সবুজে ফেরা।

সবুজ (জুলাই ২০১২)

মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন
  • ২৫
  • 0
রিফ্রেসিং রুমের ইনলেটে পা পড়তেই ঘণ কুয়াশায় ঘিরে ধরল পিই৬৩১এম২৬৪৫৫৪এম.এইচ ওরফে ইমতিয়াজের ন্যুড শরীরটাকে। কুয়াশার ভিতর দিয়েই সামনের লাল আলোটাকে সবুজ হতে দেখেই ভিতরে পা বাড়াল। ওয়াস বেসিনের সামনে দেওয়ালের সাথে লাগানো টুথ ক্লিনার লেখা নলটার সামনে হাত পাততেই মেটে রঙ্গের একটা ছোট বড়ি তার হাতের তালুতে এসে পড়ল। সেটা সে মুখে পুরে ট্যাপের সামনে হাত রেখে একটু পানি নিয়ে মুখে দিল, তারপর মিশ্রণটাকে তার দাঁতের পরিচর্যার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাম দিকে এগিয়ে গিয়ে দেওয়ালের কাছে দাঁড় করিয়ে রাখা সিন্থেটিক লেদারে মোড়া চেয়ারটার কাছে গেল। সেটাতে বসে একটু নড়েচড়ে নিজের সাচ্ছন্দ ঠিক করে নিল। এবার হাতলের পাশের একটা স্টান্ডের উপরে রাখা আলট্রালাইট হেলমেটটা মাথায় পরে নিল। সেটার নিচের অংশটা গলার কাছে ঝুলে থাকল। চেয়ারের ডান হাতলের সামনের দিকে এমবেডেড বোতামের সারির একটা বোতামে আংগুলের একটু চাপ পড়তেই লেজারের অতি মিহি কম্পিউটার কণ্ট্রোল্ড রে তার চুল আর দাঁড়ির পরিচর্যা করতে শুরু করল। সে যদি এখন কিছু খাওয়াও শুরু কারে, তবুও এর কাজের কোন হেরফের হবেনা। সে মুখের ভিতরের মিশ্রণটাকে নাড়াচাড়া করে দাঁতের প্রতিটা অংশে পাঠিয়ে দিতে লাগল।

দুই মিনিট পরে অতি মৃদু পিং শব্দটা তাকে জানিয়ে দিল, সে এবার এখান থেকে উঠে যেতে পারে। মাথায় ঢাকনিটা সরিয়ে রেখে সে উঠে দাড়াল। মুখের দ্রবণটাকে বেসিনে ফেলে কুলি করে মুখ ধুয়ে নিল। বাম হাতের তালু গালে আর থুতনিতে বুলিয়ে মসৃণতা অনুভব করে নিল।

বিপরীত দিকের দেওয়ালের কাছে পানি ভরা একটা বাথটব। সেটার পায়ের দিকে মিটার খানেক দূরে আধা মিটার ব্যাসের ঘসা কাঁচেরমত গোলাকার কিছু একটা বসিয়ে রাখা হয়েছে। ইমতিয়াজ সেটার উপরে সোজা হয়ে দাঁডাল। তার হাত দুটো দেহের দুইপাশে ঝুলছে, কিন্তু একটু ফাঁক করে রাখা। মৃদু একটা গুঞ্জন শুরু হল, সে চোখ বন্ধ করল। তার পায়ের কাছ থেকে হালকা সবুজ একটা আলোর রেখা তাকে প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে উপরে উঠতে শুরু করে মাথায় গিয়ে শেষ হল। সে যেন একটা মমি। সে হালকাভাবে দুলতে শুরু করল। মিনিট দশেক পরে সে যেন আলোর বাঁধনটাকে ছিঁড়ে ফেলার জন্য হাত দুটোকে দুই পাশে বাড়িয়ে দিল। আলোটা যেভাবে উঠেছিল, সেভাবেই আবার তার পায়ের নিচে মিলিয়ে গেল। তার গোসল শেষ। বাথটবটা বয়স্ক পিই-বাসীদের অভ্যাসগত সাচ্ছন্দের জন্য রাখা হয়। সে সেটাতেও ঝাঁপ দিতে পারত, গোসল হত, কিন্তু এত নিঁখুত ভাবে নয়।

সে সেখান থেকে বের হল, এবার কোন কুয়াশা তাকে বাধা দিতে এলোনা। তার পিছনে এখন আর কোন দরজা নেই, শুধু আই লেবেল উচ্চতায় এক সে.মি. ব্যাসের দশ সে.মি. লম্বা তিনটে লাল আলোর রেখা দিয়ে আঁকা একটা ত্রিভুজ। সেটার কয়েক মিটার বামে সেটার প্রায় অর্ধেক একই রকমের আর একটা ত্রিভুজ। সেটার দিকে হাত বাড়াতেই সেখানে একটা ফাঁকার সৃষ্টি হয়ে একটা ওয়ারড্রোবের মুখ দেখা গেল। সেটার ভিতরে বেশ কয়েকটা গলা থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত ঢেকে ফেলা যায় এমন ধরণের সাদা আন্ডার ওয়ার, বেগুনি রঙ্গের ধাতব চকচকে মহাকাশচারীদের পোশাকেরমত পোশাক, হাই বুট আর নানান ধরণের কযেকটা হেড গিয়ার হুকে আটকে থেকে ঝুলছে। সে পোশাক আর বুট পরে একটা গিয়ার হাতে নিয়ে পিছন ফিরল।

একটা ডিমকে লম্বালম্বিভাবে দুই টুকরা করলে যেমন হয় তার ঘরটা অনেকটা সেই রকম। ছাদটা ঢালু হয়ে মেঝের সাথে মিশেছে। পঞ্চাশ বাই ত্রিশ মিটার ঘরটার মেঝে ছড়া বাকি সমস্ত অংশই হালকা বেগুনি রঙ্গের চকচকে ধাতব পদার্থ জাতীয় কিছু একটা দিয়ে যেন পালিশ করা হয়েছে, যার প্রতিটা বিন্দু থেকে আলো বিকিরিত হয়ে ঘরটাকে আলোকিত করে তুলছে, তবে আলোটা সাদা। মেঝের পুরোটাতে কয়েক সেন্টিমিটার লম্বা চুলেরমত সরু ধূসর রঙ্গের কার্বন কম্পাউন্ড ঘণ করে বুনে দেওয়া হয়েছে। শরীরে যে কোন অংশে সেগুলো বেড়ালের লোমের স্পর্শের অনুভুতি এনে দিতে পারে। আর এরা কার্বন ডাই অক্সাইডের অণু পাওয়া মাত্রই সেটাকে বিশ্লিষ্ট করে কার্বন পরমাণু নিজের দেহে আটকে রেখে অক্সিজেন ছেড়ে চলেছে।

ঘরটাতে কোন দরজা জানালা নেই, ...৫৪ এখন যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার পিছনের দেওয়ালে দুটো আর সামনের দেওয়ালে সমান দুরত্বের ব্যবধানে পরপর তিনটে লাল আলোর ত্রিভুজ। প্রস্তের দুই দিকেই একটা করে সবুজ ত্রিভুজ- এমারজেন্সি একজিট, যদিও এতবছর এখানে থাকার পরেও জরুরি প্রয়োজনের কারণে একবারের জন্যও তাকে এর কোনটাকে ব্যবহার করতে হয়নি।

বাম দিকের দেওয়াল থেকে পাঁচ মিটার দূরে মাঝামাঝি জায়গায় বিশাল একটা অর্ধ-গোলাকার টেবিল। এর একদিকে একগাদা এমবেডেড সুইচ আর কয়েকটা নব। সেদিকে দুটো সিন্থেটিক লেদারে মোড়া রিভলভিং চেয়ার। বিপরীত দিকে পাঁচটা এলসিডি মনিটর, মাঝেরটা বাকিগুলোর তুলনায় বিশাল। সেটার বামপাশের মনিটরটার প্রায় পুরোটা জুড়ে দেখা যাচ্ছে ধূসর রঙ্গের ইউ আকৃতির একটা ধাতব পাইপ যেন মাটি ফুঁড়ে উঠে আবার মাটিতে ঢুকে গেছে। তবে সেদুটো থেকে আপেক্ষাকৃত সরু দুটো পাইপ বিপরীত দিকে কিছুটা দূরে গিয়ে দুটো গম্বুজ আকৃতির ধাতব কিছু একটাতে ঢুকেছ। পাশের মনিটরে একটা ডায়াগ্রাম, যার নানান জায়গায় কয়েকটা লাল আর সবুজ বিন্দুরমত আলো মিটমিট করছে। এর পাশের মনিটরে একটা পাওয়ার হাউজের কন্ট্রোল রুম জাতীয় কিছু দেখা যাচ্ছে। সেখানে এই ঘরের মতই একটা টেবিলের সামনে একটা রিভলভিং চেয়ারে পা থেকে গলা পর্যন্ত সাদা পোশাক পরে একটা মানুষ হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে। টেবিলের পাশে পোস্ট অফিসের ডাক বাক্সের আকারের একটা রোবট তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেটার দুটো হাত আর উপরের দিকের দুটো লেন্স আর মুখের ফুটো না দেখলে অবশ্য সেটা আসলে কী, তা বোঝা যেত না। তবে হুবহু সেই একই ধরণের মিটার দেড়েক লম্বা আধামিটার ব্যাসের একটা রবোট এখানে দুই চেয়ারের মাঝখানে এদিকে পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে আছে।

সবচেয়ে বড় মনিটরটাতে চারভাগে চারটে ছবি দেখা যাচ্ছে- একেবারে ডানে তামাটে মাটির বিস্তার, তারপরে মোটামুটি ৪০ দিগ্রি এংগেলে বেঁকে যাওয়া একটা শুকনো খাল জাতীয় কিছু। খালটা আঁকাবাঁকা হলেও সেটার দুই পাড়ের ব্যবধান আগাগোড়া দারুণ রকমের সমান্তারল। প্রায় নিঁখুত অর্ধবৃত্তাকার দেহটাতে বালি আর নুড়ির উপরে অনিয়মিত দুরত্বে আর নানান আকারে সাদা সাদা প্রায় সচ্ছ গোলাকার ছাপ। তীরের আশে পাশে বিধঘূটে ভাবে মোচড় খাওয়া কয়েকটা গাছ। সেগুলোতে ডালপালা প্রচুর থাকলেও পাতা নেই বললেই চলে। আর পাতার রং সবুজ নয়, কালচে। পত্রহীন ডালপালার আংগুল্গুলো যেন আকাশকে খোঁচা মারার নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইমতিয়াজ টেবিলের কাছে গিয়ে হেড গিয়ারটা টেবিলের উপরে রেখে ডান দিকের চেয়ারে বসল। রোবটটা চাকায় ভর করে পিছিয়ে গেল, তারপরে টেবিলের একপাশে গিয়ে দাঁড়াল। ইমতিয়াজ একটা সুইচ স্পর্শ করল, মনিটরের লোকটা সোজা হয়ে বসল।
'বস?'
-'আর কয়েকটা ঘণ্টা,' ইমতিয়াজ বলল। -'ম্যাডাম এম-টুতে, ও কে একটা ম্যাসেজ দিয়েই আসছি।'
-'ম্যাডাম চাঁদে? তা আবার মঙ্গলের দুই নম্বরে? ওকে, বস।' লোকটা নড়ে চড়ে আরাম করে বসতে বসতে বলল। ইমতিয়াজ আর একটা সুইচে চাপ দিয়ে মুখটা একটু সামনে বাড়িয়ে দিল। পিইদের সাথে কাজ করার মজাই আলাদা, ইমতিয়াজ মনে মনে ভাবল। ডান হাতটা একটু ডানে সরিয়ে টেবিলের প্রান্তের দিকে লাগিয়ে রাখা ড্রয়ারগুলোর স্তম্ভের তৃতীয় ড্রয়ারের নবে আংগুল ছোয়াল, সেটা আধাহাত বের হয়ে এল। সেটার ভিতরে সিগারেটের প্যাকেটের আকারের এলুমিনিয়ামের কৌটা কয়েক সারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে দুই আংগুলে ধরে দুটো কৌটো বের করে টেবিলের উপরে রাখল।

-'রিজার্ভেশন ফর পিই৬৩১ইউ৩২৯০৫২২ডব্লু.এইচ,' সে বলল। -'প্রেজেন্টলি ইজ অন এম২।' সে পিছনে মাথা সরিয়ে আনল। মাইক্রোফোনে তিনবার পিকপিক শব্দ শোনা গেল। তারপর শোনা গেল, ‘আন্ডারস্টুড।'
সিগারেটের প্যাকেট খোলারমত করে সে আংগুলের চাপে উপরের বাক্সটা খুলল, তার ভিতরে দুই সারিতে আধুলির আকারের তিনটে সচ্ছ আর তিনটে খাঁকি রংগের ট্যাবলেট জোড়া আকারে সাজিয়ে রাখা আছে, সে এক জোড়া তুলে নিয়ে মুখে ভরে চুষতে শুরু করল। এক এক জোড়া এক এক বারের পানীয় আর আহার। এদের প্রতিটা অণুই দেহকোষ শোষণ করে ফেলে বলে মল মূত্র বা ঘাম, কিছুরই সৃষ্টি হয়না। জীবকোষ থেকে যে বর্জ্য বের হয়, রে-বাথ তার সমস্তটুকুই বের করে নিতে পারে।

সে কৌটাটা বন্ধ করে আউটফিটের জিপার টেনে দুটোকেই ইনার পকেটে রেখে দিয়ে জিপার লাগিয়ে দিল। কথা হোক বা না হোক, তাকে এখন দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সে চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করল। তার মনের চোখে ভেসে উঠল...।

...সে স্কুল থেকে ফিরে এসেছে বিশ মিনিট আগে। পদ্মানদীর পাড় ঘেসে ডানে বামে চলে যাওয়া বিশ মিটার চওড়া হাইওয়ে পঞ্চাশ মিটার দূরে তার বাড়ির পথের সামনে স্কুল বাস তাকে নামিয়ে দিয়েগেছে। বিশাল বিশাল গাড়িগুলোকে তার পিছনে ডানে বামে চলাচল করতে থাকা অবস্থায় সে হেটে গাছপালার সবুজে ঘিরে থাকা বাড়িতে এল। কাঠের গেটটা খুলে হাতঘড়ির দিকে তাকাল, ৪.৩৭। দুই মিনিট লেট।

-‘এলি, ইমু?’ সে তিন ধাপের সিঁড়ি বেয়ে বারাব্দায় উঠতেই তার দিকে তাকিয়ে তার মা বলল। -‘টেবিলে আছে, হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে নে।’ সে বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে আছে, কোলের উপরের ই-রিডারটা দুই হাত দিয়ে ধরে রেখেছে।
-‘কী পড়ছ মা?’ ইমু হাসতে হাসতে বলে উত্তরের অপেক্ষা না করেই ভিতরে ঢুকল। হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক, সুনীল গঙ্গোপধ্যায়, শরৎচন্দ্র, তারাশঙ্কর... মায়ের মুখে লাজুক হাসি। তার মানে আদিম যুগের উপন্যাস। মায়ের কাছে গল্প শুনেছে। নিজেও পড়ে দেখেছে, খারাপ লাগেনি কিন্তু ধৈর্য থাকেনা। সে টাচ পেনটা পঞ্চাশ সে.মি. মনিটরের পাশে রেখে পোশাক পাল্টে বাথরুমে ঢুকল। লেখা পড়ার ক্ষেত্রে এখন আর বই খাতা কলমের প্রয়োজন হয়না- না স্কুলে, না বাড়িতে।

ইমুর পাঁচ বাই সাত মিটার ঘরটাকে খুব একটা বড় বলা যাবেনা, কিন্তু সেটার সাথে বাথরুম আছে। এটার পিছন দিকে দুটো জানালা আর একটা দরজা, তারপরে পিছনের বারান্দা। দরজাটা বন্ধ, কিন্তু খোলা জানালার ভিতর দিয়ে সুন্দর একটা বাগান দেখা যাচ্ছে। বাগানের প্রায় মাঝখানে পাঁচ মিটার ব্যাসের বিশ মিটার উঁচু বাদামি স্তম্ভের উপরে তালপাখারমত ঢেউ তোলা সুর্মা রঙ্গের সোলার প্যানেল। এটা বাড়ির বিদ্যুৎ চাহিদার পুরোটা সামাল দিতে পারলেও স্তম্ভটার পনের মিটার উচ্চতায় আড়াই মিটার দৈর্ঘের দুই পাখা বিশিষ্ট হাই এফিসিয়েন্সি এয়ার পাওয়ার জেনারেটর ফিট করে রাখা হয়েছে। নদী থেকে আসা ফুরফুরে বাতাশে সেটা ঘুরে চলেছে। চার রুম, তিন বাথরুম আর স্টোর কিচেনসহ পুরো বাড়িটার মেঝের নিচের অংশ জুড়ে আছে হাইপাওয়ার লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির একটা স্তর।

বাগানের পরে বাড়িটাকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে বড়বড় গাছের একটা স্তর- আম জাম কাঠাল আর মেহগুনির দল। সেখানে কালচে হয়ে আসা ঘণ সবুজ থেকে শুরু করে ফ্যাকাশে হলদেটে সবুজের মাঝের সবগুল রং দেখিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তারপরে শুরু হয়েছে ফসলের মাঠ। হাইব্রিড ধান গম আর ভুট্টার বিশাল তেপান্তরের মাঝে দূরে দূরে সবুজের দ্বীপ দেখে বোঝা যাচ্ছে, সেগুলো এক একটা বাড়ি। এক তলা বা দোতলা, সবগুলো বাড়ির ছাদই করোগেটেট এসবেসটের...।


... বিপ বিপ শব্দে সে একেবারে বাম দিকের মনিটরের দিকে তাকাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যোগাযোগ সম্ভব নয় বার্তা। এই নিয়ে তিনবার তার যোগাযোগের চেষ্টা বিফল হল। তার বউ তার কাছে তিন বছর পরে এসেছিল ঠিক ছয় মাস আট দিন আগে। পাঁচ দিন ছিল, তারপর তাকে রওয়ানা দিতে হয়েছে মঙ্গলে। তার আগে তাকে চার বছর কাটাতে হয়েছে প্লুটো যাওয়া আসা আর থাকার জন্য। টেরাফরমিঙের (পৃথিবীর বাইরের কোন স্থানকে পৃথিবীরমত বাসযোগ্য করা) কাজে তাকে সারা সৌরজগত ঘুরে বেড়াতে হয়। টাইম ট্রাভেল বাস্তবে সম্ভব নয়- মত দেওয়ায় সেটার চিন্তা বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সেকেন্ডে সর্বোচ্চ বিশ কি.মি. গতিতে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এক মাসের বেশি দুরত্বের ক্ষেত্রে যেটা করা হচ্ছে- যাত্রীদেরকে রকেটের একটা সেলে লিকুইড নাইট্রজেনে ঠান্ডা করা একটা বিশেষ দ্রবণে রেখে তাদের সমস্ত জৈবিক কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রা শেষে তাদের আবার জাগিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে যত বছর থাকুকনা কেন, তাদের বযস এক সেকেন্ডও বাড়েনা।

তার এই পঁয়ষট্টি বছর বয়সেই প্রায় দুই হাজার বছরই কেটেছে ‘ঘুমিয়ে’। . . .২২ডব্লু, তার বউ এক সময় ছিল তার সহকর্মী। তাদের বিয়ে হয়েছে দু’শ বছর, কিন্তু সব মিলিয়ে বিশটা মাস তারা একসাথে কাটিয়েছে কি না সন্দেহ। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে, কিন্তু এজন্য দৈহিক মিলনের প্রয়োজন করেনা। পি.ই.এম.সি- প্লানেট আর্থ মেডিকেল কেয়ার দুইবার তাদের দুজনের কাছ থেকে মাংসের বিন্দু নিয়েছে। প্রতিবার এক বছর কয়েক দিন পরে মাস দুয়েকের একটা শিশু দেখানো হয়েছে, যা তাদের কারো মনে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এখন তারা সৌর জগতের নিরাপদ কোন একটা গ্রহে উপযুক্ত সম্পদ হবার জন্য বেড়ে উঠছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্পদ। তারা সবাই তাই। সম্পদ সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জ সবসময় তৎপর। তাদের সমস্ত চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে, তার বদলে তাদেরকে রাষ্ট্রপুঞ্জের হয়ে কাজ করে যেতে হচ্ছে। তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছা, আনন্দ বেদনা থাকতে পারবে, কিন্তু ব্যক্তিগত কোন সম্পদ নয়, এমন কি সন্তান হিসাবেও নয়।

আমোদ ফুর্তির জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করা আছে- কিন্তু সেটা হতে হবে মনে মনে আর একা একা। ঘরের অপর প্রান্তের কাছে মেটাল ফ্রেমের উপরে কম্বলেরমত পুরু চামড়ায় মোড়া ইজি চেয়ারে শুয়ে অথবা পাঁচ মিটার ব্যাসের দড়ি দিয়ে ঘেরা যে বৃত্তটা, সেখানে দাঁড়িয়ে বসে বা শুয়ে কমলা রঙ্গের হেড গিয়ারটা দিয়ে মাথা চোখ মুখ ঢেকে শুধু একটা বোতাম স্পর্শ করতে হবে। তারপরে চশমার আকারের কাঁচ দুটোতে আলো জ্বলে আপসনগুলো দৃশ্যমান হলেই চোখের ইশারায় যে কোন কমান্ড দিয়ে চোখ বন্ধ করলেই হবে। কোন ভিডিও গেম নয়, একেবারে বাস্তব অনুভূতি। এতে কোন রকমের কোন হস্তক্ষেপ হবেনা, কিন্তু ব্রেনে অতিরিক্ত চাপের বা ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিলে সাথে সাথেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেম ওভার হয়ে খেলোয়াড়কে পরিস্থিতি আনুযায়ী ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া অথবা সচেতন করে তোলা হবে। সে একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে রেখে হেড গিয়ারটা নিয়ে উঠে দাড়াল। এইমাত্র সে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে...।

...অক্ষ আর দ্রাঘিমা অংশ হিসাব করে পুরো পৃথিবীকে সমান ১,০০০ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১,০০০টা ইউনিয়ন, প্রতিটা স্থল অঞ্চলের ইউনিয়নে একজন করে গভর্নর, আর তারা সবাই একজন প্রেসিডেন্টের অধীন। দুই মেরু সমান দুটো বৃত্ত আকারে চিহ্নিত হয়েছে। চাঁদ আর পৃথিবীর পরস্পর আকর্ষণের নিরপেক্ষ বিন্দুতে একটা কৃত্রিম উপগ্রহে বিশাল ক্ষমতাশালী কয়েকটা কমপিউটারের একটা ক্লাউড যেন সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। যার মুখপাত্র হিসাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে সমান দুরত্বে থেকে ছয়টা কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরে চলেছে।

প্লানেট আর্থ, এই পৃথিবীর অরিজিনাল ইনহ্যাবিট্যান্ট মেল হিউম্যান- পিই...এম.এইচ।
শুধু পৃথিবী নয়, সারা বিশ্বের মানুষ (?) দেরকে একটা ইনডেক্সে শ্রেণিবদ্ধ করে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক শ’হাজার কোটি কি.মি.ব্যাসার্ধের মহাশূন্যের ছায়াপথ গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র সমস্ত কিছুকে সংখ্যা আর অক্ষর দিয়ে একটা করে নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে এখন আর ইমতিয়াজ নয়, সে একটা প্রতীকে পরিণত হয়েছে- পিই৬৩১ইউ৩২৬৪৫৫৪এম.এইচ। ব্যখ্যা করলে দাঁড়ায়- পৃথিবী গ্রহের ৬৩১ নম্বর ইউনিয়নের ৩২৬৪৫৫৪তম পুরুষ মানব। আগের কাজ থেকে সরিয়ে তাকে যে কাজের ভার দেওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে-পৃথিবীর ভিতরের গলিত স্তরকে স্পর্শ করে থাকা ইউ পাইপটার রক্ষনা বেক্ষন আর সেটার কাজ নিয়ন্ত্রণ করা। তার সহকারী ...৬২এম.এইচ, আর আটটা রোবট। সে স্কুল জীবনে জানত, পৃথিবীতে মানুষ আছে ৬০০ কোটি, আর এখন আছে প্রায় ২০০ কোটি, যার অর্ধেকের বেশি এখন বাইরে, হয়ত যাত্রা পথে ঘুমিয়ে ।

প্লাটি-টাঙ্গেস্টেন যৌগের বিশ মিটার ব্যাসের পাইপটার ভিতর দিয়ে অনবরত ভাবে গলিত লাভা প্রবাহিত হয়ে চলেছে, যা এমন একটা পাওয়ার হাউজকে শক্তি যুগিয়ে চলেছে যেটা এই ইউনিয়নের প্রায় নব্বুই শতাংশ বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে সক্ষম। এই পাইপের যৌগটা যথেষ্ট উত্তাপ সহ্য করতে পারে, কিন্তু এই লাভার উত্তাপ সহ্য করারমত কোন যৌগ এখনো আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। পাইপের ভিতরের প্রতিটা বিন্দু, সিলিকন টাইলস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, আর গলিত পদার্থটা যেন সরাসরি এর সংস্পর্শে না আসতে পারে সেজন্য পুরু ধরণের একটা ম্যাগনেটিক ফিল্ড লাভা আর পাইপের মাঝখানে কাজ করে চলেছে। প্রতিটা ইউনিয়নে একটা করে এই ধরণের পাওয়ার স্টেশন রয়েছে। পৃথিবীর ঘর বাড়ি ফ্যাক্টরি, বা ছাদ আছে এমন ধরণের যে কোন স্টাবলিশন্টের প্রতিটার ছাদ ...৫৪এম এর বাড়ির ছাদের মতই ঢালু। এর সমস্ত অংশটুকুতে হাই এফিসিয়েন্সি ফটো-ইলেকট্রিক সেল দিয়ে আচ্ছাদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ শক্তি সেখান থেকেই পাওয়া সম্ভব। অতিরিক্ত পাওয়ারের দরকার হলে ন্যাশনাল গ্রিড থেকে যে কোন সময় সাপ্লাই পাওয়া যেতে পারে। সেটা আসে আকাশ পথে, মাইক্রো ওয়েভের আকারে, কোন পরিবাহীর দরকার পড়েনা। পৃথিবীর আকাশে কোন পাখি উড়ে না, কাজেই এতে জীবনহানীর কোন সম্ভবনা নেই। যে কোন আকাশযান এটাকে এড়িয়ে যেতে পারে। স্থলচর কোন জীবিত প্রাণীকে কখনই বাইরে বের হতে দেওয়া হয়না। প্রতিটা ইউনিয়নে এক বা একাধিক এক হাজার বা তার কম বেশি বর্গ কিলোমিটার আয়তনের অভয়ারণ্য বানিয়ে রাখা হয়েছে, যার প্রতিটাই অর্ধ গোলাকার বাড়িগুলোরমত এমনভাবে ঢেকে রাখা হয়েছে যে বাইরের একফোঁটা বাতাশ এতে ঢুকতে পারেনা। বিজ্ঞানের উন্নতি আর আল্ট্রাসুপারলাইট ধাতব যৌগ আবিষ্কারের ফলে এটা করা সম্ভব হয়েছে। কৃত্রিম চাঁদ সূর্য, ঘড়ির কাঁটার সাথে তাল মিলিয়ে এদের আলো দিয়ে চলেছে। মেঘ বৃষ্টি বাতাশ সব কিছুই কৃত্রিম, কিন্তু নিঁখুত। ...৫৪এর ছোট বেলায়, প্রায় ২,০০০ বছর আগে, ২০৩৫ খ্রীষ্টাব্দের দিকে সে যে সমস্ত জংলা আর গৃহপালিত পশুপাখি দেখেছিল, তার প্রায় সবগুলোই একটাতে না হয় অন্যটাতে আছে। এগুলো কিন্তু কৃত্রিম নয়।

মানুষ এমনকি রাত্রেও যথাযথ প্রতিরোধমূলক আচ্ছাদনে নিজেকে না ঢেকে কখনই বাইরে বের হয়না। মানব সভ্যতার উন্নতি আর যুদ্ধ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের অংশটাকে ঘিরে থাকা ওজনের আচ্ছাদনটাকে একেবারে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে। আর সূর্যটা বুড়ো হয়ে গেলেও তার আল্ট্রাভায়লেট রে এখনো পৃথিবীর যে কোন প্রাণীকোষ ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারারমত তরুণ। খাদ্যের একমাত্র উৎস সমুদ্র- পানি, খাদ্য দুটোই বিশেষ প্রক্রিয়ায় ট্যাবলেট বানিয়ে মানুষকে গেলানো হচ্ছে। এতে বৈচিত্রের ইচ্ছা জাগলে গেমিং কনসোলের হেলমেট মাথায় পরে বড়ি চুঁষতে হবে...।

...একটা লাল ত্রিভুজের পঁচিশ সে.মি. দুরত্বে এসে দাঁড়াতেই দেওয়ালের একটা অংশ অর্ধ গোলাকার পর্দার মত তাকে ঘিরে রাখল। দশ সেকেন্ড পরে টিং করে একটা শব্দের সাথে দেওয়ালটা ফাঁক হয়ে পথ করে দিল। সামনেই তিন মিটার চওড়া, তিন মিটার উঁচু আর পাঁচ মিটার লম্বা একটা টানেল, সেটার আপর প্রান্তে দূরের খাল, গাছ আর আকাশের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে। ...৫৪ হেডগিয়ারটা মাথায় পরতে পরতে সামনে পা বাড়াল, পিছনের ফাটলটা বন্ধ হল।

টানেলটার প্রায় মাঝখানে ধাতব চকচকে উজ্জ্বল কমলা রঙ্গের কচ্ছপ আকৃতির কিছু একটা পড়ে আছে। আড়াই মিটার চওড়া তিন মিটার লম্বা আর সেটার মাঝখানের অংশটা দুই মিটারেরমত উঁচু, সেটার উপরের অংশের প্রায় সবটুকুই সচ্ছ প্লাস্টিকের। সে সেটার কাছে যেতেই সেটার ডান দিকের মাঝখানটা দুইপাশে সরে গিয়ে ভিতরে ঢোকার পথ করে দিল। ...৫৪ নিজেকে মুড়িয়ে সেটার ভিতরের দুটো আসনের একটাতে বসতেই সেটা আগেরমত জুড়ে গেল।

সিটবেল্ট বেধে নেওয়ার সাথে সাথেই মৃদু একটা গুঞ্জনধ্বণির সাথে ড্যাসবোর্ডের আলো জ্বলে উঠল। সেটার মাঝখানে ত্রিশ সে.মি. দৈর্ঘ প্রস্তের একটা এল.সি.ডি স্ক্রিন। সেটার উপরের দিকে সাতটা সুইচ, যার মাঝেরটা লাল। নিচের দিকে মাঝামাঝি টেনিস বলের আকারের একটা ট্রাকবল, আর তারপরেই মাথায় একটা পুসবটম সহ দশ সে.মি. জয়স্টিক, সেটার কয়েক সে.মি. বামেই থ্রটল। লাল সুইচটা টিপে দিতেই স্কিনে একটা রঙ্গিন ম্যাপের ছবি ফুটে উঠল। প্রায় মাঝখানে বিন্দুরমত একটা সবুজ আলো মিটমিট করছে আর তার নিচে লেখা ফুটে উঠেছে-পাওয়ার প্লান্ট। আর তার নিচে লেখা আটো। ...৫৪ জয়স্টিকটা মুঠোয় ধরে বটমটা বুড়ো আঙ্গুলে পুস করতেই যানটা মশৃণ ভাবে সামনে এগিয়ে যেতে শুরু করল। একটু পরেই সেটা মাটি থেকে পঞ্চাশ মিটার উপরে বাতাশে ভাসল।

সে একটা সুইচে চাপ দিতেই অটো লেখাটা বদলে ম্যানুয়াল হল। জয়স্টিকটা টেনে যানটাকে বেশ কিছুটা উপরে তুলে আনল। কালচে আকাশে ধূসর মেঘ, সেগুলোর সীমানায় তামাটে আলোর ঝলক।

বাম দিকে ভূমি ধীরেধীরে উঁচু হয়ে দুরের পাহাড়গুলোতে মিলিত হয়েছে। শুকনো খালটা সেদিকে এগিয়েছে। কালচে পাহাড়গুলোতে কালচে পাতাহীন গাছ। ডান দিকে বিশাল কাল পানির বিস্তার- সাগর। কোন জলযান নেই, তবে বিশাল বিশাল তেলের ড্রামের মত গোলাকার ধাতব কিছু জিনিস একে অপরের কাছ থেকে সমান দূরে থেকে ভাসছে।

তার সামনে কিছুটা ডান দিকে সাগর থেকে একটু দূরে তার যাওয়ার কথা, কিন্তু সে জয়স্টিকটা বাম দিকে মুচড়ে থ্রটলটা সামনে ঠেলে দিল। পাহাড়গুলো বিশাল হয়ে উঠতে শুরুকরল। স্কিনে মহাকাশ থেকে সঙ্কেত ভেসে এল, হোয়াট আর ইউ ডুইং? তিনটে স্যাটেলাইট থেকে সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কি.মি. গতিতে তিনটে গ্রিপিং বিম ছুটে এল তাকে পাহাড়ে আছড়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচানর জন্য, কিন্তু তারা শুধু সবুজ পাতায় ভরা ডালপালা স্পর্শ করতে পারল, যানটা সেখানে নেই...।

...সে কতক্ষণ অজ্ঞান অবস্থায় ছিল, জানেনা। ঘাঁসে ভরা একটা ঢালুতে তার যানটা সামান্য একটু কাত হয়ে পড়ে আছে। চারিদিকে ছোটবড় নানান রকমের গাছ। অভয়ারণ্য? কিন্তু দূরে দেখা যাচ্ছে বিশাল সবুজ ক্ষেতে মানুষজন কাজ করছে। ঘননীল আকাশে ছেঁড়াছেঁড়া সাদা মেঘ। তার যতদুর মনে পড়ে, পাহাড়টাকে আঘাত করার আগেই সে যেন একটা ঘণ কাল অন্ধকারের ভিতরে ঢুকে যায়, মুহূর্তেই যানটা গতি হারিয়ে একটা ঝরা পালকেরমত দুলতে দুলতে নিচে নামতে শুরু করে। তারপর আর কিছু নেই...।

...তার ঘুম পাচ্ছে, খুবই ঘুম পাচ্ছে। সে কাঁপা হাতে ঘাঁড়ে চেপে থাকা বোঝাটা নামিয়ে কোলের উপরে রেখে হেডরেস্টে মাথা ঠেকাল...।



আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী খুবই ভালো। চমৎকার লেখা।
ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
এফ, আই , জুয়েল # লেখার হাত ভাল । গল্পটাও মজাদার । এভাবেই লিখে যেতে হবে ।।= ধন্যবাদ ।।
.......পড়ার জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করে যাব।
মামুন ম. আজিজ সায়েন্স ফিকশন লিখছেন এ জন্য একটা বিশেষ ধন্যবাদ। ..সাইফাইকল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করে বলে আমার ধারনা। .....তবে বস বর্ননা গুলৈা একটু দীর্ঘ হয়ে উঠেছে...শুরুরু দিকে বিশেষ করে ..একটা কল্পনা যান্ত্রিকতাকে বর্ণনার আদল দিতে বেশি শব্দ গ্রহণ করায় পাঠক কিছুটা ধৈর্য্যহীন হয়ে পড়তে পারে.....পরিশেষে আবার সুন্দর একটা সাইফাই বুননের জন্য সাধূবাদ
.........আপনার কথা ঠিক। আপনাকে ধন্যবাদ।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম সায়েন্সফিকশনের যুগে খুবই সময়োপযোগী একটা লেখা । আসলে এখনকার যুগের ছেলেমেয়েরা এভাবেই কল্পণা করতে ভালবাসে । খুব ভাল উপজিব্য তাদের জন্য । এটির একটা হার্ড কপি আমার ছেলেকে দেবার জন্য রেখে দিলাম । তবে তার প্রিটেষ্ট পরীক্ষার পর দিব ভাবছি । অনেক ধন্যবাদ ।
..........অনেক খুশি করলেন। ধন্যবাদ।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ কাহিনী সুন্দর --- শব্দ চয়ন ও বাক্য বিন্যাস আরও সুন্দর । অভিনন্দন ।
.........আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
শাহ আকরাম রিয়াদ গল্প কবিতায় এই নিয়ে দুটি সাই ফাই পড়লাম। যদিও সাই ফাই এর প্রতি বরাবর আমার অনাগ্রহ। কারণ এগুলো কেমন যেন অদ্ভুত কল্পকাহিনী। তবে আপনার সাই ফাইটি ভাল হয়েছে। আমাদেরকে সবুজেই ফিরতে হয়। সবুজ ছাড়া আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস অচল। শুভকামনা রইল অনেক।
...........মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতিও শুভকামনা।
মিলন বনিক ওয়াহিদ ভাই..আমি সাই ফাই তেমন বুজিনা..কিন্তু কথামালাগুলোর গাথুনি আর বর্ণনাশৈলীর মুগ্ধতায় গল্পটা এতটা দীর্ঘ মনে হয়নি..পড়া শেষ করে বুজলাম অনেক বড় গল্প...আর এত ভালো লাগলো...অসাধারণ...অনেক শুভ কামনা....
..........ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
সিয়াম সোহানূর অদ্ভুদ ! ভাবনার রাজ্যটাকে নাড়া দিয়ে গেল । অনেক অনেক ধন্যবাদ ওয়াহিদ হোসেন ভাই।
...........ধরে নিচ্ছি ভালর দিকে, খুশি হলাম। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
সূর্য ওয়াহিদ ভাই আপনার সাই ফাইটা অনেক ভাল লাগলো। গল্পটা কিন্তু একটা উপন্যাসরে প্লাটফর্ম দাবী করে।
..........পড়েছেন বলে ধন্যবাদ আর ভাল লেগেছে এজন্য খুশি হলাম। উপন্যাস...গ.ক.র সমর্থন কতটা পাব?

০৪ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী