ভাবনা বিলাস ।।

বৃষ্টি (আগষ্ট ২০১২)

এফ, আই , জুয়েল
  • ১৭
  • 0
  • ১৩
# " যাকে আমি আনতে গেলাম /
তাকে দেখে ফিরে এলাম /
সে যখন চলে গেল /
তাকে আবার নিয়ে এলাম //

---- এটি একটি ধাঁধাঁ । এর অর্থ জল । দুটি জলের বর্ননা এতে আছে । একটি বৃষ্টির অপরটি নদীর । আগেকার দিনে পল্লী নারীরা কলসী কাঁকে নদীর ঘাটে জল আনতে যেত । যাত্রাপথে বৃষ্টি এলে তারা গৃহে ফিরে আসত । আবার বৃষ্টি চলে গেলে জল নিয়ে ঘরে ফিরতো ।


কিন্তু রানীমাতার জীবনে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল অন্যভাবে । গরমকালে রানীমাতারা নদী হতে খানিক দুরে বনের ধারে মাটির ঘরে বসবাস করতো । এটা খুবই স্বাস্থ্য সম্মত । চিত্তের প্রফুল্লতা ও বুদ্ধির উৎকষের জন্য এ রকম ঘর খুবই উপকারী । বনের ঘন-পল্লবের সবুজের দোলা আর নদীর স্রোত-স্নাত বাতাসের মনোরম পরশে দেহ-মন জুড়িয়ে যায় । জীবনে একবার হলেও এরকম বাতাসে পরানটা জুড়াবার জন্য রানীমাতা অনেক আকুতি মিনতি করেছিল । কিন্তু যখন গেলাম---, তখন সব কিছু বদলে গেছে । নদীটা আগের মতই আছে । শুধু রানীমাতা নেই ।

এই নদীর সাথে রানীমাতার একটা গভীর স্মৃতিময় সম্পর্ক জড়িয়ে আছে । আধো আধো বিকশিত যৌবনে রানীমাতা একবার নদী থেকে জল আনতে গিয়েছিল । পরনে ছিল কোমড়ে পেঁচানো আকাশী রঙের শাড়ী আর কাংকে পিতলের কলস । এরুপ রুপের বাহার দেখে বনের পাখিরা গান গেয়ে উঠল----,

" কোন রুপসী কণ্যা গো জল ভরিতে যায় /
কাহার শাড়ীর শ্যামলা আঁচল বাতাসে উড়ায় //


কলসীতে জল ভরে আধো ভেজা শরীরে রাণীমাতা ফিরে আসতে থাকে । মাঝপথে এসে সে থমকে দাঁড়ায় । সাধু-সন্ন্যাসী-দরবেশের মত এক লোক আনমনে অপলক নয়নে তার পানে চেয়ে আছে । আর লোকটির আঁখি হতে জল ঝরছে । রাণীমাতা অবাক হয়ে ভাবে ---, দেখেতো ভাল মনে হয় । লোকটা ফ্যালফ্যাল করে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন ? কোনো কু-মতলব আছে নাকি ? আবার চোখ থেকে পানিও পরছে । এরকম ভাবতে ভাবতে রাণীমাতা ধীর পায়ে এগুতে থাকে ।

কাছে এলে লোকটি রাণীমাতাকে বলতে থাকে---" হে চন্দ্রবদন রুপসী নারী । ভেবনা --- তোমার প্রেমে ব্যাকুল হয়ে গেছি । আর তোমার রুপে মুগ্ধ হয়ে বিরহ যাতনায় কাঁদছি । যে স্রষ্টা এত সুন্দর ভাবে তোমাকে সৃষ্টি করেছেন , তার সৌন্দর্য উপলদ্ধি করতে এতদিন লাগলো---- এই ব্যর্থতা আন্দাজ করে কাঁদছি । এই ঘটনার ভাবের গভীরতাকে আরো সুন্দরভাবে কবির ভাষায় প্রকাশ করেছিলেন দরবেশ প্রকৃতির লোকটি । তিনি বলেছিলেন----,

" একদা সুখদা এক প্রমদা বদন /
দর্শণ করি মম ঝড়িল নয়ন /
হেসে কহিলাম বালে করহো শ্রবন /
নেত্র ঝড়ে তব হেতু ভেবনা এমন /
যে শিল্পী রচিল ঐ শুধাংশু বদন /
তাহার তরে ঝড়ে নেত্র জীবনে নয়ন // "


শীলা দেবীর আস্তানায় সাধকদের উপস্থিতি একেবারেই কম । মেঘলা আকাশ , থমথমে অবস্থা । বৃষ্টি হবে হবে ভাব । আষাঢ়-শ্রাবনের বৃষ্টি ঝড়া দিনগুলোতে চাউল ভাজা আর রঙ চা শীলা দেবীর খুবই পছন্দ । তার আস্তানায় এই খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা । এক ব্যতিক্রমধর্মী আজব চরিত্রের অধিকারী এই শীলা দেবী । শত দুঃখ-কষ্ট , বিপদ আর অপমানের তীব্র যাতনা সহ্য করেও সে সুন্দর ভাবে হাসতে পারে । বুকের গভীরে দুঃখের তীব্রতাকে চাপা দিয়ে সে সবাইকে হাসায় আর মাতিয়ে রাখে । সমাজের অশুভ শক্তির কাছে শীরাদেবী এক আতঙ্কের নাম ।

একটু রসিকতা করে দরবেশের কবিতাটি শীলাদেবীকে শুনালাম । শীলাদেবীর মনটা আনন্দে নেচে উঠলো । সে ভাবলো----, কবিতাটা বুঝি তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে । তার চোখে মুখে যেন খুশীর আভা । এক অজানা মায়াবী রুপ ছলছল করতে লাগলো । উৎফুল্ল ভাব নিয়ে শীলাদেবী একটা গল্প বলা শুরু করলো ।

একটা নির্জন এলাকায কিছু লোক একটা লোককে মেরে ফেলার জন্য নিয়ে গেছে । তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে । নিহত হওয়ার আগে আহত লোকটি চিৎকার করে বলেছিল , এই বৃষ্টি সাক্ষী থাকো----, এরাই আমার হত্যাকারী । এরপর অনেক বছর কেটে গেছে । বাইরে ঝিমঝিম বৃষ্টি । ঘরের বারান্দায় বসে হত্যাকারী লোকটি মুচ-মুচ করে হাসছে আর মনে মনে বলছে--, বৃষ্টি তুমি সাক্ষী থাকো । হায়রে বেচারা , মরে ভুত হয়ে গেছে ।

তার বউ এই হাসির রহস্য জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো । বউয়ের চাপাচাপিতে সে হত্যা কাহিনী বর্ননা করলো । আর এতদিন পরে বৃষ্টি কিভাবে সাক্ষী দিবে ---- এই ভাবনা ভেবে হাসতে লাগলো । একান সেকান হয়ে কথাটা বহুদুর চলে গেল । থানা-পুলিশ হলো । নোতুন করে তদন্ত হলো । হত্যার রহস্য প্রকাশ পেলো । হত্যাকারী ধরা পরলো ।

কথায় বলে ---, পাপ বাপকেও ছাড়ে না । প্রতিটি পাপ যে কোনো রুপ ধারন করে পাপীকে ঘিরে চলতে থাকে । পাপের শাস্তি পাপীকে কোনো না কোনো ভাবে পেতেই হয় । কিন্তু তওবার মাধ্যমে যারা পাপকে পূণ্যে পরিনত করার কৌশল জানে তারা অনেক উপরের স্তরের মানুষ । সাধনা ছাড়া এরুপ উচ্চ স্তরে উপনীত হওয়া যায় না । ক্ষনীকের পাপী মূহুর্তেই কিভাবে পাপকে পূণ্যে পরিনত করতে পারে---- এ এক বিরাট রহস্যময় ব্যাপার । এজন্য বলে---, " পাপকে ঘৃনা করো , পাপীকে নয় । শীলাদেবীর এরকম আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বুঝতে পারা অত সহজ নয় । এরুপ ব্যাখ্যার পরের স্তরের ব্যাপারগুলো জ্ঞান-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলে । অনেকেই আঁকা-বাঁকা ভাবে কলঙ্ক মেশানো অনেক কথা বললেও আত্মার শক্তি ও সৌন্দর্য্যের দিক থেকে শীলা দেবী অসাধারন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ।

তার আত্মার রুপ ও আকর্ষন ক্ষমতার প্রশংসা করে করে আমি তাকে ক্ষেপিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম । সে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো---, আর অগ্রসর হইও না । মহাসমুদ্রের শুধু রুপের বাহার দেখেছ , বিপদ দেখনি । যখন সময় হবে , তখন তোমাকে একাকী সাঁতার কাটতে ছেড়ে দিব । এখন শুধু আমার কথামতো চলার চেষ্টা করো ।


বিপদটা অন্যভাবে ঘনিয়ে এলো । আমার দুর সম্পর্কের চাচাতো বোন । তাদের সাথে জমিজমা নিয়ে রেষারেষি ও শত্রুতা বংশানুক্রমিক ভাবে চলে আসছে । আমাদের বাড়ীর পাশে একটু দুরে জমি কিনে তারা বাড়ী করেছে । সেই সুবাদে দুই পরিবারের মধ্যে যাতায়াত একটু একটু করে বাড়তে লাগলো । এতে সম্পঁকের উন্নতি ঘটতেছিল ।

একদিন বৃষ্টির কারনে আটকা পরে গেছি । একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি । জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে চাচাতো বোনটি ছাতা নিয়ে এসে আমাকে নিয়ে গেল । বাসার ভিতর তার ঘরে নিয়ে বসালো । একটা গামছা দিল শরীরে লেগে থাকা বৃষ্টির পানি মোছার জন্য । অনেক ভাল ব্যবহার করলো । হালকা হালকা হাসিমাখা অনেক কথা হলো । মেয়েটি কালো হলেও দেখতে খুবই আকর্ষনীয় । তার মুখের আকৃতি ও চোখের চাহনি খুবই ব্যতিক্রমধর্মী । তার চেহারাজুড়ে রয়েছে মায়া মায়া ভাবের একটা অন্যরকম মাদকতা । কিন্তু সারা মুখ জুড়ে বড় বড় ঘামাচির মত দাগ তাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ।

সান্তনার ভাষায় আমি তাকে বললাম--, এ নিয়ে চিন্তা করো না । মাঝে মাঝে ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিয়ো । আর পারলে বর্ষার বৃষ্টিতে গোছল করিও । এটা বেশ উপকারী ।

এই কথায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকলো । পরের দিন মা-মেয় এসে আমাদের বাসায় ঝগড়া বাঁধিয়ে দিল । তার মা বলে---, আমাদের মেয়ে কি এতই খারাপ ---, এতই বেহায়া--- । কেন তাকে বৃষ্টিতে গোছল করতে বলবে ? আমার বাড়ীর লোকেরাও বলে ---, কেন তাকে বৃষ্টিতে গোছল করতে বলেছিলাম ? এই কেনোর একটা সুন্দর উত্তর এখন আমার খুব দরকার । এর জন্য চলে গেলাম শীলাদেবীর কাছে । তাকে সব খুলে বললাম ।


একটা মুচকী হাসি দিয়ে শীলাদেবী বললো ---, আগেই বলেছিলাম---, দুর থেকে মহাসমুদ্রের রুপ দেখে মুগ্ধ হওয়া---- এক জিনিস । আর সমুদ্রের গভীরে একটির পর একটি বিপদের রহস্য ভেদ করা ---এটা অন্য জিনিস ।

পানির উৎস্য সমুদ্র । এর বাষ্প মেঘমালা হয়ে চলতে চলতে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে । কত সুন্দর সরল সমীকরণ ! কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় এটা সম্পন্ন হয় ---- সেটা বুঝতে পারা কি এতই সহজ ? এখানেই সাধকদের সাধনার বাহাদুরী । তুমি মেয়েটির চেহারা দেখেছ । আত্মা দেখার চেষ্টা করনি । আসল সমস্যাটা এখানেই ।

তুমি মেয়েটিকে যেয়ে বলবে---, কেন সেদিন তোমাকে বৃষ্টির পানিতে গোছলের কথা বলেছিলাম -----,এর একটা সুন্দর উত্তর আমার কাছে আছে । সেটা তোমাকে বলতে চাই । সে যদি শুনতে চায়---তাহলে ভাল কথা । আর যদি শুনতে না চায়----, তাহলে বলবে --, আমি স্বপ্নে যেটা দেখেছিলাম, সেটাই সত্যি হলো । তখন সে স্বপ্নের কথা শুনার জন্য আগ্রহ দেখাতেও পারে ।

যেভাবেই হোক----, সুযোগ পেয়ে গেলে তুমি তাকে বলবে---, " বিশ্ব স্রষ্টা মৃতকে আবার জীবিত করার ঘোষনা দিয়েছেন । এই বিশ্বাসকে আরো মজবুত করার জন্য তিনি একটি উপমা দিয়েছেন । সেটি হলো----, " তোমরা কি দেখ না ---, শুষ্ক , বিবর্ন এই মৃত ধরিত্রীকে বৃষ্টির পানি দিয়ে আমি কিভাবে নব জীবন দান করি " । এগুলো কুরানের কথা ।

এরপর তাকে বলবে---, এই বৃষ্টির পানির মধ্যে মৃতকে জীবীত করার , যৌবনকে ফিরিয়ে আনার এবং রুপকে অপরুপ করার রহস্য নিহিত আছে । এ কারনেই তোমাকে অনেকটা আপন ভেবে কথাটা বলেছিলাম ।

অনেক অনুনয় বিনয়ের পর চাচাতো বোনটি শুনতে রাজী হলো । তাকে শীলাদেবীর কথাগুলো বলার পর বললাম---, কালো হলেও তুমি অনেক সুন্দরী । এই সুন্দরকে আরো বাড়ানোর জন্য দেহ-মনের সজীবতা প্রয়োজন । বৃষ্টির পানি পান করলে এবং ঐ পানিতে গোছল করলে দেহ-মনে শক্তি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় । রুপ-যৌবন ও আত্মার সজীবতা বাড়তে থাকে । এ রকম ইঙ্গিত ঐশী কিতাব গুলিতে পাওয়া যায় । এই দৃষ্টিকোন থেকে সেদিন তোমাকে বৃষ্টিতে গোছলের কথা ঐভাবে বলেছিলাম । সে বুক ফাঁটা আর্তনাদে হাহাকার করে উঠলো ।


শীলাদেবীকে ধন্যবাদ দেয়া দরকার । কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । হয়তো গুরুমাতার সাথে কোনো জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনায় মগ্ন রয়েছে । সেখানে সবাই যেতে পারে না ।

এদিকে রঙ-মহলে রাণীমাতা তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে । দরবেশের সন্ধান পাবার জন্য সে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে । একে-ওকে-যাকে-তাকে দরবেশের কথা জিজ্ঞেস করছে । কিন্তু কেউই তেমন কিছু বলতে পারছে না । রাণীমাতা মন খারাপ করে গালে হাত দিয়ে বসে আছে ।

এমন সময় খবর এলো ----, বাংলা সিহিত্যের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ আর নেই । পরলোকে চলে গেছেন । চারিদিকে শোকের ছায়া । আজীবন যিনি সামাজিক অনাচার ও ধমীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে মানব আত্মাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন---তার সেই লেখনীর শক্তি কি এত সহজে হারিয়ে যাবে ? হাসন রাজা , লালন সাঁই , লোক-কথা , পুঁথি সাহিত্য হতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আধ্যাত্মিকতার অমূল্য সম্পদকে তিনি যেভাবে গল্প-কবিতা-গানে আর সিনেমা-নাটকে সাজিয়ে তুলেছিলেন-----, সেই সাজাবার পদ্ধতিটা ছিল অতুলনীয় । তার লেখা যতই পাঠ করা হবে , ততই পাঠকের আত্মশক্তি এবং সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা বাড়তে থাকবে । তার অমূল্য লেখনী সম্পদের মাধ্যমে তিনি নিজেকে চেনা এবং সত্য-সুন্দরকে জানার আমন্ত্রণ জানিয়ে এক সুন্দর সমাজ বিনির্মানের প্রতিশূতি দিয়ে গেলেন ।

বর্তমান সময়ে জীবিত মানুষের চেয়ে মৃত মানুষের জন্য দোয়া পড়া হয় বেশী । অথচ মৃত মানুষকে জীবিত করার জন্য দোয়া করা হয় না বললেই চলে । তাহলে কি স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস ও ভরসায় মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে ?

এই ভাবনায় রাণীমাতা ক্লান্ত হয়ে গেছে । তৌরাত-ইন্জিল-কুরানে আছে । যবুরেও থাকতে পারে । ঈসা নবী দোয়া পড়ে মৃতকে জীবিত করেছিলেন । সেই জ্ঞান-, সেই সাধনা মানুষ ভুলে গেল কি করে ?

স্রষ্টা সম্পর্কে রাণীমাতার বিশ্বাস ও ধারনাটা বেশ দৃঢ়, স্বচ্ছ ও গতিশীল । তার গতিময় বিশ্বাসের প্রতিটি মনজিলে বিশ্বাস বিড়ম্বনার স্তরও কিন্তু কম নয় । তার আত্মার গভীর স্তরের সূক্ষ্ম অনুভূতি স্রষ্টা সম্পর্কিত জ্ঞানের বিকাশকে দিনেদিনে স্পষ্টতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । এভাবে চলতে থাকলে অল্প দিনের মধ্যেই হয়তো তার ভক্তরা তাকে রাণীমাতা থেকে দেবীমাতার আসনে বসিয়ে দিবে । তখন দলে দলে মানুষ তার সংস্পর্শ পাবার জন্য ছুটতে থাকবে ।


মৃত্যু সংবাদ শুনলে ---, " ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন "---এটা পড়ার রেওয়াজ চালু আছে । কিন্তু একে শুদ্ধভাবে পড়ার আগ্রহ অনেক কম । এর অর্থ-- --,সব কিছুই স্রষ্টার নিকট থেকে এসেছে । তার কাছেই ফিরে যেতে হবে । কিন্তু যে আশা ও ভাবনা নিয়ে এটি পড়তে হয় ----,তার তাৎপর্য কিন্তু কম নয় । যে কোনো প্রকার বিপদ-আপদ ও ক্ষয়-ক্ষতি হতে পরিত্রান পাওয়া এবং এর চেয়েও আরো ভাল কিছু পাবার আশায় এটি পড়তে হয় ।

রাণীমাতা খুবই চিন্তিত । গভীর ভাবনায় বিচলিত । এরকম একজন মহান লেখকের মৃত্যুতে জাতির যে অপূরনীয় ক্ষতি হলো--- কিভাবে সেটা পুরন হবে ?
অনেক ভাবনা ভেবে রানীমাতা বুঝতে পারলো----, দেহ ও আত্মার নিবেদনে এই ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার জন্য স্রষ্টাকে বলা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় নাই । রানীমাতা সবাইকে বললেন---, নিজের মত করে স্রষ্টাকে বলার জন্য । স্রষ্টা যেন বিদেহী আত্মার প্রতি রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করতে থাকেন ।।

[ = আগের লেখাগুলোর সাথে এই লেখার ধারাবাহিকতা রয়েছে । = ]
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদেলা শিশির (লাইজু মনি ) বড় ভাই ... আপনাকে দেখা-ই যায় না .... !! রানী মাতার দেশে গিয়েছিলেন ...... ??
মো. ইকবাল হোসেন রাণীমাতা-দরবেশ-শীলাদেবী-হুমায়ৃন আহমেদের মৃত্যু কেমন যেন হ-য-ব-র-ল লাগল। হতে পারে আগের গল্পগুলো পড়িনি তাই এরকম মনে হচ্ছে। কিছু ছন্দ ও উপমা অসাধারণ।ধন্যবাদ গল্পের জন্য।
সালেহ মাহমুদ UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম, খুব ভালো লাগলো গল্পটি, অনেক ধন্যবাদ
বশির আহমেদ আপনার ধারাবাহিক ঘটনার সাথে হুমায়ন আহমেদ প্রসঙ্গটি দারুন ভাবে জুড়ে দিয়ে গল্পটিকে আরও বেশী পাঠক সমৃদ্ধ করেছেন ।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন .........................আগের মতই, তবু যেন... অনেক ভাল ৫। শুভেচ্ছা রইল।
Jontitu রানীমাতা দেখেই বুঝতে পেরেছি আপনার আগের লেখার ধারাবাহিকাতা। বর্তমান ঘটনা যোগ করাতে গল্পটিতে নতুন প্রাণ পেল। ভালো লাগলো।
আহমেদ সাবের বরাবরের মত, গল্প তো চমৎকার বটেই। তবে তার চেয়েও মূল্যবান গল্পের অন্তর্নিহিত বাণীগুলো। হুমায়ুন আহমেদ প্রসঙ্গ গল্পটায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শাহ আকরাম রিয়াদ খুব ভাল লাগল আপনার লেখনী।
সিয়াম সোহানূর অপরূপ বর্ণনা শৈলীতে আমাদের প্রিয় লেখকের প্রসংগ তুলে আনলেন । ভাল লাগল খুব।
আরমান হায়দার ভিন্ন মাত্রার , ভিন্ন স্বাদের একটি সুখপাঠ্য গল্প। খুব ভাল লাগল। আপনার এজাতীয় লেখা নিয়মিত পড়তে চাই।

১৩ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী