একটা ভাতের থালা কয়েক টা আসবাবপত্র ,দু'টি হাঁড়ি _ একটা টিনের ছাউনি ,পাটের বেড়া রেল লাইনের পাশে দুই ফুটের একটা ঘর তার মধ্যে বসে আছে একটা অবুঝ শিশু আর এক অল্প বয়সী নারী । শিশুত্বের রং এখন ও লেগে আছে তার শরীরে , নিঃস্পলক তাকিয়ে আছে ছেড়া জানালার ফাঁক দিয়ে মহাকালের দীর্ঘশ্বাস নিয়ে । তনু শরীর তার ভিজে গেল অশ্রুসিক্ত জলে । শিশুটির কান্নায় ট্রেনের মেশিনের শব্দ স্তব্ধ হয়ে গেল , ক্ষুদার্থ পেটের আত্নচিৎকারে কম্পিত হল ইস্পাতের লাইন , আর কাঁদল শিশুটির মায়ের মন । দুর থেকে অচেনা পথিক প্রত্যক্ষ করতে ছিল এ দৃশ্য _ শিশুটির কান্নার ধ্বনি শুনে তিনি গেল সে খানে , সে কিশোরী মা শুনাইল তার নিয়তি _ দুর্ভিক্ষের বুলিতে । আজ দু'দিন হল কর্মহীন ; ভাতের জন্য কত দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হল কোমরে শিকল বেধে শিশুটির । একে তো ক্ষুধাতুর পেটের যন্ত্রণা , তার উপর বিচ্ছেদের দাহন ।
কোন এক গায়ের দুষ্টামিতে মত্ত ছিল এই শিশুটির মা , বিয়ের পিড়িতে দু'দিন পর সে সুখ আর রইল না ! স্বামী সন্তান বধূ ছেড়ে গিয়েছে অন্য রমণীর দ্বারে , গ্রাম্য সমাজ তারিয়ে দিয়েছে তাই একটু নীড়ের খোজে এই মমত্ব হীন জঞ্জাল শহরে । স্বামী তার সন্তান ছেড়ে চলে গিয়েছে শুধু সে পাড়লনা কেন ? যদিও কিশোরী তবু সেও মা ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাইফ চৌধুরী
ওহ ! সোশাসি ভাই কবিতা টি অনেক দুঃখ ভারা।। মর্মাহত একটি দৃশ্য মা ও শিশুর কাহানিটি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাই। অনেক্ ভালা লাগল। এমন সুন্দর কবিতার মঝে মাত্র ১৪ টি মন্তব্য। দেখে অভাক আমি। কেউ কি কবিতা পড়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন্নানা নাকি? আমি অনেক দিন পর আজ সময় করে আসলাম সবার কবিতা পড়বো বোলে। । শুভ কামনা ভাই।!
সূর্য
তোমার এই লেখাটি ঠিক কবিতা হয়ে ওঠেনি, একটা প্যারায় নিয়ে পড়লে তুমিই বুঝতে পারবে গল্প লিখলেও বেশ হতো। কবিতার চিরচেনা ছন্দ নেই। কিন্তু লেখাটার আবেগ পুরোটুকুই মন ছুয়ে গেছে তা অনস্বিকার্য........
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।