চরিত্রের বুকে কালিমা লেপনে তুমি কি দায়ী নও নারী?

রমণী (ফেব্রুয়ারী ২০১৮)

এই মেঘ এই রোদ্দুর
  • ৩৪০
নগ্নতার কাছে মানুষ নিজেকে সঁপে দিচ্ছে ধীরে ধীরে
কি যে এক বিষন্ন নগ্নতা-তার কাছে পরাজিত মানুষ
এই শহরটা যেনো আদিম পুরী হয়ে উঠছে দিন দিন
যে যেমন ইচ্ছে নগ্নতার হাত ধরে ছুটছে নরকপুরীতে
অথচ হুশ নেই কারোর-বিবেকহারা মানুষ উল্লসিত ইহ সুখে।
সীমাহীন নীলে ঢেকে যাচ্ছে মানুষের শরীর
আহ কি বিভৎস উৎসবে মেতেছে ওরা,
ওড়না ওড়ে বৈরী হাওয়ায়-ওদের বুকে গোলাপ পাপড়ি
ছুঁ মেরে নিয়ে যাবে জাহান্নামের আগুন,
পুড়ে হবে ছাই-গোলাপে ছাঁই পোড়া ঘ্রাণ,
ফিরে তাকায় না আর কেউ বিভৎস গোলাপে
কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে শুদ্ধতার পথ-কেবল ধুয়াশা-আবছা কালো পথ।
রাস্তার বিলবোর্ডে অর্ধনগ্ন নারী, বিজ্ঞাপনে দেহ প্রদর্শন
নাটকে পশ্চিমা পোষাক....
রাস্তা ঘাটে হাঁটলেই নির্লজ্জতায় ঢেকে যায় চোখ,
জিনস প্যান্টে আঁটসাঁট বালিকা-টপস গায়ে কিংবা গেঞ্জি
লজ্জাও পায় লজ্জা, তবু নারী সে কি পায় লজ্জা?
সাথে তার মা অথবা বাবা তাদের চোখে কালো পর্দা লেপ্টে।
নগ্নতার সিঁড়ি বেয়ে ওরা উঠছে নিশ্চিন্তে নরকের দ্বারপ্রান্তে
বেহুশ মানুষ কালের বিবর্তনে চুপসে যাচ্ছে শরীর
নরোম শরীরে ভাঁজের পর ভাঁজ,
কেউ দেখে-না/দেখবে না ফিরে
কেবল নরক অট্টহাসি দিয়ে হা করে আছে
আলিঙ্গনে বাঁধবে-বলবে এসো কাছে নগ্নতা করি রোমন্থন।
বেলা পড়ে এলে বিষন্ন নগ্নতার হাতছানি
সেখানে কেবল মধ্য দুপুর ফিরে পাওয়ার আকাঙ্খা
অথচ হাত বাড়ালেই কেবল দাউ দাউ আগুনের লেলিহান শিখা
মন বাড়ালেই জরাজীর্ণতার হাতছানি,
কেঁদে কেটে একসা-ফিরে আসবে না মধ্য দুপুর
কেবল গোধূলিয়ার রক্ত রঙ্গে নিজেকে সঁপে দাও
পুড়ে হও খাক, বুঝেও না বুঝার ভান ধরেছিলে একদা!
ইসলামকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কেবল হেঁটেছো বাঁকা পথে
রঙধনু রঙ স্বপ্ন মনে এঁকেছো,বৈভবে হারিয়েছো দেহ
চরিত্রের বুকে কালিমা লেপনে তুমি কি দায়ী নও নগ্ননারী।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী চমৎকার এবং বাস্তবিক কিছু রূপ তুলে এনেছেন, খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা নিরন্তর
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
ম নি র মো হা ম্ম দ বাস্তবতার কবিতাট...ভোট ও শুভকামনা রইল।।সময় পেলে আসবেন আমার কবিতার পাতায়।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া বাস্তবতার নিরীখে লেখা কবিতাটি পছন্দ না করে উপায় নেই। তবু যদি যারা এসব করছেন তাদের টনক নড়ে। রমণীর শালীন উপস্থাপন কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে। ভালো লাগল কবিতাটি। অনেকদিন ধরে লিখছেন। আর ক’টি লিখলেই সেঞ্চুরী। পছন্দ, ভোট ও শুভকামনা রইল। সময় পেলে আমার ‘ভয় ফ্রেন্ড’ ও ‘রমণী রমণ মন’ পড়ে মন্তব্য জানালে অনুপ্রাণিত হবো। সিনিয়রদের মতামত আমাকে সামনে পথ চলায় অনুপ্রেরণা যোগাবে। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বালোক মুসাফির রমনীর অপবাদে রচিত কবিতাটি। এই অবক্ষয় নারী সমাজের জন্য আসলে পুরাপুরি নারী দায় নয়, আসলে আমরাই প্রধান দাই। তবুও কবিতাটি ভাল লাগল। শুভ কামনা রইল। ভোটও দিলাম।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
মোঃ মোখলেছুর রহমান বেশ লম্বা চওড়া কবিতা,নারীর যে অবক্ষয় ইসলামকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো অন্যতম কারন। দরদী লেখা ভাল লাগল।ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী