হিমেল হাওয়ার পসরা নিয়ে বুঝি এল মায়াবী শীত! ১ ঠান্ডা হাতে বুলিয়ে দিয়ে যায় মোহনীয় এক পরশ। ২ প্রকৃতিতে সে নিয়ে এলো কুয়াশা ঘেরা ছায়া; ৩ কোমল আবেশে দিয়ে যায় সে কি মমতা মায়া! ৪ আমার মনে জাগিয়ে দিয়ে গেলে এ কেমন প্রেম? ৫ শিশির ভেজা চাদর গায়ে দিয়ে শুধু দেখি তোমায়। ৬
প্রতিদিন সকাল বেলা থেকে আমি পাই তোমায়, ৬ জড়িয়ে নেই পরম আদরে; যতই লাগুক না শীত! ১ তোমার সাথে আমার যে এটা বহুদিনের প্রেম- ৫ আমি পেতে চাই, বারবার চাই তোমার একটু পরশ। ২ পরম স্নেহে মুড়ে নিয়েছ আমায়! কি অদ্ভুত মায়া- ৪ ঘরে বাইরে সবখানেই আমি যে দেখি তোমার ছায়া। ৩
দূরাকাশ পানে তাকিয়ে দেখি এ কিসের ছায়া? ৩ অন্য কেউ তো হবে না! আমি চিনেছি তোমায়! ৬ সবাই বলে যায় তুমি নাকি ক্ষণিকের মায়া? ৪ সবার শেষে এলে অতিথির মত তুমি, হে শীত! ১ সে যে তোমায় চিনবে না যে পায়নি তোমার পরশ। ২ কষ্ট যে পায় নি, কভু বুঝবে কি কষ্টের পরে প্রেম? ৫
যার একটি বারের তরেও তোমার সাথে হয়নি প্রেম- ৫ যে কখনো এলো না, মাড়ালো না তোমার ছায়া, ৩ ভোর বেলা উঠে যে নিলো না তোমার স্নেহের পরশ; ২ আমি বলে দিচ্ছি! আজও সে চিনতে পারেনি তোমায়! ৬ তবু তুমি এসো সবার দুয়ার পানে! যেও না চলে শীত! ১ আমি তো নিঃশেষ হইনি! শেষ হয়নি আমার মায়া! ৪
তুমি এলে মা পিঠা বানায়! কত যে মমতা মায়া- ৪ দেশে থেকেও পিঠার জন্য কার নেই মোহ প্রেম? ৫ খেঁজুরের রসের ভান্ডার নিয়ে আসে যখন শীত, ১ রোদে বসে রস খাই! খুঁজি না তখন ছায়া! ৩ বল তুমি কি চাও? কি উপহার দেব তোমায়? ৬ তুমি এলে পাই যে ঘরে লেপের উষ্ণ পরশ! ২
মনোরন্ধ্রে লব্ধ করেছি তোমার কোমল পরশ, ২ শৈশব থেকে যৌবনে এলেও কাটেনি সেই মায়া! ৪ সারা বছর অপেক্ষায় থাকি কখন দেখবো তোমায়? ৬ তোমার সাথে আমার হয়েছে শত জনমের প্রেম! ৫ তুমি এলে নাই বা পেলাম দেখতে মেঘের ছায়া- ৩ ধুয়াশার অবগুন্ঠন খুলে এসো; স্বাগতম হে শীত! ১
ঋতুবৈচিত্রের খেলায় শীত লাগিয়ে দিলো মায়া; ১-৪ কুয়াশার পরশ নিয়ে আসে! মনে জাগায় প্রেম! ২-৫ মনোরন্ধ্রে তোমার ছায়া নিয়ে লব্ধ করেছি তোমায়। ৩-৬
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
প্রজ্ঞা মৌসুমী
শাওন, তোমার কবিতা থেকে ছন্দ নিয়ে কিছু যে শিখতে পারি এটা ভীষণ ভালো লাগে। এবারো কিছু শিখলাম। কবিতাটাও দারুণ লেগেছে। তোমার যত্ন, চেষ্টায় অবহেলা আছে সেটা কেউ বলতে পারবেনা। এই কবিতায় সব আছে, কিন্তু তেমন উপমা নেই। সেদিন একজন কবির সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি কিছু উদাহরণ দিয়ে একটা মন্তব্য করেছিলেন যে, "আমার কাছে একটি মহত কবিতা হলো অসাধারণ উপমার সৃষ্টি"। আসলেই উপমা অসম্ভবকে সম্ভব করে। আর ইদানিং মনে হচ্ছে আমাদের বিচারকেরা বোধহয় সেটাই খুঁজছেন..কে কত ক্রিয়েটিভ উপমা সৃষ্টি করতে পারে নিজস্ব স্টাইলে। উপমাই বোধহয় আধুনিক কবিতার সবচেয়ে বড় অলংকরণ হয়ে যাচ্ছে। যাই হউক, তুমি ভালো লেখো এতে কোন দ্বিমত নেই। তোমার জন্য সব সময়ের শুভকামনা।
amar ami
ভাইয়া, কবিতার লাইনগুলোর পাশে নাম্বার দিয়ে যে এক্সপিরিমেন্ট করেছেন তা দেখে তো মাথায় এলোমেলো হয়ে গেল !(আজকের মত আর কিছু পড়তে পারবনা).....তবে কথা গুলো ভালই লাগলো
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।