মা জননী

মুক্তিযোদ্ধা (ডিসেম্বর ২০১২)

মিলন বনিক
  • ৫০
  • ১০
ছোট্ট খুকু সোনা মনি, শোন বলি শোনো,
বলব যে এক মায়ের কথা, সবার মা সে জেনো।
জন্ম তাহার মুর্শিদাবাদ, সুন্দরপুর গ্রাম,
আদর করে ডাকতো সবাই, জাহানারা ইমাম।
আবদুল আলী বাবা তাহার, মা হামিদা বেগম,
এমন মেয়ের জন্ম দিয়ে, ধন্য মানব জীবন।
পড়া শোনায় সবার সেরা, লেখার হাতও বেশ,
দেশের কথায় দশের কথায়, জাগতো সুরের রেশ।
মা যে ছিল রাজকুমারী, তেজ ছিল তাঁর ভীষণ,
মুক্তিযুদ্ধে সব হারালো, ভাঙ্গলো না তাঁর মন।
মা জননী বীর সেনানী, হঠাৎ কেমন করে,
ঘাতক দালাল রাখবো না আর, পণ করলো কঠিন স্বরে।
ঘাতকরা তাঁর স্বামী সন্তান, মারলো একাত্তরে,
মা জননী রূদ্রবেশে, ছুটলো তেপান্তরে।
ঘাতকরা সব ভয়ে কাবু, করবে কারা রোধ,
এবার বুঝি রক্ষা নেই আর, নেবেন প্রতিশোধ।
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে, সাত সমুদ্রের পাড়ে,
হলো যে এক কঠিন অসুখ, কে বা সারতে পারে।
মা জননী শয্যাশায়ী, হচ্ছে ভীষণ কষ্ট,
ভাবনা তবু দেশের ত'রে, দেশ যদি হয় নষ্ট।
এদেশ জুড়ে লক্ষ সন্তান, বললো ডেকে তবু,
যতই আসুক বিঘ্ন বিপদ, হাল ছেড়োনা কভু।
মা জননীর মুখের কথা, অসুখ নিল কেড়ে,
হাতের লিখায় মনের কথা, বলেন সন্তানেরে।
রইলো না আর মা জননী, গেলেন পরপারে,
আমরা তাঁহার লক্ষ সন্তান, থাকি কেমন করে।
স্বপ্ন ছিল মা জননীর, ঝরবে না আর রক্ত,
রইবে না কো ঘাতক দালাল, এদেশ হবে মুক্ত।
কত শত সন্তানেরা, কাঁদলো আবার মিছিলে,
কাঁধে নিয়ে মায়ের কফিন, জাগলো সাড়া নিখিলে।
আমরা মায়ের লক্ষ সন্তান, হলাম স্নেহ হারা,
মায়ের আজ্ঞা করবো পালন, হবো না দিশেহারা।
বীর সেনানী মা জননী, লও হে লও সেলাম,
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে, রাখবো দেশের মান।
অমর করে রাখবো তোমায়, চিরদিনের মত,
জীবন দিয়ে করব পূরণ, স্বপ্ন তোমার যত।


“কবিতাটি শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে উৎসর্গীকৃত”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর কবিতা ।
ভালো লাগেনি ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২
ধন্যবাদ জুয়েল ভাই....
ভালো লাগেনি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২
মোহসিনা বেগম অসাধারন বিষয়বস্তু আর অন্ত্যমিলের কারুকাজ --- দারুণ লাগলো দাদা ।
ভালো লাগেনি ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২
anek anek dhonyobad apu...khub valo laglo....
ভালো লাগেনি ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২
এম এ মান্নান একটি বিখ্যাত কাহিনী কি সুন্দর করেই কবিতায় এলো !
অনেক ধন্যবাদ মান্নান ভাই...শুভকামনা থাকলো....
তাপসকিরণ রায় কবিতাটি ভালো লাগলো.ছন্দ ভাব চমত্কার.তবে শিশু ও কিশোরদের কবিতা বলা চলে এটিকে.
দাদা, শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে শ্রদ্ধা করি...তাই অনুভূতি থেকে লেখা..অঅপনি পড়েছেন জেনে ভালো লাগল...ধন্যবাদ...
হিমেল চৌধুরী শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে উৎসর্গীকৃত কবিতাটি ভালো লাগলো।
ভালো লাগেনি ২১ ডিসেম্বর, ২০১২
হিমেল ভাই...আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ....
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১২
জেবুন্নেছা জেবু কত শত সন্তানেরা, কাঁদলো আবার মিছিলে, কাঁধে নিয়ে মায়ের কফিন, জাগলো সাড়া নিখিলে। ----- অসাধারন একটি কাহিনী কাব্য । শুভ কামনা দাদা ।
ভালো লাগেনি ২১ ডিসেম্বর, ২০১২
জেবু আপা...আপনার মন্তব্য আমার প্রেরণা হয়ে থাকলো...অনেক ধন্যবাদ....
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১২
প্রিয়ম ভাই আমার বলার কিছুই নেই |
ভালো লাগেনি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২
কেন ভাই...বুজলামনাত...
ভালো লাগেনি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২
এত ভালো লাগলো যে বলার ভাষা নেই |
ভালো লাগেনি ২০ ডিসেম্বর, ২০১২
dhonyobad priom vai...
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১২
খালি ধন্যবাদ দিলে চলবে না , কাবাব খেতে হবে |
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১২
মো. ইকবাল হোসেন শহীদ জননীকে নিয়ে লিখবার জন্য সালাম ও শুভেচ্ছা রইল।ভাল লাগা জানালাম।
ভালো লাগেনি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২
অনেক ধন্যবাদ ইকবাল ভাই...দোয়া রাখবেন যেন আরো ভালো করতে পারি...
ভালো লাগেনি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২
সোমা মজুমদার khub sundar hoyechhe kabita. khub valo laglo.
ভালো লাগেনি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২
অনেক ধন্যবাদ....আমাকে সময় দিয়েছেন..ভালো লাগলো....
ভালো লাগেনি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২
পন্ডিত মাহী অনন্য... সুন্দর... দু'একটি জায়গায় আটকে যাওয়া ছাড়া সবটাই সুন্দর
ভালো লাগেনি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২
আপনি পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগল মাহী ভাই..অনেক ধন্যবাদ.....
ভালো লাগেনি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২

০৭ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১১৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪