পাপী

শীত (জানুয়ারী ২০১২)

ম্যারিনা নাসরিন সীমা
  • ৪৯
  • 0
পূর্ণিমার রাতটাকে আজ কেমন যেন অদ্ভুত মায়াবী লাগছে । কিছুক্ষণ আগেও আকাশ পরিস্কার ছিল । কিন্তু এখন চারদিক হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে । মুনমুন এক কাপ চা হাতে করে ছাদে এসে দাঁড়ায় । চাঁদের আবছা আলোয় পুরো ছাদটা রহস্যময় হয়ে উঠেছে । কিসের এক অমঙ্গলের আশংকায় বুকের মধ্যে কেঁপে ওঠে মুনমুনের । আজো কি সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে ? ভাবতে না ভাবতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই লোমহর্ষক দৃশ্য । মুনমুন ফিরে যায় পিছনে ফেলে আসা এক ভয়ঙ্কর শীতের রাতে ।
মুনমুন ময়মনসিংহে বাবার বাড়িতে থেকে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে । আট বছর হল তার বিয়ে হয়েছে কিন্তু এখনো কোন সন্তানের মা হতে পারেনি । তাই আর আলাদা বাসা নেওয়া হয়নি । মুনমুনের স্বামী ইফতেখার একটা এনজিওতে চাকরি করে । এক এক সময় এক এক জেলায় বদলী হয় । বছর পাঁচেক আগের কথা হবে, যতদূর মনে পড়ে সেটা ছিল ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় । শীতের কেবল শুরু । তবে তখনো তেমন শীত পড়া শুরু করেনি । হাল্কা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে কেবল । মুনমুন টাঙ্গাইলে গিয়েছিল স্বামী ইফতেখারের কর্মস্থলে বেড়াতে । ইফতেখার সপ্তাহান্তে ময়মনসিংহে আসলেও মাঝে মাঝে মুনমুন ছুটিতে টাঙ্গাইলে চলে যায় । সেবারও গিয়েছিল ছুটি কাটাতে ।
এমনই শীতের এক রাতে স্বামীর সাথে টাঙ্গাইল থেকে ময়মনসিংহ আসছিল মুনমুন। রাত তখন প্রায় সাড়ে বারোটা বাজে । একটা জীপের সামনের সিটে ড্রাইভারের পাশে ইফতেখার, তার পাশে জানালার ধারে মুনমুন । পিছনের সীটে অফিসের একজন পিওন ।



ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রোড সুনসান । মাঝেমাঝে পাশ দিয়ে হুসহাস করে চলে যাচ্ছে দুরপাল্লার কোন বাস-ট্রাক । সেদিন আকাশে ছিল পূর্ণ চাঁদ । কুয়াশা ভেদ করে সেই চাঁদের আলো যেন চুয়ে চুয়ে পড়ছে । দূরের গ্রামের বাড়ি গুলোকে মনে হচ্ছে কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা ঘুমন্ত এক নিঝুম পুরী । গাড়ীর ক্যাসেট প্লেয়ারে হালকা সুরে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজছে । আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে.............। প্রকৃতির এই রহস্যে ঘেরা সৌন্দর্য যেন গাড়ীর মানুষ গুলোকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে তাই কারো মুখে কোন কথা নেই ।


ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রোডের বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে মুধুপুরের ঘন জঙ্গল । এই অঞ্চল টুকু পার হতে গিয়ে দিনের বেলায়ই মুনমুনের গা ছমছম করে আর এখন তো গভীর রাত । তাদের গাড়ী যখন মধুপুরের ঘন জঙ্গলের মধ্যে এসে পড়ল তখন ঘড়ির কাঁটা দুটোর ঘরে । রাস্তাটিতে কয়েকটা ভয়ঙ্কর বাঁক রয়েছে । সে আরও কয়েকবার গভীর রাতে এ রাস্তায় আসা যাওয়া করেছে । কিন্তু যতবার সে এই বাঁক গুলো পার হয় ততবারই অজানা একটা ভয়ে শরীরের লোম খাড়া হয়ে ওঠে । মনে হয় বাঁকের ওপাশেই ভয়ঙ্কর কিছু অপেক্ষা করছে ।
বনের উপর আবছা চন্দ্রালোকের ছটা আর ঘন গাছগাছালির ফাঁকে ফাঁকে জমাট বাঁধা আঁধার আধিভৌতিক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে । গাড়ীটা বড় একটা বাঁক ঘুরতে যাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে মুনমুন তার স্বামীর বাহু খামছে ধরে চিৎকার করতে থাকে,
‘গাড়ী থামাও , গাড়ী থামাও ,ছেলেটা চাপা পড়বে তো ! ’
ড্রাইভার সজোরে ব্রেক চেপে ধরে গাড়ী থামায় । মুনমুন বিস্ফারিত নয়নে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে । সেখানে আট-দশ বছরের একটা ছেলে দাঁড়িয়ে । পুরো শরীর দিয়ে যেন আলো ঠিকরে বের হচ্ছে । চোখ দুটোতে আগুনের দৃষ্টি । মাথা রক্তাক্ত, সেই রক্ত দুইগালের পাশ দিয়েও বেয়ে পড়ছে । উহ, কি বীভৎস !
‘মুনমুন, কি হয়েছে ? কোথায় ছেলে ? ’বারবার প্রশ্ন করতে থাকে ইফতেখার ।
মুনমুন রাস্তার দিকে হাত উঁচু করে দেখায় ।
ওই যে দেখতে পাচ্ছনা ? পুরো শরীরে রক্ত । উঃ! আচ্ছন্নের মত বলে ওঠে মুনমুন ।

কিন্তু কি আশ্চর্য ! গাড়ীর হেড লাইটের আলোয় যতদূর দেখা যাচ্ছে কোথাও কোন জনমানব নেই । কোথায় ছেলে ? কোথায় রক্ত ? ঘুমের ঘোরে কি দেখেছ ঠিক নাই । ঘুমাও ।

এসময় ড্রাইভার বলে ওঠে , ‘স্যার , ম্যাডাম ঠিক দেখেছেন । কয়েক বছর আগে ঠিক এ জায়গায় আদিবাসী একটা ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যায় । তারপর থেকেই তার আত্মা বনে বনে ঘুরে বেড়ায় । অনেকেই গভীর রাতে ছেলেটিকে এই রাস্তায় দেখেছে ।
‘থামো ! যতসব আজগুবি কথা ।’ তুমি কখনো দেখেছ ? ধমক দিয়ে ওঠে ইফতেখার ।
আমি দেখিনি স্যার । কিন্তু অনেকের মুখে শুনেছি ।
এই তো ! কেউ দেখেনি, সবাই শুনেছে । শোনা কথায় বিশ্বাস করবে না । যেদিন দেখবে সেই দিন শুধু বিশ্বাস করবে ।
এই গল্প মুনমুন আগেও শুনেছে কিন্তু সে আর কিছু বলেনা । ঘটনাটা এখনও তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ।
এরপর কয়েকবছর কেটে গিয়েছে কিন্তু মুনমুন ঘটনাটাকে কোনভাবেই ভুলতে পারে না । এখনও মনে হয় বাচ্চাটা বারবার তার সামনে এসে দাঁড়ায় । আর আক্রোশ ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তার দিকে । সে চোখে যেমন থাকে নালিশ তেমনি একটা বোবা কান্না । সন্তানহীনা মুনমুনের সামনে যখন ছেলেটা এসে দাঁড়ায় তখন যেমন আতঙ্কিত হয় তেমনি একটা সন্তানের জন্য বুকে হাহাকার ওঠে । ছেলেটার জন্য বুকের কোণে জমা হয়েছে একধরনের মমত্ব বোধ । মাঝে মাঝে মনে হয় , আহা! কোন মায়ের সন্তান ? কি নাম ছিল বাচ্চাটার ? ওর মা কি ছেলেকে দেখার আশায় গভীর রাতে কখনো রাস্তায় এসে দাঁড়ায় ? এসব প্রশ্নের উত্তর মুনমুনের জানা নেই ।
ছাদে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল তার মনে নেই ছেলেটি এখন আর নেই । ছেলেটি তাকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা দেয় । এই কয়েক মুহূর্ত তার জীবনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে । মুনমুন একটু আনমনা হয়ে পড়ে । হটাৎ করে কাঁধে হাতের স্পর্শে ফিরে তাকায় । ইফতেখার কখন এসে দাঁড়িয়েছে খেয়াল করে নাই । কখন এলে ?
এই তো এইমাত্র, এখানে কি করছ ?
জানো ? ছেলেটা আজ আবার এসেছিল ।
তুমি ছেলেটাকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা কর বলেই দেখতে পাও ।
‘মোটেই না ! ’ মুনমুন প্রতিবাদ করে ।
‘আচ্ছা ছেলেটা বারবার আমার সামনে কেন আসে ? ’
আমি কিভাবে জানব কেন আসে ? শোন মুনমুন, কিছু মনে করোনা, আমি একটা কথা বলি , আসলে আমাদের কোন সন্তান নেই এই বিষয়টা নিয়ে তুমি বেশি ভাব । তুমি তোমার মনের অজান্তেই বারবার ছেলেটিকে দেখতে চাও । যার কারনে তুমি মনের দৃষ্টিতে এটা দেখ । বাস্তবে আসলে কিছু ঘটে না ।
মুনমুন ইফতেখারের কথা শুধু শুনে যায় কিছু বলে না । কারন এই নিয়ে তার সাথে মুনমুনের অনেকবার তর্ক হয়েছে । মুনমুন বুঝতে পারে না সে ইফতেখারের কথা বিশ্বাস করবে , নাকি নিজের চোখ কে ?
কথা গুলো বলে ইফতেখার নিজেই নিজের কাছে যেন লজ্জা পায় । হটাৎ করে উদাস হয়ে ওঠে । মুনমুনের কাছে একটা বড় সত্য গোপন করেছে সে । সে রাতে ড্রাইভার যে আদিবাসী ছেলেটির কথা বলেছিল তার ঘাতক আর কেউ নয়, ইফতেখার নিজে । এবং সেদিন রাতে মধুপুর জঙ্গলে সেও ছেলেটিকে দেখেছিল । বহুবছর আগে যে পাপ সে করেছিল, সেটা যে এভাবে সামনে এসে দাঁড়াবে কোনদিন ভাবেনি । ইফতেখার কুসংস্কার বিশ্বাস করে না কিন্তু ইদানিং মাঝে মাঝে চিন্তা হয়, আসলেই কি ছেলেটা বিচার চাইতে আসে ? এই পাপেই কি সে আজো সন্তানহীন ? কি জানি ।

বছর দশেক আগের কথা, ইফতেখার তখন সবে চাকরিতে ঢুকেছে । ময়মনসিংহে পোস্টিং । একদিন একটা জরুরী কাজে তাকে রাজশাহী যেতে হল । কাজের সুবিধার জন্য অফিস থেকে গাড়ী দিয়ে দিয়েছিল । সেটা ছিল শীত কাল । ফেরার পথে ড্রাইভারকে পাশে বসিয়ে ইফতেখার নিজেই গাড়ী চালাচ্ছিল । তারা মধুপুরের বনের মধ্যে যখন আসে তখন সন্ধ্যা হয় হয় । কিন্তু চারদিকে ভয়ঙ্কর কুয়াশা ছিল গাড়ীর লাইটেই একটু দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না । ইফতেখার খুব ধীরে সাবধানে গাড়ী চালাচ্ছিল । কিন্তু কি যে হল ,মধুপুর জঙ্গলের ঠিক ওই বাঁকটা ,যেখানে সেদিন রাতে ছেলেটিকে মুনমুন দেখেছিল । ওই বাঁক টা ঘুরতে যাবে কোথা থেকে মনে হল আট-দশ বছরের একটা ছেলে গাড়ীর সামনে এসে পড়ে গেল। সম্ভবত সে দৌড়ে রাস্তা পার হতে যাচ্ছিল । তারপর কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তেই ঘটে যায় সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা । ইফতেখার দেখতে পায় রাস্তার উপর ছেলেটি লুটায়ে পড়েছে । সমস্ত শরীর রক্তাক্ত । ইফতেখার দৌড়ে গাড়ীর দরজা খুলে নামতে যায় কিন্তু ড্রাইভার লুতফর ইফতেখারের হাত টেনে ধরে , স্যার কোথায় যাচ্ছেন ? দেখতে পাচ্ছেন কত আদিবাসী দৌড়ে আসছে ? আমাদেরকে মেরে ফেলবে স্যার ।
ইফতেখার সামনে তাকিয়ে দেখল কয়েকজন আদিবাসী তাদের দিকেই দৌড়ে আসছে । তারপরও সে গাড়ীর দরজা খুলে নেমে পড়ে । আসুক , আমরা চেষ্টা করলে ছেলেটাকে বাঁচাতে পারব । সামনেই হাসপাতাল আছে ।
স্যার আদিবাসীদের চেনেন না ।ওরা আমদেরকে মেরে ফেলবে আর ছেলেটার যে অবস্থা তাতে মনে হয়না বাঁচবে । আপনি বসেন, স্যার ।
বলে এক প্রকার জোর করেই লুতফর ইফতেখারকে গাড়ীতে বসিয়ে দিয়ে নিজে চালকের আসনে উঠে বসে । আদিবাসীদেরকে সাইড কেটে সে দ্রুত গাড়ী চালিয়ে দেয় । আদিবাসীদের কয়েক জন হৈ হৈ করে গাড়ীর পিছনে পিছনে দৌড়াতে থাকে কিন্তু গাড়ীর সাথে তারা দৌড়ে পারবে কেন ? এরপর তারা আর কোথাও থামেনি । সরাসরি ময়মনসিংহে চলে আসে । ড্রাইভার বিদায় নেওয়ার আগে বলে ,স্যার দয়া করে এই ঘটনার কথা কাওকে বলবেন না । তাহলে আপনার সাথে সাথে আমিও জেলের ভাত খেয়ে মরব । আমি গরীব মানুষ স্যার, আমার বাচ্চা কাচ্চা আছে । ওরা এতিম হয়ে যাবে ।
ইফতেখার ঘটনার আকস্মিকতায় এত বিহ্বল ছিল যে তখন তেমন কিছু বলতে পারেনি শুধু মাথা নেড়ে সায় দেয় । তারপর থেকে বহুদিন সে মনে মনে অনুতপ্ত হয়েছে । বার বার চেয়েছে থানায় গিয়ে সব কিছু জানাতে কিন্তু কিসের এক দুর্বলতায় সেটা পারেনি । ওই দিন রাতে ওই ঘটনার পর মুনমুনকেও বলতে চেয়েছিল সেটাও পারেনি । মুনমুনের কাছে নাকি বারবার ছেলেটা আসে কিন্তু তার কাছে কখনো আসেনি । মুনমুন দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে পড়ছে । তাকে মানসিক রোগের ডাক্তার ও দেখানো হয়েছে কিন্তু ডাক্তার তার মধ্যে তেমন কোন সমস্যা দেখতে পাননি । ইফতেখার আত্মা বলে পৃথিবীতে কিছু আছে এটা বিশ্বাস করে না । কিন্তু সেদিন রাতের ঘটনার পর সে বুঝতে পারে না সেটা কি ছিল । সত্য মিথ্য যাই থাক এই মুহূর্তে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় ইফতেখার । যাই হোক না কেন কালই সে মধুপুর থানায় যাবে এবং দুর্ঘটনার সমস্ত দোষ স্বীকার করে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে ।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ইফতেখারের মনে হল তার মাথা থেকে ভারী একটা বোঝা নেমে গেল ।
সে ধীরে ধীরে মুনমুনের একটা হাত ধরে । মুনমুন অবাক হয়ে ইফতেখারের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করে । কারন ইফতেখারের মধ্যে আজ সে অন্যরকম কিছু দেখছে । সে সাধারণত এমন করেনা । কি হয়েছে ? মুনমুনের কণ্ঠে উদ্বেগ ঝরে পড়ে ।
আমি তোমাকে আমার জীবনের একটা সত্যি কথা আজ বলব , যেটা কখনো কাউকে বলিনি । ইফতাখারের কণ্ঠে গভীর আবেগ ।
মুনমুন একটু ভয় পায়, কি কথা বলত ? খারাপ কোন কথা নয়ত ? আমার কিন্তু ভয় করছে ।
ইফতেখার একটু সময় নেয়, তারপর এক এক করে সব কথা খুলে বলে । মুনমুন বিস্ফারিত চোখে ইফতেখারের দিকে তাকিয়ে থাকে । সে চোখে একদিকে ভয় , সন্দেহ , বিস্ময় ।
মুনমুনের দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে । কিন্তু ইফতেখার সেটা দেখতে পায়না কারন একজনের সন্তান হত্যার ভারে তার মাথা নিচু । যে সন্তান তার ঘরে আসতে পারত তার কথা ভেবে আজ তার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু একজন সন্তানহীনা মায়ের সামনে সে কাঁদার মত সাহস খুঁজে পায়না । একজন পাপীর মতই সে মাথা নিচু করে থাকে শাস্তি ঘাড় পেতে নেবে বলে ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ- এই গল্পের কাহিনী এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক । এর সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই ।বাস্তবের কারো সাথে চরিত্রের মিল ঘটলে সেটা কাকতালীয় মাত্র ।)








আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান খুব করুন কাহিনী.........মন ভারী হয়ে গেল......আর এটাই গল্পকারের স্বার্থকতা......খুব ভালো.......
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১২
মনির মুকুল দুর্ঘটনার পর আহত শিশুটির চিকিৎসা জরুরী ছিল। সে দায়িত্বও ইফতেখারের উপর পড়ে, তবে আমরা যেহেতু জেনেছি আদিবাসীরা কাছেই ছিল তাই এটা তারাও করতে পারবে ভেবে নিজের জান-মাল বাঁচানো (কারণ আদিবাসীরা একটু উগ্র টাইপের হয়) বুদ্ধিমত্তার আয়তায় পড়ে। তারা কাছাকাছি না থাকলে ব্যাপারটা পুরোপুরি অমানবিক হয়ে যেত। হত্যা করা আর দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক জিনিস নয়। তাই ইফতেখারকে হত্যাকারী বা পাপী বলা ঠিক হবে না। কোনো চালকই ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটান না। তবে এটা বলা যায় সচেতনতায় অনেক দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়। তাই ইফতেখার এই অপরাধেই অপরাধী। *** ভিন্ন ধাঁচের এই গল্পটি বেশ ভালো লাগলো। গল্পকারের উপলব্ধীক্ষমতা অনেক উন্নত। শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১২
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন - - - - - - - -- চমৎকার লাগল গল্পটা। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ২৪ জানুয়ারী, ২০১২
ম্যারিনা নাসরিন সীমা হাহাহা আরফান ভাই আমি বড়ই ভীতু । যাহোক আপনি সহ সকল লেখক পাঠক কে কৃতজ্ঞতা ।
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১২
বিন আরফান. (বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ- এই গল্পের কাহিনী এবং চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক । এর সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই ।বাস্তবের কারো সাথে চরিত্রের মিল ঘটলে সেটা কাকতালীয় মাত্র ।) // লেখিকা ভয় পেয়েছেন নাকি ? যদি মিলে যায় তবে মন্দ দিক ত্যাগ করা যেতে পারে. ঘৃনাও করা যায় অনুনয় বিনয় কোন প্রয়োজন নেই. অসাধারণ লিখেছেন.
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১২
সুমননাহার (সুমি ) onek sundor likhechen apu আপনার জন্য সুভকামনা
ভালো লাগেনি ১৯ জানুয়ারী, ২০১২
এম এম এস শাহরিয়ার আপনি সব সময় ই ভালো লিখেন ...........
ভালো লাগেনি ১৯ জানুয়ারী, ২০১২
রূপনগরের রাজপুত্র সময় সল্পতার কারণে বেশী কিছু লিখতে পারলাম না এক কথায় অসাধারণ .....
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০১২
এস কে পরশ গল্পটি আসলেই আমার ভালোলেগেছে...........
মা'র চোখে অশ্রু যখন অনেক অনেক সুন্দর একটা গল্প পরলাম .সীমা আপু কেমন আছেন ?আপনার বাবুটা কেমন আছে ?

০৩ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪