সনদে বাঁধা

গর্ব (অক্টোবর ২০১১)

মনির মুকুল
  • ১০৬
  • 0
ভাত খাওয়া শুরু করতেই তিনি খেয়াল করলেন তরকারির মধ্যে স্বাদ বলে কিছু নেই। মাছ বিহীন নিরামিষ তরকারি, তাতে তরকারি সুলভ স্বাদ টুকুও যদি না থাকে তবে তা দিয়ে ভাত খাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন যাবৎ রান্না-বান্নার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে স্ত্রী যেন রান্নাই ভুলে গেছে। তিনি মনস্থির করলেন স্ত্রীকে ডাকবেন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আবার থমকে গেলেন। মনে পড়ে যায় আজ প্রায় দশ দিন যাবত তিনি কোন সওদা-পাতি করেন না। টাকার অভাবে রান্না-বান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো ঠিকমত কিনে দেয়া হয় না। এখন তরকারির ব্যাপারে কথা উঠালে প্রসঙ্গক্রমে বাজার করার কথাটা পেশ করতে পারে। কাছে কোন টাকা নেই। এই মুহূর্তে বাজার করা প্রসঙ্গের কোন সুত্রপাত হোক তা তিনি মোটেও চান না। তাই তরকারির বিষয়ে কথা বলে বাজার করার প্রসঙ্গ উত্থানের চেয়ে নিরবে খেয়ে যাওয়াই শ্রেয়। অতএব আজও তিনি স্বাদহীন তরকারির ব্যাপারে কোন কথা উঠাবেন না।

তিনি এ বাড়ীর কর্তা আসমত শেখ। আর্থিক দৈন্যতার কারণে সংসারের মৌলিক চাহিদাগুলো ঠিক মত মেটাতে না পারার কারণে বাড়ীর সার্বিক খোঁজ-খবর নেয়ার অধিকারও যেন হারিয়ে ফেলছেন। ইদানিং স্ত্রীর সাথে আলাচারিতা থেকে যথা সম্ভব বিরত থাকারও চেষ্টা করছেন। এই বিরত থাকাটা কোন অবজ্ঞা বা অবহেলা নয়। উপার্জন ক্ষমতা সীমিত হওয়ার কারণে সংসারের অতি প্রয়োজনীয় চাহিদার মুখোমুখি হয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার না হওয়ার জন্য এর চেয়ে বিকল্প পথ আর খুঁজে পাননি।

স্ত্রী ছাড়া একমাত্র ছেলে শফিকের কাছেও তিনি ততটা ভেড়েন না। দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরীর পিছনে ছুটেও সে কোন চাকুরী জোটাতে পারেনি। সেদিন ছেলের চাকুরীর ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে তার কথা শুনে অসহায়বোধ করছিলেন। শফিক জানায় চাকুরীটার জন্য সে যোগ্যতা সম্পন্ন হলেও হাজার ত্রিশেক টাকা না হলে হয়তো এ চাকুরীটাও হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই আলাপের মাঝে পিতাকে টাকাটা ম্যানেজ করার কথা বলেছিল। কিন্তু কোনভাবেই তিনি ছেলের হাতে টাকাটা দিতে পারেননি। অন্য পিতারা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে আর তিনি তার একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের জন্য ত্রিশ হাজার টাকার কোন বন্দোবস্ত করতে পারলেন না। বিষয়টা খুব কষ্টের। তাই পরবর্তীতে আর যেন এ ধরণের অপারগতার মুখোমুখি হতে না হয় সে জন্যে ইচ্ছে থাকার পরও তিনি শফিকের চাকুরীর ব্যাপারে আলাপচারিতার যান না।

খাওয়া শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ীর বাইরে বেরিয়ে আসেন তিনি। ওয়াজেদ ব্যাপারীর বাড়ীতে যাওয়া দরকার। মাস দুয়েক পর ধান উঠবে। এখন তার কাছ থেকে কিছু টাকা নেয়া লাগবে। ধান উঠলেই তাকে ধান দিয়ে পরিশোধ করতে হবে। গতকাল এই ব্যাপারে যখন তার সাথে কথা হয়েছিল তখন সে বলেছিল অগ্রিম টাকা নেওয়ার কারণে প্রতি মণ ধানে বাজার দর ছাড়া একশ টাকা করে কম নেয়া লাগবে। রাজি থাকলে টাকা নিয়ে আসতে বলেছে। বর্তমানে সংসারের এই দুরাবস্থায় বাজি না হয়ে উপায় কী? তাই শেষমেশ বাধ্য হয়েই তার কথায় রাজি হতে হলো।

একা থাকলে চিন্তাগুলো যেন ঘিরে ধরে তাকে। বড় দুইটা মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর তাদের ভব্যিষতের ঝামেলা চুকে গেলেও শফিকের জীবিকার কোন গতি না হওয়ায় চিন্তাটা পিছু ছাড়েনা। সেদিন ত্রিশ হাজার টাকা দিতে না পারলেও পিতার উপর শফিকের কোন ক্ষোভ ছিল না। পিতার আর্থিক দৈন্যতা উপলব্ধী করেই আজও সে ধৈর্য ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ধর্না দিয়ে যাচ্ছে। তবে পিতার প্রতি অন্য একটা বিষয়ে সে ক্ষোভের কথা জানিয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেও কেন তার কোন সনদ নেই? এই প্রশ্নের সুষ্ঠু কোন জবাব তিনি শফিকের কাছে দাঁড় করাতে পারেননি। এখন নাকি সরকার চাকুরীর ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটা রেখেছে। সেই কোটা পেতে হলে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখাতে হয়। সনদটা থাকলে হয়তো একটা চাকুরীর ব্যবস্থা হতো। ছেলের এই ক্ষোভটা নিরবে সহ্য করতে হয়েছে। সেসময় তিনি মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটা সামান্য সনদ নামক কাগজে বেঁধে রাখতে চাননি। তাছাড়া এর বিনিময়ে নিজে কোন কিছু আশাও করেননি। গর্ব করার মত একটা স্বাধীন ভূখন্ড অর্জিত হয়েছে। এরপর আর কিইবা চাওয়ার থাকতে পারে? আজ ঐ সনদটা সন্তানের জন্য প্রয়োজন হবে জানা থাকলে হয়তো নেয়ার চেষ্টা করতেন।

যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সাত সদস্যের একটি দল নিয়ে ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসে যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে জমা করা প্রথম তালিকায় ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের তালিকায় তার নাম আছে। শফিকের কথা ভেবে তাকে না জানিয়ে সনদের জন্য ফরম পুরণ করেছেন কিন্তু সনদ জোগাড় হয়নি। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বানে আবারও আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন। তবু স্বীকৃতি জুটেনি। নিজের জন্য কিছু পাওয়ার কথা ভাবেননি বলেই স্বাধীনতার পর তিনি সনদের প্রতি আগ্রহী ছিলেন না। আজ ছেলের একটা চাকুরীর জন্য ওটার প্রয়োজন হবে তা কে জানতো?

হাঁটতে হাঁটতে তিনি লক্ষ্য করলেন সামনে কাসেম আলীর দোকানের পাশে অনেক মানুষের সমাগম। কোন ঝামেলা হয়েছে বোধহয়। এলাকার অনেক মানুষকেই এখানে দেখা যাচ্ছে। কাছাকাছি আসতেই বোঝা গেল এখানে একটা সালিশ বসেছে। এলাকার কিছু গন্যমান্য ব্যক্তির সাথে মেম্বর সাহেবও বসে আছেন। কিছু দিন আগে এখানে একটা ঝগড়া বেঁধেছিল। সম্ভবত সেটার মিমাংসা করার জন্য বসা হয়েছে। কিছুক্ষণ এখানে অপেক্ষা করলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে কিন্তু ওয়াজেদ ব্যাপারীর কাছ থেকে টাকা নিতে না পারলে তো বাজার করা হবে না। তাই সালিশের সমাগমে যোগ না দিয়ে ব্যাপারীর বাড়ীতেই যাওয়া ভালো হবে ভেবে সেদিকে পা বাড়ালেন। কিন্তু সামনে নজর করতেই থমকে দাঁড়ালেন। মোড়ল পাড়ার আজাদকে এদিকে আসতে দেখা যাচ্ছে। দুই মাস আগে শফিকের মায়ের যখন টাইফয়েড হয়েছিল তখন তার কাছ থেকে ৭০০ টাকা ধার করে ঔষধ কেনা হয়েছিল। এই দুই মাসে টাকাগুলো জমা করা সম্ভব না হওয়ায় তার ঋণ পরিশোধ করা হয়নি। টাকাটা না দেওয়ার কারণে লজ্জায় তার সামনে হাজির হতে পারেন না। এটা যে ছলচাতুরী নয়; অপারগতা, তা আজাদ কখনো হয়তো বুঝতে চেষ্টা করবে না। আজ সামনা সামনি হলে নির্ঘাত রুক্ষ ভাষায় টাকা চেয়ে বসবে। এক কাজ করলে মন্দ হয় না। সালিশের সমাগমে কিছুক্ষণ গা ঢাকা দিয়ে তারপর সুযোগ বুঝে বেরিয়ে যাওয়া যাবে। সে মতেই দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর মধ্যে আসমত শেখ নিজেকে সামিল করার চেষ্টা করলেন। সালিশে মেম্বর সাহেব কথা বলছেন। সবাই মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছে। কিছুক্ষণ পর ভাবগতি বোঝার জন্য তিনি পেছনে তাকালেন। আর তখনই দ্বিতীয়বারের মত চমকে উঠলেন। আজাদ তার পিছনে এসেই দাঁড়িয়েছে। পিছন দিকে তাকানোর কারণে তার চোখে চোখ পড়ে যায়। তিনি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে আবার সামনে তাকালেন। মনে হচ্ছে এই বুঝি আজাদ পেছন থেকে ডেকে টাকার কথাটা বলে বসবে। হঠাৎ মেম্বর সাহেব এদিকে তাকিয়ে বললেন "আরে শেখ সাহেব, দাঁড়িয়ে কেন? এখানে বসেন।" তিনি ইশারা করে পাশের ব্যক্তিটিকে জায়গা করে দিতে বললেন। আসমত শেখ সেখানে গিয়েই বসলেন। নিজেকে এখন যেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই মনে হচ্ছে। এর চেয়ে বড় সুবিধে হলো এই মুহুর্তে আজাদ আর ডাকার সাহস পাবেনা। সামাজিক প্রতিপত্তি না থাকলেও বয়োজৈষ্ঠ্য হিসেবে তার প্রতি মেম্বরের এই সৌজন্যবোধটুকু এই মুহূর্তে বেশ কাজে এসেছে। মেম্বর সাহেব বসতে বলে তাকে কত বড় উপকার করলেন তা তিনি নিজেও জানেন না। আসমত শেখ মনে মনে মেম্বর সাহেবকে একটা ধন্যবাদ দিলেন।

মিনিট দশেক পর আজাদকে আর সেখানে দেখা গেল না। তিনি চোখ ঘুরিয়ে চারিদিকে একবার দেখে নিলেন। না কোথাও নেই। এই সুযোগে বেরিয়ে পড়াই ঠিক হবে। তিনি আস্তে আস্তে উঠে বাইরে বের হলেন। তারপর দ্রুত হাঁটা শুরু করলেন। পিছনে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অনেকটা পথ চলে আসলেন। এখন আর আজাদের নজর পড়ার সম্ভবনা নেই। মনে মনে যথেষ্ট স্বস্তি অনুভব করলেন।

হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ চলে আসলেন। কিছুদূর থেকে মাইকের আওয়াজ কানে আসছে। দেশাত্ববোধক গান বাজানো হচ্ছে। ওয়াজেদ ব্যাপারীর বাড়ী পৌঁছুতেও আর খুব বেশি পথ বাকী নেই। কয়েক মিনিট হাটলেই পৌঁছানো যাবে। আরো কাছাকাছি হতেই দেখলেন মাইকটা এখানেই বাজছে। বেশ লোকজনের ভীড়। মনে পড়ে যায় দুই দিন আগে তিনি যখন ব্যাপারীর সাথে প্রথম কথা বলতে এসেছিলেন তখন এই রাস্তায় কিছু ছেলেরা রশি ধরে সাইকেল, মটরসাইকেল থামিয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে খেলাধুলার আয়োজন করবে বলে টাকা উঠাচ্ছিল। স্বাধীনতা উপলক্ষে আনন্দ করার কথা বলায় ছেলেগুলোর হাতে কিছু টাকা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তার কাছে কোন টাকা না থাকার কারণে দিতে পারেননি। টাকা না থাকার এই সত্য কথাটা প্রকাশ করায় ছেলেগুলোর কাছে সে কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। পাশ কাটিয়ে চলে আসতেই পিছন থেকে তাদের একজন বলেছিল "লোকটা মনে হয় তখন রাজাকার ছিল। তাই স্বাধীনতার অনুষ্ঠানে টাকা দিল না"। কথাটা শোনার পর মনটা কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল কাছে যদি টাকা থাকতো তবে ছেলেগুলোর হাতে দিয়ে তাদের এই অমূলক ধারণার ভূত ভাগিয়ে দিতেন। কিন্তু নিয়তি তাকে কথাটা হজম করতে বাধ্য করেছে। তাই নিরবে তাদের কথাটা মেনে নিতে হয়েছিল।

সামনে এগিয়ে এসে দেখলেন সুন্দর করে মঞ্চ করা হয়েছে। মঞ্চের সামনে মাঠের মধ্যে কিশোর যুবকদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন। মঞ্চের উপর অনেক মানুষদের মধ্যে দুইজন মানুষকে ফুলের মালা পরিহিত দেখা গেল। তিনি চেনার চেষ্টা করেও চিনতে পারলেন না। সম্ভবত বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। পাশের একজন মানুষকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল মানুষ দুইজন মুক্তিযোদ্ধা। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে আমন্ত্রণ করে আনা হয়েছে। লোকটার দেয়া তথ্যগুলো কিছুটা ভাবনায় ফেলে দেয়। ওনারা নিশ্চয় সনদওয়ালা মুক্তিযোদ্ধা। সনদ না থাকার কারণে তিনি নিজের গ্রামের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন না। এই জিনিসটার কারণে ছেলে কোটা পায়না, নিজেও পান না ঐ ফুলের মালা। বঞ্চিত হচ্ছেন ভাতা থেকেও। চোখ দুটা ঝাপসা হয়ে আসছে। নিজ এলাকা হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আজ এই মালাটা তারই গলায় শোভা পাওয়ার কথা ছিল।

ভারাক্রান্ত মনে মঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আবার সামনে হাঁটা শুরু করলেন। এই মুহুর্তে ফুলের মালার চেয়ে তার বড্ড বেশি প্রয়োজন রাতের খাওয়া নিশ্চিত করা। তাই ঋণের টাকা নিতে পা বাড়ালেন ওয়াজেদ ব্যাপারীর বাড়ীর পথে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তানিম ইশতিয়াক গল্পটা পড়েছি অনেক আগেই। মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। তাই মন্তব্য আর করলামও না! শুধু এটুকু বলতে পারি, আপনার গল্প বাস্তবতার প্রতিনিধিত্ব করে।
মনির মুকুল প্রজ্ঞা মৌসুমী আপু, আপনার মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায় কত মনোযোগ সহকারে আপনি প্রতিটা লেখা পড়েন। আপনার বিশ্লেষণে আমি মুগ্ধ হই। আপনার ভালোলাগা আমার পাথেয় হয়ে থাকবে। সুন্দর মন্তব্যটার জন্য সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।
মনির মুকুল ইমদাদুল ভাই, গল্পটা পড়ে মন্তব্য জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
প্রজ্ঞা মৌসুমী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ভাবতে আমাদেরই এমন লাগে, আর উনাদের নিজেদের কাছে বিষয়টা কতটা গর্বের আর সম্মানের হতে পারে। বিশেষ কোটা বা সনদের সুবিধা নিতে উনাদের সম্মানে/ ব্যক্তিত্বে কতটা যে লাগে। তোমার লেখা বরাবরই ভালো লাগে। প্রায় সব গল্পেই একটা ম্যাসেজ থাকে। এখানে পাঠকের ভেতর একটা লজ্জাবোধ/ দায়িত্ববোধটাকে জাগাতে চেয়েছ। তুমি সফলও হয়েছো। হয়ত খুশি হতাম মুক্তিযোদ্ধা আসমতের মধ্যে ব্যক্তিত্বটাকে ফুটিয়ে তুললে; পাওনাদার থেকে সরে আসতে পেরে স্বস্তি অনুভব করছে পড়ে একটু অস্বস্তি লাগছে। আমি বোধহয় শুনতে চাইছিলাম, আমার খাওয়া-পরার কষ্ট/ গ্লানি/ যাই থাকুক আমি গর্বিত একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। কিন্তু তুমিতো বাস্তবটাই তুলে ধরলে। দায়িত্ব পালন যে একেবারেই হচ্ছেনা তা নয়, উনাদের নিয়ে কাজ হচ্ছে যার কিছু তুমি তুলেও ধরেছো কিন্তু সঠিক লোকেরা পাচ্ছেনা। এমনিতে সব মিলিয়ে তোমার ভাবনা-লেখা সুন্দর হয়েছে। প্রসিদ্ধ কোন লেখকের লেখাই যদি পড়ি,দেখি উনাদের লেখায় নিজস্ব অন্যরকম ভাবনা-কথা থাকে। হয়তো দার্শনিক ভাবনা বা অন্যরকম কিছু। হূমায়ুন আহমেদের ফ্যান্টাসীর ভীড়েও সেসব পাওয়া যায়। সেইসব ভাবনা মুগ্ধ করে; তোমার লেখাতেও কিছু পেলাম। এরকম আরো পাবো আশা করছি; এসব গল্পকে সমৃদ্ধ করে। অনেক শুভকামনা
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম এটাই আসলে জীবনের গল্প । খুব বাস্তব কথা । কেন জানিনা এ নিষ্ঠুর বাস্তবতার কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়ছি দিনকে দিন । এভাবে আর কতকাল চলবে ----- ?
মনির মুকুল ajoy, পাঠান্তে পাঠানাভূতি জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা সীমাহীন।
মনির মুকুল আমি ব্যতিক্রমের পক্ষে থাকায় ঐ ধারাটা ধরে রাখার ইচ্ছে আমারও আছে। দোয়া করবেন। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ @ amar ami
অজয় বাস্তবতা বড় কঠিন ..............ভালোলাগলো
amar ami ভালো বিষয় তারওপর গতানুগতিক এর বাইরে যে ছোয়া দিয়েছেন ভালো না লেগে পারেই না ...এই অন্যরকম ধারাটা দরে রাখবেন আশা করি
মনির মুকুল সুমি আপু, এটা তো বলবেন আপনার ঐ লেখায়। আপনারটা বলতে গিয়ে এটারই পাঠানুভূতি জানা গেল না। যাক, তবু তো সম্মুখপানে দেখলাম…হাঃ…হাঃ….

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী