এক নবিনের কষ্টের অনুভুতি

কষ্ট (জুন ২০১১)

তির্যক রহমান
  • 0
  • ২৬
আতুর ঘরে নবিনের যে দিন জন্ম হয় সেদিন পৃথিবীতে তার প্রথম চিৎকার কজন শুনতে পেয়েছিল আজ খুব জানতে ইচ্ছে করে।জানতে ইচ্ছে করে তার যে বড় ভাইটা আছে সে কোন দিনকোলে তুলেছিল কিনা তাও।

একে একে পচিশটি বস্রহীন পৃথিবীতে আবর্তনের দিবস চলে গেল।আজো ঘটা করে সে দিবস পালন করা হয় নি।কেন যেন সেভাবে পালন করতে ইচ্ছে করেনা। একটা সময় উদযাপন করতে হলে মানুষ দরকার,বন্ধু দরকার,শুভাকাংখি দরকার।আজো তার তেমন শুভাকাংখি হলো না।

তার মোবাইল কল লিস্টে প্রতিদিন মায়ের কলটাই ভেসে থাকে।বাকিদের কল শুধু মাত্র অবশ্য প্রয়োজনে - নছেৎ নয়।তাও সপ্তাহ হতে চলল শেষ রিসিভ কলের তারিখ।তাও যদি মানুষের খুব উপকারে আসতে পারতো, প্রয়োজনে আসতে পারতো তবে কোন দুঃখ ছিলনা।

যখন শেষ রাতে সবাই ঘভির নিদ্রায় মগ্ন তখন তার বালিশে মাথা পরে।যত সময় বালিশের সাথে মাথা রেখে নিদ্রা হিন অবস্থায় থাকে তখন মনের চোখে দেখে নেয় জ্ঞান হবার শুরু পর্যন্ত।মনে পরার মত ঘটনা গুলোই চোখে বেশি ভাসে।প্রতিদিন এক একটা বাস্তব নাটকের ঘটনা কাল।সব ইতিহাস তো আর মনে রাখার মত নয়।মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করে জীবনের ভুল গুলো।

নবিনের বংশে লোক কম।মোট ভাই ৬,তাও আবার চাচাতো মিলিয়ে।বংশে যে ছোট বোন তার বয়সের ব্যবধান পনেরোর উপরে।তাও জ্ঞান হওবার পর তাকে পায় নি।পরাশুনার জন্য বাহিরে।প্রাইমারিতে আসা পর্যন্ত একই বয়সের মেয়ে বা ছেলে বাড়িতে ছিল না।মায়ের কঠরতায় পাশের বাড়িতে জাওয়ার সুজগ হয়েছে কম।তাই মেয়েদের সাথে সামনা সামনি স্বাভাবিক ভাবে কি করে কথা বলতে হয় আজো শেখা হয়নি।আজো সাবলিল ভাবে মেয়েদের সাথে মিলতে পারে না।

বাড়িতে একাকিত্বের ব্যারাজাল ছিরতে পারেনি প্রাইমারিতে এসে।তাছারা সাহসও একটু বরবর কম ছিল,কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব কাজ করে যা পরে নিজেই ভয় পেয়ে যায়।অজপারাগায় বেড়ে ওঠে সে।কৈশরের দুরন্তপনা তাকে ছোয় নি এবং সে বয়সেই শহর বাসি।থাকতে হয় মা বাবা অনুপুস্থিতে একা।মানুষের প্রিয় পাত্র না হওয়ার গুনটা তখন চলছে।এর পরপরই চলে স্কুল বদলের পালা।ফলে খুব ঘভির বন্ধু গড়ে ওঠেনি কোথাও।প্রায় সময়ই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্য হয়ে পরে।একাকিত্ব আজো ঘিরে ধরে।প্রেমিকার চলে জাওয়ায় আজ তাকে আর কষ্ট দেয় না।শুধু মাত্র সেই প্রেমিকার কোন গল্প তার ভাল লাগে গে না।

ছেলে বেলায় অবলিলায় মিথ্যা বলতে পারতো।এমন ভাবে তা পারতো যা সফল অভিনেতাকে হার মানাবে।কিন্তু আজ তার কথা কেউ তুললে যে চেহারাটা হয় তা আড়াল করার চেষ্টা করেও সফল হয় না।সীমাবদ্ধ গন্ডিতেই আজো তার পথ চলা।

এমন গল্পের বাস্তব অভিনেতা সমাজে হয়তো থাকতে পারে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ্‌নাজ আক্তার শুভকামনা জানালাম, চেষ্টা করতে থাকুন .......
sakil গল্পের থিম তা ভালো হলেও আপনি গল্পটা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি . প্রচুর লিখেন তবে একদিন ঠিকই পারবেন . আপনার জন্য শুভকামনা রইলো .
মোঃ আক্তারুজ্জামান কি বলব বুঝতে পারছি না| কবিতার ঘরে এ কেমন গল্প হানা দিল........
মামুন ম. আজিজ সূর্য়দার সাথে একমত
আখি আরো ভালো করতে হবে.
সূর্য অপূর্ণ কিছু কথামালা, যার উৎস, কার্যকারণ, পরিনতি কিছুই জানার উপায় নেই........
আরাফাত মুন্না ভাল লাগলো পটভূমি।

০৪ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪