আমার বাবা ......!

বাবা (জুন ২০১২)

রোদেলা শিশির (লাইজু মনি )
  • ৩০
  • ১৫
দাদু , একসংযমী মা । পাঁচ ছেলে-মেয়ের সবাই প্রতিষ্ঠিত কাতারের সদস্য । রত্নগর্ভা মাকে অযত্নের ছোঁয়া লাগতে দিতে নারাজ ছেলেরা সভ্য গ্রহের বাসিন্দা । স্মার্ট একজন মা নিজেকে সংযমের খাঁচায় তিলে তিলে নিঃশেষ করে বিন্দু বিন্দু আশার ঘর্মাক্ত শিশিরে গড়েছে সংসার সিন্ধু , যার তিলেক বিন্দু ও নিষ্প্রয়োজন এখন তার চাওয়ার তালিকায় । কেবল একটাই আশা , ছেলেরা যেন সন্তানের মত করে বৃদ্ধ মায়ের মাথায় রাখে নির্ভরতার হাত । ছেলেরা তার ...যান্ত্রিকতার ভিড়ে রোবট হয়ে যায়নি । তবু কারো গলগ্রহ হতে চরম আপত্তি সংযমী মায়ের । তার ইচ্ছের পাখিরা রঙ্গিন ডানা ঝেড়ে আর উড়তে চায় না বয়সের ধূসর আকাশে । দেখতে চায় না মেঘের রঙ । ছেলের মাথায় হাত রেখে মা আশীর্বাদের সুরে বলেন ... তোমরা যখন হাটি হাটি ...পা...পা...র , আধো ...আধো ... বোলে , চোখ পিট-পিট করা খল-খল হাসির ঝিলিক ছড়ানো শিশুটির মত আজো মা...মা... বলে এসে মুখর করে তোল আমার শূন্য ঘর , আমার এক রত্তি পৃথিবীর মলিন কষ্টগুলো যেন মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় আবছায় ।
দাদু বেঁচে নেই । চলে গেছেন স্থাবর , অস্থাবর সমস্ত অধিকারের শিকল কেটে অকস্মাৎ । দেয়ালে উঠেছে তার নিশ্চুপ হাসিমাখা ফটোগ্রাফ । চোখে চোখ পড়লেই বলেন , কিরে ... ভাল লাগে না ? চলে আয় আমার কাছে । মাটির শীতল ঘর , কোলাহলহীন । বিষাক্ত প্রাণের দুর্গন্ধ এখানে নেই , নেই হতাশা ; কান্নার উত্তাল বাতাসের ঢেউ , দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অদৃশ্য ভূত কারো মস্তিষ্ক করে না বিকল , ঘুম... আর... ঘুম ... ! তোর ভীষণ ঘুম প্রয়োজন । সবকিছু অবজ্ঞার হিমজলে ভাসিয়ে দিয়ে চলে আয় দাদু ...। আমার কাছে চলে আয়... । ভয়হীন নির্ভরতায় জ্বল-জ্বল করে আমার অনিমেষ চোখজোড়া ।
বাবার দিকে তাকালে মনে হয় , মা হারা অসহায় শিশুর আশ্রয়হীন উদ্বেগে উৎকণ্ঠিত বটের নড়বড়ে শিকড় যেন ঝড়ের আশংকায় কাতর । ইচ্ছে করে তার মায়ের মত মাথায় হাত রেখে বলি বাবা ... কে বলেছে তোমার মা নেই ? এই যে দ্যাখো ... মাটির মত পরম মমতাময়ী মা তোমার সামনে দাঁড়িয়ে । তোমার মায়ের চেয়ে এই মা অনেক বেশি চৌকস , আত্মনির্ভর আর সাহসী । বাবা হয়তো রসিকতা করে বলবেন , তুমি না আমার মায়ের লাঠি রক্ষক ছিলে ? কাঁচুমাচু করে বলব ..., তা না হয় ছিলাম । কিন্তু ...উত্তরাধিকার সূত্রে লাঠির কর্তৃত্বটা তো আমার উপরেই বর্তায় , তাই না ... ? বাবার সজল চোখ থেকে কেটে যাবে মেঘ । প্রভাতি সূর্যের আলোয় প্রাণ পাবে অক্ষয় বটের শিকড় । আর আমি ...... অপ্রাপ্তির শূন্যস্থানটুকু পূরণ করতে নির্দ্বিধায় পালন করে যাব এক ডিজিটাল মায়ের দায়িত্ব । কেমন হবে ... বলুন তো ?

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ উত্তরাধিকার আসে , উত্তরাধিকার রাখতে হয়---, অনেক অনেক ভাল লাগল । শুভকামনা অশেষ ।
সূর্য কাব্যময়তায় ঘেরা পুরোটাই, সুন্দর
সিয়াম সোহানূর বেশ সুন্দর কাব্যময় ছোট্ট গল্প। ভাল লাগলো খুব। শুভকামনা নিরন্তর।
এস.কে.দোয়েল খুব সুন্দর গল্প। ভালো লাগলো পরিসর।
রুহুল আমীন রাজু ' মা' নামেই সেরা..............আর যদি হয় ডিজিটাল মা ........ভালো লাগলো গল্পটি .আমার 'আলোয় অন্ধকার ' গল্পটি পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইলো .
তানি হক দারুন লিখেছেন আপুনি ...অনেক অনেক সুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই,,
মৃন্ময় মিজান বেশ ভাল। আরেকটি চমৎকার লেখা পড়লাম।
স্বাধীন বাহ্ চমৎকার উপস্থাপনা, আচ্ছা এত ভাবা ভাবির কি আছে, মেয়েটা আগে বলুকতো। এমনও তো হতে পারে নিশ্চুপ ফটোগ্রাফের সেই মা-কেই পেয়ে গেল বাবা মেয়ের সাজে....

০৩ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪