গড্ডলিকা প্রবাহে ভয়াস্ফালন

ভয় (এপ্রিল ২০১৫)

সেলিনা ইসলাম
  • ১৬
  • 0
  • ২০
এই প্রথম আমি এমন একটা অনুষ্ঠানে এলাম। এলাম বললে ভুল বলা হবে,আমাকে এক রকম জোর করেই নিয়ে এসেছে আমার অফিস কলিগ জারা। বয়সে মেয়েটা আমার মেয়ের থেকে বড় হলেও,কেন যেন আমি ওকে আমার মেয়ের মতই স্নেহ করি। অনেক সাহসী আর স্পষ্টভাষী ! প্রায় দুই বছর হল মেয়েটা আমাদের অফিসে কাজ করছে। আমার দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা বলে এমন মেয়ে সমাজে খুব কমই আছে! ওর সাথে আমি কোনদিন আমার নিজস্ব কোন কথা শেয়ার করিনি। আমি আসলে কাউকেই আমার কথা বলিনা। বরং আমি সবাইকে এড়িয়ে চলি। জারা আমাকে প্রায়ই ওর সাথে কথা বলতে বাধ্য করে। এমন এমন কথা বলে,আর অঙ্গভঙ্গি করে আমি কথা না বলে থাকতেই পারিনা! মেয়েটা এই দুই বছরে মনের খানিকটা জায়গা যে দখল করে নিয়েছে তা বেশ বুঝতে পারলেও,ওকে একেবারেই বুঝতে দেইনা। অনেকবার আমার বাসায় যেতে চেয়েছে। কিন্তু কীভাবে আমি আমার বাসায় নিয়ে যাব? কেমন করে ওকে দেখাবো এই অফিসে আমি ওর বস হলেও বাসায় আমি কতটা অসহায় আর অপ্রত্যাশিত!

একদিন বাসার কলিং বেল বেজে উঠতেই দরজা খুলে দেখি জারা! সব কয়টা দাঁত বের করে হেসে দাঁড়িয়ে আছে। এই হাসির অর্থ আমি জানি। সে আমাকে সারপ্রাইজ দিয়ে অনেক খুশি হয়েছে। কিন্তু আমি খুশি হতে পারিনি! মেয়েটা আমাকে পাশ কাটিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ল। এতটাই অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম যে কী করব ভেবে পেলাম না। দৌড়ে শোবার ঘরে ঢুকে সদ্য পাওয়া মুখের দাগটা মেকআপ দিয়ে ঢেকে নিলাম। একটা ভয় শিরশির করে পিঠের উপর থেকে গড়িয়ে নেমে গেল- মেয়েটা কী দেখেছে দাগটা? যদি কাল অফিসে সবাইকে বলে দেয়? যদি অফিসের সবাই আমাকে বাঁকা চোখে দেখে?
নানা কথা ভাবতে ভাবতে আমি বসার ঘরে এসে দেখি রাহুল হেসে হেসে মেয়েটার সাথে কথা বলছে! বুকের ভেতরটা আমার হিম হয়ে গেল অজানা আশঙ্কায়। রাহুলকে বেশ খুশি খুশি লাগছে।
-আপু আসেন এখানে বসেন! আঙ্কেল বলেছে উনাকে দাদা বলতে হবে! তাহলে তো আপনাকে আপু বলতে হয় তাইনা!?
আমি চমকে উঠলাম জারার কথায়! আপু! অতো আমাকে অ্যান্টি বলে ডাকে তাহলে আজকে আপু কেন বলল? ভীতরে ভীতরে আমি ঘেমে যাচ্ছি! আমি দেখতে পাচ্ছি রাহুল কীভাবে আমার সামনে জারার সাথে প্রথম পরিচয়েই কতটা ঘনিষ্ট হয়ে বেহায়াপনা করছে! দেখে মনে হচ্ছে অনেক দিনের পরিচয়! ওর কোন ব্যাপারে আমি প্রতিবাদ করতে পারিনা! আমার সবটুকু বাঁধা আমার একমাত্র সন্তান জিনিয়া। আমি চাইনা সে তার বাবার এই দিকটা সম্পর্কে জেনে একটা অঘটন ঘটাক। আমি চাইনা সে তার বাবাকে নিয়ে কষ্ট পাক,মন ছোট করে নিজের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঢেকে দিক! আর তাই জিনিয়াকে হোস্টেলে পাঠিয়েছি। বাসায় থাকলে সবকিছু তার জানা হয়ে যাবে এই ভয়ে বুকে পাথর বেঁধে ওকে আমি দূরে রেখেছি!
-আমি বরং আজ উঠি!
মেয়েটা কী আমার মনের চাপা ব্যথা বুঝতে পেরেছে? তাই কী সে চলে যাচ্ছে? রাহুল বেশ বিরক্ত হল ওর চলে যাবার কথা শুনে। বলল-
-আরে বসো না! বেশতো আড্ডা হচ্ছিলো!
-না আমাকে এখন যেতে হবে।
-সিম্মি ওকে বল না আরও কিছুক্ষণ বসতে!
দাঁতে দাঁত চেপে রাহুল কথাগুলো বলল। আমি কিছুটা ভয়ে ভয়েই বললাম-
- আমি বললে কী বসবে?
রাহুল আমার হাতটা এতো জোরে চেপে ধরেছে যে ব্যথা সহ্য করতে পারছি না। তবু ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে খুব কষ্টে বললাম
- জারা আর একটু বস...আমি রান্না করছি খেয়ে যেও!
মেয়েটা কী আমার মুখ দেখে কষ্টটা বুঝতে পেরেছে? জানিনা...! ও চলে গেল। বলে গেল আরেকদিন সময় নিয়ে এসে আমাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করবে। যাবার সময় আমাকে জড়িয়ে ধরল। নরম হাত দুটো আমার গাল ছুঁয়ে কী যেন অনুভব করতে চাইলো! ওর সে স্পর্শে আমার সারা শরীরের লোমগুলো খাঁড়া হয়ে গেল! আমার সমস্ত শরীরে ভূমিকম্পের মত কাঁপন শুরু হয়েছে! ওকি রাহুলের দুর্বলতাটা ধরে ফেলেছে? ও কী এই বাসায় আমার অবস্থান সম্পর্কে বুঝে নিয়েছে? অস্থির হয়ে কয়েক মুহূর্ত রইলাম।"ঠাস" করে একটা শব্দে আমার সম্বিত ফিরে এলো। দেখি বাম গালটা ঝাঁ ঝাঁ করে জ্বলছে!
-একটা মেয়েকে কীভাবে আপ্যায়ন করতে হয় সেইটাও তোমার বাপ মা শেখায়নি? আপদ কোথাকার...!
রাহুলের গর্জন শুনে এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। ঝরঝর করে গাল বেয়ে পানি পড়ে কাঁটা জায়গাটা ধুয়ে দিয়ে যাচ্ছে। চোখের নোনা জলে জ্বালা করছে! কিন্তু আমার মুছতে ইচ্ছে হচ্ছে না! খুব করে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে...। জারা মেয়েটার উপর ভীষণভাবে রাগ হল। এভাবে কেন এলো অসময়ে মেয়েটা? কী দরকার ছিল ঝড় জীবনে সুনামি আনার? একটা হাতের স্পর্শ কাঁধের কাছে পেতেই কে তা না দেখেই, আমি আঁচলে বাঁধা মেকআপের বাডলিটা বের করে মুখে ঘষতে থাকি...! "আহ...” ব্যথায় শব্দ করতেও ভয়,পাছে বুঝে যায় অন্যকেউ। মনে পড়ল জারা চলে গেছে দরজাটা দেয়া হয়নি। পিছন ফিরে দেখতেই আমি শক্ত হয়ে যাই...আতঙ্কে আমার চোখ দুটো জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে চায়! কাঁপা কাঁপা গলায় বলি-
-জারা তু...মি!
-সরি...! ব্যাগটা নিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
সোফা থেকে ব্যাগটা নিয়েই বাতাসের গতিতে বের হয়ে যায় সে।

শরীরটা খুব একটা ভাল না তবুও রাতের বেলা রাহুল আমাকে কুমিরের মত গিলে খায়! ও আমার সারা শরীরে যখন আদর করে,মনে হয় শরীর জুড়ে ঠাণ্ডা গিরগিটি নির্বিঘ্নে হেঁটে যাচ্ছে। ওর মুখের থেকে বের হওয়া শব্দগুলো মনে হয় কোন সাপের হিসহিস শব্দ! মাঝে মাঝে দাঁতের দংশনে রক্ত বের করে তৃপ্তি খুঁজে পায়! আমার সমস্ত অনুভূতিতে ভয় আর আতঙ্কের শিহরণ খেলে যায়! তারপর ক্লান্ত শরীর নিয়ে পরবর্তি অধ্যায়ের অপেক্ষা করি! এক সময় ফার্নিচারের দোকান থেকে অর্ডার দিয়ে বানানো লাঠিটা হাতে নিয়ে যখন আমার দিকে এগিয়ে আসে;আমি বিছানার এক কোনে বসে কুঁকড়ে যাই ! রুটিন মাফিক পাওয়া অত্যাচারটা না করে সে যে ঘুমাবে না তা আমি জানি। ওর ড্রিঙ্কে বরফ দিতে ভুলে গেছি ! আসলে ফ্রিজে বরফ নেই এই কথাটা বললে অনেক কথা শুনতে হত! তাই বলেছি বরফ দিতে ভুলে গেছি। অথচ আমার মনে আছে আমি সকালে অফিসে যাবার আগে রেফ্রিজারেটরে বরফ জমাতে পানি রেখেছিলাম। আমার শাশুড়ি যে ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করেছে তা জানলেও রাহুলকে বলতে পারিনি! ওকে বললে উল্টো আমাকেই অনেক কথা শুনতে হত "তোমার বাবা মা তোমাকে বড়দের দোষ ধরতে শিখিয়েছে? নিজের দোষ মুরুব্বীদের ঘাড়ে দিতে শিখিয়েছে না! ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ!” অথচ এই মা বাবাকে একবারও মুখ ফুটে বলতে পারিনি তাদের আদরের ধন কতটা কষ্টে আছে! হয়ত তারা আমার মুখ দেখে আমার আতঙ্কিত মন পড়ে নিয়েছে ! হয়ত আমার কষ্ট বেড়ে যাবার ভয়ে জিজ্ঞাসা করার সাহসটুকুও পাচ্ছে না! এই মা বাবা,স্বামী,সন্তান সামাজিকভাবে অসম্মান পায় যদি...! সেই ভয়ে ভীরু পাখির মত নিজেকে আড়াল করে দিন পার করছি! মুখ থেকে টুঁশব্দটিও করিনি তাই লাঠিটা আমার উপর দিয়ে দুইবার গেছে! আরও কয়েকবার যেত যদি আমি একটুও শব্দ করতাম। এক সময় ক্লান্ত হয়ে রাহুল গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। আর আমি বেদনা ভুলে সারারাত আতঙ্কে পার করি! অফিসে জারা কি সবাইকে বলে দেবে?

পরের দিন ভেবেছি অফিসে যাব না। কিন্তু ঘরে থাকার সাহস হয়নি...! তাই গেলাম। সেখানেও কারো চোখে চোখ রাখার সাহস হয়নি আমার। আজ এতোটা বছর পোশাক আর মেকআপের আড়ালে যে চিহ্ন ঢেকে রেখেছি তা যেন স্পষ্ট সবাই দেখতে পাচ্ছে! কেন যেন মনে হচ্ছে আমার গায়ে আজ কোন কাপড় নেই! ক্ষতগুলোতে কোন মেকআপ ফাউন্ডেসন নেই! লজ্জা আর ভয় আমাকে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে! ভাবছি আজ চাকুরীতে রিজাইনটা দিয়ে দেব। আমি রীতিমত ঘেমে যাচ্ছি...!
কিন্তু কী আশ্চর্য! জারা হাসি মুখে এসে আমাকে প্রতিদিনের মত "অ্যান্টি" বলে জড়িয়ে ধরল! যা দেখে আমি বুঝে নিলাম ও আসলে কাউকেই কিছু বলেনি! অফিস শেষে অনেকটা জোর করেই এখানে নিয়ে এসেছে!

এখানে এসে অনেক নারীর বক্তব্য শুনলাম। সবাই দেখি আমার মত! কেউ কেউ আমার চেয়েও বেশি ভীতু...! একসময় আমাকেও কিছু বলার জন্য বলা হল। কী বলব আমি? যা বলব তা কী বিশ্বাস যোগ্য! কেন বলব আমি? এখানে কিছু বলে আবার ঝামেলা হবে নাতো? কিন্তু অবাক হলাম আমি! পায়ে পায়ে কখন যে হেঁটে এসে নির্দিস্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করেছি ,নিজেও জানিনা!

আমার স্বামী রাহুল আগে এমনটা ছিল না। কত সুন্দর সুখের জীবন ছিল আমাদের। সুখ বড় খারাপ জিনিষ...একবার মনের উপর দিয়ে বয়ে গেলে তারপর শত চেষ্টায়ও কেবলই সেই সুখ পাবার আকুলতা! আমরা সুখদুঃখ,হাসি,আনন্দ খুঁজে বেড়াই অথচ তা আমাদের নাগালের বাইরে...আর মৃত্যু? মৃত্যু আমাদের কত কাছে অথচ ভুলে যাই তার কথা! মাঝে মাঝে মৃত্যুটাকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি...! জ্বলন্ত সিগারেটের আগুনের ছোঁয়া যখন,সারা অঙ্গটাতে অসহ্য জ্বালা ধরিয়ে দিত? অসহ্য যন্ত্রণা আর সামাজিকতার ভয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছি...! কিন্তু পারিনি...! তারপর থেকে আমি রাহুলের হাতে একটা সাদা চক দেখেও ভয়ে ফ্যাঁকাসে হয়ে যেতাম! ভয়ঙ্কর আনন্দ নিয়ে রাহুল দানবীয় সুখের খোঁজে নীচে নামতেও কার্পণ্য করে না! নীচে নামতে নামতে ভুলে গেছে সে কোথায় নেমে গেছে!

একসময় ব্যাংকের চাকুরীটা ছেড়ে,শেয়ার আর হুন্ডির ব্যবসার ভূত রাহুলের ঘাড়ে বেশ ভালোই আছর করেছিল! সেইসময়ে চাকুরীটা ছাড়ার ঘোর বিরোধিতা করেছিলাম আমি! একদিন যখন ভূতটা ওকে খাঁদের মাঝে ফেলে দিয়ে গেলো;তখন আর সে সেই খাঁদ থেকে কোমর সোজা করে উঠতে পারল না! ধীরে ধীরে সে লজ্ঝড় হয়ে গেল আর আমি গৃহিণী থেকে হয়ে গেলাম চাকুরীজীবী। আমার টাকায় কোনরকমে সংসার চললেও রাহুলের কাছে এর কোন মূল্য নেই! ওর ধারণা প্রাইভেট কোম্পানিতে যেসব মেয়েরা কাজ করে তারা মালিককে কাজ পাইয়ে দিতে সব ধরনের কাজ করে! আমাকেও সেই সব মেয়েদের একজন ভেবে ম্যাকে সাথে নিয়ে চাকুরী ছাড়তে উঠে পড়ে লেগে গেল। কিন্তু চাকুরী তো আমি করি? আমি জানি আমি কি করি এবং কত সম্মান পাই! জীবনে রাহুলের সব কথা মেনে নিলেও,সব অত্যাচার সহ্য করলেও এই কথাটা মেনে নিতে পারিনি। নারীরা কাজ করলে হয় চরিত্রহীনা এ কোন যুক্তি! এই যুক্তির কাছে আমি হার মেনে নিতে পারিনি! দিনে দিনে সংসারে অভাব যত বেড়েছে সব দায়ভার যেন আমার এমন ভেবে আমার প্রতি পীড়নও তত বেড়েছে। সব হারানোর ডরে ধুঁকে ধুঁকে জীবন বয়ে নিয়ে চলেছি মেয়েটার জীবনের আলোর ফোয়ারা দেখার আশায়! ওর জীবনের নিরাপত্তার আশায়।

রাহুলকে যে কোনদিন কিছু বলিনি তা কিন্তু নয়। প্রথম প্রথম যখনই প্রতিবাদ করতাম ওর স্পষ্ট জবাব ছিল"শোকর কর তোমার বিছানায় কাউকে এনে এখনও তুলিনি!"ঘৃণায় নিজেকে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে হত। মনে হত নিজের শরীরটাকে টুকরো টুকরো করে দেই। কিন্তু পারিনি...! কচি দুটো হাত যখন আমার চোখের পানি মুছে দিত,আমার মনটা তখন কঠিন থেকে আরও কঠিন হত! ওকে নিয়ে একটা অজানা ভয় আমাকে আরও শক্ত হতে বাধ্য করত।

আজ আমি স্রোতের ভেলায় কথার ঢেউ তুলেছি...! কিন্তু কথা শেষ না হতেই জারা এসে আমার হাত দুটো ধরে বলল- "অ্যান্টি...যে মেয়ের ভবিষ্যৎ দেখার আশায় ভয়কে বুকে পুষে রেখে সব অত্যাচার সহ্য করছেন! সেই একই ভয় যদি আপনার মেয়ে বুকে পুষে রেখে অত্যাচার সহ্য করে? তাহলে কী আপনি ভালো থাকবেন?”
- ওকে আমি অনেক শিক্ষিত আর স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলবো! ওর স্বামী ওকে...
আমার গলা শুকিয়ে আসছে! আমি তো এভাবে ভেবে দেখিনি! আমি কথা বলতে পারছি না! জারা আমাকে একটা ঝাঁকি দিয়ে বলল-
- আপনিও শিক্ষিত...! ভাল চাকুরী করছেন। তাহলে আপনি...!
আমি আর কোন কথা শুনতে পাচ্ছিনা...! ওর কথাটায় মনে হল ছন্দপতন হয়েছে ! জীবনের ছন্দপতন,আতঙ্কের ছন্দপতন! আমি যদি প্রতিবাদ না করি ভয়কে প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে ভয়ঙ্কর করে তুলি স্বামীকে,তাহলে আমার মেয়ে কেমন করে শিখবে প্রতিবাদ কীভাবে করতে হয়!? আমার মত জীবন আমার মেয়েরও হবে? ভুল করেছি সেই ভয়ে শিথিল হয়ে আসে সমস্ত অনুভূতি...শতগুণ বেশি ভয়ে আমি নীল হয়ে তলিয়ে যাচ্ছি... তলিয়ে যাচ্ছি গাঢ়,ঘন অন্ধকারে...!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফরহাদ সিকদার সুজন ভালো না লাগার উপায় খোঁজে পেলাম না। শুভ কামনা রইলো, আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) ভাল গল্প , আম্র বেশ ভাল লেগেছে... গল্পের নীতিকথা বেশ সময় উপযোগী । অনেক শুভ কামনা আপু ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।
জুন বাস্তবতার প্রতিফিলন ঘটেছে।ভলো লাগলো খুব।শুভ কামনা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।
সোহানুজ্জামান মেহরান অনেক অনেক শুভ কামনা,খুবই ভাল গল্প,ভোট রেখে গেলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।
Fahmida Bari Bipu গল্পটা পড়ে চুপ করে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ। আমাদের আশেপাশে এই চিত্রগুলো খুব বিরল নয়। সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে অনেক শিক্ষিত, স্বাবলম্বী মেয়েও বাধ্য হয় এই পৈশাচিকতা মেনে নিতে। ভাগ্যিস জারার মত মেয়েরা থাকে। আপনার লেখনী ভালো লাগল। শুভকামনা জানবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।
ONIRUDDHO BULBUL সমাজেরই বাস্তব চিত্র, নারীর মনের কথাগুলোই তুলে ধরেছেন। অনেক ভাললাগা, ভোট ও শুভ কামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো একটি লেখা ।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল
নাসরিন চৌধুরী গতকাল রাতে শুয়ে শুয়ে মোবাইল থেকে আপনার গল্পটি পড়েছিলাম। মন্তব্য লিখতে ঝামেলা হচ্ছিল তাই ভাবলাম আজ দেব। পুরো গল্পটাই দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার গল্পগুলোতে ম্যাসেজ থাকে যেটা একটা প্লাস পয়েন্ট। আর অনেক নারীর মনের কথাগুলোই আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে--আমাদের সমাজেরই বাস্তব চিত্র এঁকেছেন। ----আশ্চর্যবোধক চিহ্ন নিয়ে বলছিলাম মানে এর ব্যবহারটা আরো কমিয়ে আনলে আরো ভাল লাগত কিন্তু লেখা নিয়ে আমার কোন সমালোচনা নাই কারন আপনি লেখাটা সত্যিই বেশ ভাল লিখেছেন। শুভকামনা আপু--ভোট থাকল
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু পরামর্শ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আর হ্যাঁ অঙ্কুর ফন্টে বানান ঠিক করে প্রকাশ করলেও দেখছি সমস্যা হচ্ছে ! অনেক ভালো থেক নিরন্তর শুভকামনা।
ফারুক নুর ভালো লেখা । শুভকামনা রইলো
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।
জুয়েল চৌধুরী ভাল লেখনী, ভোট ও শুভ কামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সতত শুভকামনা রইল।

২৭ মে - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪