মা

মা (মে ২০১১)

জাবেদ ভূঁইয়া
  • ১৮
  • 0
  • ৭৪
এক
একটু পর ই মা কাজ থেকে ফিরবে ।সেই আশায় কুড়ে ঘরটার দরজায় দাঁড়িয়েছিল সুমন ।
বারবার এদিক ওদিক তাকাতে থাকে সে ।ইশ !কখন যে মা ফিরবে ?খিদায় কিছুটা রাগও চড়ে যায় সুমনের ।বন্ধুরা স্কুল থেকে ফিরে খেয়েদেয়ে খেলতে মাঠে চলে যায় ।আর সুমন অপেক্ষা করে মায়ের জন্য ।মা আছরের নামাজের একটু আগে আগেই তো চলে আসে আরদিন ।কিন্তু আজ এত দেড়ি হচ্ছে কেন ?রাগটা কিছুটা চিন্তার আড়ালে যেন চাপা পড়ে সুমনের ।

বারান্দা থেকে নেমে বাইরের রান্নাঘরের পিছনে গিয়ে দাড়ায় সুমন ।এখান থেকে অনেকটা দূর দেখা যায় ।কিন্তু রাস্তা তো খা ,খা ।মা তো নেই ?
হয়তো আজ কেও ভিক্ষা দেয়নি কিংবা কম পেয়েছে এজন্য দেরী হচ্ছে !নিজেকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করে সুমন ।কিন্তু মনটা তবু কেন জানি কু ডাকছে ।
ঘাম আর অশ্রুর ফোয়ারাটা হাত দিয়ে মুছে সুমন । হাতে লেগে থাকা কয়লার কালি লেপ্টে যায় ওর মুখে ।কিন্তু ওইদিকে ওর খেয়াল নেই ।
রাস্তা থেকে চোখ সরিয়ে ঘন পাতার আড়াল দিয়ে আকাশের দিকে তাকায় সে ।আকাশ কেমন লাল রঙে ছেয়ে গেছে । ওগুলো লালিমা ! মায়ই বলেছিল ওকে ।
মায়ই বলেছিল ওকে ।
আকাশ থেকে চোখ নামিয়ে আবার রাস্তার দিকে তাকায় সুমন ।কেমন একটা অসস্তির ফোয়ারা নদীর মত বয়ে চলেছে যেন সুমনের বুক দিয়ে ।বারবার বলছে ,ইশ !কখন যে মা আসবে ?
ঠিক এইসময় মাগরিবের আযান পড়ে ।আর আযানের পর পরই রাগ , ভয় আর চিন্তা এক অন্য রকম ভয়াবহ অনুভূতি হতে থাকে ওর ।
আচ্ছা ,আমার এখন কি করা উচিত ?নিজেকে একটা প্রশ্নের বেড়াজালে জড়াবার চেষ্টা করে সুমন ।
কিন্তু উত্তর কই ?
আচ্ছা কলিম চাচার বাড়ি গেলে হয়না ?
আবার একটা প্রশ্ন ছোড়ে মারে ও ।কিন্তু মা যদি খুঁজে ?সেই ঈদের রাতের মত যদি হয় ?
ঈদের রাতের ছবিটা ভেসে উঠে ওর চোখের সামনে ।
মা ভিক্ষায় যাবার পর ঈদের মেলায় গিয়েছিল সুমন ।কিন্তু পথ ভুলে যাওয়ায় একটু রাতই হয়ে যায় ওর ।আচ্ছা ,আমার এখন কি করা উচিত ?নিজেকে একটা প্রশ্নের বেড়াজালে জড়াবার চেষ্টা করে সুমন ।
কিন্তু উত্তর কই ?
আচ্ছা কলিম চাচার বাড়ি গেলে হয়না ?
আবার একটা প্রশ্ন ছোড়ে মারে ও ।কিন্তু মা যদি খুঁজে ?সেই ঈদের রাতের মত যদি হয় ?
ঈদের রাতের ছবিটা ভেসে উঠে ওর চোখের সামনে ।
মা ভিক্ষায় যাবার পর ঈদের মেলায় গিয়েছিল সুমন ।কিন্তু পথ ভুলে যাওয়ায় একটু রাতই হয়ে যায় ওর ।
নাহ কলিম চাচার বাড়ি যাওয়া যাবেনা ? নিজের মনকে মাথা নেড়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় সুমন ।গেলে সেই ঈদের রাতের মতই কাঁদবে মা ।
অমন করে মাকে আর কোন দিন কাঁদতে দেখেনি ও ।
মা কি বলে জানি কেঁদেছিল ? মনে করার চেষ্টা করে সুমন ।
ওহা ?সোনামণি !হা হা ।
মনে করতে পেরে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ও ।
আবার একদৃষ্টে রাস্তার দিকে তাকায় সুমন ।একটা ছায়া মূর্তি চোখে পড়ে তার ।
মার মতই তো লাগছে ! অজান্তেই কথা টা মুখ থেকে বেড়িয়ে পড়ে সুমনের ।কিন্তু ওটা যেন বসে পড়েছে ।
এগোবে কিনা চিন্তা করে সুমন ।তার চেয়ে আমি যাইনা কেন ?
দুই
মা ! ওমা !তোমার কি অইছে মা !
রাস্তায় শুয়ে পড়া মার দিকে তাকিয়ে বলে সুমন ।
¤বাজান আমার ব্যাগটায় দেক দুলা ভাত আছে খেয়ে নে ...
কেমন যেন কষ্ট কষ্ট আর শ্বাস প্রশ্বাসের ফাঁক দিয়ে মা কথাগুলো বলল ।
¤আমি খামুনে !
কি অইছে তোমার ?ঘরে আও !পথের মাঝে শুইয়া পড়লা ক্যান ?
কৌতুহলের জগত এ গিয়ে চিন্তায় ঘর বেধে মার দিকে প্রশ্নগুলো ছুড়ে মারে সুমন ।
¤আমার কোন অয়নাই তুই খাইয়ে নে !
আবারো সেই শ্বাস প্রশ্বাসের ফাঁক দিয়ে কথাগুলো বলে মা ।

তিন.
সুমন মার চটের ব্যাগটা থেকে পলিথিনে ভরা ভাতগুলো বের করে খেতে বসে যায় রাস্তায়ই ।
মার বার বার বলে ,নুন নিয়ে খা ।
কথাগুলো কেমন যেন জড়িয়ে আসছে মার ।
সুমন খেতে খেতে মার দিকে তাকায় ।মা মনে হয় হাসছে ।এমনটাই মনে হয় সুমনের ।
চার .
¤এবার ঘরে চল মা !
খাওয়া শেষ করে বলে সুমন ।
মার কোন জবাব নেই ।কিছুটা চমকে উঠে সুমন ।
¤ও মা ঘরে যাইবানা ?
এবারও মা চুপ ।কিছুটা ভয় আর কিছুটা চিন্তার নদী একটা অদ্ভুত কিছুর মত বয়ে যায় সুমনের সর্বাঙ্গ দিয়ে ।
একটা পেঁচাও যেন ডেকে উঠে কোথায় ।
মার দিকে দ্রুত হাতটা বাড়িয়ে দেয় সুমন ।একি !মার হাত এত ঠাণ্ডা কেন ?মার কি হয়ে ছে ।
অন্ধকারে মার মাথায় হাত রাখে ও ।একটা ভিজা তরল কিছুতে হাতটা ভিজে যায় ।
চাঁদের আলোয় হাতটা নিয়ে দেখার চেষ্টা করে ।
একি রক্ত কেন ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিন আরফান. শুরুটা মাঝখান থেকে মনে হয় অরূপ হয়েছে. মাঝখানেও এলোমেলো. সব মিলিয়ে ভালো. চেষ্টা অব্যাহত থাকলে ঠিক হয়ে যাবে. চালিয়ে যান. শুভ কামনা রইল.
অদৃশ্য আগামীতে আরও ভাল লিখবেন আশা করি।
ফাতেমা প্রমি শুরুতে লেখাটা ভালই লাগছিল..কিন্তু প্রিন্ট করতে একটু সাবধান হতে হবে ভাইয়া..শেষে গল্পটা আর ভালো বলা গেল না..তোমার জন্য শুভকামনা রইলো অনেক...
খন্দকার নাহিদ হোসেন খুব ভালো হইছে। শেষটুকু সম্ভবত ইচ্ছা করেই শেষ করনি। বুদ্ধিটা খারাপনা।
জাবেদ ভূঁইয়া আর দু জায়গায় এক লেখা এটা মোটেও আমার দোষ না ।আমার মনে হয় গল্প কবিতা প্রকাশের সময় এটা হয়েছে ।এটা দ্রুত ঠিক করে দেয়া হোক ।
আরাফাত মুন্না লেখায় প্রাণ আছে একদিন ভাল করবে.........।
মামুন ম. আজিজ তোমার বয়স মাত্র ১৫...তোমার লেখার স্টাইল দেখে এখানে অনেক বয়স্কের শেখার আছে। আচ্চা--ঈদের রাতের ছবিটা ভেসে উঠে ওর চোখের সামনে ।..........এইরকম দুই জায়গায় লেখা হয়েছে। প্রায় একই রকম ডায়লোগ দুই প্যারায়। খেযাল করো তো।
আবু ফয়সাল আহমেদ খারপ না, ভালই হয়েছে! লেখতে থাক, তোমার সামনে তো আরো অনেক দিন পরে আছে. লেখাটা বেশ ঝরঝরে আছে
মৃন্ময় মিজান ভাল লাগল। চেষ্টা করে যাও আরো ভাল হবে আশা করি। শুভ কামনা রইল।
sakil golper suruta valo hole o sheser dike khei hariye pelechen . tobe likhte likhte thik hoy jabe .

২০ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪