে নিয়মিত।ব্যবহার ও খুব ভাল।তার একটা দুর্বলতা হল তার মন খুব সরল।মনটা খুভ নরম ও সরল প্রকৃতির।প্রেম করাটা আজ কাল কার ফ্যাশন হিসেবে পরিচিত অনেকটা।তবে সত্য কারের ভালবাসা এখন ও কিছু মানূষের মধ্য টিকে আছে।এর মধ্য একজন তুষার।তেমনি ভাবে তুষার এর জীবনে এসেছিল একটি সুন্দর ভালবাসা।

তুষার যখন স্কুল এ ক্লাস ৯ –এ পড়ে তখনতার বয়স ছিল ১৫।তখন প্রেম করাটা ভালবাসা ছিল না ভাললাগা ছিল।কিন্তু এই ভাললাগা টাই কেমনি যেন সত্যিকারের ভালবাসার রুপ নিল।বয়সটা ছিল সেম এইজ এর।স্কুল এ থাখা অবস্থাই তার ক্লাস এর একটি মেয়ে কে তার ভাল লেগে যাই।মেয়েটির নাম ছিল ওসিন।খুব হাসি খুশি একটা মেয়ে।মন খারা পকরে রাখতে কখনো দেখিনি এমন কি কাদঁতেও।ক্লাস এ পডা না পারলে স্যার এর মাইর খেয়ে ও হাসতো।খুব চন্চল প্রকৃতির।ও হাসতো অনেক সুন্দর করে।এটাই ওকে বেশী আকৃষ্ট করেছে।

আবার তুষার এর কাসিন একই ক্লাস এ পডতো।ওর কাসিন ওকে প্রোপস করতে সাহায্য করেছিল।প্রথমে তুষার চিন্তা করেছিল ফেন্ড হবে।চালাকি করে তুষার জিতে গেল। ফ্রেন্ডশিপ চলতে লাগলো। বছর এর শেষ দিক ফাইনাল পরিক্ষা।সবাই পরিক্ষা দিল পাস করলো কিন্তু তুষার এর পাস রা হল না।সাইন্স নিয়ে পডছে ও।আবার ও ক্লাস ৯ এ থেখে গেল।মেয়েটি তখন ক্লাস ১০ এ।তবুও তাদের ভালবাসা ঠিক ভাবে চলতে লাগলো।মেয়েটি ও খুব ভালবাসতো।মেয়েটি এস এস সি পরিক্ষা শুরু হল।মেয়েটি ভালই পাস করলো।তুষার তখন ক্লাস ১০ এ পাস করে ওঠলো।মেয়েটি তাকে খুব গাইড লাইন করতো।মেয়েটি কলেজ এ এড হলো।ছেলেটি প্রতিদিন কলেজ যেত শুধু এক পলক মেয়েটিকে দেখার জন্য।তুষার এর রিতিমত অভ্যাস।মেয়েটিকে একবার না দেখলে খাওয়া দাওয়া ঘুম হারাম।কলেজে আসা যাওয়ার মধ্য চলছে তাদের প্রেম।মেয়েটির মাথা কিন্তু বেশী গরম।এতো গরম যে ওই অবস্থাই ঠান্ডা পানি দিলে ও পানি গরম হয়ে যাবে।মেয়েটি অবশ্যই ছোট খাটো বেপার নিয়ে বেশী ঝগড়া করতো।তুষার কিন্তু ঝগড়া সহ্য করতে পারে না।তাই দোষ না করলেও তা দোষ বলে শিকার করতো।ছেলেটি কখনো মেয়েটির দোষ ধরতো না।তাই মেয়েটি মনে করতো ও ফেরেশতা।একবার তো ডেটিং এ গিয়ে টেক্সিতে সনি ক্যামেরা হারিয়ে ফেলেছিল।ক্যামেরা ছিল বন্ধুর ক্ষতি পূরন তো দিতে হবে।তখন মেয়েটি তার স্বর্নের চেইন খুলে ছেলেটির হাতে দিল।এত ভালবাসা দেখে ছেলেটি আর নিল না।এতে সে আরো বেশী দূর্বল হয়ে পডলো মেয়েটির পতি।এভাবে তাদের প্রেম যাই আর যাই।ছেলেটি ও এস এস সি পাস করলো ভাল।একমাএ মেয়েটির কারনে।

মেয়েটি যে কলেজে এড হতে বললো ছেলেটি ওখানে এড হল।একটা সমস্যা কি মেয়েটি চাইনা তুষার অন্য কোন মেয়ের দিখে দেখুক।মেয়েটির বোনের সাথে কথা বললে ও ঝগডা।তুষার চাইতো মেয়েটির পরিবারের সবার সাথে মিলে থাখতে।মেয়েটি ছেলেটির সুবিধা অসুবিধা দেখতো না।যাইচ্ছা তা করতো।ছেলের বাসাই মা তো প্রেম পছন্দ করে না।একবার ছেলের ডেস্ক এ দুইজনের একসাথে ছবি পাওয়াতে অনেক যামেলা হল।মেয়েটি শুনলে কষ্ট পাবে তাই আর শুনানো হইনি।এক সময় ছেলেটিকে কেন জেন এবয়েড় করতে শুরু করলো মেয়েটি।মেয়েটি একদিন বলে তার মা বাবা মানবে ন।আর ও ওর মা বাবা কে কষ্ট দিতে পারবে না।কিন্তু কথাটি সত্য ছিল না।ওর জীবনে আরেকজন প্রবেশ করলো।পরে মেয়েটি ছেলেটিকে বলতো ওঅন্য জন কে ভালবাসে।কিন্তু ছেলেটি বিস্বাস করতো না।কারন মেয়েটি সারা ছেলেটি ক আর কেও এতো ভালবাসতে পারবে না।এভাবে কথা কাটাকাটির মধ্য জীবন চলতে লাগলো ২০১১ সাল এর শেষে মেয়েটি জোর পূবক ছেলটিকে ছেড়ে দিল।মেয়েটি বললো বন্ধু হয়ে থাখবে।ছেলেটি ঝগড়া করতে চাইতো না বলেই ও এটা মেনে নিল।ছেলেটি চিন্তা করলো পরে হইতো বুঝিয়ে আনা যাবে।।ছেলেটির একটি অভ্যাস হল কান্না করা।ছেলেটি মেয়েটির পেছনে ৭ মাস ঘুরলো কিন্তু কোন কাজ হল না।মেয়েটির যখন প্রোয়জন পড়তো ছেলেটিকে ব্যবহার করতো।এইচ এস সি পরিক্ষা আসলো।সম্পর্ক না থাকার পর ও পরিক্ষার প্রশ্ন থেখে শুরু করে যা প্রোয়োজন তা করলো।যখন মেয়েটির প্রোয়জন পড়ে তখন ছেলেটির সাথে ভাল ব্যবহার করে।ভাল ভাবে ফোন এ কথা বলে।যখন দরকার শেষ তখন সব শেষ।ছেলেটি মেয়েটির এমন এক বিপদে টাকার প্রোয়জনে।ছেলেটির মোবাইল বিক্রি করে টাকা এনে দিল।ওর যখন দরকার পডে না তখন ফোন করলে।খারাপ গালি ছাড়া কিছে জুটতো না।তবুও মেয়েটিকে গ্রিনা করতো না।ছেলে সরল হওয়ার কারনে মেয়ের কথাই উঠতো বসতো।ছেডে দেয়ার৭ মাস ওর পেছনে ঘুরতে ঘুরতে ছেলেটির চোখের পানি পায়ে ফেলেছে।ভালবাসা তাকে অনেক কাদাই যে ভালবাসে অন্তর থেখে।মেয়েটি ছেলেটির সব নামবার বল্ক করে দিল এক সময়।।তবুই ছেলেটি মোবাইল এর দোকান এগিয়ে ফোন করতো।।তখন ও খারাপ ছাডা কিছু জুটতোনা।মেয়েটি ছেলেটিকে আশার আলো দেখিয়ে তাতে গরম পানি ঢেলে দিয়ে চলে গেল।ছেলেটির আশা স্বপ্ন পূরন ধংস্স হল।সরল মানুষ পৃথিবীতে টকতে থাকে।সরল মানুষের কঠিন মন নিয়ে বেচে থাকাটাই খুব কঠিন।পৃথিবীতে কঠিন হয়ে বাচঁতে হবে।ছেলেটির জীবন তখন ধংসের মুখে।।মেয়েটিকে পাওয়ার আশাই ছেলেটি ঘর থেখে বের হয়ে গেল………………………………………………।
বাস্তব জীবন ও সরল জীবন খুব কঠিন।ভালবাসার মানুষ হারনোর চাইতে কষ্টের জীবন আর নেই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক সরলতার স্বপ্নহরণ...অনেক ভালো লিখেছেন...ভালো লাগলো...শুভ কামনা....
ধন্যবাদ
আহমাদ ইউসুফ বাস্তব জীবন ও সরল জীবন খুব কঠিন।ভালবাসার মানুষ হারনোর চাইতে কষ্টের জীবন আর নেই----একদম হক কথা বলেছেন/ ধন্যবাদ আপনাকে/
ধন্যবাদ ভাই
ইমরান আলম অসাধারণ ভালো লাগলো.
ধন্যবাদ
বশির আহমেদ জবেদ খান আপনার কল্পনা শক্তি অনেক ভাল । লিখতে যেহেতু চেষ্টা করছেন তা আর থামাবেন না । অনেক ভাল ভাল লেখকের বই বেশী বেশী পড়বেন । আমাদের সাইটেও অনেক জ্ঞানী গুনী লেখক পাবেন তাদের পরামর্শ নেবেন দেখবেন একদিন আপনি সেরা লিখিয়ে হয়ে উঠেছেন । ছোট ভাই মনে করে এত গুলো কথা বলে ফেললাম কিছু মনে করবেন না । ধন্যবাদ ।
আরে মনে করার কিছু নাই...আপনার এই কথা গুুলো সোনার চেয়ে দামী........ধন্যবাদ
প্রিয়ম জাবেদ ভাই অনেক সুন্দর একটা ভাবনা , খুব সুন্দর লাগলো তবে একটু বড় করলে ভালো হত |
ট্রাইল দিয়ে দেখলাম.......পরার জন্য অনেক ধন্যবাদ
Mohammad Jobaed Khan আপনাকে অনেক বেসি ধন্যবাদ .
ওবাইদুল হক ছেডে দেয়ার৭ মাস ওর পেছনে ঘুরতে ঘুরতে ছেলেটির চোখের পানি পায়ে ফেলেছে।ভালবাসা তাকে অনেক কাদাই যে ভালবাসে অন্তর থেখে।মেয়েটি ছেলেটির সব নামবার বল্ক করে দিল এক সময়। প্রমের নাশ বেদনা মনে রাখতে হবে মানতে পারলে সইতে পারবেন আর না পারলে তি আর করা । আপনার লেখায় অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ।

১৩ আগষ্ট - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪