অপরূপ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ (ডিসেম্বর ২০১৯)

Hatim Al Amin Chowdhury
  • 0
  • ১০২
প্রকৃতির স্নিগ্ধ পরশ,
করেছে এই ধরণীকে সরস।
সেই প্রকৃতির অপরূপ ছোঁয়ায়,
মাধুর্যের মধুময় আভায়,
কতোইনা রূপে সজ্জিত মোদের এই বাংলাদেশ।
মনোমুগ্ধকর তাহার শৃঙ্গার ,সত্যই অনিমেষ।
ছয়টি ঋতুর আগমন,
করে তুলে সেই রূপকে অশেষ মনোরম।

গ্রীষ্মের প্রবল দাপটে,
ফাঁটল ধরে বাংলার মাঠে মাঠে।
প্রকৃতিতে জাগে হাহাকার,
অসহায় কৃষক, অপেক্ষা করিতে থাকে বর্ষার।
পথিক কাতর হয় পিপাসায়,
মিঠাইয়ের দোকানে, ময়রা ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে মাছি তাড়ায়।
কালবোশেখির ঝড়ে,
গাছের নিচে কাঁচা আম পড়ে।
কচিকাঁচার দল কুড়িয়ে নিয়ে যায়,
আবার জ্যৈষ্ঠ মাসে বাজার পূর্ণ হয় সুমিষ্ট সব ফলের মেলায়।

বর্ষা নামে আষাঢ় মাসে,
কৃষকের অপেক্ষা সমাপ্ত হয় অবশেষে।
মুষলধারে ঝরে বৃষ্টি,
মুগ্ধ করে তুলে গোটা সৃষ্টি।
মাঠ-ঘাট জলে ডুবে যায়,
গ্রামবাংলা প্লাবিত হয় বন্যায়।
খালে-বিলে জাগে পদ্ম ও শাপলা ফুলের বাহার,
ঘাড়ু ব্যাঙ ডেকে উঠে বারবার।

বর্ষা শেষে আসে শরৎকাল,
মাঝি ছুটে নৌকা নিয়ে, তুলে পাল।
নদীর তটে ফুটে কাশ,
বইতে থাকে মৃদুমন্দ বাতাস।
বিকেল বেলা সাদা বকের দল বাড়ি ফিরে,
তুলোর মতো সাদা মেঘ, আকাশকে রাখে ঘিরে।

প্রকৃতির মাঝে হলুদের বন্যা বইয়ে,
বাংলার জমিতে শিশির ছড়িয়ে,
আসে হেমন্তকাল!
ভোরের শিশির আর সূর্যের মৃদু আলোয় মাতে তার প্রতিটি সকাল।
মাঠে মাঠে পাকে ধান,
নবান্নের উৎসবে মুখরিত হয়,হেমন্তময় অগ্রান।

করে কুয়াশার চাদরকে বরণ,
হয় বাংলার জমিতে শীতের ভ্রমণ।
গাছের পাতা ঝড়ে যায়,
চারিদিক রিক্ত হয়,তীব্র ঠাণ্ডায়।
সকাল বেলা রোদ পোহায় লোক, গঞ্জ-গ্রামে।
তাপ পেতে খড়কুটো জ্বালায় লোক,যখন সন্ধ্যা নামে।
গাছ থেকে খেজুরের রস আহরি,
করা হয় রশনা তৃপ্ত সব পিঠা-পুলি তৈরি।
ঝাঁকে ঝাঁকে আসে অতিথিপাখি,
হেরিবা মাত্র জুড়ায় আঁখি!

শীত চলে যায়, আসেন ঋতুর রাজন!
বিচিত্র সব ফুল ফুটে,করে বসন্তকে বরণ।
গাছে গাছে জন্মে নবীন কুড়ি,
প্রকৃতিতে যেন বিরাজে হরেক রঙের বাহারি।
কুকিলের কণ্ঠে জাগে মধুর গান,
বাংলার মানুষ গুলি লভে যেন উচ্ছ্বাসময় প্রাণ।

কি-যে অপরূপ বাংলার প্রকৃতি !
এইখানেতে মিশে আছে যেন স্বপ্নলোকের প্রীতি!
আমি মুগ্ধ, বাংলাদেশের এই অপরূপ সাজে।
তাই তো হারাতে চাই বারবার এই বাংলাদেশের মাঝে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মোখলেছুর রহমান স্বাগম গল্প কবিতায়। কবিতার বুনন বেশ ভাল।
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
MD. MOHIDUR RAHMAN লেখা চালিয়ে যাবেন আশাকরি.
ইনশা আল্লাহ। পড়ার ফাঁকেফাঁকে যখন সময় পাব লিখব।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বাংলাদেশ বলতে আমাদের মানস্পটে যা ভেসে উঠে তা হলো একটি সবুজের লীলা ক্ষেত্র।আর এই লীলা ক্ষেত্রকে অতিব মনোহর করে ফুটিয়ে তুলেছে তার আপন ঋতু বৈচিত্র‍্য।প্রত্যেক ঋতুর রয়েছে আপন রূপ,স্বকীয় মনোমুগ্ধকর বৈশিষ্ট্য। আর এভাবে ক্রমাগত ছয়টি ঋতুর আবর্তন বাংলাদেশকে পরিণত করেছে এক অপূর্ব নন্দনকাননে।"অপরূপ" বাংলাদেশ শীর্ষক কবিতাটিতে ঋতু বৈচিত্র‍্যের কারণে সৃষ্ট বাংলাদেশের সৌন্দর্যের বিভিন্ন দিকের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।

১৮ নভেম্বর - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী