একশটা সহজ লাইন

কষ্ট (জুন ২০১১)

খন্দকার নাহিদ হোসেন
  • ৩৪
  • 0
  • ৭৯

কতগুলো সহজ লাইন কেন সহজ নয়?
নির্ভীক আমি তবু যেন ভয়
ঘিরে থাকে আমায়-আমায় করে ক্ষয়
বলি সজীব আমি শুধু ঘুণে ধরা হৃদয়!
শৃঙ্খলে আমি চারপাশে সময়ের দেয়াল
শেষে শৃঙ্খলহীন চলা মনে বিচিত্র খেয়াল
অসংলগ্ন পদচিহ্ন পথে হেঁটে যাওয়ার পর
কান পাতো শুনবে কান্না দেখবে ইট-পাথরের ঘর।
মানুষ বেঁচে থাকে,মানুষ সেতো নগণ্য
জানে এ সজীবতা শুধু একদিন পঁচবার জন্য
চলে জীবনে প্রতিদিন উচ্ছ্বাস–কান্না-আবেগ
কেউ দিয়েছিল তার কবিতার নাম-‘সাদা মেঘ কালো মেঘ’।
শুধু নামটাই ছিল পায়নি সে কবিতা খুঁজে দেহ
শব্দহীন মৌনতাকে ভাষা বলে কেহ কেহ
আমি রোমান্টিক ভীষণ রকম তোমার ভাষ্য কয়
আমি কেমন আমি কেমন খুঁজি জীবনময়;
প্রাপ্তি-কতগুলো সহজ লাইন কেন সহজ নয়?
নির্ভীক আমি তবু যেন ভয়
ঘিরে থাকে আমায়-আমায় করে ক্ষয়
বলি সজীব আমি শুধু ঘুণে ধরা হৃদয়!

আমি যে কি ভীষণ একা
জানি তা তুমি জাননা,জাননা আমায়
তবুও তোমার শিহরন-ছোয়া
এই মন আর অশান্ত গায়!
তুমিতো তুমিই তবু জানি
কিছু সময়ের ব্যবধান পর
সমুদ্রকান্তা যায় শুকিয়ে দেখবার আশায়
তার দক্ষিণের সাগর; তারপরও
এই ভেসে থাকা ভাসবার চেষ্টা
আঁকড়ে ধরতে চাওয়া শূন্যে- পিপাসার তেষ্টা
আনেকটা পথ এ পৃথিবীর চরে,
আনেকটা সময় রাত জাগা তারার সাথে
আমার বেদনার নীল কাচের ঘরে
সে ঘরে দীর্ঘশ্বাস আর আমি
আঁকি কাটি আঁকি শত রেখা
মাংসল জীর্ণ খাতার উপর;সাথে উপলব্ধি দামী-
আমি যে কি ভীষণ একা
জানি তা তুমি জাননা,জাননা আমায়
তবুও তোমার শিহরন-ছোয়া
এই মন আর অশান্ত গায়।

রাতের বয়স বাড়ে দিন পুরনো সবই সর্বনাশা
আমি হাসি হাসির মত হয়না ঠিক হাসা
জীবন অভিশাপের-ঘৃণার-ক্রন্দনের জীবন ভালোবাসা
ছোট্ট জীবন অজস্র ছবি নয়তো ঠিক ঠাসা।
বেঁচে থাকাটা গল্প, ভুল কিংবা পাপের সাতকাহন
দীর্ঘ পথ পা ছাড়া আর নেই কোন বাহন
নাকি তেপান্তরের মাঠ মাঝে আধার কূপ
খোঁজা অচিনপুর রঙিন চোখে ধূসর জীবন-জীবনের রূপ!
ঘুরে ফিরে সময় নিয়ে আসে পৌষ-পৌষের অনিল
আমার কালো চাদর আর আমি হই পুরনো দেখে মিল-অমিল
শিহরণ মাখা স্মৃতি কেন আসে সময়ের অর্ণবে চড়ে
অন্ধকার রাত অন্ধকার চোখ শিশির ঝরে-শুধু ঝরে পড়ে!
আমি ক্লান্ত হেঁটে টেনে চলি-হয় পিছু ফেরা
সামনে ধূসর-ঝাপসা পিছনটা নয়তো ঘেরা
ফেলে আসা বীজে স্মৃতির চারা আমি এক চাষা
স্মৃতির ফসল দেখে গড়া অজান্তেই কাচের ভালোবাসা।
বুঝি-রাতের বয়স বাড়ে দিন পুরনো সবই সর্বনাশা
আমি হাসি হাসির মত হয়না ঠিক হাসা
জীবন অভিশাপের-ঘৃণার-ক্রন্দনের জীবন ভালোবাসা
ছোট্ট জীবন অজস্র ছবি নয়তো ঠিক ঠাসা।

এক মাটির দেহ তাতে কত অনুভূতি ঘুমায়
আমি তাদের পারিনা ছুঁতে তাদের স্পন্দন কিসের স্পর্ধায়
জানা নেই আমার তুমি কি জানো?
বেঁচে থাকাটা হয়ে যায় অভ্যাস মানো আর নাইবা মানো!
কৃতদাস আমি কিন্তু কার-উপলব্ধি, জীবন নাকি সময়ের?
দেখা পুরনো হতে আমার আছে বাকী ঢের
শুধু ক্লান্তি চোখে এক হয়ে যায় ভারে
নিঝুম রাতের নিয়ন আলো ছুঁয়ে যায় আমারে;
দিগন্ত নেই পোড়া চোখ নীল দিগন্তই দেখে
সুঁইফুল খায় দোল নতুন রঙ মেখে
বিভা এসে আছড়ে পড়ে এ পৃথিবীর ঘরে
ক্লান্ত আমি জাগবার জন্য এক বিষের শহরে!
চোখ মেলে চায়ের কাপে বায়সের ডাক-নতুন সকাল
নতুন দিনের নতুন শুরুতে পুরনো আমি হারিয়ে ফেলা তাল
আহারে মৃত্যুতে বড় ভয় আমার ঘৃণার বিস্ময়
ঝড় ওঠে, ঝড় থামে বুকে ঝড় রয়; হায়-
এক মাটির দেহ তাতে কত অনুভূতি ঘুমায়
আমি তাদের পারিনা ছুঁতে তাদের স্পন্দন কিসের স্পর্ধায়
জানা নেই আমার তুমি কি জানো?
বেঁচে থাকাটা হয়ে যায় অভ্যাস মানো আর নাইবা মানো!

ছক বাঁধা জীবন কি বুঝি আর কি বুঝিনি
তা জানবার আগেই শত চেনা মুখ আমি ঋণী
আমি একবার যাবো শুধু একবার তোমার আঙ্গিনায়
জানতে কি অপরাধ ছিল আমার-আমার প্রতিক্ষায়?
মন নিংড়ে যদি পারতাম কষ্ট ফেলে দিতে
পারতাম যদি স্মৃতি বেঁধে রাখতে দিয়ে লাল ফিতে
তবে দিতাম ছুটি নীল রঙা রাত আমার দীর্ঘশ্বাস
আকাশ দেখে হতাম আমি শুধুই আকাশ!
জানি তোমার উপলব্ধিতে কি কথা, বুঝেও হাসিনি
আমার রক্তে কি স্পন্দন তুমি কেন আমিই তো বুঝিনি
সহজ জীবন,সহজ দিন–রাত,সহজ ভালোবাসা
কতগুলো সহজ লাইন তবু এ ঠিক নয় সহজের ভাষা;
সবাই বুঝে নেয় সব তার নিজের মতো করে
নক্ষত্রের বয়স বাড়ে একসময় যাবে বলে ঝরে
তবু আলো জ্বেলে যায় (হোক নিয়ন) যত দিন রয়
এ পৃথিবীর সর্বত্র সবক্ষণে সহজের অভিনয়!
সংলাপে-কতগুলো সহজ লাইন কেন সহজ নয়?
নির্ভীক আমি তবু যেন ভয়
ঘিরে থাকে আমায়-আমায় করে ক্ষয়
বলি সজীব আমি শুধু ঘুণে ধরা হৃদয়!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার নাহিদ হোসেন Shahnaj আপু, মনে থাকে যেন কি ওয়াদা করলেন! আপনার ভোটের চেয়েও আপনার ভালোলাগাটুকু আমার কাছে অনেক মূল্যবান। অনেক ভালো থাকুন।
শাহ্‌নাজ আক্তার কিভাবে লিখেন এত বড় করে এত সুন্দর করে সাজিয়ে একটি ভাবার্থ কবিতা ....উহ ! আফসোস ভোট টা দিতে পারলামনা বলে , ....যান আমার সমস্ত ভোট আপনাকে দিয়ে দিলাম .........
খন্দকার নাহিদ হোসেন রওশন জাহান আপু, আপনার সময়ের অপেক্ষায় থাকলাম।
খন্দকার নাহিদ হোসেন ধন্যবাদ মুন্না। ভালো থেকো।
রওশন জাহান অনেক বড় . এখন একটু পড়লাম . পরে সময় নিয়ে আবার . ভালো লেখাগুলি যত্ন করে পড়তে হয়.
আরাফাত মুন্না হুমম...আমার কবিতায় যে কমেন্ট করেছেন আপনার কবিতায় আরো বড় কমেন্ট করতে হয় কারণ আপনি আরো বড় কবি।তবে দুঃখের বিষয় হল ভাল কবিতাগুলো পাঠক নির্বাচন করতে পারছে না। @নাহিদ ভাই
খন্দকার নাহিদ হোসেন আজিজ ভাই, যাহা আজ্ঞা।
মামুন ম. আজিজ অসাধারণ. কিন্তু পুরো তাল ধরে পড়িনি লাফিয়ে লাফিয়ে পড়েছি..এত বড় কবিতা কেউ লেখ নাকি?.....(আরও বেশি করে লেখ...লিখতেই থাক মহাকাব্য)
খন্দকার নাহিদ হোসেন সুমন ভাই, এতো ভালোবাসা কই রাখি? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আর এক জীবন চেষ্টা থাকবে তীরগুলো যেন হৃদয়েই লাগে! ভালো থাকবেন।
বিষণ্ন সুমন তোমার মাঝে আমি আমার তরুণ বেলাটা দেখতে পাই । এই বয়সে এমন বৈপ্লবিক চেতনায় অনেক লিখেছি, সে গুলু কবিতা হয়েছে কিনা জানিনা, তবে তুমি যে আমার চেয়ে অনেক এগিয়ে তা বলাই বাহুল্য । তোমার সবকটি কবিতা আমার পছন্দের তালিকায় আছে । কারণ এগুলু ঠিক কবিতা নয়, যেন অন্তরের অন্তস্থল ভেদ করে যাওয়া এক একটা তীক্ষ্ণ তীর, যা ভেতরটাকে ছেড়ে-ফুড়ে দিয়ে বেরিয়ে যায়। অবচেতন ভাবেই মন বিদ্রোহী হয়ে উঠে । সুপ্ত বাসনায় নতুন স্বপ্নের বীজ রোপিত হয় । আমিও হয়ে যায় তোমার মত শব্দ সৈনিক। নমস্য তুমি হও চির আগুয়ান, এই কামনায় শুভাশিস থাকলো।

২৩ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪