সেদিন আমার মেয়ের বিয়ের কথা পাকা হয়ে গেল ।
ওর হবু শাশুড়ি তো খুব খুশি ,
অগ্রিম বাবদ যৌতুকের এতগুলো টাকা,
বিয়ের সময় টিভি, ফ্রিজ , ফার্নিচার ।
এই যাঃ! ভুল হয়ে গেল ।
মধ্যবিত্ত পরিবারে ওগুলো কে গিফট বলা হয় ।
মেয়ে কে উচ্চশিক্ষিত করে তোলাই এখন যথেষ্ট নয়,
তাকে দামী পাত্র ও ধনাঢ্য পরিবারে বিয়ে দেয়াও পিতার কর্তব্য বটে ।
আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেকশন অফিসার ।
চাকরি জীবনে কখনো ঘুষ খাইনি ।
পেনশনের পুরো টাকাই খরচ হচ্ছে বড় মেয়ের বিয়েতে ।
আমার দুটো মেয়ে ।
ওদের মা বহুদিন হলো বিছানায় শয্যাশায়ী,
ডাক্তার বলেছেন, ক্যানসার । এই মাসের মধ্যে অপারেশন করতে হবে ।
শেষে যদি বিয়ে ভেঙ্গে যায় তাই কথাটা কাউকে বলিনি ।
আমার ছোট মেয়েটা সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত একজন প্রতিবন্ধী ।
ওর জন্য কোনোদিন বিয়ের সানাই বাজবে না ।
ওকে বিয়ে দেয়ার মতো প্রভূত অর্থ আমার নেই ।
কাল যখন আমার বড় মেয়ে জড়োয়া অলংকার পড়ে ,
নিশ্চিত সুখের হাতছানিতে শ্বশুড়বাড়ি যাবে,
তখন আমি দেখবো আমার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে কিভাবে তিলে তিলে শেষ হয়ে যায় ।
আমি যেন সেই কারিগর , যে হৃদয়ের সবটুকু সুষমা দিয়ে প্রতিমা গড়ে ,তাকে বিসর্জন দেবার জন্য ।
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী