টরোন্টোতে একজন বাংলাদেশী

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১১)

মুশফিকুর রহমান সুমিত
  • ২১
  • 0
- হ্যালো!
- বন্ধুরাজ, গুড নিউজ আছে। অফিস শেষ করে আমার বাসায় চলে আয়।
- কি গুড নিউজ?
- It’s party time! অনেক লাকি তুই! বাসায় আয় সব বলছি। I’ll be waiting.
- ঠিক আছে। ১ ঘণ্টার মধ্যে আসতেছি। বাই।
- বাই!

ফোন রেখে হাতের কাজে মনোনিবেশ করলো আবরার ইবনে আতিক রুপম। টরোন্টোতে একটি সাইন্টিফিক রিসার্চ প্রোজেক্টে আই.টি. স্পেশালিষ্ট হিসেবে গত চার মাস ধরে কাজ করছে সে। ইনফরমেশন টেকনোলজিতে অনার্স আর মাস্টার্স, এম.ফিল, পি.এইচডি করেছে ন্যানোটেকনোলজির উপর। ওর গবেষণার বিষয় ছিল “Environmental Impact of Nanomaterials”। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই স্কলারশিপ নিয়ে University of Toronto-তে ভর্তি হয়। ক্যানাডাতে ওর আত্মীয়স্বজন নেই। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হত। মা-বাবা, ভাই-বোন আর বন্ধুদের ছেড়ে ওর মন টিকত না। এখন সয়ে গেছে। মানব মন বলে কথা! অনেকটা অবুঝ বাচ্চা ছেলের মত। একটু আদর করে মাথায় হাত বুলালেই বশে এসে যায়। ওর বেলায়ও তাই হয়েছে।

অনেক বাঙালি আছে টরোন্টোতে। কিন্তু রুপমের সাথে সখ্যতা আছে শুধু একজনের – তাপস গাঙ্গুলি। বাংলাদেশী না হলেও বাঙালি। রুপমের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। টরোন্টোতে পা রাখার কয়েকদিনের মধ্যেই ওর সাথে পরিচয় হয়। রুপম মাঝে মাঝে ভাবে, “কিভাবে তাপস আমার এত কাছের হয়ে গেলো?” উত্তর নিজেই খুঁজে বের করে। ভাষা! প্রথম কয়েকদিন শুধু ইংলিশে কথা বলে কাটাতে হয়েছে। রুপমের নাকি বেশিক্ষন টানা অ-বাংলা ভাষা বললে চোয়াল ব্যথা করে। সেখানে তাকে চারদিন কথা বলতে হয়েছে ইংলিশে! চতুর্থ দিনে এসেতো ও কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু ইয়েস, নো আর মাথা নাড়ানো। এমন অবস্থায় একজন বাঙালি পাওয়া ওর কাছে অনেকটা হারিয়ে যাওয়া সন্তানের মাকে ফিরে পাওয়ার মত। তাইতো! ভাষাতো মায়েরই মত।

তাপস টরোন্টোতে এসেছিল রুপমের ৩ মাস আগে। University of Toronto’র অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ছিল সে। ভার্সিটির এক ক্যাফেতে রুপম বসেছিল সেদিন যেদিন তাপসের সাথে পরিচয়। তাপস তখন মোবাইল ফোনে মায়ের সাথে কলকাতায় কথা বলছিল। ব্যস! পেয়েছে বাঙালি! রুপম কি আর এই সুযোগ হাত ছাড়া করে? নিজেই তাপসের কাছে গিয়ে কথা বলল। “আমি যদি কখন কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হই তাহলে এক কাজ করবো”, বলল রুপম। একটু বিস্ময় নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো তাপস, “কি করবেন?” “মৃত্যুদণ্ড অবৈধ ঘোষণা করবো। আমার দেশে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যাবে না”, বলল রুপম। “বাহ! বেশ দিলদরিয়া মনে হয়। তা মশাই, তাহলে কি অপরাধটার একটু অপ্রয়োজনীয় আধিক্য হয়ে যাবে না?” বলল তাপস। “জী না মশাই। মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমি অন্য শাস্তি দিবে। শাস্তির নাম হতে পারে ‘ভাষা শাস্তি’।”, বলল রুপম।
- You mean ‘Floating punishment’.
- আরে না। ‘Language punishment’।
- যেমন?
- যে খুব বড় কোন অন্যায় করবে তাকে বাকি জীবনের জন্য অন্য একটা দেশের জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে যেখানে এমন কাউকে সে পাবে না যার সাথে নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে।
- তাতে কি কোন উপকার হবে?
- হবে বৈকি! হতে বাধ্য।
- হলে তো বেশ ভালো। অভিনব শাস্তি। বেশ মানবিকও বটে। তবে তার জন্য অন্যান্য দেশের সাথে একটু বেশিই ভালো সম্পর্ক থাকা লাগবে। তা মশাই, হঠাৎ এমন চিন্তা আসলো কেন?
- আর বলবেন না। আমি টরোন্টোতে পা রেখেছি চারদিন আগে। গত চারদিনে আমি কারো সাথে বাংলায় কথা বলতে পারিনি। ফলস্বরূপ গত রাতে চোয়ালের ব্যথার চোটে আমি পেইনকিলার খেয়েছি।
- হা হা হা!!! ভালোই বলেছেন। ভাষা শুনেতো স্বদেশী মনে হয় না। বাংলাদেশী নাকি?
- আজ্ঞে! কিন্তু কি করে বুঝলেন? আমিতো আপনাদের স্টাইলেই কথা বলার চেষ্টা করছি। হচ্ছে না?
- হচ্ছে কিছুটা।
- তাহলে কি করে বুঝলেন?
- ঐযে বললাম, “কিছুটা হচ্ছে”। পুরটা হলে ধরতে পারতাম না।
- ও! বুঝছি। তাইলে আর আজাইরা চেষ্টা করলাম না।
- হা হা হা!! সেটাই বোধয় ভালো। Anyway, আমি তাপস।
- আমি রুপম।

পরিচয় পর্বটা এমনই ছিল। সেদিন থেকে আজ অবধি ওরা দুজন দুজনের সবচেয়ে কাছের মানুষ। ড্রাইভিং সীটে বসে পুরনো স্মৃতিগুলো এভাবেই হাতড়াচ্ছিল রুপম। আজ সাড়ে ৬ বছর পর জীবনে প্রথমবারের মত ওর মনে হচ্ছে ও তাপসকে হারাবে। হ্যাঁ, ও জানে। ও সত্যিই তাপসকে হারিয়ে ফেলবে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন জানি পৌঁছে গেলো তাপসের বাসায়। কিন্তু ভেতরে যেতে ইচ্ছা করছে না। মনের ভেতরটা কেমন জানি হুহু করে উঠল। কিন্তু কেন? ও জানে কেন। তাপস জানে না। ২ ফোটা চোখের পানি ফেলল রুপম। যদি মনটা হালকা হয়! নাহ। হল না। মনের ভেতরের যে জমিটুকু তাপসের নামে লেখা সেই জমিতে আজ হারিয়ে যাওয়ার সূর্য এসে আলো ফেলেছে। সেই সূর্যের এত তীব্রতা যে ভালবাসার এই জমিটুকু জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেছে। ২ ফোটা চোখের পানির বর্ষণে তার তেষ্টা মিটে না। কিন্তু কি করা? বন্ধুরাজ ভেতরে অপেক্ষা করছে। গাড়িতে বসে থাকলে চলবে না।

একবার বেল টিপতেই দরজা খুলল তাপস। মুখে হাসি। কিন্তু বন্ধুরাজের চেহারা দেখেই বুঝল, “গলদ আছে”।

- কি হয়েছে?
- কই?
- তাই? কিছু হয়নি?
- নাতো!
- রুপম, চোখ লাল কেন তাহলে?
- ডাস্ট ঢুকছে মনে হয়। আমি চোখে পানি দিয়ে আসি।
- ওকে।

তাপস জানে কিছু হয়েছে। রুপম জানে তাপস বুঝে ফেলেছে যে ও কেঁদেছে। আবার তাপস এটাও জানে যে রুপম বুঝেছে যে ও বুঝে ফেলেছে। কিন্তু তাও কেউ কোন উচ্চবাচ্য করলো না। রুপম বাথরুমের দিকে গেলো। তাপস অপেক্ষা করলো।

- বল এবার। কি গুড নিউজ?
- UT তোকে ওদের Nanotech department-এর পার্মানেন্ট ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে চায়। প্রফেসর স্টিভের সাথে দেখা হয়েছে। আমার ব্যাঙ্কে এসেছিলো আজ। বলল তোকে ফোন করবে।

“ও, তাই?” বলে একটা শুকনো হাসি দিল রুপম। “তবে আর বলছি কি? পার্মানেন্ট জব পেয়ে গেলি। তাও আবার টিচিং প্রফেশন। যেমন তুই স্বপ্ন দেখতি। সবচেয়ে বড় কথা, it’s a government job which means that you’re definitely gonna get the citizenship of Canada. তোর প্রোজেক্টের কাজ শেষ হতে আর কয় দিন বাকি?”, বলল তাপস। “এইতো, আগামী মাসেই ইনশাল্লাহ শেষ হবে।” নিচু গলায় জানাল রুপম।

তাপস ভেবেছিল হয়তো দেশের কথা, মা-বাবার কথা মনে করে মন খারাপ করেছে রুপম। গুড নিউজটা জানালেই মন ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু না। আজ তার বন্ধুরাজ কেমন জানি হয়ে আছে। অন্য কোন সমস্যা। “বন্ধুরাজ, কি হয়েছেরে? বলবি না আমাকে?” বলল তাপস। আর কান্না আটকাতে পারল না রুপম। হাউমাউ করে কেঁদে দিল। “তোর সাথে আমি থাকতে পারব না দোস্ত। I gotta go.” কাঁদতে কাঁদতে বলল রুপম। ওর মাথাটা নিজের বুকে চেপে ধরল তাপস।

- কেন? কি হয়েছে? কোথায় যাবি? কেন যাবি?
- দেশে চলে যাবো।
- মানে? কি বলছিস? UT তে জব পেয়েছিস। দুদিন পর সিটিজেনশিপ পেয়ে যাবি। অ্যান্টি-আঙ্কেল, রুপক, রুবিকে নিয়ে আসবি এখানে। Life settled. দেশে ফিরে যাবি কেন? পাগল হয়েছিস?
- দোস্ত, তোকে আমি বলতাম না যে আমার স্বপ্নটা অনেক বড়? এত বড় যে এই স্বপ্নটাকে বয়ে নিয়ে চলার জন্য আমাকে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হাতছাড়া করতে হবে।
- হ্যাঁ, বলতি। কিন্তু কখনো বলিসনি স্বপ্নটা কি। আজ বলবি?
- বলব। দোস্ত, আমার দেশ আমার স্বপ্ন। আমাদের সব আছে দোস্ত। আমারা অনেক সম্পদশালী। শুধু আমারা সেই সম্পদগুলোকে ঠিক মত ব্যবহার করতে পারি না। ১৬ কোটি মানুষ এই ছোট্ট দেশটাতে। কিন্তু কখনো শুনছিস আমাদের দেশে কেউ না খেয়ে মরছে? বাংলাদেশের মত একটা দেশ প্রতিদিন ১৬ কোটি মানুষের খাবার এর ব্যবস্থা করতেসে। এইটা কি অনেক বড় ব্যপার না?
- নিশ্চয়ই।
- প্রতি বছর কত কত ছাত্র ছাত্রী স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে আসতেছে। দুনিয়ার অন্য অনেক বড় বড় দেশের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কম্পিটিশন করতেছে। আমরা কি কোনোদিক দিয়ে কম? আমাদের ইউনিভার্সিটিতে প্রতি সেমিস্টারে কত বাংলাদেশী স্টুডেন্ট স্কলারশিপ পাইতেছে। সবই তো মেধার জোড়ে। কিন্তু তাও আজকে আমাদের দেশের এই অবস্থা। জানিস কেন?
- Corruption, maybe…
- Of course corruption. কিন্তু আরও আছে। আমরা দায়ী দোস্ত। আমাদের মত স্কলারগুলা দায়ী। বিদেশে এসে আমারা দেশকে ভুলে যাই। আমারা যোগ্যতা অর্জন করতে বিদেশে আসি। তারপর যোগ্য হয়ে বিদেশেই থেকে যাই। আমারা অন্যের দাসত্ব করি। সেই দেশের উন্নতির জন্য কাজ করি। কিন্তু আমি আমনটা করতে পারব না।
- I see. বন্ধুরাজ, ছোটবেলা থেকেই বাবা শিখিয়েছিলেন মনটাকে বড় করতে। তোকে যেদিন থেকে চিনি সেদিন থেকেই অনেক বড় মনের মানুষ হিসেবে জানি। ভেবেছিলাম তুইও আমার মত। কিন্তু আজ জানলাম, তোর মনটা আমার মনের চেয়েও অনেক বড়। I salute you! দেশে যা। আমি ২০ বছর পর যেন বলতে পারি যাদের জন্য আজ বাংলাদেশ এত উন্নত আমার বন্ধুরাজ তাদের মধ্যে একজন।
- ইনশাল্লাহ! আমি করবো।
- দেশে গিয়ে কি করবি ঠিক করেছিস?
- UT যখন চাকরী দিসে তখন নিশ্চয়ই বাংলাদেশেরও কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে নিবে, কি বলিস?
- নিবে বৈকি!
- আমি রিসার্চ চালায় যাবো। আমার দেশে Nanotech আর অ্যাটমিক লেভেলের ফিজিক্স নিয়ে এখনো তেমন পড়াশোনা বা গবেষণা কোনটাই শুরু হয় নাই। আমি যেহেতু এই সেক্টরের মানুষ, চেষ্টা করবো বিজ্ঞানের এই নতুন টপিকগুলাকে ছাত্রছাত্রীদের আরও কাছে নিয়ে যাইতে। যদি বেঁচে থাকি কোন একদিন একটা University প্রতিষ্ঠা করবো, ইনশাল্লাহ। That’ll be a specialized university only for Nuclear physics and related subjects. কোন ছাত্র ছাত্রীকে যেন এই বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য বিদেশ যাওয়া না লাগে। ওরা দেশে পড়বে। দেশে গবেষণা করবে। ওরা নোবেল প্রাইজ পাবে। কেউ যেন এই কথা বলতে না পারে যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অমুক দেশের নাগরিক নোবেল পাইজ পাইসে। বাংলাদেশের নাগরিকই নোবেল প্রাইজ পাবে।
- সবাই যদি তোর মত ফীল করত, এভাবে চিন্তা করত! এমন চিন্তা মানুষের মনে আসেই না। বেশিরভাগ মানুষই বলে বিদেশে গিয়ে লেখাপড়া করে বিদেশেই settled হয়ে যাবে।
- এইটাই কষ্ট। দোস্ত, আমি একটা সরকারী স্কুলে পড়াশোনা করসি। তারপর পরলাম সরকারী কলেজে। তারপর আড়াই বছর পরলাম ঢাকা ভার্সিটিতে। আমার শিক্ষা জীবনের প্রথম ১৫ বছরের পুরাটাই আমি পড়াশোনা করসি সরকারের পয়সায়। আমার এই আজকের রুপম হওয়ার পিছনে আমার দেশের একজন খেঁটে খাওয়া দিন মজুর থেকে শুরু করে একজন ক্লাস ওয়ান রেঙ্কের অফিসারের অবদান আছে। একজন রিকশাওয়ালা যে ২ টাকা দামের বিড়ি খায় সেখানেও একটা অংশ ও VAT হিসাবে দেয়। ওদের সবার প্রতি আমার দায়িত্ব আছে। ওই রিকশাওালার সন্তানটাকে যেন আমি পড়াতে পারি, বড় হতে সাহায্য করতে পারি সেই জন্যই দেশে যাবো। আমি আমার দেশের সাথে, দেশের মানুষের সাথে বেইমানী করতে পারব না।
- নিজেকে অনেক ছোট লাগছে আজ। কি করলাম আমি? তোর জন্য যা সত্যি আমার জন্যও তাই সত্যি। কিন্তু আমি এইভাবে ভাবিনি কখনো। আমিও চলে যাবো। ক্যানাডায় এসে অনেক বড় ডিগ্রী নিয়েছি। কিন্তু সবচেয়ে বড় শিক্ষা আজ তুই দিলি। আমার সন্তান হলে একদিনের জন্য হলেও আমি বাংলাদেশে পাঠাবো। বলব, “যা, বাংলাদেশে যা। বাংলাদেশে গিয়ে শিখে আয় দেশপ্রেম কাকে বলে। দেখে আয় ওখানে মানুষগুলো এত কষ্ট করে বেঁচেও কিভাবে দেশকে ভালবাসে। বন্ধুরাজ, আমার সন্তানদেরও একটু শিখিয়ে দিস। আর একটা কথা। গুটিকয়েক বেঈমানের জন্য যেন পুরো দেশটা বদনাম না হয় সেদিকে একটু খেয়াল রাখিস। এই কাজটা আমাকেও করতে হবে, আমার ভারত মায়ের জন্য।”
- ক্যানাডা, UT’র চাকরী কনটা ছাড়তেই আমার কষ্ট নেই। আমার কষ্ট তোকে ছাড়তে। জানি না আবার কবে দেখা হবে। আদৌ হবে কিনা কে জানে?
- নিশ্চয়ই হবে।

দুই বন্ধু এরপর সারারাত অনেক গল্প করলো। হয়তো একজন আরেকজনকে আরও অনেক জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা দিল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া এটা দিয়ে এবারের গল্প শেষ করলাম, খুব ভালো লাগলো পরে/
মোঃ শামছুল আরেফিন অসম্ভব সুন্দর গল্প লিখেছনে। প্সাধারন থীম, কিছু আবেগ আর প্রত্যাশার মিশেল। আমিও স্বপ্নে দেখি আমাদের দেশের সন্তানরাই নোবেল পাবে একদিন। তবে শুধু বিগাআ নয়, চিকিতসা, অর্থনীতি, শান্তি এমনকি সাহিত্যে। অপেক্ষায় রইলাম সেদিনের। জীবনে দেখে যেতে পারবো কিনা জানিনা। তবে চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন সেই দিন দেখে যেতে পারে।
হোসেন মোশাররফ বিদেশে না থেকেও কল্পনায় যে ছবি তুলে এনেছেন গল্পে তা যেন বাস্তবের কাছাকাছি........
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি গল্প ভালো হয়েছে নতুন একটা স্বাদে মুখটা চোটকে নেয়া গেলো।পরিশেষে দেশ প্রেমের উদ্বোগ দেখে অনেকটা আশাবাদী হোলাম। ধন্যবাদ সুমিতকে.....................
মুশফিকুর রহমান সুমিত ধন্যবাদ আপনাদের। তবে বলে রাখি, আমি বিদেশে থাকি না। বাংলাদেশ ছেড়ে আজ পর্যন্ত কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পরেনি। :)
আশা অসাধারণ দেশপ্রেম দেখালেন ভাইয়া। রুপমের মতো যদি সবাই ভাবতো তবে এই দেশটা সুখের স্বর্গে পরিণত হতো, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে রুপন-তাপসের অকৃত্রিম বন্ধুত্বটিও মনে গেঁথে রাখার মতো। আর আপনার লেখনিও ভালো।
মিজানুর রহমান রানা সুন্দর অণুগল্প। বিদেশের মাটিতে বসে অপূর্ব দেশপ্রেমমূলক গল্প রচনা করেছেন। আপনাকে অভিনন্দন।
আহমেদ সাবের দেশপ্রেমের আদর্শ-স্নাত গল্প। আমার অনেক বছরের প্রবাস জীবনে রুপমদের মত কাউকে পাইনি যে তা নয়। তবে, সংখ্যায় নগণ্য। গল্প হিসাবে একটা চমৎকার গল্প। বর্ণনার সাবলীলতা মুগ্ধ করার মত।
ওয়াছিম যে কষ্ট আছে গল্পে তা ছরিয়ে পরুক সবার মনে..................

০৩ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী