অপারেশন সাইবার ৭ডিসি (operation cyber 7DC)

মুক্তির চেতনা (মার্চ ২০১২)

আসন্ন আশফাক
  • ১৯
  • 0
  • ১৫৪৯
চারদিকে যুদ্ধের গুঞ্জন চলছে। ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে, আড্ডায়, ফেসবুকে, ই-পেপারে সবজায়গায় শুধু সাইবার যুদ্ধের খবর। প্রতিদিন নেট খুললেই বিভিন্ন সাইট হ্যাকিং এর খবর আসছে। টিভি মিডিয়াতে এর পক্ষে বিপক্ষে টক শো হচ্ছে প্রতি রাতে। কিন্তু তাতে থেমে নেই এই যুদ্ধ, এই যুদ্ধ চলছে, কেও জানে না এর শেষ কোথায় বা কিভাবে জয় নির্ধারণ হবে … … …


১. ▬▬▬▬

চয়ন, রিফাত, পুলক আর বন্যা চার বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া চার যুব। বিশ্ববিদ্যালয়েই তাদের পরিচয়, এর আগে কারো সাথে কারো পরিচয় ছিল না। সময় গড়ার সাথে সাথে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব হয়ে ওঠে। ক্লাস শেষে তারা আড্ডায় মেতে ওঠে। কত রকমের হাসি তামাশা করে তারা, এর পর সময় মত যে যার বাসায় ফিরে যায়। এটাই তাদের মোটামুটি রুটিন। প্রতিদিনকার মত আজও তারা ক্লাস শেষ করে আড্ডায় লিপ্ত হয়। রিফাত বলে ওঠে:
-মামা, জানস একটা জিনিশ আমি খেয়াল করলাম, কুত্তার বাচ্চা কুত্তা অয়, ইংরেজের বাচ্চা ইংরেজ অয়, কিন্তু হালায় আমরা বাঙ্গালির বাচ্চারা বাঙ্গালি হইতে পারলাম না, এই টা কোন হইল?’
-‘ওই শালা কি কইবি তা থুতু ফালায়া কয়’, বলল পুলক।
রিফাত: এইযে তুই একটা ফাউল কথা কইলি, ঝাইরা কাশ এই কথাটা না কইয়া তুই থুতু ফালায়া কয়, কইলি ক্যান?
পুলক: আইচ্ছা বাপ ভুল হইসে, কি বলতে চান ‘ঝেড়ে কাশেন’, এইবার হইসে?
রিফাত: কথা হইতাসে.........
পুলক: ওই তুই থাম, প্রমিত উচ্চারণে কথা কয়, একটু আগে তুই আমারে শাসাইসস।
রিফাত: এইটা আমার মায়ের ভাষা আমি এই ভাষাতেই কথা কমু, তোর কোন অসুবিধা?
পুলক: হ অসুবিধা, কারন আমগর লগে তো একখান মাইয়াও আসে, অন্তত ওর লাইজ্ঞা ঠিক কইরা কথা ক।
বন্যা: কেন ও কি আমার নিউ বয়-ফ্রেন্ড লাগে নাকি, হাহাহাহা........।
সবাই ওর সাথে সাথে হেসে উঠল।
রিফাত আবার বলা শুরু করল: দ্যাখ, তোরা আমার বন্ধু, সুখ দুঃখের সাথী। তোরা সবাই জানস, ভারত বাংলাদেশের সাইবার যুদ্ধ শুরু হইসে, এহন আমগোরও উচিত ওইটাতে অংস নেয়া।
চয়ন এবার মুখ খুলল: ক্যান বাপ তোমার কি পুলিশের প্যাঁদানি খাইবার শখ হইসে?
রিফাত: নাহ, আমরা সবাই কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র, সবাই ভাল প্রোগ্রামারও বটে, তাইলে দোষ কি? আমগর কি কোন দায় নাই এদেশের লাইজ্ঞা?
এই কথার পর সবাই কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে।
রিফাত: কিরে কিছু ক তোরা?
চয়ন: কি কমু? এই কামে রিস্ক আসে, তাছারা......
পুলক: তাছারা আবার কি, আমি আসি তর লগে (রিফাতকে উদ্দেশ্য করে বলে)।
বন্যাও রাজি হয়ে যায়। শেষে চয়ন বাদ যাবে কেন, সেও বলে, ওকে দোস্তরা, আমিও আসি তোমগোর লগে।

সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশ সাইবার যুদ্ধ তাদের ভাবিয়ে তোলে। কেননা এই যুদ্ধ দিয়ে দেশের আসল মুক্তি ও উন্নতি সম্ভব নয়। তাই তারা প্লান করলো তারাও যুদ্ধে অংশ নিবে, তবে আলাদা। কেননা তাদের মিশন আর ভিশন আলাদা। তারা চায় বিদেশি শত্রুদের ও এদেশীয় দালালদের চিহ্নিত করতে। তারা তাদের এই সংগ্রামের নাম দেয় ‘অপারেশন সাইবার ৭ডিসি’ বা সংক্ষেপে ЮР-СУБЗЯ-7DC. 7DC একটি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা যার মানে ২০১২। যেহেতু এই যুদ্ধ ২০১২ তে শুরু এবং এটি অনলাইন যুদ্ধ তাই এরূপ নামকরণ করে তারা। তারা সুন্দর একটি মার্শাল প্ল্যান করে। চারজন চারটি পৃথক ক্যাটাগরি বেছে নেয়। পুলক-কে দেয়া হয় স্পাইইং এর দায়িত্ব, চয়ন নিজেদের ডিফেন্সে থাকবে, বন্যা করবে স্প্যামিং আর রিফাত হল এই যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। প্রথমেই চয়ন অনলাইনে নিজেদের হাইড করার জন্য বিভিন্ন ‘হাইড মাই অ্যাস’ টাইপের সফটওয়্যারের সাহায্য নেয়, সেই সাথে নিজেও খুব উন্নত মানের সফটওয়্যারে তৈরি করে যা দিয়ে তাদের অবস্থান হাইড করতে পুরপুরি সক্ষম হয়। তারা এমন একটি সফটওয়্যার তৈরি করে যা দিয়ে মিনিটে ২০ বার তাদের আই.পি. পরিবর্তন হয়। এবং আই.পি.-এর অবস্থান এমন হয় যে তারা আফ্রিকার কোন জঙ্গলের কাছাকাছি রয়েছে, কিংবা বারমুডায়। এভাবে দুই মাসের মধ্যে সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারা নিশ্চিত হয় যে তাদেরকে কেও ট্রেস করতে পারবে না। এর পর তারা যুদ্ধের ময়দানে নামে। প্রথমেই বলেছি তাদের সুন্দর একটি মার্শাল প্ল্যান আছে, আর তারা সে মতেই কাজ করছে। তারা জানে বাংলাদেশের সরকারি সাইট হ্যাক করে কোন লাভ হবে না। কেননা দরকারি কোন বিষয় এখনও সাইটে রাখা হয়না। তাই তারা ঠিক করলো দাতাগোষ্ঠীর সাইট স্পাইং করে বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করবে। কিন্তু স্পাইইং এত সহজ ব্যাপার নয়। চাইলাম আর করলাম, এমনটা নয়। তবে একটা কাজ করা যায়, ধরাযাক রাস্তা দিয়ে প্যাকেটে করে সুস্বাদু খাবার নিয়ে যাচ্ছে কেও, পাশে থেকে নিশ্চয় কেও বুঝবে যে প্যাকেটে কি আছে। এরপর তাকে থামিয়ে প্যাকেট খুলে খাবার চাইলে খেতেও পারে, আবার দেখেও নিতে পারে। স্পাইইং ব্যাপারটা অনেকটা ওই রকম। যখন ইন্টারনেটে ওই সমস্ত দাতাগোষ্ঠীর সাইটে তথ্য আদান-প্রদান হবে তখন ওই রকম বাংলাদেশের গন্ধ পেলে ডাটা প্যাকেট খুলে ডাটা কপি করে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। এবং কপি করা ডাটা গন্তব্য মানে নিজেদের কাছে নিয়ে আসতে হবে। তারা ইন্টারনেট থেকে বেশ কিছু স্পাইইং টুল সংগ্রহ করলো, এবং স্পাইইং আরম্ভ করলো। প্রথমেই তারা ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ই.ইউ এর সাইট স্পাইইং শুরু করলো। তারা ভারতের সি.বি.আই, যুক্তরাষ্ট্রের সি.আই.এ ও এফ.বি.আই এর সাইট এর তথ্য চুরি করলো। তারা যা দেখতে পেল তা রীতিমত ভয়াবহ। তারা দেখল সি.আই.এ এদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে তাদের প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠছে। আর এই অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণ করার হাব হল বাংলাদেশ। আর তাই বিভিন্ন ভাবে এদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এখানে সেনা ঘাটি স্থাপন করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা সরকারকে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ দিচ্ছে, আর্থিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই। শুধু তাই নয় জঙ্গি তৎপরতার জন্যও সি.আই.দায়ী এটা তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সাধারণ জনগণকে কিভাবে বুঝাবে সে কথা। চিন্তায় পরে গেল তারা। কিন্তু তাদের কিছু একটা করতেই হবে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও প্রযুক্তি দিক দিয়ে অনেক উন্নত। বিভিন্ন হ্যাকার যারা বাংলাদেশের হয়ে কাজ করছে তারা ভারতকে আক্রমণ করছে এটা সত্য কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে এভাবে আক্রমণ করা যাবে না। অবশেষে অনেক ভেবে তারা ঠিক করলো যা হবার হবে আমেরিকার বড় বড় সাইট তারা হ্যাক করবে। তারা ১০০ টা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ সাইট এর শর্ট লিস্ট তৈরি করলো। যাতে বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড, ই-কমার্স, মেইল সাইট প্রভৃতি রয়েছে।



২. ▬▬▬▬

ভারতের বিভিন্ন সাইট তারা হ্যাকিং করে যে ধরনের তথ্য পায় তাতে এদেশের মুক্তিযুদ্ধের সনদ, ততঃ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা, সামরিক শাসন বিভিন্ন বিষয়ের সম্পর্কে তারা অবহিত হয়। সেই সাথে বর্তমানে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের চিন্তা কি, তা তারা জানতে পারে। ভারত এদেশকে বড় এক বাজার হিসাবে দেখে আসছে। সেই সাথে পূর্ব ভারতের সাথে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসাবেও বাংলাদেশ খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাই তারা যেকোনো ভাবেই হোক চাইছে বাংলাদেশকে পুরপুরি ভারত এর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে। আর তাই তারা বিভিন্ন বাধ নির্মাণ, সীমান্ত হত্যা, ইদের সময় গরু প্রবেশ রোধ শুরু করেছে। চার বন্ধু ঠিক করলো অন্যান্য হ্যাকারদের মত হ্যাক করলে চলবে না, তারা অন্য ভাবে চিন্তা করলো। তারা অতি মাত্রায় পিং বা কোন ফাইল ইনজেকশন করলো না, বরং সাইট হ্যাক করে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আসল আর ওই সাইটকে এমন ভাবে আক্রমণ করল যে কন্ট্রোল প্যানেল এ ঢুকতে ওয়েভ-মাস্টারের ভাল বেগ পেতে হল। এভাবে তারা ভারতের বড় বড় সাইট যেমন বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড ট্রাঞ্জাকশন সাইট, তাদের বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, শেয়ার মার্কেট প্রভৃতি সাইট ব্যাপক আক্রমণ চালাল। কিন্তু তারা সৎ ছিল, তাই কোন টাকা আত্মসাৎ করেনি। এভাবে নিজেরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠল তারা। এবার যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা শিক্ষা দেবে তারা। ভারতে এরকম আক্রমণের ফলে বিভিন্ন মিডিয়াতে ফলাও করে সংবাদ প্রচার হতে থাকলো, অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে উঠল। তাই ভারত সরকার এদেশের সরকার দিয়ে আতদের হুমকি দেয়াল। কিন্তু এতেও তারা পিছপা হল না, উল্টো আক্রমণের মাত্রা বারিয়ে দিলো। ভারত সরকার তাদের বড় বড় প্রোগ্রামারদের নিয়ে মিটিং করলো, কিন্তু সকলেই জানালো যে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করেও সাইট হ্যাকিং থেকে রক্ষা করতে পারছে না। তাই অবশেষে ভারত সরকার পরাজয় মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেয় যে তারা সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবে, নতুন আর কোন বাধ নির্মাণ করবে না, সেই সাথে বাংলাদেশের ন্যায্য পানির হিস্যা দেবে। এই সংবাদ শুনে দেশের প্রতিটি তরুণ যেন যুদ্ধ জয়ের স্বাদ পেলো। এ এক অন্য রকম অনুভূতি, যা কিনা যুদ্ধ জয় না করলে বোঝানো সম্ভব না। আর তারা চার বন্ধুও সেই অনুভূতিতে সিক্ত হল। দেশের প্রতিটি মানুষ আরেকবার বিজয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হল। কিন্তু ওই চার বন্ধু তাদের হাল ছাড়ল না। কেননা তারা চায় এ জাতি জানুক কি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করলো। তাদের তৈরি করা ১০০ টা শর্ট লিস্ট থেকে প্রথমে ৫ টা সাইট তারা হ্যাক করলো এবং বাংলাদেশের জন্য হুমকি স্বরূপ যে তথ্য তারা পেয়েছিল তা প্রকাশ করে দেয় ওই সাইটে। এই অবস্থা দেখে এফ.বি.আই এর মাথা নষ্ট হবার উপক্রম। এটা কিভাবে সম্ভব। এত নিরাপত্তার পরও কিভাবে সাইট হ্যাক হল। তারা তদন্ত কমিটি গঠন করলো। তদন্ত কমিটি তাদের কাজে নেমে পরল। তারা খুঁজে বের করতে চাইল কারা এটি করছে। কিন্তু তারা যেটি উতঘাটন করেছে তা হল, হ্যাকাররা আফ্রিকা মহাদেশে বসে এই কাজটি করেছে। তারা নির্দিষ্ট করে জায়গাটি বের করলো ও সেখানে গিয়ে দেখল আসলে সেখান থেকে ওই ধরনের তৎপরতা চালানোর মত কেও নাই, বা ওই রকম ঘটনা সেখানে সংঘটিত হয়নি। তারা বুঝল যে অ্যাড্রেস টা ফেক। তাই এফ.বি.আই ওঁত পেতে থাকলো, আবার হ্যাক করলে এবার ধরা পরবেই।

তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মিশন সফল ভাবে করতে পেরে দ্বিতীয় আক্রমণের পরিকল্পনা করলো। দ্বিতীয় আক্রমণ করে তারা বিশ্ববাসীকে জানাতে সক্ষম হল যে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। এতে সমালোচিত হয় যুক্তরাষ্ট্র। তাই হ্যাকারদের ধরতে মরিয়া হয়ে উঠে তারা। তারা বিভিন্ন ভাবে পরীক্ষা করে জানতে পারে যে কাজটা বাংলাদেশ থেকেই হয়েছে, এবং এদের চারজনের অবস্থানও তারা নিশ্চিত করে। এফ.বি.আই বাংলাদেশের পুলিশকে নির্দেশ দেয় তাদের ধরতে। পুলিশ চার জনকেই ধরতে সক্ষম হয়। আদালত তাদের শাস্তি হিসাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আর এতে করে পুরো বিশ্বে তীব্র সমালোচিত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সরকার। আর তারা শাস্তি পায় ঠিক ই কিন্তু সবার মনে নাড়া দিতে সক্ষম হয়। আর এই চার জন হয় ডিজিটাল মুক্তিযোদ্ধা। আর এ জাতি তাদের শ্রদ্ধা ভরেই স্মরণ করে, আজও।



▬▬▬▬
[ বিঃদ্রঃ সম্প্রতি শুরু হওয়া ভারত-বাংলাদেশের সাইবার যুদ্ধে অংশ নেয়া সাইবার যোদ্ধাদের নৈতিক সমর্থন জানিয়ে এই গল্পটি তাদের জন্য উৎসর্গ করা হল। ]
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নিরব নিশাচর জয় হোক তোমার ডিজিটাল মুক্তিযুদ্ধাদের... গল্পের মধ্যে চেতনা কে অনেক ভালো ভাবে দেখাতে সক্ষম হয়েছ... বিষয়বস্তুর দিক থেকে অনেকটা সফল... তবে গল্পের ফ্লেবার পানি দ্বিতীয় এপিসোডে... গল্প আর একটা কাহিনীর বর্ণনা করে যাওয়ার মাঝে পার্থক্য আছে... তোমার দিতীয় এপিসোড টা গল্পের মত না হয়ে শুধু সাক্ষ্য প্রদানের মত হয়ে গেছে বলে আমার মনে হলো... প্রথম এপিসোড ঠিক আছে... সব মিলিয়ে যেটা বলা প্রয়োজন- সাইবার ক্রাইমের সম্পর্কে তোমার ভালো নলেজ সুস্পষ্ট হয়েছে আমাদের কাছে এবং তুমি যে প্রচুর নজর রাখো দেশের পরিস্থিতির সেটা মনে হয়েছে আমার... কিছু জায়গায় তুমি এমন কিছু কথা লিখেছ যা সত্য বলে অনেকেই ধারণা করি কিন্তু প্রকাশিত সত্য নয়... তোমার কল্পনায়ও একই জিনিসগুলো বাস করে দেখলাম...
গল্পে একটা কাহিনী বর্ণনার পাশাপাশি আরো কিছু রসদ দিতে হয়... যেমন নায়ক গ্লাসটা হাত থেকে কিভাবে রাখল? বিজয়ের মুহুর্তে প্রত্যেকের চেহারার অবস্থা কি ? ইত্যাদী ইত্যাদী... ভালো থাকিস হাসু... সর্বপরি সাধারণের উপরে...
মোঃ শামছুল আরেফিন চরম লাগল গল্পটি। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে লেখা। এইলেখাগুলো বিশেষ সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকবে।
সেলিনা ইসলাম গল্পের মূল বিষয়টি বেশ তর্ক সাপেক্ষ ...তবে কল্পনাকে এমন করে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা বেশ দক্ষতার পরিচয় দেয়... ভাল লাগল গল্প শুভেচ্ছা
ওবাইদুল হক আসলেই অসহায়দের ভালবাসা সব সময় পবিত্র থাকে সুন্দর করে তুলেছেন ভাই শুভকামনা রইল ।
আহমেদ সাবের চমৎকার গল্প। সমসাময়িক ঘটনার সাথে কল্পনার চমৎকার মিশ্রন।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি সুন্দর লেখা....ভালো লাগলো পড়ে প্রনয় পীড়িত অশেষ ধন্যবাদ.....পছন্দের তালিকায় থাকলো.....মূল্যায়ন.....৫
মামুন ম. আজিজ এমন কিছূর কাছাকাছি ঘটতে পারে ভবিষ্যতে ..খুব বাজে চিন্তা নয় এটা। ভাল লিখেছ। সাধূবাদ
মিলন বনিক তথ্য প্রযুক্তি এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে লেখা ভীষণ আকর্ষনীয় হয়েছে...ধন্যবাদ সাইবার মুক্তিযোদ্দাদের তাদের দেশ প্রেমের জন্য...শুভ কামনা থাকলো-------
মোঃ আক্তারুজ্জামান নি:সন্দেহে গল্পটা গভীর চিন্তার ফসল| আরও ছোট ছোট প্যারাকারে লিখলে দৃষ্টি নন্দন এবং পড়তে খুব সুবিধা হত| অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো|
আপনার কথাটা সামনের বার মনে রাখার চেস্টা করব, অসংখ্য ধন্যবাদ আক্তার ভাই
Abu Umar Saifullah সুন্দর একটি গল্প

২০ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪