মাছ,দড়ি আর এক টুকরো আঁধার

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

দিলরুবা মিলি
  • ১৩
  • ২৭
মাছ
সপ্তম দিন
বিজলী চমকে উঠতেই সুলাইমান সাহেবের কালো মুখটা আরো কালো হয়ে গেলো । বাজারের ব্যাগটা হালকা । তার মানে আজকেও কুসুম ছাতা দিতে ভুলে গেছে । শুধু পানি দিয়েছে । গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি বড় বাজারে আসেননি । আজ অফিস থেকে ফিরেই আবার ছুটলেন বাজারে । মেয়েটা সাত দিন পর কাল মাছ খেতে পারবে । এ ক’দিন তিনি বাসার পাশের কাঁচা বাজার থেকেই সবজি আর ফল কিনেছেন। ডিম আর দুধ নিয়েছেন পাড়ার দোকান থেকে । মাছ একদম বন্ধ । মেয়ে খেতে পারবে না , তাহলে আর কার জন্য মাছ কিনবেন । তিনি দ্রুত মাছ বাজারের দিকে ছুটলেন । বিপদের সময় যা হয় ... জুতোটা ছিড়ে গেলো । কপাল ভালো , পথেই পেয়ে গেলেন শাকুর মুচিকে । মুচিকে নিজের ছেড়া জুতো সেলাই করতে দিয়ে , মুচির কাছ থেকে তার জুতো জোড়া নিয়ে ঢুকলেন মাছ বাজারে । প্রথমেই পেয়ে গেলেন মিফতার প্রিয় টেকচাঁদা মাছ । একে একে ছয় রকমের মাছ কিনলেন। ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে । শাকুর জুতো সেলাই করে রেখেছে । দু’হাত ভর্তি মাছ নিয়ে তিনি বাড়ির পথে চললেন । গত এক সপ্তাহে তাকে কেউ হাসতে দেখেনি । বাইরের লোকজন কেউ বুঝতেও পারছে না কি হয়েছে ।


ঘটনা ঘটেছে এক গোপন কুঠুরীতে । সেখানে শুরু হয়েছে রক্তপাত । সেই রক্তপাতে থমকে গেছে সুলাইমান সাহেবের এত দিনের সংসারের হাসি আনন্দ । গত সাত দিন কেউ হাসেনি , মিফতা অনবরত কেঁদেই গেছে । মিরান বোনের কান্না দেখে কিছু না বুঝেই কেঁদেছে , খেলতে যায়নি । আড়ালে চোখ মুছেছে কুসুম । সুলাইমান সাহেব কাঁদেননি । তিনি শেষ কবে কেঁদেছেন উনার নিজেরও মনে নেই । বোধ হয় ক্লাস ফোরে থাকার সময় । স্কুল থেকে ফিরে যেদিন দেখলেন তার মা তার জন্য ভাত নিয়ে অপেক্ষা করছে না বরং একটা সাদা কাপড়ে তাকে ঢেকে রাখা হয়েছে আর উনার বয়সি কিছু ছেলে মায়ের মাথার কাছে বসে কুরআন তিলাওয়াত করছে । টানা দু’দিন তিনি কেঁদেছিলেন , তারপর বড় ফুফু তাকে নিয়ে এসেছিলেন । সারা জীবন তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন কিন্তু কাঁদেননি । মিফতাকে যখন প্রথম দেখেছিলেন তখন তার মনে হয়েছিলো মা ছোটো হয়ে তার কোলে ফিরে এসেছে ।


একটু বৃষ্টিতেই গলিতে পানি ঢুকে গেছে । রিকশাওয়ালা যেতে চাইছে না । অন্য দিন হলে তিনি রিকশাওয়ালার সাথে গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করতেন কিন্তু আজ তা করলেননা । দু’হাতে মাছের ব্যাগ নিয়ে ছুটলেন ঘরের দিকে। আজ রাতেই মাছ রান্না হবে । কাল সকালে তার ছোট্ট মা মাছ খাবে । ঝোল দিয়ে মেখে হলুদ মাছ-ভাত খাবে। হাতটা হলুদ হয়ে যাবে । কার হাত বেশি হলুদ হয় তার প্রতিযোগিতা হবে । মেয়েটার হাত খুব হলুদ হয় আর মিরানেরটা একদম হয় না । মিরানের মন যেনো খারাপ না হয় তাই তিনি ইচ্ছে করে কম ঝোল নিয়ে ভাত খান। আর উনি ইচ্ছে করে লাড্ডাগুড্ডা হন ।



দড়ি
প্রথম দিন
কুসুমের রুমালটা আবার হারিয়ে গেছে । ভ্যাপসা গরমে ঘেমে নেয়ে বাজে অবস্থা । এই দোকানে আবার রুমাল ও নেই । দড়ির দোকানে রুমাল থাকে না একথা তো তার জানার কথাও না । জীবনেতো কোনদিন আসেননি এখানে। এই দোকান খুঁজে পেতে যে কি কষ্ট হয়েছে তার । রিকশাওয়ালাটা ভালো ছিলো । উনিই খুঁজে দিলেন দড়ির দোকান । দড়ি আবার নানা মাপের । কোনটা যে নিতে হবে তাও জানা নেই । মা বেঁচে থাকলে তাও হতো । তখন থেকে ছোট খালাকে ফোন করেই যাচ্ছেন । ছোট খালা ফোন ধরছে না । মাঝারি টাইপের পাটের দড়ি পছন্দ হলো। কিন্তু দোকানের লোকটা বলছে দড়ি নাকি সের দরে বিক্রি হয়। এক পোয়া কিনলেন। দড়ি নিয়ে উনি চলেছেন দা ধারানোর মানুষ খুঁজতে।



মিফতার আব্বুর উপর তার খুব রাগ হচ্ছে। বলেছিলেন দড়ি কিনতে । কিন্তু তিনি রাজি হলেন না। কুসংস্কার নাকি। মনে মনে গজগজ করতে থাকলেন রিকশায় বসেই , যদি একটু রাগ কমে । “ আরে আমার মা আমার জন্য করেছে । নানু করেছে মার জন্য । এটা কুসংস্কার না , এটা হল সংস্কার । আমাদের গ্রামে সব মেয়েদের জন্যই এগুলো করা হয় । খারাপটা কি হল আমার বা মায়ের ! তেমন তো কিছু না । একটা দড়ি তিন টুকরো করতে হবে। এক সমান হতে হবে । আর দা টা একটু ধারালো হতে হবে কারন একবারই কাটতে হবে সমান ভাবে । মা বেঁচে থাকলে উনিই করে দিতেন । দুইটা লুপ করে একসাথে দা তে ঢুকিয়ে এক টান । তাহলে মেয়ের আর বেশি কষ্ট হবে না । এমন একটা ভাব করছে মেয়েটা তার একার আর আমি সৎ মা । দশ মাস কষ্ট করলো কে ! তারপর এই ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে সংসার , স্কুল , ব্যাচ পড়ানোও ... সবইতো আমি করলাম । মেয়েটা ও হয়েছে একদম বাপের মত । আরে ! আমি কি তোর ক্ষতি করছি । বললাম যে , এই কয়দিন স্কুলে যেতে হবে না । ওমা ! কি রাগ , বাপ মেয়ের ! আমার সাথে কথাই বন্ধ করে দিলো । বললাম , মাছ ,মাংসটা এই ক’দিন না খেতে আর হলুদ ছাড়া তরকারি রাঁধবো । একেবারে চোখ পাকিয়ে তাকালো আমার দিকে । ইসস ! আমি যেনো কতো ভয় পাই ! সাতকাহনের দীপাবলীর মতো তো আর আমি করছি না । এগুলো করতে হবে । এই সময় মাছ খেলে আঁশটে গন্ধ হবে । তাই মাছ খেতে নিষেধ করছি । “


রিকশা থামতেই তার হুঁশ ফিরে এলো । দা ধারিয়ে আবার ছোট খালার বাসায় রওনা দিলেন । যদি আর কোন কিছু বাদ পড়ে যায় ! খালার কাছ থেকে ভালো করে জেনে নিতে হবে সব । দোকান থেকে ২০০ টাকার কার্ড ঢুকাতে ঢুকাতে আবার গজগজ করতে লাগলেন । “ সব আত্মীয়দের জানাতে হবে । নইলে আবার মাইন্ড করবে । মিফতার স্কুলে যেতে হবে । আজকাল তো কেউ আর এইসব মানে না । সব শিক্ষিত হয়ে গেছে । নিজের শেকড় আর সংস্কার ভুলে কি আর উন্নতি করতে পারবে ! এই জন্যইতো এই জাতীর উন্নতি হয় না । বিদেশীরা ভাল আর আমরা খারাপ । যত্তোসব । “ স্কুলের টিচার কে বলতে হবে জ্বর নইলে ছুটি দিবে না । কালকে আবার একটা ক্লাস টেস্ট আছে । কত্ত যে কাজ ! “


এক টুকরো আঁধার
এলো ঘরে সেদিন আজানও খুব সুন্দর লেগেছিলো । তখন ক্লাস ওয়ানে পড়তো । আজ ও আজান খুব ভালো লাগছে । তবে আজ কাছের মসজিদ থেকে আজানটা ভেসে আসছে । গত কয়েক রাত ও মিফতা আজান শুনেছে । তবে আজকের মত এত ভালো লাগে নি । আগে যেদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে যেতো সেদিন মার সাথে নামায পড়তো । কিন্তু মা বলেছে , এই সময় নাকি নামাজ পড়া যায়না । হুজুর খালামনি কেও আসতে নিষেধ করা হয়েছে । খালামনি পানিতে দোয়া পড়ে দিয়েছে । প্রতিদিন মাগরিবের সময় এক চুমুক করে পানি খেতে হয় ।

বাবা অযু করছেন । কাল রাতে বাবা অনেক মাছ এনেছিলেন । মা সব মাছ রান্না করেছন । আজকে সকালে রুটি না খায়ে সবাই মিলে ভাত খাবে । দুপুরে ছোট নানুর বাসায় দাওয়াত । মা বলেছে ছোট নানু নাকি খুব সুন্দর একটা জামা কিনেছে । রাতে আবার যেতে হবে কাকলী আপুদের বাসায় । আগামী কয়েক দিন সব আত্মীয়দের বাসায় যেতে হবে । নতুন জামা পেতে আর বেড়াতে যেতে ওর খুব ভালো লাগে । কিন্তু আজকে কেনো জানি যেতে ইচ্ছে করছেনা । প্রথম কয়েক দিন ওর খুব কান্না পেতো । স্কুলের ড্রেস নোংরা করেছিলো বলে মা প্রথম দিন খুব বকেছিলো । ও বুঝতে পারছিলো না ওর কি দোষ! মিফতা আসলে কিছুই বুঝতে পারছেনা । মা ওকে যা যা করতে বলেছে ও তাই করেছে ।

গত কয়েকদিন মা ওকে ঘরে বন্দী করে রেখেছে । এমনকি বারান্দায়ও যেতে দেয়নি । বারান্দাটা ওর অনেক প্রিয়। বারান্দায় একটা দোলনা আছে । আগে মিরান আর ও এক সাথে ঘুমাতো । তখন প্রায় ওদের ঝগড়া হতো কে ওই দোলনায় বসবে এই নিয়ে । ওদের পোষা ময়নাটা ও বারান্দায় থাকে । ওর নাম টমটম । এই কয়দিন মিরান মায়ের সাথে ঘুমাচ্ছে । আজ খুব বারান্দায় যেতে ইচ্ছে করছে । মা বলেছে, আজ সকাল থেকে ও আবার আগের জীবনে ফিরে যেতে পারবে । দরজা খুলে সাত দিন পর মিফতা বারান্দায় গেল । তারপর টমটমের দরজা খুলে ওকে আকাশে উড়িয়ে দিলো । গত কয়েক দিনে ও বুঝতে পেরেছে বন্দী থাকলে কেমন লাগে । হলদে অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশে পাখিটা উরে গেলো । কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেনি । কিছু দূর গিয়েই মুখ থুবড়ে পরেছে। অনেক দিন না উড়তে উড়তে কি ভাবে উড়তে হয় হয়তো ভুলে গেছে । মিফতার টমটমের জন্য একটুও খারাপ লাগছে না । ও ঠিক করেছে, আজ থেকে আর কখনো কাঁদবে না ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক ছোট ছোট বাক্য...গভীর এক আকর্ষণ....দড়ির ব্যাপারটা আমারও মাথায় আসছে না...খন্ড গল্প হিসাবে অসাধারণ বুনন...মুগ্ধ হয়েছি...
ekta dharona procolito ache jodi 1st time period er somoy ekta dori ek bare tin tukrO kora jay tobe bleeding kom hoy. golpo porar jonno onek dhonnobad.
অনেক ধন্যবাদ মিলি আপু...শেষ প্যারাটিতে এমন একটি চিন্তা আসলেও প্রচলিত ধারণার বাইরে ছিলাম...
মোঃ আক্তারুজ্জামান আমার খুব ভালো লাগলো- বর্ণনা ভঙ্গিতে মুগ্ধ হয়েছি। অফুরান শুভ কামনা রইল।
অনেক দিন পর লিখলাম। খানিক্টা নার্ভাস ও ছিলাম। আপনার কাছ থেকে পজেটিভ মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
রনীল N/A UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# ব্যস্ততার জন্য এ সংখ্যায় একদম আসতে পারিনি, প্ল্যান ছিল একটা ব্রেক নেব। জাস্ট আপনার গল্পের আকর্ষণে ফিরে আসলাম। গল্পের ফরম্যাটটা মজার। দড়ির ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি, আপাতত বুঝতে ও চাচ্ছিনা। ছোট ছোট বাক্যে একটা একটা করে ছবি একে এগিয়েছেন। আপনার অন্যান্য গল্পের তুলনায় সেরা বলবনা, আপনার লেখার অনন্য স্বাদ, স্টাইল এ মুগ্ধ হয়েছি। এছাড়া 'স্বপ্ন দহন' এর মিসহ্যাপ ওভারকাম করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ওয়েলকাম ব্যাক।
বুঝতে পারছিলাম অনেক ব্যস্ত। তাই আপ্নার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই গল্পটা আপনার হাল্কা ঝাড়ি না খেলে লেখা হত না। হাতে গোনা যে ক'জন মানুষ আমার লেখা পড়ে এবং গথন্মুলক সমালোচনা করে তাদের মধ্যে আপনি অন্যতম। কৃতজ্ঞতা। দড়ির ব্যাপারটা হল নোয়াখালির এক্তা গ্রামে এবং দেশের আর ও কিছু জায়গায় মানুষ বিশ্বাস করে যদি প্রথমবার period এর সময় যদি এক টা দড়িকে এক বারে তিন টুক্রো করা যায় তা হলে সারা জীবন bleeding কম হবে। কষ্ট কম হয়।অনেক দিন পর লেখার ফলে গল্পটা কিছু টা অগোছালো রয়ে গেলো। অনেক থ্যাংকস।
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর----চেতনা জাগানিয়া ও শিক্ষনীয় একটি চমৎকার গল্প । ধন্যবাদ ।।
গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
রওশন জাহান দিলরুবা মিলির কাছে আমার প্রত্যাশা একটু বেশিই। আগের প্রতিটি গল্প অসাধারন । কেন জানি এই গল্পটি আমার পরিপূর্ণ মনে হয়নি। ছোট গল্পে যে পরিণতি এবং চমক থাকে তা পাইনি। তবু ফিরে আসার জন্য এবং ব্যতিক্রম বিশয় বস্তুর একটা গল্প লেখার জন্য অনেক বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য ।
তাপসকিরণ রায় গল্পটি ভাল লাগল,নিপুণ হাতের সুন্দর পরিচ্ছন্ন লেখা।ধন্যবাদ।
এশরার লতিফ চমৎকার গল্প। ভালো লাগলো।
সালেহ মাহমুদ UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# বয়ঃসন্ধির অদ্ভূত সুন্দর গল্প। বেশ ভালো লাগলো দিলরুবা মিলি। ধন্যবাদ।
দিলরুবা মিলি "এক টুকরো আঁধার" এর প্রথম লাইন টা হবে "যেদিন প্রথম রঙ্গিন টিভি ঘরে এসেছিলো সেদিন আজানও খুব সুন্দর লেগেছিলো' ।
Lutful Bari Panna প্রথমে একটু ভয় ধরে গিয়েছিল। তারপর আসল ব্যাপারটা বোঝা গেল। গল্প খুব ভাল লাগল।

০১ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪