চোখ

মুক্তিযোদ্ধা (ডিসেম্বর ২০১২)

বিষণ্ন সুমন
  • ৩৮
তার দৃষ্টি মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। সে যখন তাকিয়ে ছিল, আমার বুকের ভেতরটা হিম হয়ে গিয়েছিল। কাঁচের মত চকচকে সে দৃষ্টি। মনে হচ্ছিল সে যেন তাকিয়ে নেই। এক জোড়া ঘষা কাঁচ অনড় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তার চোখে।

একদিন বর্ষণ মুখর বাদলা রাতে সে এসেছিল। বারান্দার বেঞ্চিতে বাবা আমকে জড়িয়ে ধরে বসেছিলেন। আমি আদুরে ছানার মত বাবার বুকের কাছে গুটিসুটি মেরে বসে ছিলাম। বাবা সামনের অন্ধকারের দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে ক্ষণে ক্ষণে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন। আমার কেবলি মনে হচ্ছিল, উনি সম্ভবত কারো জন্য অপেক্ষা করছেন।

অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। আমার মা-বোন ঘুমিয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। কেবল জেগে ছিলাম আমি আর বাবা। আসলে আমি বাবার অত্যাধিক নেওটা বলে উনাকে ছাড়া ঘুমানোর চিন্তাও করতাম না। আর বাবাও আমাকে ছাড়া রাত কাটাতে পারতেন না। সে কারণেই সেই নিবিড় রাত্রিতে বাবার সঙ্গে আমিও জেগে ছিলাম।

ক'দিন যাবৎ বাবাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল। তিনি কেবলি কানের কাছে রেডিও রেখে কিছু একটা শোনার চেষ্টা করেন। আবার কখনো কখনো মায়ের সাথে ফিসফাস করে কি সব আলোচনা করেন। আমার বড় বোনকেও দেখি সাড়াক্ষণ কেমন যেন সন্ত্রস্থ দৃষ্টিতে এদিক-ওদিক তাকিয়ে কি যেন খুঁজে ফেরে। বেশ ক'দিন যাবৎ স্কুলেও যাচ্ছে না। সন্ধ্যা হলেই বাতি নিভিয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার তালে থাকে। শুধু সেদিনের রাতটাই ব্যতিক্রম। মা-বোন ঘুমিয়ে গেলেও বাবা আর আমি ঠিকই জেগে ছিলাম।

হঠাৎ একদিন আমাদের 'ভাড়ার ঘর'টাকে (পুরনো আসবাবপত্র রাখার ঘর, যদিও আমার জন্য ওটা ছিল পলানো ঘর) বাবা ঝেটিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করছিলেন বলে আমি খুব অবাক হচ্ছিলাম। কিছুটা মনও খারাপ হয়েছিল আমার পালিয়ে থাকার সুন্দর একটা জায়গা নষ্ট হচ্ছিল বলে। তারপরেও আমি বাবা-মা, বোন কাউকেই কিছু বলতে পারছিলাম না। আমার যা বয়েস, সে সময় এরকম অনেক কিছুই স্রেফ দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে আমি আরো আশ্চর্য হয়েছিলাম, যখন দেখলাম ভেতর বারান্দায় দাঁড় করিয়ে রাখা পুরনো চৌকিটাকে ঘষে-মুছে পরিস্কার করে ভাড়ারে স্থাপন করা হলো। তারপর একটা পরিস্কার কাঁথা বিছিয়ে তাতে বালিশ দিয়ে দেওয়া হল। তখনি আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না, নিঃসন্দেহে আমাদের ঘরে কোন অতিথির পদার্পন ঘটবে।

সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত্রি প্রথম প্রহর চলে এলেও, এই যে বাবার জেগে থেকে চাতক পাখির মত অন্ধকারে তাকিয়ে থাকা, এর সাথে যে ভাড়ারের যোগসূত্র আছে, তা বুঝার জন্য আমার খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। সেকারণেই আচমকা আাঁধার ফুঁড়ে সে যখন আমাদের বারান্দায় এসে দাঁড়ালো, আমি মোটেও চমকিত হলাম না। আমার ঠিক মনে হলো, বাবা আসলে এরই জন্য অপেক্ষা করছেন।

বিদু্যৎ চমকের আলোয় আমি ওকে দেখলাম। ওর দৃষ্টি মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। সে যখন আমাদের দিকে তাকালো, আমি ভয় পেয়ে গেলাম। শক্ত করে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। তার কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল। সারা মুখ জুড়ে গোঁফ-দাঁড়ির জঙ্গল, সাথে পরিধেয় সাদা পাঞ্জাবী-পায়জামায় কেমন যেন ভীতিকর লাগছিল। সে যখন বারান্দায় উঠে এল, আমরা তখন তার খুব কাছেই ছিলাম। এত কাছে যে, আমি তার ভেজা শরীরের গন্ধ পাচ্ছিলাম। অনেকটা ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ।

বাবা আমাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। বৈঠক ঘরের ভেজানো দরজা ঠেলে ঢুকে গেলেন ভেতরে । মানুষটা যে অন্ধকারে আমাদের অনুসরণ করছে, তা তার গায়ের গন্ধের কারণেই ঠাহর করতে পারলাম। ভেতরে ঢুকে বাবা আবার দরজা বন্ধ করে দিলেন। আমাকে কোল থেকে নামিয়ে আন্দাজে তক্তপোষে বসিয়ে দিলেন। তারপর ফস্ শব্দে দিয়াশলাই জ্বালিয়ে কুঁপি বাতি ধরালেন। মানুষটা তখনো দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। তার ভেজা চুল-দাঁড়ি থেকে টপটপ করে জল ঝরছে। পরনের ভেজা পাঞ্জাবীটা গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। সুঠাম একটা শরীরের অবয়ব ফুঁটে উঠেছে তাতে। হাতে ধরা কালো পলিথিনের বস্তাটা আস্তে করে মেঝেয় নামিয়ে রাখলো। এই প্রথম আমি খেয়াল করলাম মানুষটা অসম্ভব লম্বা। এমনকি বাবার দীঘল শরীর থেকেও এক মাথা উঁচু। বাবা এগিয়ে গেল তার দিকে। সেও এগোলো। জড়িয়ে ধরলো দু'জন দু'জনকে। বাবা আমার দিকে পেছন ফিরে ছিল বলে আমি তার কাঁধের উপর দিয়ে লোকটার চোখ দেখতে পেলাম। মনে হচ্ছিল সে যেন তাকিয়ে নেই। এক জোড়া ঘষা কাঁচ অনড় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তার চোখে।






বেশ ক'দিন হলো লোকটা আমাদের বাড়িতে আছে। বাড়িতে না বলে বলা উচিৎ ভাড়ারে আছে। কারণ একটিবারের জন্যও সে ওঘর থেকে বের হয়নি। আসার পর সেই যে ঢুকেছে, তারপর আর তার দেখা নেই। আমি খুব কৌতুহলী হয়ে উঠছিলাম লোকটা আসলে ভেতরে কি করছে তাই দেখার জন্য। দরজায় এক-আধটা ফুঁটো বা টিনের বেড়ায় এক চিলতে ফাঁক-ফোঁকর খুঁজছিলাম হন্যে হয়ে। কিন্তু, কিসের কি। এক রত্তি ফুঁটো কিংবা ফোঁকর পেলাম না কোথাও। ইদানীং বাবাকেও ঘর হতে খুব একটা বেরুতে দেখি না। যদিও বা বের হন, ফেরেন তাড়াতাড়ি। তার চলাফেরাতেও কেমন যেন সাবধানী ভাব চলে এসেছে। মাঝে মাঝে ভাড়ার ঘরে তাকেও ঢুকতে দেখি। ঢুকেই দরোজা বন্ধ করে দেন। ফলে আমার কৌতুহল নিবারণের কোন সুযোগই মেলে না।

একদিন সকালে হরেক মানুষের চেচামেচিতে আমার ঘুম ভাঙ্গে। চোখ মেলে বাবাকে বিছানায় দেখতে পেলাম না। লাফিয়ে বিছানা ছেড়ে এসে দেখি, মুন্সী বাড়ির ছোট ছেলে তার ক'জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে এসে আমাদের উঠোনে জটলা করছে। আমি দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে সবকিছু খেয়াল করতে লাগলাম।

আপনে কইতাছেন, আপনার লগে মুক্তিগো কোন যোগাযোগ নাই ? বাবার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো সে।

না নাই। সমান তালে জবাব দিল বাবা। তোমরা হুদাই আমারে সন্দেহ করতাছো।

তাই যদি হয়, তাইলে আমগো আলবদর দলে যোগ দিতাছেন না কেন ? আপনের বউ-মাইয়ার ইজ্জতের ডর নাই বুঝি ?

এইডা কি কও মিয়া ? বাবাকে রেগে যেতে দেখি। আমার বউ-মাইয়া কি তোমগো পর ?

এই কথায় মুন্সি বাড়ির ছেলে খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠে। আরে না না, পর অইবো ক্যান ? আইজ বাদে কাল, আপনার মাইয়ারে তো আমিই বিয়া করূম। হের লাইগ্যাই তো আপনের ভাল-মন্দ নিয়া আমার যত চিন্তা। কথাটা বলে আবারো হেসে দিল। তারপর সঙ্গী-সাথিদের দিকে ফিরে জানতে চাইলো, তোরা কি কস ?

সমস্বরে সবাই তার কথায় সায় দিল। বাবার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারি, অনেক কষ্টে নিজেকে স্থির রেখেছেন। আচমকা রাগে ফেঁটে পড়লেন তিনি। চিৎকার করে বলে উঠলেন। আমার মাইয়ারে কাইট্যা গাঙ্গে ভাসাইয়া দিমু। তবু তোর মত শয়তানের লগে বিয়া দিমু না।

আরে দিবেন দিবেন। না দিলে আপনেরে মুক্তি ফৌজের লগে আঁতাত করনের লাইগ্যা আর্মিগো ক্যাম্পে লইয়া যামু। এই জন্য কই কি, আমাগো দলে আহেন। এতে বউ-মাইয়ার ইজ্জতও বাঁচবো, আপনেও নিশ্চিন্তে জিন্দেগী পার করতে পারবেন।

আমি জীবনের পরোয়া করিনা। ইজ্জত বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। তোদের যা ইচ্ছা তাই কর, আমি তোগো সাথে নাই। কথাটা বলেই বাবা আচমকা ঘুরে দাঁড়ালেন। তারপর বুক ফুলিয়ে ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দিলেন।

সে রাতে আাঁধার নামার সাথে সাথে মুন্সী বাড়ির ছেলের দল আবার এল। সাথে দু'জন পাক আর্মি। এসেই দরজা ধাক্কাতে লেগে গেল। বাবা আমাকে খাাটের তলে ঠেলে দিলেন। তারপর দ্রুত দরোজা খুলে দিলেন। হ্যাজাক বাতির তীব্র আলোয় সাড়া উঠোন দিনের মত আলোকিত। আমি খাটের তল থেকে স্পষ্ট দেখলাম, আর্মি দুজন বাবাকে এক ধাক্কায় সামনে ঠেলে দিয়ে ঘরে ঢুকে গেল। সাথে মুন্সী বাড়ির ছেলেও আছে

তুম মুক্তি হ্যায় ? একজন বাবার দিকে রাইফেল বাগিয়ে জানতে চাইলো।

কাভি নেহি। বাবাও সমান তেজে উত্তর দিল। মেয় সাচ্চা মুসলিম হেয়। মেরা মুল্লক পাকিস্থান হ্যায়।

ইয়ে ঝুট বলতাহে। পাশ থেকে মুন্সী বাড়ির ছেলে বলে উঠলো। ইয়ে সাচ্চা মুসলিম নেহি। উসকে বগল বেগানা জানানা মজুত হেয়। বলেই সে লাফিয়ে আমাদের পাশের ঘরে চলে গেল। ওঘর থেকে আমার মা-বোনের আর্ত চিৎকার শুনতে পেলাম। মুন্সীর ছেলের পিছু পিছু আমার বাবাও যেতে চাইলো। কিন্তু আর্মিদের একজন তার জামার কলার চেপে ধরায় সম্ভব হলো না। ততক্ষণে মুন্সীর ছেলে টেনে হিচরে আমার বোনটাকে এ ঘরে নিয়ে এল। পিছু পিছু আমার মা'ও ছুটে এসেছে। তাকে এক ধাক্কায় বিছানায় ফেলে দিয়ে আমার বোনকে ঠেলে দিল অন্য পাক সেনার দিকে। একটা পলকা বালিশের মত ওকে লুফে নিল সৈন্যটা। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে বোন আমার। ক্রমাগত বাবা-মা বলে চিৎকার করছে।

দোহাই সাব এ মেরা এক লত্তি বেটি হ্যায়। উসকে ছোড় দাও সাহাব। মেয় সাচ্চা মুসলিম হেয়। ইয়ে ভি মুসলিম আউরত হেয়। বাবা সৈনিকটার পা জড়িয়ে ধরে অনুনয় করতে লাগলেন।

ঠিক হ্যায়। তোম ভি সাচ্চা মুসলিম। ইয়ে ভি সাচ্চা মুসলিম। লেকিন হাম তো ইসকা পরখ করনা পরেগা। বলেই আমার বোনের গাল চেটে দিয়ে খিক খিক করে হেসে উঠলো সৈনিকটা।

বাবা লজ্জায়-ঘৃণায় চোখ বন্ধ করে ফেললেন। যে সৈনিকটা বাবাকে ধরে রেখেছিল, সে এবার বাবাকে ছেড়ে দিল। তারপর বাবার পেটে কষে একটা লাথি ঝাড়লো। ছিটকে গিয়ে বাবাও মা'র পাশে লুটিয়ে পড়ল। হানাদারের দলটা আমার বোনকে নিয়ে উল্লাস করতে করতে বেড়িয়ে গেল। যাবার আগে দরজার বাহির থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দিয়ে গেল মুন্সীর ছেলে। তারও অরেকক্ষণ পর যখন আমার বোনের চিৎকারের আওয়াজও আর শোনা গেল না। তখনি আমি খাটের তল থেকে বেড়িয়ে এলাম। বাবা-মা আমাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলেন।

সারারাত আমরা এভাবেই জড়াজড়ি করে পড়ে ছিলাম। রাতের আঁধার কেটে গিয়ে সবে দিনের আলো উঠি উঠি করছে, এমনি সময় দূর থেকে অনেকগুলো গুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম। বাবা-মা ভয় পেয়ে আমায় শক্ত করে চেপে ধরলেন। এর কিছুক্ষণ বাদেই আমাদের ঘরের বাহির দরজা খোলে গেল। পুরোটা দরজা আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে সেই মানুষটা। তার বাম হাতের চকচকে কালো পাইপ সদৃশ জিনিষটা চিনতে আমার বিন্দুমাত্রও ভ্রম হলো না। ঠিক এরকম পাক সেনাদের কাছেও দেখেছি। কিন্তু, আমার অবাক হবার পালা এল তখনি, যখন দেখলাম তার ডান হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে আমারী বড় বোন। হাতটা ছেড়ে দিতেই বোনটা লাফিয়ে এসে পড়ল আমাদের উপর। আমার মত করে ওকেও শক্ত করে চেপে ধরলেন বাবা-মা। অস্ফুট শব্দ করে তিনজনই সমস্বরে কেঁদে উঠলেন।

আমি নিজেকে ছাড়িয়ে লোকটার দিকে ফিরে তাকালাম। এই প্রথম ওর চোখে অন্য কিছু দেখতে পেলাম- যা দেখে আমি মোটেও ভয় পেলাম না। বরঞ্চ ওকে দেখে নিজেকে আমার খুব'ই নিরাপদ মনে হলো। আমি আলগোছে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম। অবিশ্বাস্য শক্তিবলে সে আমায় এক টানে কোলে তুলে নিল। আমি পরম নির্ভরতায় মানুষটাকে জড়িয়ে ধরলাম।






আমি জানিনা ও আসলে কে ছিল। তবে সেদিন ভোরেই সে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তারপর যুদ্ধ চলাকালীল ওকে আর দেখতে পাইনি। যদিও দেশ স্বাধীন হবার পর অনেকের টুকরো টুকরো কথাই আমার কানে এসেছে। ও নাকি ছিল পাক আর্মির দুর্ধষ বাংগালী কমান্ডো মেজর আনোয়ার। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার জন্য সে সুদূর পাকিস্থান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। বাবার সাথে তার কি ভাবে যোগাযোগ হয়েছিল আমি জানিনা। তবে এটা বুঝতে পারি আমাদের এলাকায় যে কয়টা কমান্ডো অপারেশন হয়েছিল তার পেছনে ছিল সেই মানূষটাই। আমার এই সাতচলি্লশ বছর বয়সে এসেও যে কোন বিপদে আমি সেই মানুষটার'ই চোখ দেখতে পাই- যা আমায় পরম নির্ভরতায় সামনে এগিয়ে যাবার সাহস যোগায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # সুন্দর ভাবনা । ধারাবাহিকতাও বেশ । লেখককে ধন্যবাদ ।।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ চমৎকার গল্প লিখেছেন সুমন ভাই । কাহিনীর গতি ও বিষয়বস্তু খুব কাছে টানল । শুভ কামনা থাকল ।
শেখ একেএম জাকারিয়া সুমন ভাই গল্পটি দু দিনে আজ পড়া শেষ করলাম। গল্পের ধারাবাহিকতা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সুনিপুন বর্ননা অসাধারণ।
মোহাঃ সাইদুল হক অসাধারন...অনেক শুভকামনা রইলো।
আশিক বিন রহিম sumon vhaiya vhalo-lagha janiye ghelam
তাপসকিরণ রায় স্পষ্ট একটি কাহিনীর চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠল--সহজ সরল ভাবে লেখা গল্পটি বেশ মর্মস্পর্শী হয়েছে.বেশ ভালো লাগলো আমার.বিষন্ন সুমন ভাইকে ধন্যবাদ জানাই.
আহমাদ মুকুল খুব সুন্দর। যুদ্ধকালীন চিত্রটি দারুন ফুটেছে। ভাল লাগলো খুব।
রীতা রায় মিঠু সুমন, একাত্তরের লুট হয়ে যাওয়া সব মেয়েরাই যদি এমনই কোন বাঙ্গালী কমান্ডারের হাত ধরে বাবা মায়ের কাছে ফিরে আসতে পারতো!
আহমেদ সাবের সবই ঠিক আছে; বরাবরের মতোই সাবলীল বর্ণনায় একটা আন্তরিক গল্প। যুদ্ধদিনের ভয়াবহতা, জল্লাদদের নৃশংসতা, সাহসী পিতা, সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। তবু, বিষণ্ণ সুমনের কাছে একটা ব্যতিক্রমী গল্প চেয়েছিলাম বলেই হয়তো চাওয়ার অপূর্ণতা থেকে গেলো।
পন্ডিত মাহী আমার লেখায় বললেন, গল্প লেখা ছেড়ে দেবেন আমার জ্বালায়। আর আপনার গল্প পড়ে আমি বলছি, আপনার জ্বালায় আমি গল্প লেখা বন্ধ করে দেবো।
ভালো লাগেনি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২
গল্প খুব খুব ভালো লেগেছে
ভালো লাগেনি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২

২৪ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী