অর্থহীন আলাপন (কথোপকথন)

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১১)

পাঁচ হাজার
  • ৯৬
  • 0
অসহায় ছিন্নমূল মানুষগুলোর কাতরানো আখ্যান
দৈনতা তাদের নিত্য সহচর, জীর্ণ শীর্ণ দেহ-বেশ,
বলি তোমরা নতুন প্রজন্ম, গড়ো স্বপ্নের নতুন ধারা
তোমরা যদি প্রেমিক না হও গোল্লায় এ যাবে দেশ।

স্বপ্নের বীজ বোনা, আর দেয়া উপদেশের ফুলঝুড়ি
নিজের কম্মটা করুন না, জ্ঞানের বাগান গড়া ছাড়ি।
বায়ান্নের কথা শুনেছি ঢের, রফিক সফিক জব্বার
একাত্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, কেমন আছে তার পরিবার?

ভাষার জন্য দেশের তরে উৎসর্গিত তাদের জীবন
তারাতো চায়নি প্রতিদান- এই আত্মত্যাগের বিনিময়,
সম্মানের উঁঁচু আসনে রেখেছি তাদের, মাথার তাজ
কেয়ামত কালতক থাকবেন বেঁচে তারা- অমর, অক্ষয়।

হা হা হা হা, বেশতো- ভালই সম্মান দেখালেন কাকা
শহীদের সন্তান বাঁচলো! মরলো! হাড়িটা নেইতো ফাকা?
কখনো কী দেখেছেন ভেবে, কেমনে বেঁচে আছে তারা?
সদ্য বিবাহিত বিধবা বধু, সন্তান, যারা হয়েছে পিতৃ হারা।

তোমাদের বলাই মিছে বিন্দু ফোটাও নেই দেশপ্রেম
কত বড় শিল্প গড়েছি, পিচ ঢালা রাস্তা গিয়েছে গাঁয়ে,
মঙ্গা হটেছে, চাকুরী জুটেছে নারীদের- গার্মেন্টসগুলোয়
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখো এসব, সামনে ডানে-বায়ে।

আপনিও দেখুন না! সাংসদ মন্ত্রীর পেট বেড়েছে ঢের
পুলিশ, সেনারা- জনগন পেটায়, দিনরাত ধনীর সহচর,
দেশ তুলে দিলো ভারতের হাতে, করে চিৎকার চেচামেচি
অন্যরা বলে ভারত ভীষণ বন্ধু, মিথ্যেই ভুল বোঝাবুঝি।

এসব কবিতার কথা ছেড়ে পড়াশোনায় ভাল মন দাও
ডাক্তার, প্রকৌশলী হও, প্রেমিক হয়ে দেশটা গড়ে তোল,
উটপাখি হয়োনা, অন্যের বিপদে ঝাপিয়ে পড়তে শিখো
দেশের তরে জীবন দিতে প্রস্তুত থাক, অন্তরিন্দ্রিয় খোল।

ক'লক্ষ লোক যুদ্ধ করেছে, বাকিরা খিল দিয়ে বসেছিল ঘরে
মরেছে মুক্তির আপন মানুষ, আজ ঘাপটিবাজরা গাড়ীতে ঘোরে,
দেশটাকি শুধু তাদেরই দায়, যাদের বলি আমরা দেশপ্রেমিক
অন্যের কাধে বন্ধুক রেখে ফায়দা লুটা, হচ্ছে কতটা ঠিক?

দেশ শুধু নয় ভৌগলিক মাপকাঠি, প্রতিটি মানুষই দেশ
টেবিলের তলে টাকা দেয়া ছাড়া অফিস কর্ম হয় না শেষ,
কর্তন টেবিলে রোগীর গলায় কাঁচি ধরে থাকেন ডাক্তার
অসহায় নিরপরাধকে অপরাধী বানিয়ে দেন উকিল মোক্তার।

ছাত্র নেতারা আজ দল দল বলে সন্তানের বাপ হয়ে যায়
বুড়ো বয়সেও ছাত্র পরিচয়ে শুধু টেন্ডার বাজি করে খায়,
পুরো জাতি আজ ভুল পথে, ভুল ব্যাখ্যা হয় দেশপ্রেমিকের
এই শব্দে তাই গণজাগরণ নেই, কী প্রয়োজন এই শব্দের?

দেশ দেশ বলে জীবন দিল, বাপটা আমার বড়ই আহাম্মক
বেঁচে থেকে রাজনীতি করতো! হতে পারতো জ্ঞানীলোক।
যার বিপদ সেই আগে লাঠি ধরুক, আমি কাধে মিলাই কাধ
নিজের কাজটা নিজেই করি শতভাগ, দেশটা এগিয়ে যাক।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নিলাঞ্জনা নীল শেষ লাইন টা বেশি সুন্দর...........
পাঁচ হাজার আরিফুল হাসান , পড়ে শুভকামনা জানিয়েছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রইল।
পাঁচ হাজার আহমাদ মুকুল, ভাইজান ধন্যবাদ রইল আপনার জন্য।
আহমাদ মুকুল অনেক বক্তব্য। চিরায়ত তালমিলের কবিতা। সব মিলিয়ে দারুন!
হাবীবাহ নাসরীন কিন্তূ ভাই হাজারী, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা এই যে, মানূষ কখনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন করে না!
পাঁচ হাজার প্রজাপতি মন , সবাই যদি এমন করে ভাবে তাহলে অবশ্যই জাগরণ আসবে, শোষণহীন একটা সমাজ আমরা পাব ইনশাল্লাহ্। অনেক অনেক ধন্যবাদ কবিতা পড়ায়।
পাঁচ হাজার উম্মে হাবীবাহ নাসরীন, স্ত্রী গন্ধম খাওয়াইয়া বেহেশত্ থেকে নামিয়ে এনেছে, সহ্য করা হইছে। তাই বলে এখন কিল ও খাইতে হইব? হা হা হা। এখন তো দেখা যায় সমঅধিকারের জন্য পুরুষদের আন্দোলনের সময় চইলা আইছে আপা হা হা হা হা। তৈরি থাইকেন বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য।
প্রজাপতি মন ছাত্র নেতারা আজ দল দল বলে সন্তানের বাপ হয়ে যায় বুড়ো বয়সেও ছাত্র পরিচয়ে শুধু টেন্ডার বাজি করে খায়, পুরো জাতি আজ ভুল পথে, ভুল ব্যাখ্যা হয় দেশপ্রেমিকের এই শব্দে তাই গণজাগরণ নেই, কী প্রয়োজন এই শব্দের? এই কবিতা হৌক জাগরণের কবিতা। অনেক অনেক সুন্দর এক অসাধারণ সৃষ্টি। প্রিয়তে রেখে দিলাম। আর প্রাপ্যটাও দিয়ে গেলাম।
হাবীবাহ নাসরীন ভাই হাজারী, মানেন আর নাই মানেন, ছেলে হয়ে জন্মেছেন বউয়ের কিল তো খেতেই হবে.............হা...হা...হা....!

০৭ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪