গ্রাম বাংলার একটি ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি

গ্রাম-বাংলা (নভেম্বর ২০১১)

জাবেদ ভূঁইয়া
  • ১৮
  • 0
||এক||
গ্রামটা খুব ছোট ।আকাবাকা মেঠোপথ ।চারদিকে ফসলের মাঠ ।মাঝখানে সবুজদের বাড়িটা ।ঘন সবুজে ঘেড়িত একটা ছোট্ট বাড়ি ।তিনজন থাকে ।একসাথে ঘরে স্থান সংকুলান হয়না তাই গাদাগাদি করে থাকে ।তবে নেই কোন উত্‍কুন্টা ,চিন্তা ।চারপাশে বিশুদ্ধ অক্সিজেন ।মুক্ত মুক্ত জীবন ।সবুজের মা ভিক্ষা করে এ বাড়ি ও বাড়ি ।বাবাকে সে কোনদিন কাজ করতে দেখেনি ।সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে আর সন্ধায় বাড়ি ফিরেই মাকে মারদোর ।জুয়োর টাকার জন্য ।জুয়ো জিনিসটা আসলে কি সেটা ঠিক ভাল করে জানেনা তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া সবুজ ।তবে বুঝে ওটা খুব খারাপ জিনিস ।ওটা করতে অনেক অনেক টাকার প্রয়োজন হয় নিত্যদিন ।ওটা মানুষকে পশুতে পরিণত করে ।
||দুই||
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ে সবুজ ।আজ থেকে গরমের জন্য স্কুল ৮ থেকে শুরু হবে ।খুশি মনে বই খাতা গুছিয়ে বসে বাইরে তাকায় ও ।ছোট্ট একটা উনুনে মা রান্না করছে ।দাউ দাউ করে চারদিকে আগুন জ্বলছে ।মাঝে হাড়িটাতে দগ দগ করে ভাত ফুটছে ।
:-মা আর কতবার লাগেবে ?
একটু তাড়স্বরেই প্রশ্ন করল সবুজ ।
:-এই তো বাপধন আর বেশিখন লাগবেনা নে ।
মার কন্ঠে ধৈর্যতা ,আকুলতা আশ্বাসের মিশেলে এক অদ্ভুত স্বর ।
এই ফাকে একটু পড়ে নেই না কেন ? মনে মনে ভাবে সবুজ ।রাতে সমাজটা ভাল করে পড়তে পারে নাই ও ।পড়বেই বা কি করে কেরাসিন যে ছিলনা ।
হঠাত্‍ করেই কালকের ঘটনাটা ঝাপসে উঠে সবুজের চোখে ।
কাল ছিল শনিবার ।চরসুবুদ্ধী বাজারের হাট ।মা সারাবাজার হেটে হেটে এর কাছে ওর কাছে চেয়ে কটা টাকা এনেছিল কেরোসিন আর আধপোয়া ডাল কেনার জন্য ।যেইনা সবুজ মার কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে বাইরে বেরোল অমনি বাবা এসে হাজির ।আর যায় কোথায় ।সবুজের হাতে ১০০টাকার নোট দেখে জ্বলসে উঠলো বাবার জোয়ারী চোখ ।
:-দে টাকাটা দে ।
:-না দেবেনা ।এইডা মার টাহা ।
প্রতিবাদ করে উঠে সবুজ ।ও ওর দুটা চোখ বাবার চোখে নিবদ্ধ করে ।একটা লোভি ,পশুর দৃষ্টি ওকে এ ফোড় ওফোর করে দিয়ে যায় ।বেশিখন তাকিয়ে থাকতে পারেনা ও ।
:-দে কইতাছি ।নাইলে কিন্তু ...
:- কি করবা তুমি !তোমার লাইগা হাড়া হাটে ঘুড়ি টাকা আনিছি ?
বাবার কথা কেড়ে নিয়ে খেকিয়ে উঠে মা ।
সবুজ লক্ষ করে চারদিকে কি যেন একটা খুঁজছে ওর জোয়ারী বাবার চোখ ।হ্যা পেয়েও যায় ।রান্নাঘরের পাশেই জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারের জন্য একটা বাঁশ এনে রেখেছিল মা ।ওটাই কুড়িয়ে এনে মাকে বেদম পিটাতে লাগল বাবা ।
:-এই থাম বাবা ।থাম ।
সামনে দিয়ে আকড়িয়ে মাকে বাবার পশুত্বের ছোবল থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে ও ।
কিন্তু না ।জোয়ারী বাবার লোভ তো ওর হাত ।মাকে ছেড়ে দিয়ে হিচড়ে পাচড়ে টাকাটা হাতে নিয়ে গালে একটা চড় বসিয়ে দেয় সবুজের ।ব্যাথায় কান্না ভূলে বাবার হনহন করে চলে যাওয়ার পথে তাকিয়ে থাকে সবুজ ।চোখদুটো কান্নায় ঝাপসা হয়ে যায় ওর ।

:-ও সবুজ খাতি আই ।
মায়ের ডাক পড়ে ।সবুজ আসতে আসতে চোখ মুছে খেতে চলে যায় ও।
||তিন||
ঘন ঝুপটা পাড় হয়ে বই হাতে রাস্তায় উঠে পড়ে সবুজ ।পড়নে ময়লা ছেড়া সাদা শার্ট আর তিন বছরেরও পুরোনো একটা প্যান্ট ।এখানে ওখানে ছ্যাড়া স্থানে মা সুন্দর করে তালি লাগিয়ে দিয়েছে ।
আকাবাকা রাস্তাটা দিয়ে স্কুলের পথে হেটে চলে ও ।হঠাত্‍ করেই দখিন থেকে একটা দমকা হাওয়া উড়ে আসে ।সবুজের সবাঙ্গ বুলিয়ে দিয়ে চলে যায় কোথায় ।
সবুজের মনে হয় হাওয়াটা ওর সব দুঃখ যন্ত্রনা যেন কোথায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে ।
ফুরফুরে মেজাজে স্কুল প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে সবুজ ।একজন ভাল ,সুশিক্ষিত মানুষ হতে ।ওর বাবার মতো পশু হতে নয় ।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া খুব সুন্দর লেখতো তুমি, বানানে আরো একটু যত্ন নিও, ভালো থেকো /
sakil জাভেদ কে বার বার আশির্বাদ করি লিখে যাও আর কিছু বলার নেই
প্রজাপতি মন একজন ভাল ,সুশিক্ষিত মানুষ হতে ।ওর বাবার মতো পশু হতে নয় । সবুজের এই আত্মপ্রত্যয়টা অনেক ভালো লাগলো।
সূর্য জাবেদ, লেখায় কিছু ত্রুটি থাকলেও দৃশ্যকল্পটা সুন্দর হয়েছে। এভাবে লিখতে লিখতেই একদিন সব ভুল পেরিয়ে আসবে নিশ্চয়ই। ভোট এবং শুভকামনা তোমার জন্য..........
মামুন ম. আজিজ আমাদের পরিবারে একজন খুব নিকটাত্মীয়কে এই জুয়া খেলতে খেলতে দেখেছি পুরো পরিবাররেরর তার কি কষ্ট হতো স সময়। উনি মারা গেছেন বহুদিন। আল্রাহ ওনাকে বেহেশত নসীব করুন। উনি আমার চাচা। ...গল্পের বিষয় তাই আমার কাছে ভালো লেগেছে। তোমাকে ধন্যবা;দ। ভালো লিখেছ। আরও ভালো হবে সামনে।
রনীল N/A UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# আমার তো ভালই লেগেছে তানভীর ভাই...
তানভীর আহমেদ হায় জাবেদ, একি লেখা তোমার! তোমার আগের লেখাগুলোর সাথে তো তোমাকে মেলাতে পারছি না! অদ্ভুদ! বড়ই অদ্ভুদ!! এমন লেখাও তোমার পক্ষে সম্ভব! অন্যকেউ হলে না হয় একটা উৎসাহমূলক মন্তব্য করে দিতাম। কিন্তু তোমার এতদিনের গড়ে উঠা ইমেজ নষ্ট হতে এমন একটা গল্পই যথেষ্ট। এর কারণ কী, আমি কিছুই চিন্তা করে পাচ্ছি না। লাইনের পরতে পরতে ভুল বানান, ভুল শব্দ! কাহিনীও আহামরি কিছু নয়, তবে সেটা বড় কথা নয়। দু লাইন পড়ার পরে যে আর অগ্রসর হওয়াই যায় না, যদি জানা থাকে এটা জাবেদের গল্প! তাহলে কি পুরেনো সেই সন্দেহটাকেই ফিরিয়ে আনতে হবে যে তোমার সাধু ভাষায় লিখিত চমৎকার গল্পগুলো আসলে অন্যকারো? এর জবাব তুমি দেবে আশা করি।
মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান তুমি অনেক ভালো ভাবতে এবং লিখতে পারো......দোয়া করি তুমি অনেক দূর যাও.........
ইয়াসির আরাফাত কিছুদিন আগে একবার এসে ফিরে গিয়েছিলাম । সময় শেষ হবার জন্য । আপনার লেখার হাত খুব ভাল । লিখে যান । উজ্জল ভবিষ্যৎ আপনার জন্য ।
M.A.HALIM ছবিটা যদি সত্যি তোমার হয়, তাহলে বলব এই বয়সেই অতদূর! আরো বলব আগামীতে তুমি সাহত্যভুবনের এক চকিত নক্ষত্র। যে কয়টা ভোট আছে সেটা দিয়ে কিঞ্চৎ সম্মান করলাম। ঈদ মোবারক।

২০ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অভিমান”
কবিতার বিষয় "অভিমান”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মার্চ,২০২৪