আমার আমেরিকান গাড়ী

মুক্তির চেতনা (মার্চ ২০১২)

মোঃ আক্তারুজ্জামান
  • ৪৩
দেখ, আমার আমেরিকান গাড়ী- বছর পচিশে’ক আগে আরবদের মুখ থেকে এরকম কথা প্রায়ই শোনা যেত। আমেরিকান দু’ চারটা গাড়ী থাকা, পাসপোর্টের পাতায় আমেরিকার ভিসা লাগানো থাকার মত বিষয়গুলি আরবদের কাছে অনেক গর্বের বিষয় ছিল। প্রায় আপাদমস্তক ঢেকে রাখা যায় এমন ঢিলে ঢালা জোব্বা আরব্য নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোষাক। কিন্তু মার্কেট বা দোকান পাট ঘুরে বুঝতে পারতাম- পোষাক প্রসাধনে তাদের পছন্দের প্রায় সবটুকুই দখল করে রেখেছে ইউরোপ, আমেরিকার।

আমি বছর কয়েক একটি আরব দেশে ছিলাম। সেই সময়টায় অনেক অকল্পনীয় সত্য উপলদ্ধি করতে পেরেছিলাম। মুসলমানদের মাঝে একটা বৈষম্য তখন আমার কাছে বড় নগ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল। আমি বেশ করে বুঝতে পেরেছিলাম আরবরা নিজেদের সেরা মুসলমান ভাবতে খুব ভালবাসে। অনেক দিন দেখেছি- ওদের পাতা জায়নামাজে কোন বাঙালী উঠে গেলে ওরা রাজ্যের ঘৃণা বা বিরক্তি নিয়ে রীতিমত অপমান অপদস্ত করে নামিয়ে দিত।

পাকিস্তান বরাবরই আমেরিকার আজ্ঞাবাহী একটা রাষ্ট্র ছিল বলে আরবরা পাকিস্তানিদের একটু যেন স্নেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করত। আমার মনে আছে গেল শতাব্দীর আশির দশকের গোড়ার দিকে আমি যখন ক্লাস এইট নাইনে পড়ি তখন রেডিও খবর শোনার জন্য লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ত। দেখা যেত- ভারত যদি সকাল বেলা একটা ‘জর্দ্দার কৌটা’ ফাটিয়েছে তবে পাকিস্তান সন্ধ্যার আগেই একটা ‘ডানোর কৌটা’ ফাটিয়ে দিত। পাকিস্তানকে এ কাজটা করতে সর্বাত্মক সহযোগীতা করত তখনকার মুসলিম বিশ্বের তথাকথিত অকৃত্রিম বন্ধু আমেরিকা! এই কারণেই হয়ত শেখেরা পাকিস্তানিদের একটু স্নেহের চোখেই দেখত।

ছাত্র জীবনে এক সহপাঠী একদিন একটা খবরের কাগজ দেখে চোখ কপালে তুলে আমাকে বলেছিল- এ কী অবস্থারে! পাকিস্তানের বাজেটের সব টাকা দেখি ক্যান্টনমেন্টে চলে যায় রে!

শুনে আমিও কম আশ্চর্য হইনি। জেনেছিলাম পাকিস্তানের শিক্ষা, চিকিৎসার মত অত্যাবশ্যকীয় খাতগুলির জন্য যা ব্যয় করা হয় তা ঘোড়ার আন্ডা ছাড়া আর কিছুই না। আমরা খুব করে হেসেছিলাম- “পেটে নাই ভাত বেরাশ দিয়া মাজ দাঁত”!

নিজের দেশটাকে আমি খুব ভালবাসি। আমার দেশের মহান স্বাধীনতা লাভ করাটাকে আমি সব সময়ই খুব সম্মানের সাথে অন্তরে লালন করি। তাই আমাদের ৭১’এর স্বাধীনতা যুদ্ধটাকে যারা ভাল চোখে দেখেনি, মানতে পারেনি তাদের প্রতি আমার বরাবরই একটা বিতৃষ্ণা, একটা অসম্মানবোধ কাজ করে- আর এটাকে আমার কোন সময় অন্যায় বলেও মনে হয় না। একজন দেশ প্রেমিক হিসেবে আমার বরং গর্বই হয়।

ইহুদীদের গোলায় নিহত ফিলিস্তিনি শিশুর মৃহদেহের ছবি হাজার, লাখো, কোটি বাঙ্গালী মুসলমানদের হৃদয় ভেঙ্গে খান খান করে দিলেও আমাদের লুঙ্গি পরে আয়েশ করে বসে ঝোলের তরকারিতে হাত ডুবিয়ে ভাত খাওয়ার দৃশ্যটা ফিলিস্তিনিদের কাছে খুব ঘৃণার মনে হয়। ইটালী, ফ্রান্সের কাটা চামচের প্রতি ওদের যে কী ভালবাসা!

আরবদের সাথে নানা কথার মধ্য দিয়ে একটা বড় সত্য অনুভব করেছিলাম- পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ করাটাকে তখনকার ‘মুসলিম বিশ্ব’ একটুও ভাল চোখে দেখেনি। সে কারণেই যেন তাদের চোখে আমরা মুসলমানই না আর হলেও জাতের মুসলমান না!

৭১’ পূর্ববতী সময়ে পশ্চিমপাকিস্তানি শাসক শোষকদের হাতে চড় খাওয়া কুলি, মেথর কিংবা ছাত্র ছাত্রী অথবা অফিস আদালতের উপেক্ষিত কর্মচারী কর্মকর্তা- লক্ষ, কোটি বাঙালীরা খুব ন্যায় সঙ্গত কারণেই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখত। স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা, রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে জাতের মুসলমান বানানোর একটা প্রয়াস চলেছিল! এ যেন এক খৎনা! আয়োজনে খুশী হয়ে পাকিস্তান, সৌদি আরবের মত দেশগুলি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। দিয়েছিল আমেরিকাও। জ্ঞানী, গুণীরা এই অপকর্মের ‘আজাম’ হিসেবে আমেরিকাকেই চিন্হিত করে থাকেন।

খৎনার মধ্য দিয়ে আমরা মুসলিম বিশ্বের কাছে কতটুকু ‘ভাল মুসলমান’ হিসেবে পরিগণিত হতে পেরেছি তা যারা আজকাল মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে থাকেন তারা খুব ভালভাবেই উপলদ্ধি করতে পারেন। দুঃখজনক সত্য হলো এই যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীদের সত্য সুন্দরের পথ চলা বন্ধ হয়ে যায়।

বলার অপেক্ষা রাখে না- নৈতিক পতন সার্বিক পতনের গোড়াপত্তন। এ কারণেই পরবর্তী সময় জাতি চড়া মূল্য দিয়েছে- কয়েক বছরে সেনাবাহিনীর ভিতরের বাইরের অনেক অমূল্য প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। ক্ষমতার মোহাক্রান্ত হয়ে আমাদের দেশের মেজর, জেনারেলরা আমেরিকার আশীর্বাদপুষ্ট হতে সর্বাত্মক অপকর্ম, অধর্মের আশ্রয় নিয়েছে। আমেরিকার নষ্ট প্রেমের ছোবলে আমাদের দেশের মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যায় প্রায় এক যুগের অধিক সময়- দেশের জনগণের ভাগ্য আবর্তিত হয়েছে সেনা ক্যাম্পের নির্দেশনায়। যদিও জনগণের অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে গণতন্ত্র আমাদের ঘরে ফিরে এসেছে- রাজকন্যার বেশে, ডাইনীর চরিত্র নিয়ে!

সেনা কর্মকর্তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য সব সময় সব দেশেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে। আমাদের দেশের সেনা শাসকরাও তার ব্যতিক্রম করেনি- তারাও যথেচ্ছভাবে মিথ্যাচারের বীজ বপন করে গেছে। লোক দেখানো হ্যাঁ, না ভোট দিয়ে ক্ষমতায় থাকা বা সংসদ সদস্য পদের মনোনয়ন বানিজ্য, ছাত্রদেরকে নানা অন্যায় সুবিধা দিয়ে দলে টানার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুত্রপাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চরিত্র হননের ভয়ানক খেলা। চরিত্রহীনতা আর অধপতনের সহবাসে জন্ম নিতে থাকে- মিথ্যাচার!

মিথ্যাচারের চারাগুলি আজ অনেক অনেক মহিরুহে পরিণত হয়ে গোটা সমাজ, জাতির গলা অক্টোপাসের মত চেপে ধরেছে। মূল্যবোধ বা নৈতিকতার আজ আর অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। বাহারি মিথ্যাচারে একদল একজনকেই দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সবটুকু সাফল্য দিতে চায়তো অন্য দল ‘হ্যাঁ না’ ডিব্বা প্রবর্তককে বহুদলীয় গণতন্দ্রের প্রবর্তক বলে দাবী করে! একদল খুনি, সন্ত্রাসীদের ফুলের মত নিষ্পাপ বলে সনদ দেয় তো আরেক দল জগৎখ্যাত চোর, লুটেরাকে দেশের ভবিষ্যত মোগল এ আজম বলে অভিহিত করে।

সাধারণ প্রতিটি নাগরিকও আজকে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের অসুস্থ প্রতিযোগীতার শীর্ষে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। একজন কৃষক এখন নষ্ট স্বপ্ন দেখে- ছেলে লেখাপড়া শেষ করে শহরে বাড়ী গাড়ী করবে। মানুষের মত মানুষ হবে- স্বপ্নটা হারিয়ে গেছে। দুঃশ্চরিত্র, লম্পট একজন নেতার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে কুন্ঠিত হন না একজন শিক্ষিত বাবা। একজন নীতিবান, সৎ শিক্ষকের কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়ার মধ্যে আজকাল আর কেউ গৌরববোধ খুঁজে পান না ।

কোটি কোটি মুসলিম অধ্যুষিত জনসংখ্যার আমাদের এই দেশটা যখন দুর্নীতিতে পৃথিবীর সব দেশকে ছাড়িয়ে যায় তখন লজ্জায় মাথানত করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।

ইরাক আক্রমণের মধ্য দিয়ে সকলের কাছে আমেরিকার চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। ছলনা খুব নাঙা হয়ে ধরা পড়ে গেছে। ওরাও রাখ ঢাক, ছলা কলা ফেলে আবির্ভূত হয়েছে স্বরূপে! মুসলিম বিশ্বকে নানা অজুহাতে তছনছ করতে ওরা হয়ে উঠেছে এখন মরিয়া!

মুসলমানরা বোকা হতে পারে না। বোকা হলে কোনটা প্রেম আর কোনটা ছলনা ধরা যায় না। আমেরিকা আজকে যখন ভারতের কাছে ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রী করতে চায় তখন পাকিস্তানের ‘বহুদিনের পীড়িতে’র উপর দিয়ে যে কী যায় তা বুঝতে আমার একটুও কষ্ট হয় না। বোকা পাকিস্তান এখন তার বোকামীর জন্য অপরিনামদর্শীতার মূল্যই দিচ্ছে।

মুসলমানরা ধূর্ত বা হিংস্রও হতে পারে না। অজ্ঞান, কুশিক্ষিতরা হিংস্রতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে গিয়ে ভূল করে। ওসামা বিন লাদেন বা আমাদের দেশের বাংলা ভাই গংরা এই সত্যকে একশ ভাগ সত্য প্রমান করে গেছে বলেই আমি মনে করি।

মুক্তির চেতনায় জাগরিত হোক মুসলিম সমাজ। সারা পৃথিবী উদ্ভাসিত হোক শান্তির আলোয়। সুশিক্ষিত, সুসভ্য জাতি হিসেবে ভালবাসা দিয়ে জয় করুক বিশ্ববাসীর হৃদয়- এ স্বপ্ন আমার, শান্তিকামী সকল মানুষের!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নীলকণ্ঠ অরণি গল্পের মজাটা না পেলেও লেখার মজা পেয়েছি।
মিলন বনিক তথ্যবহুল গবেষণাধর্মী একটি চমৎকার প্রবন্ধ। পৃথিবীর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে..খুব ভালো লাগলো..
বিন আরফান. মানুষ কত ভাবে কত কিছু ভাবে. সে জন্য তারা সৃষ্টির সেরা জীব. আপনার ভাবনা আমাকে কয়েকবার কান ধরে উঠবস করিয়েছে. কেননা আমিও এরূপ দু টানার মানুষ. কেননা আমি এমন একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক, যে দেশের শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করতে না পারলেও রাজনীতি হতে শিক্ষা মুক্ত হয়েছে নিঃসংকোচে. যেমন কয়েকদিন আগের সংসদ অধিবেশ তার সর্ব নিম্ন প্রমান. কথাগুলো এই জন্য বললাম , আপনার খোলা মনের গল্প পড়ে আমার মনের বন্ধ দুয়ার খুলেছে. গল্প হয়েছে নাকি প্রবন্ধ তা ভাবার সময় পেলাম না. তবে লেখাটি হৃদয় ছুয়েছে. সেই স্থানে যেখানে অন্য লেখা পৌছায়নি. দীর্ঘজীবি হুন. আর আমাদের জন্য মুক্ত মনে লিখুন. সালাম --------
sakil গল্প আর প্র্পব্প্ন্ধ জি বলি না কেন পরতে বেশ ভালো লেগেছে . শুভকামনা রইলো . দেশে এসে প্রথম আপনার লেখা পরলাম .
শাহ আকরাম রিয়াদ এটা একটি প্রবন্ধ জাতীয় লেখা; যেটা পড়ে খুব ভাল লাগল। শুভকামনা রইল আক্তার ভাই।
নিরব নিশাচর নিজের জীবনের দীর্ঘ দশ বছর লিবিয়া ছিলাম মা বাবার সাথে.. জীবনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সময়... আপনার প্রবন্ধ পড়ে কিছু সৃতি মনে পরে গেল.. বাবা বাংলাদেশ থাকতে প্রথম শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন, লিয়েনে চাকুরী নিয়ে লিবিয়া যান... লিয়েন এক্সটেনশন করে করে সেখানে ১০ বছর থাকেন কিন্তু যখন বাংলাদেশ থেকে ওনাদেরকে ফাইনাল নোটিস দেন দেশে এসে জয়েন করার জন্য তখন লিবিয কর্তৃপক্ষ ওনাদের সুযুগ সুবিধা বুঝিয়ে দিতে দীর্ঘ ৬ মাস সময় অকারণে নষ্ট করেন.. ফলশ্রুতিতে দেশে এসে মামলা করে চাকুরী ফিরে পেলেও সিনিয়রিটি হারান তিনি.. আরবদের থেকে পাওয়া সেই দুঃখটা এখনো মনে পড়ে বাবার.. আমার কষ্ট হয়.. তবে তাদের অনেক কর্মকান্ডে আমরা সন্তুষ্টই ছিলাম বিভিন্ন সময়ে.. ইদানিং হয়ত পরিবর্তন এসেছে তাদের মাঝে, হয়ত আর আগের মত নেই.. (আপনার গল্পের স্বাদ পাওয়ার ইচ্ছে থেকে আগামীতে বঞ্চিত করবেন না)
ইবনে ইউসুফ আক্তার ভাই, আপনার লেখা পড়ে অনেক উদ্বুদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ।
Sisir kumar gain সত্যি কথা গুলো ফুটে উঠেছে গল্পে। ধন্যবাদ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি খৎনার মধ্য দিয়ে আমরা মুসলিম বিশ্বের কাছে কতটুকু ‘ভাল মুসলমান’ হিসেবে পরিগণিত হতে পেরেছি তা যারা আজকাল মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে থাকেন তারা খুব ভালভাবেই উপলদ্ধি করতে পারেন। দুঃখজনক সত্য হলো এই যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীদের সত্য সুন্দরের পথ চলা বন্ধ হয়ে যায়। // Aktauzzaman Vai Apnar a lekhar modho diye je kothati Apni Bujhate cheyechhen notun projonmo jodi ullekhito ai laine gulo buke dharon kore sothik pothe agiye jete pare tobei asbe chetoner mukti....sudhu sudhu abeg nirvor hoye lafa lafi korle mukti ki asbe..? se jonno a dhoroner lekha amader chetoner utso hisabe khubi dorkari bole mone kori .....tai ....''dhormandhota'' noy.....''dhormoshilota''.....hok ...Amader patheo........aktaruzzaman Vai Apnake Osesh dhonnobad ....//5//

২২ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী