একটি গ্রাম্য সালিশ এবং অতঃপর

গ্রাম-বাংলা (নভেম্বর ২০১১)

আহমাদ ইউসুফ
  • ১৮
  • 0
  • ২৩
সকাল থেকে বাজারের পরিবেশ বেশ থমথমে। প্রচুর লোকসমাগম। ইতস্তত বিক্ষিপ্ত দু চারজনের জটলা। ফিসফাস। আকার ইঙ্গিত। দারোগা সাহেবের মুখে অশ্রাব্য গালি, খানকি, ভাতার, ছিনাল ইত্যাদি। গন্যমান্য মুরব্বীরাও আছেন। এর শেষ না দেইখা ছাড়ুম না এমনই প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন মন্নাপ মাত্ববর। মন্নাপ মাতব্বর এ এলাকার গুনী ব্যক্তি সেই সাথে বিচারকও বটে। আব্দুল মান্নান থেকে মন্নাপ মাতব্বর হয়েছেন নিজের কারামাতেই। তিনিই আজকের প্রধান বিচারক। সঙ্গে আছেন হাকিম মৌলভী, রমিজ তালুকদার, সিদ্দিক মেম্বার প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। সবার একই প্রত্যয়, এ পাপ আর গ্রামে রাখা যাবেনা। যেভাবেই হোক গ্রাম ছাড়া করতে হবে। কে একজন উচ্চস্বরে সবাইকে বাজারের টলঘরের দিকে আহবান জানাল। কাজ হলো তাতে। জন সাধারন সবাই পড়িমড়ি করে ছুটল সেদিকে। চেয়ার টেবিল পাতানো হয়েছে গোল করে। মাঝখানে খোলা যায়গা। সেখানে নতজানু হয়ে বসে আছে মেয়েটা। মেয়েটা অর্থাৎ সলিমুদ্দিনের মেঝো মেয়ে বিলকিস। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা, দীঘল কালো চুল পিঠ অবধি বিস্তৃত। অবিন্যস্ত বেশবাশ। গায়ে নিযর্াতনের চিহ্ন স্পষ্ট। তারপরেও একটা অন্যরকম আকর্ষন আছে মেয়েটার। চোখদুটো ভীষন উজ্জ্বল। বিলকিসের অপরাধ সে সিদ্দিক মেম্বারের ছেলে ফরহাদকে ভালবাসে।

মন্নাপ মাতব্বর বারকয়েক কেশে গলাটা পরিষ্কার করে উঠে দাড়ালেন। হাত নেড়ে সবাইকে শান্ত হয়ে বসার জন্য অনুরোধ করলেন। তারপর উচ্চস্বরে বলতে লাগলেন। ভাইসব, আপনারা সবাই জানেন আজ আমরা এখানে কেন সমবেত হয়েছি। আমারা চাই এর একটা সুরাহা হোক। এ অন্যায় আর বরদাশ্ত করা যায়না। চোখের সামনে এতবড় পাপ আর সহ্য করা হবেনা। কি? আপনারা কি বলেন? চিৎকার করে বললেন মন্নাপ মাতব্বর। সামনে থেকে কয়েকজন উচ্চস্বরে জবাব দিল হ্যা। হ্যা। আমরা এর বিচার চাই। আশ্বস্ত হলেন মন্নাপ মাতব্বর। তিনি বসলেন। এবার উঠে দাড়ালেন রমিজ তালুকদার। ভাইসব, লক্ষ্য করে শুনুন এই মাইয়াডা বহুত খারাপ। সবার লগে নাকি ভাও করতে চায়। এই পর্যন্ত কতো জনের লগে যে ফষ্টিনষ্টি করছে তার হিসাব নাই। রমিজ তালুকদারের কথা শেষ না হতেই দপ করে জ্বলে উঠল বিলকিস। এ্যাই! আর একটা বাজে কথা কইবেন না। লজ্জা করে না মুখে দাড়ি রাইখা এমন আজগুবি মিছা কথা কইতে। বুড়া ভাম। অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন রমিজ তালুকদার। পরক্ষনেই সামলে নিলেন নিজেকে। বাহ! ফষ্টিনষ্টি করে বেড়াইবা তাতে দোষ নাই আর কইতে গেলেই দোষ। দেখলেন তো ভাইসাব। চোরের মার আবার বড় গলা।

চুপচাপ বসে আছে বিলকিস। সে বুঝতে পারছে তার কথা শোনার মতো ধৈর্য্য এখানের কারো নেই। অতএব চুপ থাকাই শ্রেয়। দেখা যাক ফরহাদ কি বলে। সুতরাং সে অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল। মাতব্বর গোষ্ঠী একের পর এক মিথ্যা বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে। সবার শেষে উঠলেন মন্নাপ মাতব্বর। ভাইসব এই মাইয়া গ্রামের কলঙ্ক। লজ্জা শরমের মাথা খাইয়া সে নাকি জোয়ান ছেলেগুলার সাথে পিড়িতি করে। আহারে সিদ্দিক মেম্বারের কচি ছেলেডারে এই মাইয়াডাই নষ্ট করেছে। মন্নাপ মাতব্বরের মুখে আহারে শব্দ শুনে ভিড়ের মধ্যে ও দুচারজনের মুখে আফসোসের ধ্বনি শোনা গেল। একটু থেমে আবার শুরু করলেন মন্নাপ মাতব্বর। শুনুন ভাইসব এই মেয়েরে আর গ্রামে রাখা যাইব না। এরে গ্রাম ছাড়া করতে হবে। আজকের সালিশের সিদ্ধন্তটা আমি আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সলিমুদ্দিন যেন তার মেয়েকে গ্রাম ছাড়া করে। কোথায় রাখবে তার ব্যাপার। অন্যথায় তাকে একঘরে করে রাখা হবে। কি আপনারা শুনলেন তো সিদ্ধান্ত। আপনারা এই সিদ্ধান্ত মানেন কিনা? সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে জানতে চাইলেন মন্নাপ মাতব্বর। ফরহাদ এতক্ষন ভিড়ের মধ্যেই দাড়িয়ে ছিল গুটি সুটি মেরে। চুপচাপ শুনছিল। বিলকিসের চোখে চোখ পড়েছে বার কয়েক তার। চোখ সরিয়ে নিয়েছে বিলকিস। ফরহাদ ভাবছিল বিলকিসের কথা। বিলকিস কি ভাবছে ওকে। নিশ্চয়ই ঘৃনা করছে । হ্যা ঘৃনা তো করারই কথা। যে প্রেমিক তার প্রেমকে স্বীকৃতি দিতে ভয় পায় সে আবার কেমন পুরুষ। পুরুষ শব্দটা মনে আসতেই ফরহাদ একটা তীব্র ঝাকুনি অনুভব করে অন্তরে। নাহ ! এ মেনে নেয়া যায় না। প্রতিবাদ করা দরকার। তাকে পুরুষ হতেই হবে। এ সমাজে কাপুরুষের কোন ঠাই নাই। তাকে পুরুষ হতেই হবে। আর কারো জন্যে না হোক অন্তত এ অসহায় মেয়েটার জন্যে হলেও তার পুরুষ হয়ে ওঠা জরুরি। মনে মনে কথাগুলো গুছিয়ে নেয় ফরহাদ।





মন্নাপ মাতব্বরের কথাটা বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফরহাদের দৃপ্ত কন্ঠ শোনা গেল। না মানিনা। আমরা এ বিচার মানি না। বিলকিস কোথায়ও যাবেনা। ও এই গ্রামের মাইয়া। এই গ্রামেই থাকবে। ফরহাদের সাথে আরো সাতআট জন বন্ধু বান্ধব একযোগে মন্নাপ মাতব্বরের কথা বিরোধিতা করল। হঠাৎ এমন তীব্র প্রতিবাদে হকচকিয়ে গেলেন মাতব্বরকুল। সিদ্দিক মেম্বারও মঞ্চে বসা। তার চোখে মুখে বিব্রত ভাব।তিনিই তো এতসব বিচার সালিশ ডাকলেন। এখন কিনা তারই ছেলে এ বিচার মানে না এ কেমন কথা। প্রাথমিক বিব্রত ভাব কাটিয়ে সিদ্দিক মেম্বার এবার দাড়ালেন। খামোস। তোমার সাহস তো কম নয়। মুরব্বীগো কথার উপর কথা কও তার কন্ঠে তীব্র ঝাঝ। আক্রমনাত্নক ভঙ্গি। হ্যা আমি জানি মুরব্বীগো কথার উপরে কথা বলা অন্যায়। কিন্তু আমরা কোন ভুল সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারিনা। দৃঢ় কন্ঠে বলল ফরহাদ। বিলকিসের শান্ত নীল চোখ দুটো এবার যেন একটু চঞ্চল হলো। সামান্য এক টুকরো ম্লান হাসি ফুটল তার মুখে। মন্নাপ মাতব্বর এবার মুখ খুলল। আচ্ছা বল তোমার কি অভিমত? আমাদের অন্যায়টা কোথায়। ফরহাদ মুখ খুলল, আমি বিলকিস রে ভালবাসি। ওরে ছাাড়া আমি বাচুম না। আমি ওরে বিয়া করবার চাই। আর কাউরে ভালবাসা অন্যায় না। বিলকিসও আমারে ভালবাসে। সেও কোন অন্যায় করেনি। আর দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ একে অন্যকে ভালবাসতেই পারে। অতএব আপনাদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ন ভুল। থামল ফরহাদ।

ভিড়ের মধ্যে সাত আট জন চেচিয়ে উঠল। হ্যা হ্যা সিদ্ধান্ত ভুল। ওদের দেখাদেখি আরও দুচার জন বলে উঠল হ্যা তাইতো। দুজন যদি দুজনারে ভালইবাসে তাইলে তো আর কোন বিচারের দরকার নাই। এতক্ষন সবাই জানত ফরহাদ বিলকিসকে ভালবাসেনা । বিলকিসই উদ্যোগে হয়ে নাকি এর ওর সাথে ভালবাসা করেছে। ফরহাদের কথা শেষ না হতেই সিদ্দিক মেম্বার গর্জে উঠলেন এই থাম। অনেক হয়েছে। কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় তা আমরা কম বুঝি না। তোমাকে নাক গলাতে হবেনা। সালিশের সিদ্ধান্তই চ্থড়ান্ত। আপনি ভুল করছেন আব্বাজান। বিলকিস রে আমি ভালবাসি। ওরে যদি গ্রাম ছাড়তে হয় তো আমিও তার সাথে যাব। চেচিয়ে বলল ফরহাদ। খামোস। মুখে মুখে কথা। চেচিয়ে উঠল সিদ্দিক মেম্বার। বেয়াদব ছেলে। পিতার সামনে দাড়িয়ে ভালবাসার কথা বলতে লজ্জা করেনা। আর একটা কথাও শুনতে চাইনা আমি। যাও তোমার কাজে যাও। কিন্তু আব্বা আপনাকে আমার কথা শুনতেই হবে। কারন বিলকিসই হবে আপনার একমাত্র পুত্রবধূ। তুমি কিন্তু ধৈয্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছ ফরহাদ। কোথাকার কোন চাষার মেয়ে হবে সিদ্দিক মেম্বারের পুত্রবধূ। না এ অসম্ভব। কিছুতেই তা আমি মেনে নেবনা। আপনাকে তা মানতেই হবে আব্বাজান। কারন এটাই সত্য যে, বিলকিসরে আমি ভালবাসি। তার গর্ভে আমার সন্তান। অর্থাৎ মেম্বার বাড়ির ভবিষ্যত উত্তরাধিকার।

একটা ডাহা মিথ্যা কথা বলল ফরহাদ। কারন এ ছাড়া আর কোন উপায় যে নেই তার। বিলকিসরে তো আর হারাতে পারেনা । ফরহাদের কথা শেষ হতেই সমগ্র টলঘরে ফিসফাস শুরু হল। এতক্ষন সবাই চুপচাপ শুনছিল পিতা পুত্রের বাকযুদ্ধ। কেউ চিন্তাই করেনি ঘটনা এতদুর গড়াবে। দু চারজন ফরহাদের প্রশংসা শুরু করে দিল। যাক ছেলেটার সৎসাহস আছে। কেউ কেউ খুশি হতে পারল না ফরহাদের কথায়। তারা ফরহাদের নির্বুদ্ধিতা নিয়ে উপহাস করল। গাধা ছেলে কোথাকার। সবকিছু অস্বীকার করলেই তো হয়ে যেত। কার সাধ্য সিদ্দিক মেম্বারের ছেলের গায়ে আচড় দেয়। সভামঞ্চে পিনপতন নিরবতা। ভাবনায় পড়ে গেলেন সিদ্দিক মেম্বার্। বড় অসহায় ও বোধ করলেন জীবনে এই প্রথম বারের মতো। মান সম্মান সব ধুলায় মিশিয়ে দিল তারই একমাত্র ছেলে। সলিমুদ্দিনের সাথে তাকে আত্নীয়তা করতে হবে ভাবতেই গা গুলিয়ে উঠল তার। বিলকিসও ফরহাদের কথায় প্রথমটায় হকচকিয়ে গেল্। এতবড় একটা মিথ্যে ফরহাদ বলতে পারল। পরমুহুর্তে ফরহাদের দুরদর্শিতা বুঝতে পারল বিলকিস। চোখদুটো আনন্দে চিকচিক করে উঠল ওর।

পুলিশ অফিসার এতক্ষন চুপচাপ ছিলেন। তিনি এবার তাগাদা দিলেন বৈঠক তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্যে। মাতব্বর কুল বড় দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। মন্নাপ মাতব্বরের মুখে কোন রা নেই। চুপচাপ ভাবছিলেন। সিদ্দিক মেম্বারের মাথা নিচু। লজ্জ্বায়, অপমানে মাথা তুলতে পারছেন না। ফরহাদ চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। মন্নাপ মাতব্বর এবার উঠে দাড়ালেন। খুক করে একটু কেশে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করলেন। ভাইসব আসলে ব্যাপারটা হয়েছে কি, ঘটনা যে এতদুর ঘটে গেছে তা আমরা জানতাম না। অর্থাৎ আমাদেরকে যেভাবে বলা হয়েছে আমরা সেভাবেই বিচার করেছি। আসলে ঘটনা কিন্তু সে রকম না। তাতো আপনারা নিজেরাই শুনলেন। আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হল।


সিদ্দিক মেম্বারের ছেলেই যেহেতু দোষী সেহেতু মেম্বারই এ সমস্যার সমাধান করবে। আমরা এর মধ্যে নেই। এটা মেম্বারের পারিবারিক ব্যাপার। আমরা আশা করব মেম্বার এর একটা সুষ্ঠু সমাধান করবেন। আজকের মতো বৈঠক শেষ। কথা শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন একে একে সবাই। জনতা যে যার কাজে চলে গেল।

শুধু রইল তিনটি প্রানী। সিদ্দিক মেম্বার, ফরহাদ আর বিলকিস। অবশেষে উঠলেন সিদ্দিক মেম্বার। বিলকিসের সামনে হাতজোড় করে দাড়ালেন। মা তুমি আমাকে ক্ষমা কর। আমি না জেনে না বুঝে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি অশ্রু ভরা চোখে বললেন তিনি। চলো এবার বাড়ি চল। তোমাকে আর কোথাও যেতে হবে না। তুমি আমার লক্ষী বৌমা। আমাকে ক্ষমা করেছো তো বৌমা। বিলকিসের চোখে অশ্রু। আরে! এযে আনন্দের অশ্রু।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আবু ওয়াফা মোঃ মুফতি ভাল লেখা | ভাল লাগল |
sakil বেশ ভালো লিখেছেন . ভালো হয়েছে , নিয়মিত লিখতে থাকুন
আনিসুর রহমান মানিক অনেক ভালো লাগলো /
প্রজাপতি মন ভালো লাগলো ফরহাদের সাহসিকতা!
শাহ্‌নাজ আক্তার সত্যি যদি ফরহাদের মত ছেলে ঘরে ঘরে জন্মাত তো ,, তাহলে গ্রাম - বাংলার অনেক অবলা মেয়ে সমাজে কলংকিত হতনা .........খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি |
আহমাদ ইউসুফ many many thanks for comments
মিজানুর রহমান রানা চোখে অশ্রু। আরে! এযে আনন্দের অশ্রু।
সূর্য "এ গল্পে আরো পাঠক আসা উচিৎ"
সূর্য এমন সুখি সমাপ্তী বাস্তবে খুব কম দেখা যায়। তবে গল্পে এমন পরিণতি টানায় তোমার আশাবাদ আমাকেও আশাবাদী করে। গল্পে একটই দূর্বলতা: ডায়লগগুলো প্যারাবন্ধি করাটা। এগুলো আঞ্চলিকতার টোনে আলাদা লিখা দরকার ছিল। বাকি সবটাই ভাললাগার।
আশা গল্পটি ভালো লাগল। গল্পের ফরহাদ যে বিয়ের আগেই উত্তরাধিকার বানিয়ে নিয়েছে (যদিও পিতাকে ঘায়েল করার কৌশল ছিল), সেটা বর্তমান থেকে কিছুটা দুরেই ঢালাওভাবে ঘটতে থাকবে। কারণ; অশ্লীলতার গভীরে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে তলীয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই চাই গল্পকবিতার লেখকদের কলম থেকে এমন কিছু বেরিয়ে আসুক, যা অশ্লীলতা দুরীকরণে ভূমিকা রাখবে। কারণ; এতদিন শহরে ছিলাম। বাসা আর ব্যবসায়প্রতিষ্ঠানই ছিল আমার সীমানা। এবার স্থায়ীভাবে গ্রামে ফিরে এসেছি। দেখি গ্রামের আনাচে কানাচে কতকিছুই ঘটছে। ভাবতে অবাক লাগে। এই কী আমার সেই গ্রাম-বাংলা? তবে আমি চাই বাংলার বুকে ভালোবাসার জয় হোক। যেমনটি ফরহাদের হলো।

২২ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪