দায়বদ্ধ ক্ষুদা

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

সেলিনা ইসলাম
  • ৫৮
  • 0
  • ২৫
সবুজ শ্যামল অপরূপ শোভা বর্ধিত, সৌন্দর্য মন্ডিত আমাদের গ্রাম বাংলা । এ আমাদের জন্মভুমির সব চেয়ে বড় ও গর্বিত পাওয়া । আর তাইতো আমাদের শহরমুখি মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে মিশে আছে এই গ্রামাঞ্চলের প্রাণ । শহরের মানুষকে সর্বত ভাবে বাঁচিয়ে রাখে এই গ্রামেরই মানুষের রক্ত পানি করা ফসল এবং চাহিদানুযায়ী জীবনের সব উপকরণ । শহরের মানুষগুলোর সব চাহিদা যারা প্রতিনিয়ত পূরণ করে আসছে , সত্যিকার অর্থে তাদের জন্য চিন্তা করার কেউ নেই । তাদের ঘরে দুবেলা দুমুঠো খাবার নেই , নেই পরিধেয় বস্ত্র । ন্যায্য পাওনা সহ সব রকম সাহায্য সহযোগীতায় গ্রামের মানুষগুলো অবহেলিত নিঃসন্দেহে । নদী ভাঙ্গন ছাড়াও প্রকৃতির তান্ডবে অভাব অনটন গ্রামের মানুষকে আলোর পথ থেকে বঞ্চিত করছে প্রতিনিয়ত । তবুও আত্বগরীমায় তাঁরা সব সময় থাকে গর্বিত । অশিক্ষিত সহজ সরল মানুষগুলো জীবদ্দশায় সৎ পথে থেকে কিছু করে সংসারের ঘানি ঠিকই টেনে নিয়ে গেছে অবলীলায় । আমাদের সমাজের সব শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে - এই গ্রামের মানুষগুলো যদি সুস্থ না থাকে তাহলে দেশের মানুষের কষ্টের সীমা থাকবে না ।গ্রামের মানুষ বাঁচলে গ্রাম বাঁচবে আর গ্রাম বাঁচলে শহরের মানুষ বাঁচবে , আর গ্রাম ও শহরের মানুষ বাঁচলে, সারা দেশ বাঁচবে । শহরের মানুষেরও কিছুটা হলেও দায়িত্ব আছে , আছে অপরিশোধিত ঋন এই মানুষগুলির প্রতি । অথচ আমরা এই দায়বদ্ধতা থেকে কখনও কি ক্ষনিকের তরে এই সহজ-সরল মানুষদের কথা একবারের জন্য হলেও ভেবেছি কি? বা ভাবার মত মন মানসিকতার অধিকারী আমরা হয়েছি কি ? গ্রামের উন্নতির লক্ষ্যে যা যা করণীয় তা নিয়ে কোন ভাবনা চিন্তা বা পরিকল্পনা না আছে সমাজের না আছে সরকারের । শহরে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় । বাজারের মালামালের মুল্য যেন বৃদ্ধি না পায়, তার জন্য চাই যাতায়াত সুবিধা আর তাই চাই নদীতে ব্রিজ । কিন্তু এতে লাভ অবশ্যই আছে তবে ক্ষতির দিকটাও যে আছে তা একবারও কেউ ভেবে দেখেনি । অনেকেই আছেন এই গ্রামের মানুষদেরকে
উপজীব্য করে আকাশচুম্বী সাফাল্য পেলেও এই গ্রামাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের কোন রকম পরিবর্তন করেনি । স্বর্গীয় রশ্নি এই অবলম্বিত মানুষদের ঘরে সুখের দীপশিখা নিয়ে কখনই আসে না ! এমনই ক্ষতিগ্রস্থ ও সহায় সম্বলহীন মানুষের গল্প "দায়বদ্ধ ক্ষুদা" !

“আমি না হয় মানুষের খাবারের উচ্ছিষ্ঠ খাই জানোয়ার বলে , কিন্তু তোরা তো মানুষ - তোরা কেন ভাগ বসাতে গেলি ? তাইত আমি কেঁউ কেঁউ করতেই শালার বেটা বাবুর্চির চামচাটা টের পেয়ে গেল ।” সামনে বসা কুকুরটা যেন বার বার ব্যাথার সুরে ময়নার দিকে তাকিয়ে এই কথাগুলো বলছে ।

ময়নার কোলে দুই বছরের উলঙ্গ ভাই , পাশে বসা দুই বোন , পাঁচ বছরের ফজিলা আর চার বছরের সকিনা । ওর নিজের বয়স সাত বছর । আজ সোনাপুর গ্রামের উদাসী হাওয়া বিরিয়ানী আর মজার মজার খাবারের সুগন্ধে ভারী হয়ে , এই গ্রামের ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে । ময়নাদের বাড়ীতে আজ দুইদিন হাড়ি চলেনা চুলায়, জ্বলে না আগুন উনুনে । ক্ষুধার কষ্টে যে আগুন দাউ দাউ করে পেটের ভীতরে জ্বলে সে ক্ষুধার আগুনের লেলিহান শিখা , তা যে পানিতেও নেভে না !! মাতবরের বাড়ীর তৃ-সীমানায় সহজে কেউ আসতে পারে না কোনদিন । কিন্তু এই সর্বনাশা খাবারের সুস্বাদু ঘ্রাণ চুম্বকেরমত টেনে এনেছে সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে । চারিদিকে মানুষের হৈ- হুল্লোড় আর আনন্দের বন্যা । রঙবেরঙ্গের কাগজের ফুল আর প্যান্ডেল দিয়ে সমস্ত বাড়ী সুন্দর করে সাজানো হয়েছে । সবাই চেয়ার টেবিলে বসে কত রকম খাবার খাচ্ছে । দুরে দাঁড়িয়ে ময়না ভাইবোনদেরকে নিয়ে আল্লাহকে ডাকছে-
"হে আল্লাহ একটু খাবার যেন প্লেটে কেউ রাখে !”

আল্লাহ ওর কথা শুনেছেও ! কিন্তু চাবানো হাড্ডীগুলো কুকুরটাকে দিয়ে খাবারগুলো একটা বড় পাত্রে জমা করছে বাবুর্চির চামচা । এমন সুন্দর ঘ্রান যে খাবারের সে খাবার যে বেহেস্তের , তা একবার না খেলে এই জীবনই বৃথা । ভাততো খেতে পারবে না এই ভেবে ছোট বোনটা যেইনা কুকুরের সামনে থেকে একটা হাড্ডি নিতে গেল অমনি কুকুরটা ভাগে কম পড়ে যাবার যাতনায় দিল চিৎকার । ব্যাস, চামচা এসে হাতের লাঠি দিয়ে কুকুরকে দিল এক বাড়ি । ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হল সামনের পা থেকে । কুকুরটা রাগে আর আক্রোশে কেঁউ কেঁউ করতে করতে সরে গেল আর ময়নাসহ সবাইকে কোমরে দড়ি দিয়ে একসাথে বেঁধে রাখল কড়া রোদের মধ্যে । কত আকুতি মিনতী কোনটায় কাজে লাগল না । গরু বাঁধার দড়িতে বেঁধে রাখে চারজনকে আর তাদেরই সামনে ভাঙ্গা পায়ের উপর মুখ রেখে কু কু শব্দে কেঁদে চলে কুকুরটি ।

প্রিন্স আকাশ মাহমুদ । আমেরিকার একটা নামী ইউনিভার্সিটিতে ফটোগ্রাফির শেষ বর্ষের ছাত্র । ছবি তোলা তার সখ এবং নেশা । বলা যায় সে ছবি তোলার ক্ষুধায় ক্ষুধার্ত থাকে সব সময় । ইউনিভার্সিটিরই একটা প্রজেক্টের জন্য তার মনের মত কিছু ছবি চাই-ই চাই । আর তাই নিজের দেশকেই সে বেছে নেয় এই গর্বিত কাজের জন্য । চলে আসে দীর্ঘ দশ বছর পরে নিজের মাতৃভুমির কোলে । বন্ধু সুমনকে নিয়ে ছুটে আসে এই সোনাপুর গ্রামে । মনে মনে ভাবে যদি কিছু ভাল , মনের মত ছবি তোলা যায় তাহলে জীবনের একটা সুপ্ত বাসনা যা এখন মনের কোণে না পাওয়া যন্ত্রণায় পরিনত হয়েছে সেই ছবির প্রদর্শনীও তাকে তার খ্যাতি এনে দিতে পারে অবলীলাক্রমে ।

সন্দর পরিপাটি করে সাজানো বিয়ে বাড়ীটা দেখেই আকাশ ঢুকে পড়ে বাড়ীর ভীতরে । প্রথমেই নজর কাড়ে ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে দড়ি দিয়ে বাঁধা আর তারই পাশে কুকুরের কাতর চাহনী । আকাশের দামী ক্যামেরা ক্লিক ক্লিক শব্দে কাঁপিয়ে তোলে বুভুক্ষার প্রাণ । ফ্ল্যাশ লাইটের আলোর ঝলকানিতে বিদ্যুৎ চমকায় , শিহরিত হয় অবুঝ শিশু । ছুটে আসে সেই বাবুর্চিরই চামচা । সে ধারনা করে প্রিন্স আকাশ মাহমুদ একজন সাংবাদিক আর তাই কিছুটা ভয় পেয়ে যায় । কিন্তু আকাশ তাকে আসস্থ করে যে তারা ঢাকা থেকে এসেছে এই গ্রামের কিছু ছবি তুলতে । লোকটা এবার যেন জোর পায় ,বলে -
"আরে ভাই বের হন ! মাতবর সাহেব দেখলে আমারে বকা দেবে । যান তো ঝামেলা করবেন না " কিছুটা রাগ ঝরে পড়ে কথার মাঝে ।
আকাশ তবুও হাসে, একশত টাকার একটা নোট গুজে দেয় লোকটার লুঙ্গির ভীতরে আর বলে এদের কেন বেঁধে রেখেছেন ? সব শুনে আকাশের মাথায় বুদ্ধি খেলে যায় ।সে আরও একটা নোট লোকটাকে ধরিয়ে দিয়ে বলে উচ্ছিষ্ঠ খাবারের পাত্রটি ওদের সামনে আনতে , লোকটি তাই করে । খাবার আনতে দেখে ময়নার ভাইবোন হাত বাড়িয়ে দেয় । ভাবে এখুনি বুঝি একটু খেতে পাবে । কিন্তু না এবার ওদের কোমর বাঁধা হয় দড়ির এক মাথায় আর এক মাথায় বাঁধা হয় কুকুরটি । কুকুরটি দাঁড়াতে পারেনা , খুব কষ্টে একটা পা উঁচু করেই দাঁড়ায় । এবার সবার সামনে রাখা হয় খাবারের পাত্রটি। ময়না ভাইটাকে কোলে নিয়ে খুব শক্ত করে ধরে রাখে । ভাইটা সব শক্তি দিয়ে ঝুকে পড়ে একটা হাত বাড়িয়ে দেয় পাত্রের দিকে । সেই সাথে ময়নার দুই অবুঝ বোন । আর কুকুরটি জিভ বের করে তাকিয়ে আছে বাচ্চাদের দিকে ।তাচ্ছিল্যের স্বরে বলছে-
"ছিঃ তোরা এত বেহায়া ? আমি ঐ খাবারের দিকে ফিরেও তাকাব না ।" ফ্ল্যাশ লাইটের আলোয় সবাই যেন আবারও নতুন করে কেঁপেই ওঠে । বিশ ত্রিশটা ছবি তুলে নেয় আকাশ । খাবারের দিকে সবাই হাত বাড়ালেও লোকটির হাতের লাঠির ভয়ে কেউ খাবার ধরবার দুঃসাহস করে না ।

ক্লান্ত আর ক্ষুদার্ত ভাইবোনকে সঙ্গে নিয়ে ময়না পা বাড়ায় পরম আশ্রয় মায়ের কোলের দিকে । সবাই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে । ময়নাকে ডেকে তিনটা একশো টাকার নোট ধরিয়ে দিতে ভুল হয় না প্রিন্স আকাশ মাহমুদের । বেশ নরম সুরে বলে -
" এই মেয়ে শোন ! আমার কাছে আর টাকা নেই এখন, থাকলে আমি দিতাম । এই টাকাটা নিয়ে কিছু খাবার কিনে খেও "
ময়নার চোখে ঝিলিক দিয়ে যায় সুখ । ভুলে যায় সারাদিনের কষ্ট আর ক্ষুধার যন্ত্রনা । আজ অনেক দিন পর নিশ্চয় এই টাকা দিয়ে চাল কিনে ভাত খেতে পারবে সবাইকে নিয়ে । ময়না টাকা চেনে না । সে ভাবে তিনটা দশ টাকার নোট , আর তাতেই সে খুশি । সে ভাবে তার বাবাও মনে হয় একসাথে এতগুলো টাকা জীবনেও দেখেনি । বুড়া মাঝি বাপটা সারাদিন খকখক করে কাশে আর বিড়ি টানে । এখন আর কেউ নৌকায় চড়ে নদী পার হয়না । সব নদীতে এখন ব্রিজ হয়ে গেছে ।নদীগুলো শুকিয়ে গেছে । আগে দু একটা মাছ ধরতে পারত বাবা কিন্তু এখন তার শরীর আর চলে না । আর নদীতে মাছ ধরতে গেলেও মাতবরের অনুমতি নেয়া লাগে । নদীও যেন মাতবরের সম্পত্তি । ময়নার চোখে ভেসে ওঠে- গোবর কাঁদা দিয়ে সদ্য লেপা-মোছা মেঝেতে বসে বাবাকে নিয়ে চার ভাইবোন মিলে , ঘানি ভাঙ্গানো সরিষার তৈল দিয়ে করা আলু ভর্তা আর ফেনা ভাত খাচ্ছে । আর ঘোমটা টানা মা নিজের হাতে ফুল তোলা পাখায় বাতাস করছে ।নিজের অজান্তেই পরম তৃপ্তির একটা ঢেকুর ছাড়ে সে । ময়না খুব জোরে নিঃশ্বাস নেয় , নাহঃ বাতাসে এখন আর বিরিয়ানির গন্ধ নেই । সেখানে দখল করেছে গ্রামের সোঁদা মাটির গন্ধ যা প্রতিদিন বাতাসে ভাসে । ময়নার নেতৃত্বে এক অপার আনন্দে ছুটে চলে ছোট্ট দলটি , আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে ।

আকাশ ফিরে চলে তার মনের মত কিছু ছবি নিয়ে । বেছে বেছে একটি ছবি তার খুব ভাল লাগে । তিনটি মেয়ে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে । ছোট মেয়ে দুটো ছেড়া প্যান্ট পরা , নাক বেয়ে সর্দি বের হচ্ছে । ঐ মেয়েদের থেকে একটু বড় একটা মেয়ে একটা ছেড়া হাফপ্যান্ট আর ব্লাউজ পরা , পেটটা দেখা যাচ্ছে । আর সেই পেটের উপর সর্ব শক্তি দিয়ে এক হাতে ধরে রেখেছে নেংটা একটা দুই বছরের ছেলেকে । সবার বুকের হাড় থেকে শুরু করে পেটে কতগুলো নাড়ী আছে তাও স্পষ্ট গুনে বলা যাবে । তাদের সরু কোমরে মোটা দড়ির একমাথা দিয়ে বাঁধা হয়েছে আর তাদেরই দড়ির আর এক মাথা দিয়ে একটা কুকুরের গলায় বাঁধা হয়েছে । যে কিনা বেশ করুনা ভরে পা উচু করে ঐ খাবারের দিকে তাকিয়ে আছে । বাচ্চাগুলিও খাবারের পাত্রের দিকে হাত বাড়িয়ে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে চোঁখ ঠিকরে বের হয়ে ঐ পাত্রের ভীতরে পড়বে । ছবিটির নাম দেয়া হয়েছে - "দায়বদ্ধ ক্ষুধা"

ছয় মাস পরে প্রতিটা বাংলাদেশের পত্রিকার হেডলাইন হয় -“বাংলাদেশি যুবক প্রিন্স আকাশ মাহমুদের "দায়বদ্ধ ক্ষুধা" ছবিটির আকাশ চুম্বী সাফল্য আমেরিকার মাটিতে বাঙলার মুখ উজ্জ্বল করেছে !” একটি একজিবিশনে এই "দায়বদ্ধ ক্ষুধা" ছবিটির এক একটি কপি আমেরিকান দশ হাজার ডলারে বিক্রি হয় । যে ছবি শোভা বর্ধিত করে বিদেশী শৌখিন মানুষদের বসার ঘরের রঙ্গীন দেয়াল । এই একটা ছবিই আকাশকে আকাশ চুম্বী সফলতা এনে দেয় ।

আর ওদিকে ময়নাদের ঘরে আজও চুলা জ্বলেনি । দুদিন আগে শুধু কচুঁ পাতা সিদ্ধ খেয়েছে খুদের জাউ দিয়ে । সে তার ভাই বোনকে নিয়ে প্রতিদিন মেঠো পথের দিকে তাকিয়ে থাকে যদি প্রিন্স আকাশ মাহমুদ আসে । যদি আবার কিছু ছবি তুলে কিছু টাকা হাতে তুলে দেয় । এই ক্ষুদার কষ্ট সে সইতে পারে না ভাবে শহরে চলে যাবে । যেভাবেই হোক তাকে যে বাঁচতে হবে !!
==বিরামহীন পথ চলা==

(গল্পটি সম্পূর্ণ কল্পনার তুলিতে আঁকা । বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই )
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম @মিজানুর রহমান রানা > অনেক ধন্যবাদ ২য় বার পড়ার জন্য এবং প্রিয় কবির অনুভূতি উপহার দেবার জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি উভয়কেই । "অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে/ শেষ হয়ে হইল না শেষ।” -তথাস্তু !
ভালো লাগেনি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
মিজানুর রহমান রানা এ পর্যন্ত গল্পটি দু’বার পড়া হলো। গল্প সম্পর্কে আমার পড়া সাম্প্রতিক কিছু কথা উপহার দিচ্ছি আপনাকে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, “ছোটপ্রাণ, ছোটব্যথা, ছোট ছোট দুঃখ কথা/নিতান্তই সহজ-সরল/ সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি/ তারি দু’চারটি অশ্র“জল।/ নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা/নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ, / অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে/ শেষ হয়ে হইল না শেষ।” ধন্যবাদ।
সেলিনা ইসলাম @তুহিন >> এত পাঠক , মন্তব্য , আমি তো পুরস্কার পেয়ে গেছি তবে লেখিকা নই । ধন্যবাদ আমার লেখা অনুভুতিগুলি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য , ভাল থাকুন নিরন্তর সেই শুভকামনায় শুভেচ্ছা অবিরত ।
ভালো লাগেনি ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
তুহিন ভিশন ভালো লিখেছেন. পুরুস্কার আশা করি. আপনার লেখার ভিতর অনেক কিছু ফুটে উঠেছে. লেখিকা হিসেবে আপনাকে সব - স্ক্রাইব করতে যাচ্ছি.
ভালো লাগেনি ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সেলিনা ইসলাম @nilanjona nil >> শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ধন্যযোগ
ভালো লাগেনি ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সেলিনা ইসলাম @Khondaker Nahid Hossain >> অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা সতত ।
ভালো লাগেনি ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সেলিনা ইসলাম @আহমাদ মুকুল>> প্রথমেই অভিনন্দন । ৭১ এর সেইসব ভয়াবহ দিনগুলি নিজে অবলোকন করিনি কিন্তু কিছু ফিল্ম মেকার এবং ফটোগ্রাফারদের কল্যানে তা দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়েছে । প্রতিটি বাংলাদেশীরই বিগত দিনগুলী থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ । যারা শিক্ষা নেই না তাদের বিবেকের প্রতি সচেতন প্রতিটা দেশ প্রেমিক বাংঙ্গালীই কোন না কোন ভাবে ঘৃনার অবতারণা করবে । পরিশেষে অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান পরামর্শ দেবার জন্য আগামীতে অবশ্যই পালন করব । শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
ভালো লাগেনি ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সেলিনা ইসলাম @খোরশেদুল আলম > আপনিও অনেক ভাল লেখেন ভাই । আমার লেখা পড়েছেন দেখে ভাল লাগল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা
ভালো লাগেনি ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সেলিনা ইসলাম @তানভীর >> ভাইয়া আমার গল্প পড়ে খুঁটিনাটি শিখবে ! লযে বলেন না আপনি চেষ্টা করলে আমি শিওর আপনি আমার চেয়ে অনেক অনেক গুন ভাল করবেন ইনশাল্লাহ । অনেক শুভকামনা ধন্যযোগ !
ভালো লাগেনি ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
খোরশেদুল আলম বেশ সুন্দর বর্ণনা, ভালো লাগলো আপনার গল্প।
ভালো লাগেনি ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

২৭ মে - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী