বিষাদময়তা ও নিনুলী

১লা (পহেলা )বৈশাখ (এপ্রিল ২০১৯)

Md.Ashaduzzaman Chowdhury
  • 0
  • 0
  • ১২৮
“ হুম মা বুঝলি , এখন তো তাও বাংলায় অহরহ লেখা লিখতে পারিস, কিন্তু আমাদের সময়ে এমন সুযোগ কোথাও ছিল ? এখন তো এই যে কি যেন নাম-- ফেসবুক,এখানে যা লিখি তাই তো সাহিত্য হয়ে যায়, এই সাহিত্যের নাম ও দিয়েছে তোদের জেনারেশন, “ফেসবুক সাহিত্যে ও সংস্কৃতি” The Culture and literature in Facebook”
বাবা তুমি এমন তাচ্ছিল্য করো না তো,আমরা হলাম একুশ শতকের চলমানতা, আমরা হলাম একুশ শতকের ঝড়, আমরা হলাম একুশ শতকের কাল বৈশাখী জাগরণ।
নিনুলী বাবার সাথে প্রায় এমন আলোচনা , সমালোচনা, প্রান্তিক প্রেক্ষাপট ও বিশ্বের অগ্রগতি নিয়ে বেশ সময় কাটায়।
এদিকে নিনুলী’র ভাই রাফি এদের সাথে এই সবে একদম যোগ দিতে চায় না,সে আলোকচিত্রকার হওয়ার পথে বেশ অ্যাগ্রেসিভ। কিন্তু দুই ভাই বোনের মাঝে মধুরতা চাঁদের আলোর মতন চিরঅমর।
গত সপ্তাহে রাফি নতুন একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে,সেটা হলো গ্রামভিত্তিক ফটোসেশন,তার বাবা বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে এই কাজে, আর নিনুলী শুধু বলেছে , যা করবি ,তাতে যেন পূর্ণতা থাকে’।
রাফি যে গ্রামে কাজ করতেছে সেই গ্রামের নাম “ হরেন্দা গ্রাম’’। ছোটবেলায় ক্যামেরার হাতে খড়ি হয়েছে তার আপুর হাতেই ,সাথে বাবা ছিল সব সময়ের সঙ্গী।আপু যতদিন বাড়ি থেকে পড়াশোনা করেছে ততদিনে রাফি ক্যামেরায় অনেক দক্ষ হয়ে উঠেছিল। যবে আপু ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য বিদেশে পিএইচডি করতে গেলো রাফি তখন এক প্রকার একা হয়ে গেছিলো।
নিনুলী পড়াশোনা শেষ করে প্রায় ৭ বছর বাসায় ছিল। এর মাঝে অনেক কিছু বিসর্জন দিয়েছে পরিবারের সবাই।
বাঁশ যেমন টিনের চালের মুল খুঁটি ,তেমনি পরিবারের খুঁটির হঠাৎ ভেঙ্গে যাওয়াটা এক প্রকার ধুমায়িত পরিস্থিতির মাঝে ফেলে দিয়েছিল।ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র সিলিকা কণা যেমন মরুভূমির প্রাণ। পরিবারের প্রাণ ছিল নিনুলীর মা।
আহসানা সাব্রিনা নিপা।নিনুলীর মা।
২০১২ সালের এক পড়ন্ত বিকেল,বাসায় আজ নিনুলীর বাবা নতুন গাছ কিনে এনেছেন,বাড়ির মূল ফটকের গেটে রোপণ করবেন। নিনুলী ও বেশ উৎসাহী হয়ে অপেক্ষা করতেছে। গত কয়েক মাস আগে সে তার মাস্টার্স শেষ করে, জবের পেছনে না ছুটে কিছুটা ব্যাঙের মত বাসাগত হয়েই সময় কাটাচ্ছিল।
রাফি তখন ক্লাস সেভেন এ উঠেছে।মা সারাদিন কাজে ব্যস্ত হয়েই থাকে, সব কিছুর মুল কেন্দ্র হলো কাজ কাজ আর কাজ, তিনি এক মুহুর্ত যদি স্থির থাকতেন!
রান্না ঘরে মাকে নিনুলী ইউটিউবে “ভায়ে দ্য কোকোরা, কলম্বিয়া” এরকিছু ভিডিও দেখাচ্ছিল আর বলতেছিল, “মা, এইবার তোমাকে কিন্তু নিয়ে যাবোই, তোমার পাসপোর্ট এর কাগজ সামনের মাসেই রেডি হয়ে যাবে।”
মা একটু মুচকি হেসে বলল “পাগলী মেয়ে আমার, তোর বাবা একা থাকতে পারবে ভেবেছিস?বাড়ির হাল কি হবে চিন্তা করেছিস একবার !’’
নিনুলী “আহা মা!, আব্বুকে বলব এবার যেন ফ্রান্সের প্রোজেক্ট ছেড়ে কলম্বিয়াতে বিজনেস পার্টনার খুঁজে নেয়, তাহলেই তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।”
সেই যে আমি যখন কেবল ৮ম শ্রেনির পরীক্ষা শেষ করলাম আর তুমিও বললে আর তো সময় পাওয়া যাবে না ,তাই তুমি সহ আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম ‘’পঞ্চগড় জেলায়” তাও আবার তোমার বান্ধবীর সাপেক্ষে।এবার তুমি না করো না মা প্লিজ প্লিজ “
এরই মাঝে নিনুলীর বাবা বাসা এসেই গেট থেকেই ডাক শুরু করেছে এই “নিলী” এদিকে আয়, দেখ তোর পছন্দের বনসাই নিয়ে এসেছি, এই নিলী, বাহিরে আয়।নিনুলীর বাবা তাকে নিলী বলে ডাকে, নিনুলী নামটা ওর মা রেখেছিল। আহসানা সাব্রিনা নিপা যখন খুবি ছোট , তখন তার মা তাকে গ্রামের স্থানীয় মক্তবে পাঠাতো আরবী পড়তে, আরবীর নুন এর পালা যখন আসতো তখন নুন পেশ “নু” এটাই সবচে ভালো ভাবে উচ্চারণ করতে পারতো। বাসায় ফেরার পরও এটা একা একা গানের মত করে প্রায় সময় বলত
তারপর বিয়ের পর তিনি ঠিক করেছিলেন তার ছেলে মেয়ে যেই হোক প্রথমে নামের মাঝে নু রাখবেন। সেই সাপেক্ষে আজ নিনুলী নাম।
নিলী বাবার ডাক শুনে মার দিকে তাকাতেই হাসি মুখে তাচ্ছিল্য করে মা বলে উঠলো “ ঐ দেখ , কই তোর সাথে গল্পো করবো সারাদিন শুধু নিলী , নিলী’।
নিলী বাবার কাছে যেতেই মুখটা যেন রঙিন সাতরঙা রঙধনু হয়ে উঠলো।
বাবার কাছে গিয়ে প্রথমেই বনসাই এর গাছ খুঁজতে খুঁজতে বলল “ বাবা কই রেখছো? দেখতে পাচ্ছি না কেন ?”
বনসাই গাছ নিনুলীর প্রিয় হয় “কারাতে কিড” মুভিটা দেখার পর।মিস্টার মিয়াগী আর ড্যানিয়েল তার খুবই প্রিয় ছিল।
নিনুলীর বাবা মাহানুব সাহা ছিল বেশ ফিল্ম কালেকটর মানুষ,সেই প্রেক্ষিতে নিনুলী অনেক ফিল্ম দেখেছে ছোট বেলায় সেই ভিসিডি প্লেয়ার এ। তবে এখন অবশ্য সে ল্যাপটপ এ দেখে। সেই পুরনো ভিসিডি এখনো আছে, কিন্তু নষ্ট হয়ে গিয়েছে ভেতরের পার্টস গুলো।
অবশেষে মাহানুব সাহা ,নিলীকে বনসাই গাছ গুলো দেখালো , নিলী খুব খুশি হয়েছিল ,তাই সেদিন রাতে একটা চিঠিও লিখেছিল সে

প্রিয় বনসাই,
আজ অনেক ভাল লাগতেছে,মানুষের সুন্দর অনুভুতি গুলো বাস্তবে পাওয়া গেলে এমনি বুঝি লাগে?
তোমার নামটা অনেক সুন্দর,এটা তুমি জানো?
তোমাকে এই বার দিয়ে সাতাত্তর তম চিঠি লিখছি, তোমার নামের মাঝে আমি অনেক কিছুর নিরবতা পাই। কখনো কখনো তিক্ত জীবনের মাঝে অতীব গভীরতা আবার কখনো অদৃশ্য ও অচেনা নতুন কিছু। রাত্রির সাথে তোমার অনেক মিল আছে, নীরবে তোমার কাছে আমার আর্তনাদ ও ফুঁপিয়ে হালকা কান্না জড়িত ভয়াল কন্ঠে বাক্য আলাপন করতে অনেক বেশি সুখ লাগে।
আজ তুমি আবার ও রাত্রির মত নীরব অন্ধকার কথা শোনার এক সাক্ষী হলে
ইতি
তোমার মানবী ‘’নিনুলী”


গতকাল দিনে যেসব গাছ লাগিয়েছে, সেগুল আজ সকালে বেলকুনি থেকে নিলী দেখতেছে।আজ এপ্রিলের ১২ তারিখ,মা সকালের নামাজ শেষ করে নিলীকে চা বানিয়ে দিয়ে বাগানে গেছেন।
এই বাসায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মুখ দেখা হয় আহসানা সাব্রিনা নিপার দ্বারাই , নিপার স্বামী এক প্রকার নামাজ চোর মানুষ। এই নিয়ে নিপার কত যে বকুনি খায় মাহানুব , তার ইয়ত্তা নেই। মাহানুব ছাত্র থাকাকালীন নিয়মিত নামাজ পড়তো , বিয়ের পরেও পড়তো কিন্তু কাজের চাপের দোহাই দিয়ে তা আর করে ওঠে না।
মাঝে মাঝে বলে ‘’ নিলীর মা, তুমি নামাজ পড়লেই পুরো পরিবারের নামাজ হয়ে যায়”-
এই কথা বললেই নিপা খুব রেগে যায় আর বলে-’ এমন কথা বলবে না, নামাজ সবাইকে একক ভাবে পড়তে হয়” এই বলে আর কিছু বলে না।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাফি আজ না খেয়েই স্কুলে গেল ,দেরি হয়ে গেছে। নিনুলীর মা ,বাগান থেকে ফিরে রান্না ঘরে গেল। এদিকে নিলী বই পড়তেছে বিছানায় অর্ধশোয়া হয়ে ,পা ছড়িয়ে দিয়ে।
নিপা গ্যাসের চুলায় চাল উঠায় দেয়, ইলেকিট্রিক চুলায় মাংস রান্না করে, নিলী মাঝে মাঝে ঘর থেকেই বলে ‘ মা, ওমা, আজ কি কি রান্না করতেছো’
নিলীর মা বলে “ তুমি ঘর থেকে জিজ্ঞেস করলে বলব না, একটু উঠে এদিকে এসোই তো’
নিলী বলে “ বই পড়তেছি মা। পড়ে যাচ্ছি, তুমি কিন্তু বললে না,আজ কি রান্না করতেছো?
নিলীর মা “ বলব না, আমার মেয়ে এতো অলস হয়ে গেছে, সে এত টুকুন আসতে পাচ্ছে না?”

নিলীর ফোন বেজে ওঠে, স্ক্রিনে লিখা লাইমি । ফোন রিসিভ করেই বেশ খুশি খুশি ভাব দেখা গেলো নিলীর মাঝে, লাইমি মেকানিক্যাল এণ্ড সিস্টেমস এ পিএইচডি করছে নিউক্যাসেল এ। নিলী বেশ খুশি হয়েছে অনেক দিন পর তাদের মাঝে কথা হচ্ছে। গত ৩ মাস হলো লাইমির বিয়ে হয়েছে, সিঙ্গাপুরা এক ছেলের সাথে ,সেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।অনেক ক্ষণ যাবৎ তাদের কথা হলো।
কথা শেষ করেই নিলী ছাদে গেল বনসাই এর গাছের দেখাভাল করতে।
এদিকে রাফি বাসা ফিরেছে, সে খুবই কৌতুহলী হয়ে বাসা ফিরলো, হাতে একটা পেনড্রাইভ ছিল । এসেই নিলীকে বলল ” আপু ,ল্যাপ টপের পাসওয়ার্ড টা দাও না, প্লিজ?’’
নিলী বলে ‘ কেন কি করবি ?’
রাফি “ আগে বললও না, প্লিজ”
নিলী বলে “ ওলে ,আমার রাফু বাবা রে ,হাতে ওটা কি লুকিয়েছিস দেখি? । রাফি দেখায় পেনড্রাইভ টা, নিলী মুচকি হেসে বলে আজ কোন মুভি দেখবি হ্যাঁ?
রাফি বলে “আপু, ক্যাপ্টেন আমেরিকা ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’
নিলী পাসওয়ার্ড বলে দেয়।

রাতে আজ নিলী তাড়াতাড়ি শুলো,কাল সকালে কিছু কেনাকাটা করবে।
সকালে নিলীর মা নিলীকে ডেকে ওঠালো, চা করে এনেছে।
চা নিয়ে , নিলী ঘুম জর্জরিত কণ্ঠে বলে ‘ মা, আজ বাজারে যাওয়ার কথা মনে আছে তোমার?”
নিলীর মা বলল হ্যাঁ আছে রে মা,

দুপুরের দিকে বাজারে গেল নিলী আর তার মা।
এদিকে নিলীর বাবার আজ অফিস ছুটি,রাফি স্কুল থেকে ফেরার পথে ,নিলী আর মায়ের সাথে দেখা হয়েছে রাস্তায়।দেখা হয়েই রাফি দৌড়ে আগে আপুর কাছে গিয়ে বলল “আপু পাসওয়ার্ড বলো প্লিজ,তুমি আর আম্মু বাজার থেকে ফেরার আগেই আমি দেখা শেষ করবো।
নিলী বলে ,আর এদিকে নিপা বলে ‘ বাসা গিয়ে ,আগে গোসল করে নিবি, তোর বাবাকে সাথে করে দুপুরে খেয়ে নিবি ,কিন্তু।’

বসন্তের স্বচ্ছ বাতাস শহরের মাঝে এক প্রকার ঝাপসা স্থায়ীত্ব দেখাচ্ছে,আশেপাশে নতুন্ত্বের এক প্রকার ছন্দ যেন উথাল পাথাল করতেছে। মা মেয়ে ,বাবা ছেলের জন্য লালা সাদা পাঞ্জাবি আর ফতুয়া নিয়েছে, আর তারা নিয়েছে একই রঙের শাড়ি। ধানসিড়ি কটন , ফ্লোরাল কটন, চুন্দী সিল্ক বেশ কয়েকটা দোকানে দেখেও ভালো মন মতন না পাওয়াই অন্য আরো দোকানে দেখলো, অবশেষে সুরাটের কাস্তুরি লাল ,সাদা ফ্লোরাল এর শাড়িই পছন্দ হলো।

বাসা ফেরার পথে ফেস পাউডার, বল স্কয়ার এর কাঠের চুড়ি, সুতার কানের দুল নিল।
মাহানুবা বেলকুনিতে বসে পেপার পড়তেছিলেন, তখন প্রায় সাড়ে পাঁচটা বাজে, মা আর মেয়ে বাসা ফিরল। রাতে খাওয়ার সময় বেশ প্ল্যান করলো তারা কি কি করব।
নিলীর বাবা বলল “ সকালে পান্তা ইলিশ কিন্তু তুই রাঁধবি কাল, আর সেই সময়ের মাঝে আমি ফুলের দোকানে গিয়ে তাজা ফুল নিয়ে আসবো রে মা,আর এদিকে রাফি বাগানের দিকে কাগজ গুলো সাজাতে শুরু করবে। “
আহসানা সাব্রিনা নিপা বলল ‘’ আমি কি করবো কাল? আমার কি ছুটি ?’’
মাহানুব বলল “ হ্যাঁ নিলীর মা, তোমার কাল ছুটি, তুমি কাল পথ শিশুদের ওখানে যেতে চেয়ছো ,ওখান থেকে ফিরবে, তারপর আমরা সকালের খাওয়া খাবো।
নিপা বলল ‘’ আচ্ছা, তাই হবে”


সকালে ফজরের আজান শুনতেই আজ নিনুলী উঠে পড়লো, এদিকে তার মা,অনেক আগেই উঠে আছে। নিনুলী দেখলো ওর মা,আরামকেদারায় বসে আছে, জিজ্ঞসে করলো “ মা, কখন উঠেছো?’’
নিলীর মা “ এই ত মা, কিছুক্ষণ আগে উঠেছি।”
নিলী বলে ‘ মা তোমার কি শরীর খারাপ করতেছে’’
নিলীর মা বলে ‘’ নারে নিনুলী, আমি নামাজ পড়ে নেই, তুই ফ্রেশ হ গিয়ে, আজ তোর অনেক কাজ মা,ঝটপট কর’’


নামাজ শেষ করেই, নিপা প্রস্তুত হলো শিশুদের এতিম খানার উদ্দেশ্যে---
সাতটার আগে আগে পৌছে গেল।এতিম খানায়। সেখানে সকল ছেলে মেয়েদের সকালের নাস্তা ,দুপুরের খাবার কি কি হবে, রাতে কি কি হবে ,সব কিছু বুঝিয়ে দিল সরোয়ারকে। সরোয়ার এখানে ইনচার্জ এ আছে।
ফেরা সময় পথ যেন ক্রমেই দূরে যেতে লাগলো,পথের উপর যাত্রা খুব সংক্ষিপ্ত হয়ে এলো,কিছুক্ষণের মাঝেই সব কিছু যেন বোবা অন্ধকার ,আর অন্ধকার, শহরের এ পথে বৈশাখের লাল রঙ রক্তের লাল রঙে আলপনা এঁকে দিল আহসানা সাব্রিনা নিপার আকস্মিক সড়ক দুর্ঘটনায়।
কেন এই দুর্ঘটনা এইদিনে হলো, এর উত্তর নিলী আজও পায় না।
এভাবেই জীবন বুঝি রহস্যের হাসি হাসে,জীবনের পরিকল্পনার মাঝে জয়ী হয়ে যায় মৃত্যু।

পহেলা বৈশাখ এলেই নিলী বলে “ মৃত্যুর উৎসব জীবনের সব কিছু স্থবির আর খালি করে দিয়ে যায়” অঝরে কাঁদে নিনুলী।কোথাও থেকে কোনো উত্তর আসে না
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

জীবন যে কারো কথা শোনে না,জীবন যে কারো বাঁধা মানে না। উৎসব মানেই সেটা জীবনের সব কিছুর সুখের ,আনন্দের উল্লাস হয়ে যায় না। জীবনের জন্য উৎসব সংস্কৃতির একটা অংশ , এটি যেমন আনন্দ দেয়, এটি তার চেয়েও বেশি বেদনা দেয়।পৃথিবীতে অন্ধকার এক জগতে ১০ মাস যেভাবে থেকেছি,যেভাবে খেয়েছি, পৃথিবীতে এর চেয়ে পবিত্র আর দ্বিতীয় কোনো জায়গা বেঁচে থাকাকালীন আর কখনো পাবো না, কখনো পাবো না অতি মধুর সেই ডাক, প্রতি বছর উৎসব যাবে,কিন্তু প্রতি বছর নিনুলীর জীবন ততই আড়ষ্ট হয়ে যাবে। মা মারা যাওয়ার বেদনা একজন সন্তানের কাছে কতটা তিক্ততা হতে পারে,এটা সবাই যেন না পায়। সবাই পিতামাতা ও পরিবারে সকল কে নয়ে অক্ষত অবস্থায় উৎসব পালন করুন এটাই কামনা করি।

২৮ ডিসেম্বর - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী