যে অশ্রু বলতে যানে

মা (মে ২০১১)

গায়ের ছেলে রেজা
  • ১৭
  • ৯৬৮
"যে অশ্রু কথা বলে"
আমি আসাদ, বয়স ১৯। এইচ, এস, সি পরীক্ষা সবে মাত্র শেষ করলাম। একটু আহ্লাদী টাইপের ছেলে আমি। অন্য ১০জন ছেলের মত আমি নই, জীবনকে ভাল মত বুঝতে শিখিনী তখনও। বাবা মাকে ছেড়ে একটি রাতও দুরে থাকিনি। আসলে বাবা মা'ই আমাকে কোনদিন দুরে থাকতে দেয়নি। একদিন ১১ কি ১২ ঘণ্টা ফুপু বাড়িতে ছিলাম। সেই আমি আজ ঢাকা যাচ্ছি কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে। আমাদের গ্রামে ভাল কোনো কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার নেই, তাই ঢাকা যাওয়া। থাকবো বোনের বাসায়। আমি খুবই ভালো থাকবো একথা আমি, মা বাবা সবাই জানতো। অনেক আগে থকেই ঠিক করা ছিল পরীক্ষা শেষ হলেই ঢাকা যাবো ডিজাইন শিখতে। অবশেষে সেই দিন এসেছে। আমার ব্যাগ কত বড় হয়েছে সেই দিকে যাবোনা। আমি বিদায় নিচ্ছি সবার কাছে, আমার আনন্দই লাগছে, মনে হচ্ছে একটা স্বাধীনতার টেপ বাজছে বুকের কনসার্টে। সবাই কিছুদূর এগিয়ে দিয়ে গেলো, কিন্তু মা আমার সাথে সাথে বাস পর্যন্ত যাবে। যদিও সাথে আমার ভগ্নিপতি আছে তারপরেও। প্রায় ২ কিলোমিটার হাটতে হবে বাস ধরতে। কথায় কথায় অনেক পথ চলে এসেছি আমরা তিন জন। ভালই পথ এগুচ্ছে, হঠাৎ আমার চোখ পড়লো আমার মায়ের চোখে, পদ্ম পাতার কার্নিশে জমে ওঠা জলের মত মায়ের চোখের বারান্দায় দেখতে পেলাম জলের কোলাহল। কেমন যেন একটা অনুভূতি ছেয়ে গেল আমার প্রতিটি শীরায় উপশিরায়, আমি আর হাটতে পারছি না, মনে হচ্ছে আমার পা দুটো পাথর হয়ে আসছে, এই বুঝি আমি মাটিতে পরে যাবো। আমি আর মায়ের চোখে তাকাতে পারিনি, অথচ আজও যেন সেই একজোড়া চোখেই তাকিয়ে আছি আমি। তারপর কেটে গেছে আরও ২৩ বছর। মা আজ বৃদ্ধা, আজও বিদায়ের দিন মা কাঁদে। মায়ের সেই অশ্রু কি বলে আমি আজ বুঝি। আজও আমি মাকে মুখ ফুটে বলতে পারিনা '' মা- আমি যে তোকে সান্ত্বনা দিতে জানিনা - তুই কাঁদলে আমার অ-দ্বিতীয় হৃদয়ে ২বার কষ্ট হয় '' । তাই ছেড়ে দেই দায়ভার সব তার হাতে - যে অশ্রু বলতে যানে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ্‌নাজ আক্তার খুব আপলুত হযে গেলাম পড়ে.....আরো বড় করার চেষ্টা করো , সেটা তুমি পারবে
শিশির সিক্ত পল্লব মা- আমি যে তোকে সান্ত্বনা দিতে জানিনা - তুই কাঁদলে আমার অ-দ্বিতীয় হৃদয়ে ২বার কষ্ট হয় '' .......রেজা ভাই ছোট হলেও অনেক প্রানবন্ত লিখেছ..........
অদৃশ্য মা আর সন্তানের বিচ্ছেদের অনুভূতি অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। আরও ভাল করতে হবে।
মামুন ম. আজিজ অনুভূতিকে নাড়া দেযার মত লেখনি। বেশ ভালো। আর সে কারনেই আরও সুন্দর ভাবঘন , ডালপালা বিস্তার করা গল্প আশা করলে কি অন্যায় হবে?
ঝরা লেখাটি ক্ষুদ্র হলেও পড়তে গেলে মায়ের মত আমারও ছোখের বারান্দায় অস্রু টলমল করে
sakil চোট লেখা তবে ভালো হয়েছে
স্য়েদা তাবাসসুম আহমেদ চত কিন্তু সুন্দর ..ভালো লাগলো

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী