শিরোনামহীন

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

বিষণ্ন সুমন
  • ৩৪
  • 0
মায়ের প্রচন্ড চেচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গলো আমার। সকাল বেলায় দিনের শুরুতেই এমন চিৎকার চেচামেচি কারোই ভালো লাগার কথা না। আমারো লাগলো না। বরং এতো সাধের ঘুমটা ভেঙ্গে গেছে বলে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মা যে কি, সারাক্ষণ পিচ্চিটার পেছনে লেগে থাকে। আর পিচ্চিটাও পারে বটে। এতো বকা, এতো মার খাবার পরও ওর মাঝে কোনো পরিবর্তন নেই। যতই বলা হোক না কেন, ও যা করছে তাই করতে থাকবে। যেন এসব চিৎকার চেচামেচিতে ওর কিছুই আসে যায় না। পিচ্চিটার জন্য আমার মায়াই লাগে। কতই বা বয়স ওর। খুব বেশী হলে বারো কি তের হবে। এ বয়সের ছেলেরা দিব্যি বই-খাতা হাতে নিয়ে স্কুলে যায়। অথচ ভাগ্যের ফেরে ওকে কিনা মায়ের লাথি-গুতো খেতে হচ্ছে। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো আমার বুক চিড়ে। ইতোমধ্যে মায়ের চিৎকারের উচ্চতা আরো বেড়ে গেছে। নাহ্ আর শুয়ে থাকার কোন মানে হয় না। লাফিয়ে বিছানা ছাড়লাম। পায়ে চপ্পল গলিয়ে রুম ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। দরজার কাছে নতমুখে দাঁড়িয়ে আছে পিচ্চি। একগাদা কাঁথা-বালিশ ওর পায়ের কাছে মেঝেতে পরে আছে। ঘরের ভেতর ঘুরতে থাকা আাঁশটে গন্ধটাই বলে দিচ্ছে, ও আজো বিছানায় হিসি করে দিয়েছে। হুমম, এই তাহলে ব্যাপার । কিন্তু, এটা তো নৈমিত্যিক ঘটনা। এটার জন্য তো মার এতটা খচে যাবার কথা না। ব্যাপার নিশ্চয়ই অন্য কিছু।

"কি হয়েছে মা ? এতো রাগ করছো কেন? " ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলাম।

"আরে দেখনা, নবাবজাদা আজকেও বিছানায় প্রস্রাব করে দিয়েছে। এদিকে সকাল পার হয়ে দুপুর গড়াচ্ছে, আমাদের নবাবজাদীনির এখনো কোন খবর নেই।" মুখ ঝামটিয়ে উঠলেন মা।

মার মেজাজ খারাপের মূল কারণটা এবার পরিস্কার হয়ে গেল। কাজের মেয়ে রাহেলা এখনো আসেনি। আসলে ছুটা বুয়াদের এই এক সমস্যা। চাইলেও সময় মেইন্টেন করতে পারেনা। এক বাসায় একটু দেরী হলেই হয়েছে, বাকী সবগুলো বাসাতেই সেদিন আপনা থেকেই দেরী হতে থাকবে। আসলে কেউই তো আর ছাড় দিতে চায় না। ফলে চাইলেও আর সঠিক সময়ে কারো কাজ শেষ করা যায় না। কিন্তু এসব কথা তো এখন মাকে বলা যাবেনা। বললে পুরো রাগটাই তখন মোড় ঘুরে আমার দিকে চলে আসবে। কাহাথক আর সেধে বকা খাওয়া যায়। অগত্যা নিপাট ভদ্র ছেলের মত টয়লেটে ঢুকে গেলাম। টয়লেট থেকে বের হয়ে এসে দেখি ঘরের পরিবেশ তখন নিঝুম রাতের মত ঠান্ডা। কারণটা বুঝতে দেরী হলোনা। রান্নাঘরে রাহেলার সাড়া পাওয়া গেল। তারমানে মা এখন শান্ত। হাত-মুখ ধুঁয়ে নাস্তা খেতে বসে গেলাম। আড়চোখে পিচ্চিকে খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু কোথাও দেখতে পেলামনা। সেই সঙ্গে তার নোংড়া কাথা-বালিশও হাওয়া।

নাস্তা সেরে নিজের রুমে চলে এলাম। পড়ার টেবিলে বসে সবে বইটা হাতে নিয়েছি, এমনি সময় পিচ্চি এসে ঢুকলো। দাঁত বের করে হাসছে। মনেই হয়না কিছুক্ষণ আগে ওর উপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে।
"কিরে, হাসছিস কেন ? একটু আগেইনা মায়ের হাতে মার খেলি !" আমি কিছুটা অবাক হয়ে জানতে চাইলাম। ওর চোখ-মুখ আর্ত হয়ে উঠছে দেখে যোগ করলাম, "আরে, দূর বাদ দেতো। এই বয়সে বিছানায় হিসি করা কোন ব্যাপারী না। আর মা তো মারবেই, এই জন্য কাঁদতে হয় নাকি? কই আমারে কোনদিন কাঁদতে দেখছস ?"

ফিক করে হেসে দিল পিচ্চি। "ভাইজান আপনেও কি বিছনায় মুইত্যা দেন নাহি ? কই আপনেরে তো কোনদিন কেথা-বালিশ ভিজাইতে দেহি নাই।"

হো হো করে হেসে উঠলাম। আমার বয়স এখন ১৫ চলছে। আজ বাদে কাল মেট্রিক পরীক্ষা দেবো। এখন আর আমি সেই ছোট্টটি নেই। বিছানায় প্রাতঃকার্য করার বয়স যে অনেক আগেই পার হয়ে এসেছি। "ধ্যাত কি যে বলিস না। আমি কি তোর মত পিচ্চি নাকি? আমি এখন বড় হয়েছি না।" বলেই বুকটা সামনে ঠেলে দিয়ে সিনাটা টান টান করলাম, যেন এটাই আমার বড় হবার একমাত্র প্রমান।

সহসা আনমনা হয়ে গেল পিচ্চি। যেন অনেক দূর থেকে কথা বলছে এমনভাবে বলে উঠলো, "আমি কবে বড় হমু ভাইজান?" পরক্ষণেই মাথা নাড়াতে থাকলো, "না না আপনের মত না, আমি রাহেলা বুয়ার মত বড় হইতে চাই। তাইলে মায় আমারে কিছু কইবো না। দেহেন না মায় আমারে কত মারে। কিন্তুক রাহেলা বুয়ারে কিছুই কয় না। হেয় মায়ের সব কাম কইরা দেয় দেইখ্যা, মায় হেরে কিছুই কয় না। হের মত বড় হইলে আমিও সব কাম করবার পারুম, তহন মা আর আমারেও কিছুই কইবো না।

ওর কথা শোনে আমার বুকের ভেতরটা নড়ে উঠলো। ছেলেটার চিন্তা-ভাবনা শুনে আশ্চর্য লাগলো। এমনি সময় রাহেলা এলো ভেতরে। ওকে দেখেই খেকিয়ে উঠলো, "এই তুই এহানে কি করস? তুই জানোসনা, এহন বাইজানের পড়নের টাইম।' তারপর আমার দিকে ফিরলো, "আপনারেও কই বাইজান। এদ্দুর একটা ফোলার লগে আপনের এত্তো কথা কিয়ের ? আফনে পড়েন।" হাতের ঝাড়ুটা মেঝেতে বিছিয়ে ফের পিচ্চির দিকে ফিরে যোগ করলো, "তুই অহন যা। দেখতাসস না, আমি ঘর ঝাড়ু দিবার আইছি।"

রাহেলার বয়স আমার কাছাকাছি হবেই। কিন্তু ওর ভাব দেখে মনে হয়, যেন অনেক বড় কেউ। সবসময় আমার উপর একটা খবরদারীর চোখ দিয়ে রাখে। ব্যাপারটা আমিও খুব উপভোগ করি। আসলে আমাদের বাসার পরিবেশটাই এমন। এখানে কাজের লোককে কখনো অন্য চোখে দেখা হয়না। মা ওর সাথে যতই রাগ করুক না কেন, তবুও ওর জন্য মার টানও কিন্তু কম নয়। রাহেলা একদিন কাজে না এলেই ব্যাপারটা প্রকটভাবে বুঝা যায়। এটা যতটা না কাজের ঝামেলার জন্য, তারচেয়ে বেশী রাহেলা না আসার জন্য। মা সম্ভবত ওর মাঝে উনার জন্মের পরই অকালে মারা যাওয়া একমাত্র মেয়ের ছায়া দেখতে পান। রাহেলাকে আমারো ভালো লাগে। মনেই হয়না, মেয়েটা আমাদের পরিবারের কেউ নয়। সবচেয়ে ভালো লাগে পিচ্চির প্রতি তার নজরদারী দেখে। আমি ভালো করেই জানি, ওর নোংড়া কাঁথা-বলিশ রোদে শুকিয়ে ঠিক-ঠাক করার কাজটা আসলে রাহেলাই করে। অথচ সেই পিচ্চিকেই কেন জানি মা একদম সহ্য করতে পারেন না। আসলে আমাদের পরিবারে ওর আবির্ভাবটা মা শুরু থেকেই মেনে নিতে পারেননি। অবশ্য ওর এ বাড়ীতে আসার কারণটা মোটেও সুখকর নয়।

সেবার বাবা গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়ী। ওখানে আমদের কিঞ্চিত ধানী জমি আছে। সেগুলোই বাবা বিভিন্ন জনের কাছে আইধ্যা (আধা-আধি ভাগে জমির মালিক ও চাষীর মাঝে ফসল ভাগ করে নেবার শর্তে জমি বর্গা দেবার পদ্ধতি) দিয়ে রেখেছেন। তাদের মাঝে পিচ্চির বাবাও একজন। কিন্তু লোকটাকে শুরু থেকেই মা সহ্য করতে পারতেন না। তার ধারোনা এই লোক প্রতিবার'ই আমাদের ঠকায়। সে কখনোই আমাদের ঠিকমত ফসলের ভাগ দেয়না। শেষটায় মার ধারনাই চরম সত্যি হলো। পাশের বাড়ীর যুবতি মেয়েটাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হবার সময় হিসেবে সে যখন ফসল বিক্রির মৌসুমটাকেই বেছে নিল, তখনি বাবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। ফলশ্রুতিতে এবার আর আমরা তার কাছ থেকে ফসলের কোন ভাগ পেলাম না। এতে আমাদের না যতটুকু ক্ষতি হলো, তার চেয়ে বেশী লাভ হলো পিচ্চির মায়ের। সেও পাশের গ্রামের বিপত্নীক রহিম শেখের বাড়ি গিয়ে উঠলো। বন্দোবস্ত আগে থেকেই করা ছিল, ফলে কলেমা পড়ে সেটাকে পাকা করতে তেমন কোন বেগ পেতে হয়নি। অকূল পাথারে ভাসলো আমাদের পিচ্চি। সব শুনে আমার দয়ালু বাবা তার স্নেহের ভাগ পিচ্চিকে দেবার মানসে তাকে সাথে করে আমাদের বাসায় নিয়ে এলেন। সেই থেকে ও আমাদের সাথেই আছে।

রাহেলা বলার সাথেই সাথেই পিচ্চি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। কিন্তু, ওর বলা কথাটা আমার হৃদয় কুঠরিতে অবিরত হামা দিয়ে যেতে লাগলো। ও কখনোই আমার মত হতে চায়না। হতে চায় রাহেলা বুয়ার মত কেউ। কেন সে রাহেলার মত হতে চায় ? আমার মত নয় কেন ? রাহেলার মাঝে এমনকি আছে যা আমার মাঝে নেই। আমি ওর দিকে তাকালাম। আনমনে কাপড় গুছাচ্ছে। কই ওর মাঝে তো বিশেষ কিছু দেখতে পাচ্ছিনা। শুকনো মতন সাদা-সিধে একটা মেয়ে। দেখতেও তেমন আহামরী কিছু নয়। সে তুলনায় আমি দেখতে ঢ়ের ভালো। তাছাড়া আমি তো পিচ্চিকে অনেক পছন্দ করি। বরং রাহেলাই ওকে প্রায়ই বকা-ঝকা করে। এইতো একটু আগেই ও পিচ্চিকে এ ঘর থেকে চলে যেতে বললো। কই আমি তো পারিনি ওকে চলে যেতে বলতে। তারপরেও পিচ্চি রাহেলাকে বেশী পছন্দ করে, বিষয়টা আমায় বেশ ভাবিয়ে তুললো। শিকেয় উঠলো পড়াশোনা। কি মনে করে রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম। মাকে দেখলাম রান্না ঘরে। তরকারী কুটছে। কিন্তু, পিচ্চিকে কোথাও দেখতে পেলাম না। বাবা-মার রুমের দিকে হেঁটে গেলাম। বাবা এখন অফিসে বলে ও রুমে কারো থাকবার কথাও না। পিচ্চিকেও দেখলাম না। সহসা চোখ পড়লো, বারান্দার এক কোণে ও দাঁড়িয়ে আছে। নির্ণিমেশ তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। আমি ওর পেছনটা দেখতে পাচ্ছিলাম। আস্তে করে ওর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম । শুনতে পেলাম ও ফুপিয়ে কাঁদছে। ওর অসহায়ত্বে আমার বুকের ভেতরটা কেমন মুচরিয়ে উঠলো। আমি ওর কাঁধে হাত রাখলাম। কারেন্ট এর শক খাবার মত ওর ছোট্ট শরীরটা কেঁপে উঠলো। তড়িত চোখ মুছতে মুছতে ও ঘুরে দাঁড়ালো। আমাকে দেখেই তোতলাতে লাগলো, "ভা-ভা-ভা-ভাইজান আ-আ-আমি ... ।"

আমি ওর ভীত সন্ত্রস্ত নিস্পাপ চোখ দুটির দিকে তাকিয়ে ভেতরটাকে বুঝার চেষ্টা করতে লাগলাম। নিমেষেই বিদ্যুৎ চমকের মত নির্মম সত্যটা আমার বুকে ঘাঁই দিয়ে গেল। এখন আমি জানি, কেন সে আমার মত হতে চায়না। অকস্মাৎ আমার কি যে হলো, আমি ওকে বুকে টেনে নিলাম। ওর মাথাটা শক্ত করে বুকে চেপে ধরে হুঁ-হুঁ করে কেঁদে ফেললাম। মনে মনে বললাম, কাঁদ, পিচ্চি কাঁদ। এমন করে কাঁদবার জন্য হলেও আমাকে তোর চাই। পিচ্চিও বুভুক্ষের মত আমায় আকড়ে ধরলো। আমাদের দুজনের সন্মিলিত কান্নায় নতুন এক সম্পর্কের বীজ রোপিত হলো, যার কোনো শিরোনাম নেই। এ সম্পর্ক আদৌ কোনোদিন পূর্ণতা পাবে কিনা, আমি সত্যিই জানিনা।

(পাদটিকা ঃ ভয় দেখিয়ে বা শাসন করে কারো কাছ থেকে আনুগত্য আদায় করা যায়। কিন্তু, শ্রদ্ধা বা ভালবাসা পাওয়া যায় না। ভালবাসা বা শ্রদ্ধা পেতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভালবাসতে হবে। কেবলমাত্র ভালবাসাই পারে একজন মানুষকে আর একজন মানুষের সত্যিকারের বন্ধু করে দিতে।)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা প্রতিটা লিখাই লেখকের কাছে সন্তান তুল্য. বাবা-মা যেমন চায়না তার কোনো এক সন্তান অনাদরে ও অবহেলায় বেড়ে উঠুক, তেমনি আমিও চাইবনা আমার কোনো লিখা আর সব্গুলুর চেয়ে কম গুরুত্ব পাক.
Akther Hossain (আকাশ) আপনার পিচ্চির প্রতি ভালোবাসা খুব ভালো লাগলো, গল্পটাও সুন্ধর !
মোঃ আক্তারুজ্জামান হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় মানুষের মনুষত্ব প্রকাশ পায়, ঘৃণায় পশুত্ব... আমি আপনার গল্পে মনুষত্ব দেখেছি|
Lutful Bari Panna অসাধারণ রেটিং..
মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান কমেন্ট মানে মন্তব্য - নিজের মতামত বা পরামর্শ, কমেন্ট মানে প্রশ্ন নয় - বিশেষ করে তা যদি আপত্তিকর হয়, তাহলে সেটা অপরাধ....
শাওন খান যে উদার ভালবাসার বহি:প্রকাশ তা সত্যিই অতুলনীয়, অনেক ভালো লাগলো
নিরব নিশাচর ................... কিছু লেখক আছে যাদের লেখাটা পড়া হয়েছে কিনা সেই কথা মাস জুড়ে মাথায় ঘুরতে থাকে... এবং সুমন দা এদের অন্যতম একজন... এবার বলি আপনার গল্পের কথা - ভালো লিখেছেন দাদা, গল্পটিতে একটি বার্তা আছে সমাজের প্রতি, অভিযোগ আছে কিছু মানুষের প্রতি যারা তাদের সহজাত স্বভাবের বাহিরে আসতে পারেন না আর আছে নিঃস্বার্থ প্রেম যার শিরোনাম আজো আবিষ্কৃত হয়নি...
আহমেদ সাবের বিষন্ন সুমন আমার প্রিয় গল্পকারদের একজন। এ গল্পের তিনি সব সময়ের মতই সার্থক। গল্পের মানবিক দিকটা হৃদয় কেড়েছে।
Paru অসাধারণ শিক্ষা...ভালো লাগলো...

২৪ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী