মুক্তি- আঁধার থেকে আলোয়

মুক্তির চেতনা (মার্চ ২০১২)

নিলাঞ্জনা নীল
  • ২২
"শ্রেয়া এই শ্রেয়া ওঠ কলেজ যাবি না?"

সকালের ঘুম টা বরাবরই খুব প্রিয় শ্রেয়ার৷ রাত জেগে পড়াশোনা করতে অভ্যস্ত শ্রেয়া সকালে একটু দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠে ৷ তাই খালা মনির ডাকে কিছুটা বিরক্তি নিয়েই উঠলো শ্রেয়া ৷ তবে ঘুম থেকে উঠে ঘড়ি দেখে বিরক্তি টা আর রইলোনা ৷ কারণ আজ একটু সকাল সকাল ই কলেজে যাওয়ার কথা ৷ আজ কলেজে জরুরি মিটিং ৷

শ্রেয়া কলেজে যে দলটির সাথে সময় কাটায় সেখানে ওরা সব মিলিয়ে ৭ জন বন্ধু বান্ধব, শ্রেয়া, যুথী, রনি রাতুল, চৈতি, সৌরভ ও মিথুন ৷ কলেজে ঢুকেই অল্প ক'দিনেই তারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেছে৷

তাদের এ দলটি কলেজের আর পাঁচটা দল থেকে একদম আলাদা ৷ বাকিরা যখন পড়াশোনার ফাঁকে অবসর সময়টা হই হুল্লোড় এর মাঝে কাটায় তখন তারা এ সময়টা কিছু কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে বেশি আগ্রহী ৷ এই আইডিয়াটা প্রথম আসে সৌরভের মাথায় ৷ আজ পরীক্ষা শেষে মিলিত হবার কারণ এটাই ৷ তাদের প্রথম প্রচেষ্টাকে সফল করার উদ্দেশ্যেই আজ তাদের মিলিত হওয়া৷

শ্রেয়া কলেজে এসে দেখল প্রায় সবাই উপস্থিত ৷ প্রথমেই শ্রেয়াকে দেরী করে আসার জন্য কিছু বকা হজম করতে হলো৷ তারপর সৌরভ বলতে শুরু করলো. "আমরা সবাই শিক্ষার কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে আজকে এই পর্যায়ে এসেছি। শিক্ষা গ্রহণের জন্য আজ আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধা ৷ কিন্তু আমাদের দেশে এখনো বেশির ভাগ মানুষ নিরক্ষর ৷ শিক্ষার আলোটুকু তাদের কাছে পৌঁছেনি দেখে তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ তাই আমাদের কাজ হবে যতটুকু সম্ভব এ কাজে এগিয়ে আসা ৷ সবাই সৌরভের কথার সাথে একমত পোষণ করলো ৷ মিথুন বলল "চল আজ থেকেই কাজে লেগে পড়ি"৷ সবাই সানন্দে রাজি হল ৷

ঠিক হল ক্লাস হবে চৈতিদের খোলা বারান্দায় ৷ প্রয়োজনীয় বই পত্র ও আনুষঙ্গিক জিনিস কেনার জন্য চাঁদা তোলা হবে ৷ ছাত্র ছাত্রী যোগাড়ের দায়িত্ব সবাই নিল যার যার এলাকায়৷

প্রথম দিকে কোনো বাবা মাই তাদের ছেলে মেয়েদের এ কাজে অংশ নিতে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না কারণ সবাই ছোটখাটো কাজ করে সংসারের কাজে লাগছে ৷ কিন্তু বোঝানোর ফলে সবাই প্রভাবিত হল এবং রাজি হল ৷

আস্তে আস্তে শুরু হয়ে গেল তাদের সাক্ষরতা অভিযান ৷ ছাত্র ছাত্রীরাও অল্প দিনেই পড়াশুনায় বেশ মজা পেয়ে গেল ৷

শ্রেয়া আজকাল প্রায়ই বাইরে একটি মেয়েকে উঁকি দিতে দেখে ৷ একদিন শ্রেয়া মেয়েটাকে কাছে ডেকে নিল ৷ দেখল মেয়েটি একটু খুড়িয়ে হাঁটছে। নাম জিজ্ঞেস করাতে বলল মিনা ৷ খোড়ানোর কারণ জিজ্ঞেস করাতে বলল ফুল বিক্রি করার সময় ধাক্কা লেগে এই অবস্থা হয় ৷ চৈতি বলল "লেখা পড়া শিখতে চাও" ? মিনা বলল "চাই" ৷ "তাহলে এস আমার সাথে, আজ তুমিও সাক্ষরতার দিকে পা বাড়ালে ৷

এত অল্প দিনের মাঝে তাদের চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরে সবাই খুব আনন্দিত ৷ সৌরভ মনে মনে বলল একমাত্র শিক্ষাই পারে সবাইকে বন্দী জীবনের আঁধার থেকে মুক্তি দিতে ৷ তাদের এই ছোট্ট উদ্যোগটাকে সফল হতে দেখে সবাই সমস্বরে বলে উঠলো "আমরাও পারি" ৷
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মৃন্ময় মিজান সুন্দর প্রয়াস। গল্পের বুননের দিকে আরেকটু খেয়াল রাখা দরকার। আশা করি ভবিষ্যতে আরো ভাল গল্প পাব আমরা।
শেখ একেএম জাকারিয়া ভালই লাগল গল্প খানা। তবে খুব ছোট। শুভকামনা।
Arup Kumar Barua শুভচেতনা | সাধুবাদযোগ্য ......
সুমননাহার (সুমি ) ছুটো গল্প বটে তবে কাজটি হছে অনেক বড় সবাই যদি ওদের পাশে এভাবে দরত তবে আর দুখ থাকতনা.
পাঁচ হাজার হ্যা ঠিকই বলেছেন "আমরাও পারি"। সুন্দর গল্প তবে আরো বিশদ হলে অনেক বেশি বেশি ভাল লাগত।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম খুবই পজিটিভ ভাবনা। ভাল লাগল ।
আহমেদ সাবের এ তো গল্পের শুরু হল - প্রথম সিঁড়ি। আর একটু এগুলেই মিলবে গল্পের সোনালী হরিণ। চমৎকার ঝরঝরে লেখা। তোমার হাতে কালজয়ী গল্প জন্ম নেবে বলে আমি আশাবাদী।
অম্লান অভি গল্প পড়লাম। সাত বন্ধুর তিনজন আমার ভাগ্না, চৈতি মামাত বোন, সৌরভ পাড়াত ভাতিজা। আপনার গল্পের জন্য রয়ে গেল ঘুম কাতুরে শ্রেয়া আর .......। গল্পের রেশ রাখলাম মনে কিন্তু আর একটু প্লিজ, আর একটু এবং আর একটু...............
মোঃ আক্তারুজ্জামান কম কথায় মুক্তির পথ দেখানো- ভালো লাগলো| শুভাশীষ রইল অনেক অনেক|

০২ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪