ঈর্ষার পরিণাম

ঈর্ষা (জানুয়ারী ২০১৩)

মিজানুর রহমান মিজান
  • ১৩
  • ৬৮
ভিন্ন গোত্রাšর্—ভুক্ত একই গ্রামের একে অপরের প্রতিবেশী রফিক ও সফিক দুই বন্ধু। দুই বন্ধুই পিতা মাতার একমাত্র পুত্র সš—ান। এদিকে রফিকের ছোট পাঁচ বোন এবং সফিকের চার বোন। বয়সে সফিক রফিকের দু’বছরের বড় হলে ও তাদের মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব। শি¶া ¶েত্রে সফিক রফিকের চেয়ে এক ক্লাস উপরে থাকা সত্তে চলাফেরা কিন্তু দু’জনের সারা¶ণ একই সাথে। এ যেন দু’সহোদর পাড়া প্রতিবেশি সকলেই জানেন। সফিক বরাবরই ধনীক স¤প্রদায় ভুক্ত এবং রফিকের পিতা এক সময় অঢ়েল সম্পত্তির মালিক হলে ও আদম বেপারীর পাল­ায় পড়ে একেবারে নি:¯^। সুতরাং এ মুহুর্তে বলা চলে ধনী গরিবের বন্ধুত্ব।
দু’জনে বন্ধুত্ব থাকলে কি হবে। সফিক সকল সময় রফিককে অবহেলা , তুচছ-তাচিছল্য , ঘৃণা ও নিন্দিত মনে চলাফেরা করতে চায়। কারনে অকারনে রফিককে নাক সিটকিয়ে দমিয়ে রাখতে ইচছা সর্ব¶েত্রে। রফিক বুঝে ও না বুঝার ভান করে চলতে চায়। রফিক ভাবে ¶ণ¯—ায়ী এ পৃথিবীর বুকে ক’দিনের প্রবাসী জীবন যাপন করতে কোন মতে খাপ খাইয়ে চলে গেলেই হল। যতই রফিক চলার চেষ্টা করে অবুঝের মতন। সফিক ভাবে ততই দূর্বল , রফিক যখন কিছুই বুঝে না । অতএব মাত্রা হয় দ্বিগুণ , তিনগুণ। কিন্তু রফিক প্রতিটি কর্মে মনে দার“ণ আঘাত প্রাপ্ত হয়। গুলিবিদ্ধ আহত পাখির মত ছটফট করে। কর“ণাময়কে ডাকে সকর“ণ বেদনার্ত হয়ে। তবে শক্ত হাতে প্রবোদ ও শাš—নাকে আকড়ে ধরে ,” মানুষের অনুকম্পা পাওয়ার চেয়ে ঈর্ষা পাওয়া শ্রেয়”। আবার ভাবে নিবিড় ও নিবিষ্ট ভাবে , ” কারো মনে দু:খ দিতে না চাইলে সব শ্রেষ্টত্ব ছাড়তে হবে। তুলনায় কেহ ছোট হতে চায় না। সুন্দরীকে দেখে অসুন্দরী কষ্ট পায়। বিদ্বান , বুদ্ধিমান এমন কি দয়াবান ও Ñ যাদের এসব গুণ নেই তাদের ঈর্ষার পাত্র”। লেখাপড়ায় রফিক বরাবর ক্লাসের ফার্ষ্ট বয়। তবে সফিক অবশ্যই তার চেয়ে পশ্চাৎপদ। অর্থ্যাৎ সফিক গত বৎসর পরি¶া দিয়ে ফেল করার কারনে এবার রফিকের সাথে একই ইয়ারে পরি¶া আবার দিচেছ। সুতরাং বুঝে নেবার যে কারো ব্যতিক্রম , ব্যত্যয় নেই।
ইন্টার মিড়িয়েট পরি¶ার্থী যখন রফিক। তখন পরি¶া দিতে হত শহরে থেকে। গ্রামাঞ্চলে কোন পরি¶ার কেন্দ্র ছিল না। যেহেতু যোগাযোগ ব্যব¯—া ছিল অত্যš— নাজুক। সফিকের আত্বীয়ের বাসা আছে শহরে। সফিক সেখানে থেকে লেখাপড়া করছে এবং রফিক গ্রাম তথা বাড়ি থেকে শহরের কলেজে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গিয়ে লেখাপড়ায় নিমগ্ন। পরি¶ার সময় আসে ঘনিয়ে। একদিন সফিক বলে রফিককে , পরি¶া কোথায় থেকে দিবে। রফিক শুধায় বাড়ি হতেই পরি¶া দেবার মনোবাসনা। সফিক প্রতি উত্তরে বলে , আরো কয়েকজন তোমার ক্লাস মেইট আমার আত্বীয়ের বাসা তথা আমার নিকট থেকে পরি¶া দেবে। সুতরাং তুমি ইচছা করলে আসতে পারো। বাড়ি হতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পরি¶া দেয়া অত্যš— কষ্টদায়ক ,পরিশ্রম লব্ধ। রফিকের মন যদি ও একটু আধটু আরাম আয়েশ চায়। তবে আর্থিক অনটনে সে পথ পরিহার করে চলতে তাকে হয়। তাই সফিকের প্র¯—াব নাকচ না করে বলে , বন্ধু যদি আমাকে একটু সুযোগ দাও , তবে আমি আসতে পারি পরি¶া দেবার নিমিত্তে তোমার বাসায়। একটু শাš—নার আশায় , পরিশ্রম লাঘবের প্রত্যাশায় , মনের তৃপ্তির নিমিত্তে , শর্তটি হল -,যে ক’জন একত্রে থেকে পরি¶া দেব । তুমি জান আমি টাকার অভাবে পরি¶া দিতে পারছিলাম না। তাই তুমি যদি আমাকে মেসের খরচ ৫/৬ দিন পর করার সুযোগ দাও , তবে আমার অনেক অনেক সুবিধা হয়। কারন এ মুহুর্তে আমি কপর্দক শুন্য। শুধু এ সুযোগটি। সফিক সানন্দে সম্মতি প্রদান করলে রফিক বাসায় যায় বড় আশা ভরসা নিয়ে। তিন র“ম বিশিষ্ট গৃহের প্রতিটি র“মে বাকি সাত বন্ধুর খাট বিছিয়ে রফিককে বলা হল লাকড়ি রাখার র“মে রফিকের আসন পাততে। রফিক স্মরণ করে প্রখ্যাত ইঙ্গারসোলের উক্তিটি ,” দারিদ্র্য অনেক প্রতিভাকে অঙ্কুরেই ধবংস করে” আবার কাজী নজর“লের ,” তাহাদের সাথে কাদিঁব , তাদের বাধিঁব ব¶ে মম , দরিদ্র মোর পরমাত্বীয় , দরিদ্র প্রিয়তম”। প্রথম দিন পরি¶া দেবার পর বিকাল বেলা সফিক জানিয়ে দেয় রফিককে আগামীকল্য তুমি মেসের খরচ করবে। রফিক হতভম্ব। হাতে একটি টাকা নেই। কেমন করে কি করে ভেবে দিশেহারা। পরি¶ার চিš—া থেকে বড় চিš—া হল এখন খরচের টাকা জোগাড় করা। উদভ্রাš— পাগলের ন্যায় ছুটে চলে ঐ রাত্রেই এলাকার দিকে ১১ মাইল রা¯—া হেঁটে। কোন স্থির ল¶্য নেই। মা-বাবার নিকট টাকা নেই তা রফিকের অনেক পূর্ব অভিজ্ঞতা। ল¶্যহীন চলা রফির্কে । নিজের বাড়িতে না গিয়ে যায় দু’ঘনিষ্ট জনের বাড়ি। একজনের বাড়ির অতি নিকট থেকে ফিরে আসে দেখা না দিয়ে। মনের ধারণা যদি বলার পর না বলে ফেলেন এ সংকোচতায়। অপর বন্ধুর নিকট বসে খানিক গল্প করে ফিরে আসে না চেয়ে। ঐ বন্ধু কিছুই বলেন ও নাই , জিজ্ঞেস ও করেন নাই আগমনের হেতু সম্পর্কে। চোখের পানিতে সয়লাব রফিকের গন্ডদ্বয়। ”হায়রে অর্থ! তুমিই জগতে সকল অনর্থের মুল”। শেষ ভরসা আল­াহকে স্মরণ করে চলে আরেক বন্ধুর বাড়ি অভিমুখে। পেয়ে যায় বন্ধুকে। বন্ধুটি আদর করে চা পান করায় বসিয়ে। এরি মধ্যে বলে , রফিক তুমিত পরি¶া দিতে গেলে। কিন্তু এ অবেলায় তোমার আগমন নিশ্চয় , তুমি টাকার অভাবে পরি¶া না দিয়ে চলে এসেছ। তিন শত টাকা দিয়ে বলে , তুমি এ¶ুনি চলে যাও , পরি¶া দাও। আমি তোমাকে দেখতে আসছি দু’চার দিন পর। রফিক আনন্দের আতিশয্যে কোন মতে দু’চোখের টলায়মান পানি ধরে রেখে চলে শহর অভিমুখে খরচ করতে। যথারীতি খরচ করে খাবার দাবার গ্রহণ শেষে মেসের সকল বন্ধুদের নিকট থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসে তারই এক আত্বীয়ের একটি পরিত্যক্ত দোকানে। সেখানে থেকে বাকি পরি¶া সমাপ্ত করে।
পরি¶ার রেজাল্ট বের হলে দেখা যায় রফিক পাশ করেছে। কিন্তু সফিক আবার রেজাল্ট খারাপ করে বিমর্ষ। রফিক ওকে শাš—না দেয় মনে প্রাণে সকল অপ্রকাশিত , চেঁপে যাওয়া অভিযোগ মন থেকে ধুয়েঁ মুছে। তারপর সফিকের লেখাপড়া এখানেই ইতি টানে। কিন্তু রফিক চাকুরীর পাশাপাশি লেখাপড়া করে বি.এ পাশ করে মোটামোটি একটু ¯^চছল।
তারপর ও সফিকের অহংকার বা ঈর্ষা কমছে বলে মনে হয়নি। কারন একদিন ৪/৫ জন লোকের সম্মুখে গল্পচছলে কথাবার্তা হচেছ। অপ্রাসঙ্গিকতায় সফিক বলে উঠে রফিককে , ” তুমি মানুষের সাথে চলাফেরা করনি। ” আজ আর রফিক মনের সাথে যুদ্ধ করে মনকে প্রবোদ দিতে না পেরে বলে , সফিক আমি কি এতদিন মানুষের সাথে না চলে পশুর সাথে চললাম”। তবে রফিকের এ পর্যš— চলাফেরা কিন্তু সফিক ও তাদের বলয় বেষ্টিত বন্ধু মহল নিয়েই। এ বলয় বহির্ভুত চলাফেরা ছিল না। তাতে সফিক মনে হল বেশ আঘাত পেয়েছেন। রফিকের সাথে কথাবার্তা বলা থেকে সম্পূর্ণ র“পে বিরত থাকার উপক্রম। কারন আড়ালে আবড়ালে অনেক কথা শুনা গিয়েছে। রফিক কিন্তু ডেমকিয়ার। শেষ পর্যš— এক বন্ধু এ ব্যাপারে কঠিন ও কঠোর যুক্তি উপ¯—াপন করে অন্যান্য বন্ধুদের আয়ত্বে আনতে স¶ম হয়েছে। রফিকের এখানে বিন্দু পরিমাণ ভুল নেই। সফিকই তাকে খোঁচা মেরে প্রতি উত্তর দিতে বাধ্য করেছেন। আমরা সবাই জানি রফিক অত্যš— ধৈর্যশীল। সকল অপমান নিরবে সহ্যকারি ব্যক্তি হিসাবে খ্যাতমান। কারো মনে দু:খ দিতে না চাইলে সব শ্রেষ্টত্ব ছাড়তে হবে। তুলনায় কেউ ছোট হতে চায় না।
নির“পমা
ধরাধাম জীবনে তুমি অন্যকে ঈর্ষা কর না
ঈর্ষায় অমূল্য এ মানব জীবনে বাড়ায় যন্ত্রণা।
যা ঘটাবে তাই ঘটবে অমূল্য বাণী
সে ঘটিবে তার ব্যঞ্জনায় শুনি।
ঘটে পটে রটাও তোমার অপূর্ব মহিমা
যা নও তুমি তা প্রচারে হয় না নির“পমা।
মানুষ মানুষের তরে হও হৃদয়বান
এ যে স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টির অমোঘ বিধান।
দু’জিনিষে মানুষের অš—রে পায় পরমানন্দ
পরচর্চা পরনিন্দা ধর্মীয় নিষেধ নিরানন্দ।
সতেজ সচল পুন্যাত্বা রাখ সর্ব¶ণ
সাফল্যে ভরপুর তোমার মানব জীবন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি দুই বন্ধুর জীবনের উত্থান পতন নিয়ে ঈর্ষার গল্পটিখুব বাল রাগলো তবে ফন্ট সমস্যা বেম ভুগিয়েছে তবুও শেষের কবিতার গুনে লেখাটি হয়ে উঠেছে অনবোদ্য....মিজানুর ভাই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ..................
ভালো লাগেনি ২৮ জানুয়ারী, ২০১৩
পন্ডিত মাহী ফন্ট সমস্যার কারনে বারবার মনযোগ হারিয়ে যায়... এমন গল্পে বিচার করা কঠিন... ভালোই লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩
ওয়াছিম লেখাটি ভালো লাগলো.............শেষের কবিতাটিও।
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১৩
অশেষ ধন্যবাদ োয়ািছম সাহেব। অশেষ ধন্যবাদ োয়াছিম সাহেব।
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩
মমতা মাধু সময় নেই, আপনার লেখা পরে পড়ব...
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৩
সময় হলে পড় , ধন্যবাদ , অভিনন্দন ।
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩
মিলন বনিক গল্পটা ভালো লাগেছে....পরে এডিট করে নিলে ভালো হত...শুভ কামনা....
ভালো লাগেনি ১৪ জানুয়ারী, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে র;ল প্রীতি ো শুভেচছা।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩
আহমেদ সাবের সুন্দর উপদেশমূলক গল্প। ফন্ট সমস্যার কারণে পড়তে একটু অসুবিধা হলেও গল্পটা মোটামুটি ভালো লেগেছে।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সাবের ভাই।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩
তাপসকিরণ রায় ফন্ট সমস্যা এতো যে চোখকে পীড়া দেয়।এ জন্যে গল্পটাও অনেকটা বাধিত হয়েছে।ভালো বক্তব্য সামনে রেখেছেন।ধন্যবাদ জানাই।
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৩
অভিনন্দন শুভেচছা ো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৩
এফ, আই , জুয়েল # সুন্দর ভাবে ঈর্ষার বিভিন্ন রুপ ফুটে উঠেছে । গল্পটা বেশ ভাল । লেখককে ধন্যবাদ ।।
ভালো লাগেনি ৭ জানুয়ারী, ২০১৩
ধন্যবাদ ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ৯ জানুয়ারী, ২০১৩
এশরার লতিফ বেশ লাগলো সামাজিক বৈষম্যের পটভূমিতে স্থাপিত বন্ধুত্বের ঈর্ষার গল্পটি .. ..ভুল ফন্টগুলো খুব পীড়া দিলো.....শুভেচ্ছা রইলো.
ভালো লাগেনি ৬ জানুয়ারী, ২০১৩
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগেনি ৯ জানুয়ারী, ২০১৩

২৮ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪