বৈশাখের ওয়াক্তের মতো দিন ঝড়ে......ঝরে ঝরে শুধু ছুঁই কালো যাদুর পাতাতেই লেখা জীবন কৌটায় থাকে নাকি এক সোনামুখী সুঁই! হঠাৎ থমকে যাই, আয়োজনে খুঁজি প্রাচীন কিতাব কি জানে- মানুষ কোথায় থাকে-এ বুকের কোনখানে?
সোয়াদের বাটি ডোবে রেহেলের পাতে। রহমতের সূরায়-হরফে হরফে পবিত্র শব্দের সুর। বোধ গাঢ় হয়। আমরাও গাঢ় হতে হতে তসবি দানার মতো জমে হই ভোর। তবু এক জুম্মাবারে জামে মসজিদ বর্ডার দেখিয়ে দিলো! আর তুমিও শৈশব ঈদকার্ডে ভরে কাছে এসে বললে-প্রেম কি?
এখনো ঝলসে যাই কেঁপে কেঁপে উঠি মনে ঘাই দিলে কেউ ভীষণ রকম অথচ পরাস্ত রাত-কাঁচুমাচু সাল রাজা-রাণী পুড়ে ছাই আপন মন্ত্রী-কোটাল!
জিগিরের মতো এক আফসোস। বিশ্বস্ত খাদেমের মতো শুধু তাল দেয়-জীবনকে বলে সিন্নি চাই। চায় সে ভীষণ কফের রাতে সোহাগের তালমিছরি! ভাবি জিন সাধনায় যাবো-কিংবা ইসতেখারা কি জানাবে সেই উড়া উড়া নাম? তিনতলা, নামবিহীন এক মানবীকে মনে রাখবার কৈশোর যদি বুঝতে-যদি...! অতঃপর কিতাবেই থাকুক নারীর জন্য লেখা গনগনে উক্তিঃ
‘যদি ভুলে যাও-যদি যাও তবে যেন ভেবে নেবো বৃথা এ পুরুষ জন্ম!’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খোন্দকার মোস্তাক আহমেদ
ধর্মীয় শব্দের ব্যবহার যতোটা না সাবলীল হওয়ার কথা ছিল... ততোটা আরোপিত মনে হল... তবে নারীর কাছে পুরুষ হৃদয়ের আত্মসমর্পণ ভাল লেগেছে!
খন্দকার নাহিদ হোসেনমোস্তাক ভাই, কবিতার মজা কখন বেশি জানেন? যখন ছোঁয়া যায় না অথচ বেশ বোঝা যায় ওপাশে কিছু আছে...! এর জন্যই জীবনান্দ এখনো আমাদের ভীষণ নাড়ায়...! এই কবিতাটি লিখে আমি তৃপ্তি পেয়েছি তো বলতে পারি একদিন হয়তো এই লাইনগুলি আবার পড়েই আপনি চমকে যাবেন...! ভালো থাকুন এই কামনা রেখে শেষ করছি...।
রোদের ছায়া
''‘যদি ভুলে যাও-যদি যাও
তবে যেন ভেবে নেবো
বৃথা এ পুরুষ জন্ম!’ '' আমার কাছে এই কথাগুলকে কবিতার বেস্ত পার্ট মনে হল । ফেসবুকে আগেই পড়েছি , তবে এই আসরে পড়ে ভালো লাগার পরিমান বাড়ল । শুভকামনা ।
মিলন বনিক
একেই বলে সৃজনশীলতা...গতানুগতিকতার মাঝে একটু ভিন্নতা...জানি সে নাহিদের পক্ষেই সম্ভব...অসাধারন প্রতিটা শব্দ আর ভাবের গভীরতা...বিষয় ভাবনায় কবি যে কতটা গভীরে প্রবেশ করতে পারে...বুঝতে পারছি একজন ধ্যানমগ্ন কবি....জয় হোক কবিতার....
সূর্য
মাঝে মাঝে কিছু কবিতায় কি মন্তব্য করব ভেবে যখন দিশে হারা হই, যখন বাঁধা ডোরে টান পড়ে- নিজের সীমানাটা বড্ড ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে। ...."জিগিরের মতো এক আফসোস।" কবিতার ভেতর ঘরটা ছুতে পারি নি নাহিদ।
সোহেল মাহামুদ (অতি ক্ষুদ্র একজন)
গ.ক. বেশি সময় হয়নি এসেছি। কিন্তু এর মাঝেই নাহিদ ভাই কবিতা দিয়ে আমাকে অভিভূত করেছে ফেলেছেন। আপনার কবিতার সমালোচনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই।
লুতফুল বারি পান্না
ফরম্যাটটা খুবই টানল আর দারুণ রকম টানল কথাগুলো। দারুণ একটা ঘোর কিংবা আবেশ তৈরি করে দিল। ানেকদিন পরে গক তে তোমাকে পেলাম। মনে হচ্ছে কবিতা বসে গেছে তোমার ভেতরে। সময়টা কাজে লাগিয়ে লিখে ফেলো যতখানি পার।